বৃষ্টি – ৪

যাচ্ছিল খুব ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে
রিকশায় পাশাপাশি
অফিস পরবর্তী বিকেলে।
একটু ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে গেলে
অস্বস্তি হয়না এমন নয়
তবু ভাবখানা এই —
স্পর্শে তো পুলক পেতে নেই!
ভদ্র আধুনিক শিক্ষিত রুচিশীল যেহেতু।
কামনাবাসনা সমস্ত অতএব
বিনিদ্র রয়ে যাক
একান্তে খামের ভেতরে,
কী কাজ খামোখা
অস্বস্তি ফিল করে!

বিস্তারিত»

বছরের শুরুটা তো ভালোই হল, কিন্তু…!!!

ঢাকায় কতজন মানুষ থাকে কে জানে! তবে গতকাল এবং আজ যা দেখলাম তাতে মনে হল ১৫/২০ কোটির কম হবে না…পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভ করে ঠিক করেছিলাম- কোন মতেই আজ বের হব না…বাই হুক অর বাই ক্যাপ্টেন কুক বাসায় রিচার্ড গের-এর মতন হাঁটু গেড়ে বাসায় পড়ে থাকব!!! কিন্তু কেম্নে কি…ঠিকই বের হওয়া লাগল। সকালেই আমাদের লোকাল কলেজ প্রিফেক্ট সাইদের ফোন-‘বিকালে কয়েকজন মিলে আড্ডা দেব, আড়ং এর সামনে চলে আসিস’…সরাসরি ‘ঠিক আছে,

বিস্তারিত»

এক রুমমেটের কথা

স্মৃতির পাতা হাতড়ে লিখছি, তাই ঘটনা তে কিছু বিবর্তন আসতে পারে।
একই সাথে ৭,৯,১০ এবং ১২শ এ একই রুম এ থাকতাম। তাই সম্পর্ক টা ঠিক বন্ধুত্ব না বলে ভাতৃত্ব বলা সহজ। তার সকল কথা আমার অজানা এমনটি হয়নি। স্বভাবে চঞ্চল এক কথায় দুষ্টদের সরদারদের একজন।
ক্যাডেটরা শিক্ষকদের সাথে যা করে তেমনি করত, তবে মাঝেমাঝে হঠাৎ যে বেশি হত না তার গ্যারান্টি ছিল না।

বিস্তারিত»

শুভ নববর্ষ

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
অতীতের গ্লানি, ব্যথা, ব্যর্থতা জরা সব মুছে গিয়ে সবার জন্য শুভ হোক ১৪১৬ সাল।

বিস্তারিত»

ক্রিকেট

১৯৮৯ সালে আমার বয়স ১০ ছুই ছুই করছে।পাড়ার আর সব ছোটোদের মত হাফ প্যান্ট পরে আমিও আউটার স্টেডিয়ামে বল টুকিয়ে দিতে যেতাম।দুর্দান্ত গতিতে ছুটে আসা বল টি পা দিয়ে ঠেকাতে যেতেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠক করে একটা সব্দ শূনতাম।আর একটু পরেই বুঝতে পারতাম বলটি আমার পায়ের গোড়ালিটিকে থেতলে দিয়ে গেছে।বড় রা ছুটে এসে আমায় প্রথমে বকা দিত,তারপর বল ধরার টেকনিক(লং বেরিয়ার) টা শিখিয়ে দিত।ব্যাথা পেলেও ক্রিকেট বলটির প্রতি একটা দুর্দান্ত আকর্ষন কাজ করত।মনে মনে ভাবতাম জীবনদার মত আমিও কি কোনদিন পারব এই বলটিকে মেরে স্টেডিয়ামের বাইরে নিয়ে ফেলতে।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন-২

গন্তব্যে পৌঁছনোর পর
বাস থেকে নামবো বলে
দাঁড়াতে
কন্ডাক্টর এসে হাত পাতে।

ভাড়া আট আনার বেশী না, জানা ছিলো।
পকেটে কেবল
একটা কয়েন ফেলে দিয়ে
লাফিয়ে বাসে উঠে
সীটে গিয়ে বসতে না বসতে
জানলা দিয়ে দেখি
একটা রূপালী চাকতি
সারিসারি ডালপালার ভেতর
হোঁচট খেতে খেতে
পড়িমরি করে
বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে
শেষমেশ এইখানে এসে
জিভ বা’র করে যখন হাঁপাচ্ছে
তখন এ-পকেট ও-পকেট
হাতড়াতে থাকা আমি
কি ঘুণাক্ষরেও জানি,

বিস্তারিত»

১।৪।১।৬

১.
দারুণ চৈত্রের দিন। আগুন ঝড়ছে খুব। এমন দিনে গরু হারালে বউকেও মা বলে ভ্রম হয়। ছেলেকে মনে হয় ভাই। আমার কিছুই হারায়নি। তবু কেমন আউলা লাগে নিজেকে। ইচ্ছ করে মহিষের মত একডোবা কাদাজলে শরীরখানা এলিয়ে দেই। কেবল চোখ দুখানা খুলে ইতস্তত দেখব কখন আকাশে মেঘ করেছে। কখন ঝড় নামবে। হোকনা চৈত্রের ঝড়। তবু তাকে কাল বৈশাখি বলে ডাকতে ক্ষতি কি! গরু না হারালেও আমি তো আউলা হয়েই আছি।

বিস্তারিত»

রক্ষণশীলতা

“চোখ তো তোলো!”
তোলে।

“তাকাবেনা অন্তত?”
তাকায়।

“নেকাবটা সরাও”
সরায়।

“ঠোঁট ছুঁই?”
প্রশ্নবোধক।

“ঠোঁট দিয়ে?”
বিদ্যুৎ হেনে সরে যায়।

বিস্তারিত»

এক বলে এক রান!

