এই পথ আমাদেরওঃ এই শহরের আমি ও কয়েকজন

ইটের পাশেই ঘাস, মাটি, ধুলো। সিরামিকের ইটের গাঁথুনি, বিন্যস্ত ঘাট। এই হ্রদের পাশে নগর। বা এই নগরের পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে গেছে প্রাগোতীত হ্রদ। নীল ছিল এর পানি বোধহয় এক কালে। এখন শ্যাওলাটে ময়লা; পলিথিন, এবং প্লাস্টিকের বোতল। সজ্জা স্বভাবতই নাগরিকের উচ্ছিষ্ট দিয়ে। এবং এই নগরযাপিত সকল ময়লা ধারণ করছে হ্রদ, নিজের বুকে। খানিকটা নীরবেই এর বুকের ওপরে শহুরে সেতুমালার সেলাই, আমরা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছি কবেই!

বিস্তারিত»

যখন কয়েকজন বালক তাদের হৃদয় হারিয়েছিল

০১।
সব জিনিস বুঝতে যেহেতু আমার একটু টাইম লাগে। তাই কলেজে যাবার আগে যাবতীয় দুষ্ট কাজ সম্পরকে আমার ধারণা ছিল শূণ্যের কোঠায়। কিন্তু এরকম হলে কিন্তু অসুবিধারও শেষ থাকে না। যেমন কলেজে যাবার দিন দুই বা তিনেক পর রাতে লাইটস অফের আগে দিয়ে রুমের বাইরে বের হয়েছি, ঠিক এই সময় দেখি জুনিয়র হাউস প্রিফেক্ট ফেরদৌস ভাই ডাক দিল- এই ক্লাস সেভেন ডাবল আপ। দৌড়ে কাছে যাবার পর দেখি আর কিছু ক্লাস ইলাভেন দাড়িয়ে আছে (তবে এদের মাঝে তানভীর ভাই বা তারেক ভাই এর মত ভাললোক ছিলেন কিনা খেয়াল নেই) 😉

নিন্তাতই নাবালক আমার জন্য প্রথম প্রশ্ন- ফর্ম কোনটা?

বিস্তারিত»

টেকি নিউজ ০৩-ফেসবুক নিয়ে কিছু কথা

ফেসবুক বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট। ফেসবুক আমরা মোটামুটি সবাই ব্যবহার করি। আজকাল ফেসবুকে একাউন্ট না থাকলে তাকে চরম খ্যাত হিসাবে পরিচিত হইতে হয়। বিশেষ করে ডিজুস জেনারেশনের কাছে। সব যোগাযোগ যেনো হঠাত করে ফেসবুক কেন্দ্রীক হয়ে গেছে। ঘন্টায় ৪ বার ফেসবুক এ অন্তত কে কি করছে না দেখলে ভালো লাগে না।
স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় ও বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখতে,

বিস্তারিত»

মনে পড়বে

আমাকে আজ কারোর মনে নেই…
অনেকদিন জোছনা উঠেনা,
তাই আমি আজ বিচ্ছিন্ন।

অচিরেই ইন্দু জোছনা বিলাবে,
রুপোলি চন্দ্রিমায় ভরে যাবে প্রান্তরময়;
হয়তোবা সেদিন তুমি আমায় ভুলে যাবে,
কিন্তু আকাশে চাঁদ হাসবে।

বিস্তারিত»

আউলা চিন্তা – নোবেল, অস্কার নাকি জাস্ট সুগার, কি চাই?

(ভাইরে, এই সিরিজে অনেক সমস্যা আছে, এক নম্বর সমস্যা হইলো গিয়া, গুরু-চন্ডালী দোষে দুষ্ট, প্রমিত, নন-প্রমিত, কথ্য, বাংলিশ সব মিল্লা-ঝিল্লা গেছে, দুই নম্বর সমস্যা হইলো গিয়া অনেকে মাইন্ড খাইতে পারেন বক্তব্যের শানে-নুযুলে, খাইলে খান, নিজ দায়িত্বে, যে গরম পড়ছে, তিন নম্বর সমস্যাটাই আসল, কোন বক্তব্য নাই, আজাইরা পোষ্ট)।

১।
“সমস্ত দিনের শেষে, শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে,
ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;

বিস্তারিত»

বৃষ্টি – ৪

যাচ্ছিল খুব ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে
রিকশায় পাশাপাশি
অফিস পরবর্তী বিকেলে।
একটু ছোঁয়াছুঁয়ি হয়ে গেলে
অস্বস্তি হয়না এমন নয়
তবু ভাবখানা এই —
স্পর্শে তো পুলক পেতে নেই!
ভদ্র আধুনিক শিক্ষিত রুচিশীল যেহেতু।
কামনাবাসনা সমস্ত অতএব
বিনিদ্র রয়ে যাক
একান্তে খামের ভেতরে,
কী কাজ খামোখা
অস্বস্তি ফিল করে!

বিস্তারিত»

বছরের শুরুটা তো ভালোই হল, কিন্তু…!!!

