অনেকক্ষন একনাগারে ঝিম মেরে বসে থাকার পর মাথা তুলল ছেলেটি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে দাড়ালো সে। ডানে বামে তাকিয়ে একবার তাকিয়ে দেখে নিল। পার্কটিতে এই সাত সকালেই মানুষজনের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। আরেকটি দীর্ঘ ক্লান্তিকর দিনের শুরু হল। পাশের বেঞ্চটিতে বুড়োমতন একটি লোক তার নাতিকে নিয়ে বসে বাদাম খাচ্ছে। সেদিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল ছেলেটা, কি যেন চিন্তা করল, তারপর জ্বলে ধুসর বিবর্ন হয়ে যাওয়া জিন্সটাকে একটা ঝারা দিয়ে ধীরে ধীরে হাটা শুরু করল সে।
বিস্তারিত»টেকি নিউজঃ হ্যাকিং এর পেছনের খবর!
হ্যকার শব্দটি শুনলেই মনে হয় অনেকের ছোখের সামনে ভেসে উঠে অন্ধকার একটি ছোট রুম, অনেকগুলো মনিটরের সামনে ঝুকে আছে এক চশমা পরা তরুন আর ঝড়ের বেগে কী-বোর্ডে তার আঙ্গুল চলছে। আসলে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার কারনে এই হ্যাকিং এর ব্যাপারে আমার অনেকদিন ধরেই এক ব্যাপক আগ্রহ কাজ করছে।- হ্যাকার কী? এদের কাজ কী? কীভাবে হ্যাকিং হচ্ছে? বেশ অনেক গুলো ই-বুক জোগাড় করেছি অনেক কষ্টে। কষ্টের আরেক কারন যারা প্রকৃত হ্যাকার তারা কখনই অন্যদের বলে বেড়ায় না আমি হ্যাকার।
বিস্তারিত»ইলিয়াসের ঘোড়া
ভাল লেখা আসলে-যাকে বলে-খানিকটা বিটকেলে গন্ধের মত। সুগন্ধর আবেদন খুব বেশিক্ষণ থাকে না, নাকে হয়তো রয়ে যায় বেশ কিছু সময়, কিন্তু মাথা থেকে দুরে সরে যেতে সময় নেয় না একটুও। গোলাপ বা রজনীগন্ধা শুঁকলে পরে খানিক পরেই ভুলে যাই, তুলনায় খানিকটা পেট্রোল পোড়া গন্ধ, অথবা সদ্য জ্বালানো দিয়াশলাই কাঠি বা না জ্বালানো বারুদ- এই সব অদ্ভুত কিসিমের গন্ধই মাথায় রয়ে যায় অনেকক্ষণ। ধুপ বা ধুনোর ধোঁয়ার মত মাথায় ঘুরতে থাকে,
বিস্তারিত»দিনবদলের আশা
দিনবদলের আশা নিয়ে দেশের জনগণ
বঙ্গবন্ধুর জ্যোষ্ঠ কন্যা করলো নির্বাচন
নৌকা মার্কায় টিকেট নিয়ে গড়লেন মহাজোট
ম্যাডাম এসে গদি জুড়লেন পেয়ে গণ ভোট।
কান্না
একটা মোবাইল থিমে একটা কবিতা পেয়েছিলাম। আসল কবিতাটা খুবই সুন্দর। কবিতাটার খুবই বিচ্ছিরি একটা অনুবাদ করেছি। সবার সাথে শেয়ার করছি।
যত জোড়ে ইচ্ছা হয়
যতক্ষণ ইচ্ছা করে
কাঁদ। কারণ,
কাঁদতে কোন মানা নেই।
ও, আমি এবং আমরা ……
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – জাতি, ধর্ম, বর্ণ, মত – কাউকে আঘাত দিতে লিখিনি। আঘাত পেলে ক্ষমা করে দেবেন। এটা আমি আমার কল্পনা থেকে লিখেছি, এই চরিত্রগুলো বাস্তব নয়।
ক্লাশ ১২ এর শেষ ছুটি। কেমিস্ট্রি পড়া শেষ করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিছুক্ষন আগে মোটামুটি ভালো একটা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। ফার্মগেটের মোড়ের সিনেমা হলটার সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি এক লোক,
বিস্তারিত»খুনি
“রক্ত দেখলে ভয় লাগে!!! আজব কথা কস কেন?” – ঝাঁঝের সাথে বলে ওঠেন মাসুম ভাই।
আজকাল উনিই আমাদের স্বঘোষিত সর্দার। একসময় ডাকসাইটে ছাত্রনেতা ছিলেন, তাই গলার স্বর চড়তে খুব বেশি সময় নেয় না। এমনিতে মানুষ ভালো, আমাকে বেশ স্নেহই করেন।
“আগেরবারই তোর টার্ন ছিন, ধানাই পানাই কইরা কাশেমরে দিয়ে করাইছিস। এইবার যদি ছুরি না চালাস, তাইলে কইলাম গিরিঙ্গি হইয়া যাইবো।” বড় করে একটা দম নিতে গিয়ে পাশে পড়ে থাকা ছুরিটা তুলে নেন মাসুম ভাই।
বিস্তারিত»আমার চারপাশ ০১
০১।
আমার সব কিছুর শুরু একটু দেরীতে, যাকে বলে কিনা লেট ব্লুমার। নাইন টেনে কলেজের ছেলেপেলেরা যখন হাওয়ায় তাদের মন ভাসানো শুরু করেছে তখন ঐটা আমার কাছে বড়দের ব্যাপার, লজ্জার ব্যাপার। প্রত্যেক ছুটি শেষে কলেজের ছেলেপেলেরা যখন তাদের নতুন নতুন পরীদের বর্ণনা দেয় তখন বাকীদের মত আমিও তা শুনি কিন্তু মনে মনে ভাবি পোলাপাইন সব ইচড়ে পাকা। আমাদের ইনটেকের ফার্স্ট ক্যাডেট যখন প্রত্যেক ভ্যাকেশনে তার নতুন নতুন অফার পাওয়ার কাহিনি বলে মনে মনে তখন বলি শালা মেয়েরাও দেখি সব ইচড়ে পাকা।
ভ্রমোলগ ১: ক্লান্ত ঢাকাত্যাগ এবং ক্রমশ সবুজায়ন
ভ্রমণে বেরোলেই অপরিচিত মুখগুলোকে কেন আমার পরিচিত মনে হয়? এমন না যে এটা আজকেই ঘটছে। আমি আগেও খেয়াল করেছি, সহযাত্রীদের, অপেক্ষমাণ মানুষের মুখ আমার কাছে আপন মনে হয় খুব। অথচ সেই মুখটাকেই এই স্টেশন, প্ল্যাটফর্মের বাইরে দেখলে আমি ফিরেও তাকাতাম না! ঘরের বাইরে বেরিয়ে আমি কি কিছুটা বিপন্ন হয়ে পড়ি? এজন্যে অচেনাকেও আপন মনে হয়? অথবা আমি একটু সাহসী রোমাঞ্চপ্রিয় হয়ে উঠি, তাই অপরিচিতকেই ভাল লাগে!
বিস্তারিত»চুমু-সংক্রান্ত
১.
“মদ ছোঁবেনা কোনদিন, আমাকে ছুঁয়ে
কথা দাও!” — অপ্রস্তুত ঠোঁট চুঁয়ে
এরপর আলগোছে
আধপেগ নীট চুমু ঢেলে
অনুনয়ে শুধায় এরকম,
“ক্যানো, আমি কি মদের কিছু কম?”
২.
ছেলেটির ঠোঁট ফাটে
মাখেনা ভেস্লিন,
মেয়েটি যত্নবান
ওরা ঠোঁটে ঠোঁটে লীন
নিঃস্বঙ্গ মস্তিস্ক
একলা আছি, একাই রবো
একা একাই সুখ পোড়াবো।
কেউ হবেনা সঙ্গী যখন
কী লাভ দেখে মিথ্যে স্বপন,
ব্যর্থতাকে সাথী করে চলব আজীবন।
একলা আছি, একাই রবো
একলা রবে মন।
বসন্ত ছুঁয়েছে আমাকে…!!!
(শিরোনাম দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। পিচ্চির (আমার ভাতিজা) বসন্ত হয়েছে…আজ দুপুরে ওর সাথে মারপিট করার সময় ওর গায়ের বসন্ত আমার গায়ে লেগেছে…ব্যাস এই হল নামকরণের ইতিহাস…)
পরশুদিনের আগ পর্যন্ত ভাতিজাকে নিয়ে আমরা সবাই চিন্তায় ছিলাম। বাসার হেল্পিং হ্যান্ড মেয়েটার বসন্ত হয়েছে…ওর থেকে পিচ্চির হবার আশঙ্কা অমূলক নয়। গতকাল আমাদের সবাইকে নিশ্চিন্ত করে (হবে কি না-এই চিন্তা থেকে মুক্তি!!!) দুই তিনটা বসন্ত দেখা গেল ওর গায়ে…আর এক দিনের মাথায় মোটামুটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে…ভাতিজা অবশ্য স্বাভাবিকই আছে…দেখে মনে হল না সে বসন্তের ভারে কাতর…তবে,
বিস্তারিত»ক্লাইম্যাক্স
চমকে যাই শরীরে স্রোতস্বীনি জোছনা পতনের শব্দে
চমকে যাই আয়না দেখে আত্নপ্রতিকৃতির এই বিশ্বস্ত ওয়ার্কশপে
চমকে যাই নগরের শব্দে
রিকশার টুনটুন ঝংকারের বায়বীয় অনুনাদে
প্রেমিকা এবং প্রেম পৌরুষ মেরুদন্ড খুচড়া টাকা
দর্শক পার্কের গাড়ল গাছ আর হল্লা করে জেগে উঠা নাগরিক প্লাস্টিক প্রেম
চমকে যাই চায়ের কাপের ছলাৎ শব্দে
ছলকে উথলে পড়ে গাঢ় লিকারের জীবনীশক্তি কবিকূলের
চমকে যাই নক্ষত্রের রাতে বব ডিলনের এক্রোস্টিকের শব্দে
গড়াতে থাকি চমকানো চকমকি পাথর
চমকে যাই খসখসে কলম ছুরি হয়ে সাদা কাগজের হৃদপিন্ড ছিড়ে খুড়ে
একেকটা লাল চমকানো গোধূলী রঙ এর কবিতার আন্দোলনে
চমকে যেতে হয় প্লাবনের কালে ঢেউ প্রবেশের অখন্ড অবসরে
স্রোত স্রোত শুধু স্রোত চমকে যাই স্রোতের শব্দে
চমকে যাই ভালোবাসার বিষাক্ত অনুবাদে
যখন একপেয়ে দেবদূত হয়ে একটা সাদা বক
আর পাহাড়ী ম্যাগনোলিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা সব চমকানো চিত্রকল্প স্রোতে ভাসে
চমকে দেয় আমাকে প্রথম বৃষ্টির সোঁদা আদ্র আকর্ষনী গন্ধ
এক সমুদ্র লাফিয়ে উঠে নীল ধূসর ময়লা আকাশে বিছিয়েছিল বৃষ্টি
ভেজা শরীর পরী ,চমকাতে হয় প্রকৃতি আমায় হিংসায় ফেলে
বৃষ্টি তোমায় জড়ায় চমকে যাই সুন্দর তুমি লাল রং মিশে লাল তুমি
চমকে যাই বাঁকা ঠোট বাঁকা দৃষ্টি চমকে যাই পরী ভালোবাসায় ।
আশার ঘর
অখাদ্য কবিতা দিয়ে বিরক্তির উদ্রেক ঘটানোর চেষ্টা হতে আমি বিরত হই নি।
জীবনের সাদা দেয়ালে
কালিমা লেপন করে করে
আজ যখন দেয়ালটার দিকে
চাইলাম, দেখি সাদা
কোন বিন্দু আর অবশিষ্ট
নাই। চুনকামের চেষ্টা
করে আর লাভ নাই।
আমরা যেভাবে মেঘ মাপি
বোদলেয়ারে বিশ্বাস নাই, ব্যাটা ভণ্ড প্রতারক
আমাদের চোখে আশ্চর্য মেঘদল গুঁজে দিয়ে
বেকুব মরণের ওপারে চলে গেছে চুপচাপ।
আমরা কতিপয় অসহায় সংহার তার
বিস্ফারিত চোখে খুঁজি ফাঁকা নীলাকাশ,
তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাদের আকাশ
নীল থেকে ক্রমশ ধূসর হয়;