এক বলে দরকার এক রান , তারপর হাসিবুল হোসেন শান্ত আর খালিদ মাসুদ পাইলটের সেই দৌড়, যার পর থেকে বাংলাদেশ শুরু করেছিল এক নতুন পথে দৌড়… আজ ১৩ এপ্রিল সেই আইসিসি ফাইনালের ১২ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ, যার পর থেকেই বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের চিত্র।

সে সময় আমরা ক্লাস এইটে। লাঞ্চের পর পরই দেখলাম ক্লাস টুয়েলভের ব্লকে রেডিও অন করা হয়েছে,

বিস্তারিত»

মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আইএমএফকে না বলুন

imf-trapping-countries-in-debt
১.
২০০৪-০৫ অর্থবছরের বাজেট দেওয়ার সময় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ছিলেন শওকত আজিজ। শওকত আজিজ তার বাজেট বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে বাজেটের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) ‘গুড বাই’ জানানোর মধ্য দিয়ে বাজেটে অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’ বক্তৃতায়ই এর কারণ হিসেবে তিনি দারিদ্র বিমোচন প্রবৃদ্ধি সুবিধার (পিআরজিএফ) আওতায় ঋণ কর্মসূচি থেকে তারা বের হয়ে আসতে পারার কথা বলেছিলেন।
২.
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ একদমই পছন্দ করতো না।

বিস্তারিত»

স্পেনিস নেভাল ক্যাপ্টেন

এই জোক্সটা আমাদের অফিসের এক কলিগের মেইল বক্স থেকে পাওয়া।

জনৈক স্প্যানিস ক্যাপ্টেন তার নৌতরীতে হাটছিলেন, তখনি অধীনস্ত এক সৈনিক দৌড়াতে দৌড়াতে ক্যাপ্টেন সাহেবের কাছে এসে বল্ল “স্যার, শত্রুপক্ষের একটা জাহাজ আমাদের দিকে আসছে”
স্প্যানিস ক্যাপ্টেন ধীরস্থিরভাবে বললেন, “যাও, আমার লাল শার্টটা নিয়ে আস”

সৈনিক দৌড়ে গিয়ে লাল শার্ট নিয়ে আসল। স্প্যানিস ক্যাপ্টেন লাল শার্ট গায়ে দিলেন।
কিছুক্ষনের মধ্যে শত্রুপক্ষের জাহাজ কাছাকাছি চলে আসল।

বিস্তারিত»

যেদিন আমার মৃত্যু হলো ……………

সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরন – জাতি, ধর্ম, বর্ণ, মত – কাউকে আঘাত দিতে লিখিনি। আঘাত পেলে ক্ষমা করে দেবেন। এটা আমি আমার কল্পনা থেকে লিখেছি, এই চরিত্রগুলো বাস্তব নয়। কেউ যদি চরিত্র বা ঘটনার মধ্যে বাস্তব কিছু খুজে পান, সেটাকে পাঠকের কল্পনাশক্তির বিশালত্ব হিসেবে গন্য করা হবে।
—————
আগের গল্প ——-
একজন অসুস্থ মানুষ
ও, আমি এবং আমরা ……

প্রতিদিন ঘুম থকে উঠে সবাই একটা ছক করে নেয়,

বিস্তারিত»

দূরে সরে যাই

অতীত অনেক সুন্দর,
তাই ফেলে আসা অতীতের কথা ভেবে
তোমার কষ্ট হয়।
বর্তমানে এই আমি তোমার পাশে
অথচ এখনো তুমি কষ্ট পাও
বর্তমানের এই আনন্দ

বিস্তারিত»

কল্পনা ও প্রপোজ

কল্পনা

বসে আছি একলা ছাদে
ভাবছি তোমার কথা,
দেখছি আকাশ বুনছি শত
রঙ্গিন কল্পলতা।
হয়ত তোমায় কাছে পেলে
এমনি কোন রাতে,
বসবো দুজন পাশাপাশি
হাত থাকবে হাতে।

বিস্তারিত»

ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতি – ০৬

(একই সংগে অবাক আর খুশির খবর হচ্ছে, আমার এই সিরিজে ক্যাডেট কলেজ ঢুকে গেছে এবার। অবাক এই কারনে যে, এটা মাত্রই সিরিজের ছয় নম্বর পোষ্ট, আর খুশি এই জন্য, এটা কলেজের স্মৃতি)

ক্লাস নাইনের ক্রস-কান্ট্রি দৌড়ে সবার শেষে কলেজে ঢুকলাম, তাও দৌড়ে নয়, মেডিক্যালের গাড়িতে চড়ে। মাথা নীচু করে গাড়ি থেকে নামলাম, কলেজের শুভাকাঙ্খি, বন্ধু, হাউস মাষ্টার রুহুল আমীন স্যার, এমনি হাউসের চরম শত্রুরাও অবাক হয়ে গেল আমাকে গাড়িতে দেখে।

বিস্তারিত»