ঢাকায় কতজন মানুষ থাকে কে জানে! তবে গতকাল এবং আজ যা দেখলাম তাতে মনে হল ১৫/২০ কোটির কম হবে না…পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভ করে ঠিক করেছিলাম- কোন মতেই আজ বের হব না…বাই হুক অর বাই ক্যাপ্টেন কুক বাসায় রিচার্ড গের-এর মতন হাঁটু গেড়ে বাসায় পড়ে থাকব!!! কিন্তু কেম্নে কি…ঠিকই বের হওয়া লাগল। সকালেই আমাদের লোকাল কলেজ প্রিফেক্ট সাইদের ফোন-‘বিকালে কয়েকজন মিলে আড্ডা দেব, আড়ং এর সামনে চলে আসিস’…সরাসরি ‘ঠিক আছে,

বিস্তারিত»

এক রুমমেটের কথা

স্মৃতির পাতা হাতড়ে লিখছি, তাই ঘটনা তে কিছু বিবর্তন আসতে পারে।
একই সাথে ৭,৯,১০ এবং ১২শ এ একই রুম এ থাকতাম। তাই সম্পর্ক টা ঠিক বন্ধুত্ব না বলে ভাতৃত্ব বলা সহজ। তার সকল কথা আমার অজানা এমনটি হয়নি। স্বভাবে চঞ্চল এক কথায় দুষ্টদের সরদারদের একজন।
ক্যাডেটরা শিক্ষকদের সাথে যা করে তেমনি করত, তবে মাঝেমাঝে হঠাৎ যে বেশি হত না তার গ্যারান্টি ছিল না।

বিস্তারিত»

শুভ নববর্ষ

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
অতীতের গ্লানি, ব্যথা, ব্যর্থতা জরা সব মুছে গিয়ে সবার জন্য শুভ হোক ১৪১৬ সাল।

বিস্তারিত»

ক্রিকেট

১৯৮৯ সালে আমার বয়স ১০ ছুই ছুই করছে।পাড়ার আর সব ছোটোদের মত হাফ প্যান্ট পরে আমিও আউটার স্টেডিয়ামে বল টুকিয়ে দিতে যেতাম।দুর্দান্ত গতিতে ছুটে আসা বল টি পা দিয়ে ঠেকাতে যেতেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠক করে একটা সব্দ শূনতাম।আর একটু পরেই বুঝতে পারতাম বলটি আমার পায়ের গোড়ালিটিকে থেতলে দিয়ে গেছে।বড় রা ছুটে এসে আমায় প্রথমে বকা দিত,তারপর বল ধরার টেকনিক(লং বেরিয়ার) টা শিখিয়ে দিত।ব্যাথা পেলেও ক্রিকেট বলটির প্রতি একটা দুর্দান্ত আকর্ষন কাজ করত।মনে মনে ভাবতাম জীবনদার মত আমিও কি কোনদিন পারব এই বলটিকে মেরে স্টেডিয়ামের বাইরে নিয়ে ফেলতে।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন-২

গন্তব্যে পৌঁছনোর পর
বাস থেকে নামবো বলে
দাঁড়াতে
কন্ডাক্টর এসে হাত পাতে।

ভাড়া আট আনার বেশী না, জানা ছিলো।
পকেটে কেবল
একটা কয়েন ফেলে দিয়ে
লাফিয়ে বাসে উঠে
সীটে গিয়ে বসতে না বসতে
জানলা দিয়ে দেখি
একটা রূপালী চাকতি
সারিসারি ডালপালার ভেতর
হোঁচট খেতে খেতে
পড়িমরি করে
বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে
শেষমেশ এইখানে এসে
জিভ বা’র করে যখন হাঁপাচ্ছে
তখন এ-পকেট ও-পকেট
হাতড়াতে থাকা আমি
কি ঘুণাক্ষরেও জানি,

বিস্তারিত»

১।৪।১।৬

১.
দারুণ চৈত্রের দিন। আগুন ঝড়ছে খুব। এমন দিনে গরু হারালে বউকেও মা বলে ভ্রম হয়। ছেলেকে মনে হয় ভাই। আমার কিছুই হারায়নি। তবু কেমন আউলা লাগে নিজেকে। ইচ্ছ করে মহিষের মত একডোবা কাদাজলে শরীরখানা এলিয়ে দেই। কেবল চোখ দুখানা খুলে ইতস্তত দেখব কখন আকাশে মেঘ করেছে। কখন ঝড় নামবে। হোকনা চৈত্রের ঝড়। তবু তাকে কাল বৈশাখি বলে ডাকতে ক্ষতি কি! গরু না হারালেও আমি তো আউলা হয়েই আছি।

বিস্তারিত»

রক্ষণশীলতা

“চোখ তো তোলো!”
তোলে।

“তাকাবেনা অন্তত?”
তাকায়।

“নেকাবটা সরাও”
সরায়।

“ঠোঁট ছুঁই?”
প্রশ্নবোধক।

“ঠোঁট দিয়ে?”
বিদ্যুৎ হেনে সরে যায়।

বিস্তারিত»

এক বলে এক রান!

এক বলে দরকার এক রান , তারপর হাসিবুল হোসেন শান্ত আর খালিদ মাসুদ পাইলটের সেই দৌড়, যার পর থেকে বাংলাদেশ শুরু করেছিল এক নতুন পথে দৌড়… আজ ১৩ এপ্রিল সেই আইসিসি ফাইনালের ১২ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ, যার পর থেকেই বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের চিত্র।

সে সময় আমরা ক্লাস এইটে। লাঞ্চের পর পরই দেখলাম ক্লাস টুয়েলভের ব্লকে রেডিও অন করা হয়েছে,

বিস্তারিত»

মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আইএমএফকে না বলুন

imf-trapping-countries-in-debt
১.
২০০৪-০৫ অর্থবছরের বাজেট দেওয়ার সময় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ছিলেন শওকত আজিজ। শওকত আজিজ তার বাজেট বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে বাজেটের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) ‘গুড বাই’ জানানোর মধ্য দিয়ে বাজেটে অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’ বক্তৃতায়ই এর কারণ হিসেবে তিনি দারিদ্র বিমোচন প্রবৃদ্ধি সুবিধার (পিআরজিএফ) আওতায় ঋণ কর্মসূচি থেকে তারা বের হয়ে আসতে পারার কথা বলেছিলেন।
২.
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ একদমই পছন্দ করতো না।

বিস্তারিত»