ছবিটা অসাধারন হয়েছে!
ছবির বক্তব্যটাও আনপ্যারালাল!
ইদানিং ফেসবুকে এই ছবিটা অনেকেই শেয়ার করছেন। বেশ ইমোশন প্রভোকিং একটা ছবি। কিন্তু এটা কি বাস্তব চিত্র, নাকি শুধুই একটা মডেলিং ফটোগ্রাফ, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কোথায় যেন একটা ত্রুটি আছে এই ফটোগ্রাফে। বাচ্চাটার যে বয়স, তাতে সুঁচ ফোটানোর বিষয়টিতে তার ভয় পাবারই কথা, কিন্তু সেটা তার চোখেমুখে নেই। আবার বাচ্চা যদি এতটাই সাহসী বা সুঁচ ফোটানোতে এতটাই নির্ভীক, তাহলে এই বয়সে এই বাচ্চাটার কি রিএকশন হতে পারে তার ধারনা তো এই মায়ের থাকার কথা। আবার, এই মহিলা যদি বাচ্চাটার মা না হয়ে থাকেন, তাহলে তার এক্সপ্রেশনে “মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি” এমন একটা ভাবের অতিরঞ্জন হয়ে গেছে। মাতৃত্ব, ইমোশন… ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু আদরের মাত্রা যেন ছাড়িয়ে না যায়, সেটাও ভাবা দরকার।
আমার মা মারা গেছেন আমার ১ম বর্ষ অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার সময়। আমি ক্যাডেট কলেজ পড়াশুনা শেষ করার ঠিক দু’বছরের মাথায়। আর এই দু’বছর ক্যান্সারাক্রান্ত আমার মা-কে নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর দিয়ে যে ঝড় গেছে, তা গুছিয়ে লেখার ভাষা আমার জানা নেই। “মা” কি জিনিস আর “মা” হারানোর কষ্ট কি, তা আমার মতন যে কেউই জানেন। কিন্তু মা হারানোর পরে যে ভেংগে পড়িনি, সেই মানসিকতা আমার মা-ই আমার জীবনে তৈরি করে দিয়ে গেছেন। অবশ্যই বাবার সার্বিক সাপোর্ট ছিল এবং আছে, কিন্তু মা যে আমাকে আমার শৈশব থেকে কতটা শক্ত-সামর্থ্য করার চেষ্টা করেছেন, তা আমার পরিচিত জন মাত্রই জানেন। খুব ছোটবেলা থেকেই বাড়ির প্রায় সব ধরনের গৃহস্থালির কাজে তিনি তার এই একমাত্র সন্তানকে অভ্যস্ত করিয়েছেন। বাসার সব ফার্নিচার মোছা, ঘর ঝাড়ু দেয়া, মেহমানের আপ্যায়ন, থালাবাসন ধোয়া, প্রয়োজনে কাপড় ধোয়া, এর সবকটিই ছিল আমার আতি শৈশবের নিত্যদিনের কাজ। মা আবার গিয়ে চেক করে দেখতেন, ঠিকমত ধোয়ামোছা হয়েছে কিনা। ক্যাডেট কলেজের প্যারেণ্টস-ডে-গুলোতেও মা আমার জন্য এমন কোন খাবার নিয়ে যেতেন না যা ক্যাডেট কলেজের নিয়মের পরিপন্থি, কিংবা এমন কোন আদরের বাড়াবাড়িও করতেন না যা আমাকে হোমসিক করে তোলে। ছুটিতেও তিনি আমার খাওয়া দাওয়ার ব্যপারে বেশ ডিসিপ্লিণ্ড ছিলেন যাতে হঠাত খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে আমার শরীর খারাপ না করে, কিংবা ক্যাডেট কলেজে ফিরে গিয়ে আবার রুটিনমাফিক খাবারে আমার কষ্ট না হয়। আমার বাসাটাও ছিল আসলে ছোট-খাটো একটা ক্যাডেট কলেজ… হা হা হা!!!
আমি ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময় ছুটিতে এসেও আমার মায়ের কাছে মার খেয়েছি। কিন্তু মা আমাকে কোনদিন কম ভালবেসেছেন, তা আমার কখনোই মনে হয়নি। মা আমাকে তার মৃত্যুশয্যায় এক রাতে বললেন পরদিন সকালে যেন আমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাই। মায়ের সেই শেষ আদেশ পালন করতে পারিনি। মায়ের সাথে আর দেখাও হয়নি।
ছবিটার ব্যাপারে তোমার বক্তব্যের সাথে আমিও একমত, যদিও, ছবিটা আমিও শেয়ার করেছি।
তোমার মা একজন আদর্শ মায়ের কাজটিই করে গেছেন। এসব শিক্ষা জীবনের বড় শিক্ষা। আল্লাহ ওনাকে বেহেস্ত নসীব করুন!
ধন্যবাদ ভাইয়া!
ছবিটা কিন্তু শেয়ার করার মতই!
চেহারার এক্সপ্রেশন্স দারুন!
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
:thumbup:
🙂
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
যে গৃহে মা নাই, স্নেহের শীতল স্পর্শ সে গৃহে নাই
- জন অস্টিন
🙁 🙁 🙁
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
Jane Austen?
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
🙁 🙁 (সম্পাদিত)
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
🙂
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আপনার বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে।
তবে আমার কাছে ছবিটা সত্যই মনে হয়েছে।
যেহেতু মা জানতো ছবি তোলা হচ্ছে তাই তার এক্সপ্রেশন টা একটু বেশি হতে পারে।
আর বাচ্চা রা অদ্ভুত, তারা কোনটায় দুঃখ পায়, কোনটায় মজা তা বোঝা দুষ্কর।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আরে ভাই, দুঃখ না হয় নাইই পেল, ব্যথা-ভয় এসবের কি কোনই দাম নেই?
কলিকাল! ঘোর কলিকাল!
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম