ভবিষ্যৎবক্তা হিসেবে অর্থনীতিবিদরা একেবারেই যাচ্ছেতাই। পিটার লরেন্স নামের একজন কানাডিয়ান লেখক বলেছিলেন, ‘অর্থনীতিবিদ হচ্ছেন এমন একজন বিশেষজ্ঞ যিনি আগামিকাল জানবেন তিনি গতকাল যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন আজ কেন তা ঘটেনি।
বলা হয়ে থাকে বিগত পাঁচটি মন্দার মধ্যে ৯ বারই অর্থনীতিবিদরা নিশ্চিত ভবিষ্যৎবাণী করে রেখেছিলেন। তাহলে কেন অর্থনীতিবিদ সৃষ্টি? উত্তর হচ্ছে-যাতে আবহাওয়াবিদদের প্রতি মানুষের মোটামুটি বিশ্বাস থাকে। জন কেনেথ গলব্রেথ বলেছিলেন, দুইধরণের ভবিষ্যৎবাণী করার মানুষ থাকে। একদল হচ্ছে যারা কিছু জানে না। আরেকদল তারা জানে না যে তারা কিছুই জানে না। বার্নার্ড শ বলেছিলেন, পৃথিবীর সব অর্থনীতিবিদদের এক জায়গায় শুইয়ে দিলেও তারা একমত হতে পারবেন না। চার্চিল আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, দুজন অর্থনীতিবিদ থাকলে সর্বদা দুটি মত পাওয়া যাবে। আর যদি সেখানে জন মেনার্ড কেইনস থাকেন তাহলে মতামত পাওয়া যাবে তিনটি।
অর্থনীতিই কিন্তু একমাত্র বিষয় যেখানে সম্পূর্ণ বিপরীত দুটি মতবাদের জন্য একই বছর দুজন অর্থনীতিবিদ নোবেল পেয়েছিলেন। যেমন, ১৯৭৪ সালে নোবেল ভাগাভাগি করেছিলেন গুনার মিরডাল এবং ফ্রেডারিক আগাস্ট ভন হায়েক।
অর্থনীতিবিদদের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে নানা ধরণের গল্প-কৌতুক চালু আছে। আবার গবেষকরাও দেখিয়েছেন যে, গত ২শ বছরে অর্থনীতিবিদরা কী পরিমাণ ভুল ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। সেই গবেষণার কথা জানেন তো? অর্থনীতির সব গবেষণায় দেখা যায় যে কেনাকাটার জন্য সবচেয়ে ভাল সময় ছিল আসলে গতবছর। আর অর্থনীতির পরিসংখ্যান হলো বিকিনির মতো। যা প্রকাশ করা হয় তা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু যা প্রকাশ করা হয় না সেটাই আসল বস্তু।
কিন্তু সব ধরণের কৌতুককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোটামুটি নির্ভুল ভবিষ্যৎবাণী করে বিখ্যাত হয়ে আছেন নুরিয়েল রুবিনি। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নুরিয়েল রুবিনি ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক অনুষ্ঠানে খুব স্পষ্ট করেই বলেছিলেন যে, অর্থনীতিতে সামনে ভয়াবহ মন্দা আসছে। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত গৃহায়ন খাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধস দেখতে যাচ্ছে। দেশটিতে ভোক্তাদের আস্থাও নেমে যাবে সর্বনম্নে । সবমিলিয়ে গভীর মন্দায় পড়তে যাচ্ছে দেশটি। অথচ সে সময় মার্কিন অর্থনীতি ছিল যথেষ্ট চাঙ্গা, বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি সর্বনিম্ন। আশঙ্কা করার মতো খুব বেশি কিছু ছিল না। ফলে হাসাহাসি হয়েছিল সে দিন রুবিনিকে নিয়ে। প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন অনেক নামি দামী অর্থনীতিবিদ। কেউ কেউ পাগলও আখ্যা দিয়েছিলেন। এমনকি সভার সভাপতিও সভার সাময়িক বিরতি দিয়ে মাথা ঠান্ডা করতে হালকা পানীয়র ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন।

নুরিয়েল রুবিনি
সেই নুরিয়েল রুবিনিকে এখন বলা হচ্ছে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন। তাঁর দিনরাত কাটছে বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীদের সাথে। গত বছরের শেষের দিকে টাইমস অনলাইনে প্রকাশিত এক সংবাদে পাওয়া গেল যে, এক সপ্তাহে তাঁকে যেতে হয়েছে বুদাপেস্ট, লন্ডন ও মাদ্রিদ হয়ে নিউইয়ক। পরামর্শদাতা হিসেবে অধ্যাপক রুবিনি এখন সবার শীর্ষে। তাঁর প্রতিটি ভবিষ্যৎ বাণী প্রায় নির্ভুল।
আরেকটু পিছনে যাই। গর্ডন ব্রাউন তখন অর্থমন্ত্রী। ২০০৩ সালে ট্রেজারি প্রশ্নোত্তর পর্বে লিবালের ডেমোক্রেটস-এর ডেপুটি লিডার ভিন্স ক্যাবল প্রশ্ন করেছিলেন যে, ব্রিটিশ অর্থনীতি ভাল করলেও এটি টিকে আছে ভোক্তাদের ব্যয়ের উপর। আর ভোক্তাদের রয়েছে বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত দেনা। আর এর বিপরীতে আছে বাড়ির উচ্চমূল্য। কিন্তু এখন যদি ভোক্তাদের দেনা বড় ধরণের সংকটে পড়ে তাহলে চ্যান্সেলর কি করবেন? গর্ডন ব্রাউন কি উত্তর দিয়েছিলেন? তিনি সমস্যা হলে সমাধানের পথ না বাতলে উল্টো বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশ অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে। বরং মাননীয় ডেপুটি লিডার যা বললেন তা সঠিক নয়’। ওয়েব সাইটগুলোতে এই প্রশ্ন ও উত্তর এখন বার বার ঘুরে ফিরে আসছে।
এবার আরো পিছনে যাই। নিকোলাই কন্দ্রাতিয়েভ ১৯২০ সালে বলেছিলেন, পশ্চিমা পুঁিজবাদে অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য চক্র (বিজনেস সাইকেল) দেখা দেবে। আর দীর্ঘমেয়াদটা হলো ৫০ থেকে ৬০ বছরের। অর্থাৎ অর্থনীতি খুব ভাল থাকলেও ৫০ থেকে ৬০ বছর পর বড় ধরণের মন্দা দেখা দেবে। তার কথা ঠিক হয়েছিল ১৯২৯ সালের মহামন্দার সময়। সেটি হয়েছিল ৬০ বছর পরেই। তারপর আবার হলো এবার। তবে ১০ বছর বেশি পড়ে অবশ্য। তাতে অবশ্য বিশ্লেষকরা নিকোলাই কন্দ্রাতিয়েভের কৃতিত্ব কেড়ে নিচ্ছেন না। এই দীর্ঘমেয়াদের বাণিজ্যচক্রকে এখন বলা হচ্ছে ‘কন্দ্রাতিয়েভ ওয়েভ’।

নিকোলাই কন্দ্রাতিয়েভ
মন্দা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের ব্যর্থতার কাহিনীও অবশ্য কম নেই। তবে স্বর্গ থেকে পতন যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে তিনি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এলান গ্রীনস্পান। ১৯৮৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট রিগান তাঁকে নিয়োগ দিলেও ছেলে বুশ পর্যন্ত সবাই তাকে রেখেদিয়েছিলেন। একজন সফল অর্থনীতিবিদ ও ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান হিসেবে কদিন আগেও ছিল সন্দেহাতীত ভাবে খ্যাতির শীর্ষে। তাঁকে বলা হতো বিশ্বের সবচেয়ে মতাশালী আর্থিক কর্মকর্তা। এমনকি তাকে ‘ইতিহাসের সেরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকার’ও বলা হয়েছিল। মন্দা দেখা দেওয়ার পর এখন তাঁকে মোটামুটি শীর্ষ আসন থেকে নামিয়ে আনার পালা শুরু হয়েছে।
সর্বশেষ তাকে বড় সর একটি ধাক্কা দিয়েছেন এবার অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। তাঁর নতুন বইয়ের একটি অধ্যায়ের নাম ‘গ্রীনস্প্যান বাবলস’। এটা ঠিক যে গ্রীনস্প্যানের সময় অর্থনীতি ছিল যথেষ্ট চাঙ্গা। বড় ধরণের সংকট খুব বেশি দেখা যায় নি। তবে এজন্য ক্রুগম্যান কোনো কৃতিত্বই দিতে রাজী নন গ্রীনস্প্যানকে। তিনি লিখেছেন যে, মূল কৃতিত্ব আসলে তাঁর পূবসুরী পল ভলকারের। পল ভলকার একটা কঠোর মুদ্রানীতি নিয়েছিলেন। তার এই নীতি জনপ্রিয় হয়নি। প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পল ভলকারের নীতির সুফল পাওয়া গিয়েছিল কিছু পরেই। ততদিনে অবশ্য নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন গ্রীনস্প্যান। বরং তিনি এসে যেসব উদার নীতি নেন তার ফল এখন ভোগ করছে সারা বিশ্ব। সাফল্য একটা অবশ্য আছে গ্রীনস্প্যানের। আর সেটা হল শেয়ার বাবলসকে তিনি হাউজিং বাবলস-এ রূপান্তর করতে পেরেছেন। এটি হচ্ছে ক্রুগম্যানের সর্বশেষ মন্তব্য।

এলান গ্রীনস্পান
সবশেষ কৌতুকটা বলে যাই। এবারের অর্থনৈতিক মন্দা কেবল সরকারি আমলা ও রাজনীতিবিদরাই ডেকে আনেননি, এজন্য এবার অর্থনীতিবিদদেরও প্রয়োজন হয়েছে।
আরেকটু সংযোজন করি- একজন ডাক্তার যখন ভুল করে তখন কেবল তার রোগীই মারা যায়। আর যখন অর্থনীতিবিদ ভুল করে? তখন আসলে মারা যায় সবাই।
১ম
সিনিয়র ভাইকে সম্মান দেখাইলাম :salute:
🙂 🙂 🙂
:clap:
খুব চমৎকার লেখা শওকত ভাই। :clap: :clap:
চক্র উল্টাইয়া দিছি। এটা আজ দিলাম সিসিবিতে। পরে দেবো সামুতে। তারপর ছাপা হবে প্রথম আলোতে। 🙂
সিসিবি জিন্দাবাদ
:thumbup:
এইটারে কয় ডেডিকেটেড ক্যাডেট,
মাসুম ভাই ভাল লোক
জয়ের মালা তারই হোক,
ভাই এইটা কিন্তু হাসিনা তনয় টাইপ কেউ না বুইজেন কিন্তুক
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মাসুম ভাই কে :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমাদের ছোটবেলায় জয় নামে আরো অনেক কিছু ছিল 😀
চমৎকার।
আপনার নিজস্ব ভঙ্গিতে এতো সুন্দর করে লিখেছেন মুগ্ধ হয়েছি।
অর্থনীতি নিয়ে রংগ-রসিকতাগুলি মারাত্মক লেগেছে। :boss: 🙂
মাসুম ভাই
অনেকদিন পরে সিসিবিতে কিছু লিখছেন। অবশ্য সংবাদপত্র বা অন্য ব্লগেও এর মধ্যে আপনার খুব বেশি লেখা দেখিনি। তবে কয়দিন আগে হিন্দী সিনেমা নিয়ে অন্য আপনার একটা লেখা বেশ লেগেছে। ওইটা এখানে দেয়া যায় না? 🙂
সিনেমা নিয়ে কথা বলার জন্য সিসিবি'র চেয়ে দারুণ জায়গা আর নাই কিন্তু।
আমার দাবি ঐ লেখাটা এখানে দিন।
আর আপনাকে আর লাবলু ভাইকে বেশিদিন সিসিবিতে না লিখতে দেখলে কেমন জানি টেনশন লাগে, কিছু ভুল করে ফেললাম নাতো। 🙁
দয়া করে টেনশনে রাখবেন না। 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
হুম, আমি একটু অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। ব্লগে খুব বেশি থাকা হয় নাই। তবে খবর রেখেছি। লাবলু ভাইয়ের কাছে তোমার কথাও জানলাম। মন খারাপ করে না। আমাদের সাথে আছো সেটাই বা কম কিসে।
ঠিকাছে ঐ লেখাটাও দেবোনে। আরেকটু ঠিক ঠাক করি। আসলেই সিনেমা নিয়ে কথা বলার জন্য সিসিবির তুলনা নাই।
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
এই সেমিস্টারে ইকোনমিক্স পড়ার আগ পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল এটা একটা আজাইরা আঁতলামির বিষয়। কিন্তু এর প্রভাব গুলো জানার ও পড়ার পর থেকে সে ধারণা আমার আমূল বদলে গিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ।
শওকত ভাই, :salute:
এইরকম সিরিয়াস পুস্ট আরো চাই।
ম্যাক্রো ইকনমি তো আমার ভিষণ প্রিয় বিষয়। আমি খুব মজা পাই। তবে এটা ঠিক বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এতো মজা পাই নাই। এখন যত পাই।
মোরাল অব দ্য স্টোরি: মানুষ যত বড় হয় তত আঁতেল হয় 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ আমারে গালি দিছে। বিচার চাই। 🙁
বিচার হবেএএএএএএএ
অত্যাচারির বিচার হবে। :grr: :grr: :grr:
শওকত ভাইরে গাইল্পারার অফ্রাদে জিহাদ্রে লুঙ্গি পড়াইয়া লং আপ করান হউক :grr: :grr: :grr:
আর লুঙ্গি না পরতে চাইলে লুঙ্গি ছাড়াই লং-আপ করানো হউক। :grr: :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ঐ :-B
সহমত :thumbup: :thumbup: ভাইজান।
জুনিয়র'স রা আইজকাইল চরম খ্রাপ হইয়া গেছে... :grr: :grr: "বুড়া" না কইয়া খালি "বড়" কয়... 😛 😛 😛 হাউ ডিয়ার (DEAR!!!) =)) =)) :)) :))
তয় ওদেরই বা কি দোষ বলেন...আপনি এতো ফাটাফাটি লিখলে :clap: :clap: আমরা-ই ভাত পাবো কি না তার নাই ঠিক(চামে নিজের ব্যান্ড বাজাইলাম 😀 )...পোলাপাইন তো আরও নাদান... 😉 😉
স্যরি বস...মন খারাপ কইরেন না। কই রে জিহাদ...আমি নিজেই :frontroll: :frontroll: :frontroll: দেয়া শুরু করলাম...তুই কি ডাউট নিয়ে লুক ডাউন হয়ে থাকবি...না কি আমরা-ই আমরা-ই তো বলে আমার পাশেই তুই-ও :frontroll: দেয়া শুরু করবি!!!
অ্যাডজুট্যান্ট ভাইস্যার (ইউসুফ ভাই)...আপনি-ই বা বাদ যাবেন ক্যান, অ্যাট লিস্ট আমাদের :frontroll: :frontroll: কাউন্ট করার জন্যে হইলেও মাঠে নাইম্যা পড়েন...!!!!!
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
এইখানে আবার বুড়া কেডা? x-(
একটা মজার কোট মনে পরলো। আর্ট বুচাল্ড নামে এক আমেরিকান কলামিস্ট , রম্য লেখক একবার বলছিলেন-
an economist is a man who knows a hundred ways of making love but doesnt know any women.
:)) :))
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
এত কিছু থাকতে নারী বিষয়ক কথাটাই মনে থাকলো কামরুলের। 😀
কামরুল ভাই, তাইলে আপ্নেও তো ইকোনোমিস্ট :grr: :grr:
( দাব্রানি খাওনের আগেই ভাগি )
:frontroll: শুরু কর
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
শওকত ভাই , অবশেষে লাইনে আসছেন 😀
এইবারের অর্থনৈতিক মন্দার কারণ ও প্রভাব নিয়ে ছোটদের বোঝার মত করে একটা ব্লগ কি আশা করতে পারি? 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জট্টিল লিখছেন, বস। :salute:
জিহাদের সাথে - ঐ 😀 ।
- তবে গুরুত্বপূর্ণ বস্তুসহ। 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমি তো সর্বদা লাইনে।
ছোটদের অর্থনীতি একটা লেখার চেষ্টা করি তাইলে। কষ্টের কাম অনেক।
জিহাদ কি রিসেন্টলি বাপ হৈতাছস?
:khekz: :gulti: :khekz: :gulti:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:goragori ::pira:
:pira:
একটা ব্যাপর কোনভাবেই বুঝলাম না বস।
চারদিকে এত মন্দা, এত লস। এত টাকা গেল কই? সবাই একসাথে লস খাবে এটাতো গানিতিকভাবে সম্ভব না। এই বিশ্বমন্দায় কে লাভ করল বুঝতে পার্লাম না।
(ফালতু কোচ্চেন হইতে পারে। মাইন্ড কইরেন না। 😀 )
লাভ ছিল কাগজে কলমে, ক্রেডিট কার্ডে। বাড়ি কিনতে ব্যাংকগুলা ঋণ দিছে। সেই বাড়ি ছিল মর্টগেজ। এত বেশি বাড়ি হইছে যে এখন আর বিক্রি হয় না। ফলে বাড়ির দাম গেল কমে। ব্যাংক যে বাড়ি বিক্রি করে টাকা আদায় করবে সেই উপায়ও নাই। এইখান থেকে মন্দা শুরু। সবাই কেনাকাটা কমাইয়া দিলো। আর প্রভাব পড়লো সবর্বত্র।
এখানে আরেকটু যোগ করি মর্টগেজ যখন দেওয়া হয়েছে তখন কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। অনেক সময় ০% ডিপোসীটে মর্টগেজ দেওয়া হয়েছে প্লাস তাদের সেই মর্টগেজ শোধ করার মতো অবস্থা আছে কিনা তাও দেখা হয়নি। আর মরার উপর খরার ঘা হলো বাড়ীর ভ্যালুয়েশন করা হয়েছে অনেক বেশি দামে।
শওকত ভাই অনেক সময়পোযোগী একটি লিখা খুব ভালো লাগলো পড়ে।
যুদ্ধাপরাধীর হাত থাকতে পারে।
ভার্চুয়াল মানি মনে হয় তাই না মাসুম ভাই, শেয়ারের মত, রেট বাড়ে কমে, কিন্তু লিকুইড মানি তো ফিক্সই থাকে, কাগজের নোট যেইগুলো.........
🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
🙁
আমি কালকা পইড়া মন্তব্য করমুনে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
অসাধারণ। মন্দা সর্ম্পকে অনেক কিছু জানলাম। অর্থনীতি নিয়া আরও লেখা চাই।
মন্দার প্রভাব কতটা হবে এবং কবে নাগাদ কাটতে পারে সে সর্ম্পকেও জানতে চাই।
প্রথম আলোর জন্য একটা লিখছিলাম মন্দা নিয়া। আবার লিখবো ভাবছি।
বাংলাদেশেতো শুনলাম মন্দা এতটা খারাপ না, মুলত পৃথিবীর কোন দেশেই এতটা খারাপ না, যতটা খারাপ অ্যামেরিকা আর বৃটেনে। এই বছর আবার নাকি আগের বছর থেকেও খারাপ হবে।
আমার ধারণা বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে আগািম ২০০৯-২০১০ অথবছরে।
আমার একটা প্রশ্ন ছিল.........মন্দা জিনিষটা কি??? 🙁 🙁 🙁
এইখানে কোন অর্থনীতিবিদ ভাই থাকলে ব্যাখা কইরা বুজায়া দেন না ভাই।
একটা বছর যাবত খালি মন্দা মন্দা শুনলাম,মাগার কিসের মন্দা,কার মন্দা,কার ক্ষতি হয় কিছুই বুঝলাম না।শওকত ভাই একটা ক্লাস নিয়া ভালমত বুঝায়া দেন।
মন্দা আর কিছু না রে ভাই, চাকরি-বাকরির আকাল, ব্যবসার আকাল। আমরা যারা পেটের ধান্ধায় বাইরে পড়ে আছি তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি মন্দা কারে কয়।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো কিছুটা ল্যাগিং ইফেক্টের জন্য মন্দাটা প্রকট নয়। তবে ধীরে ধীরে বাংলাদেশেও এর প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়বে বলে বিশ্বাস। একজন আমেরিকান হয়ত বড় গাড়ি, বাড়ি বাদ দিয়ে ছোট বাড়িগাড়ি ব্যবহার করবে। কিন্তু একই মন্দার প্রভাবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকটা হয়ত চাকরি হারিয়ে না খেয়েই দিন কাটাবে। পানির মত দুর্ভাগ্যও নিম্নদিকেই ধাবিত হয়।
শওকত ভাই, আগের লেখাটায় সামুতে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। এই অর্থনৈতিক মন্দায় সব দেশ ডলারের দামের সাথে দেশের মুদ্রামানের সমন্বয় করেছে। বাংলাদেশই শুধু ডলারের দাম আগের মতই ধরে রেখেছে। ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করবেন ?
সেই মন্দার দিনগুলি আমাদের দেশে না আসলে কি হয় না???
এমনিতেই আমাদের অবস্থা সারা বছরই কেরোসিন থাকে,মন্দা আসলে কি হয় আল্লাহ ই বলতে পারেন।
আমরা আমদানি নির্ভর । একারণেই ডলারের দর ধরে রেখেছে।
মোটেও সিরিয়াস পোস্ট না। নীচের লাইন পড়লেই বুঝা যায় শওকত ভাই লিখসে...
যাই সিনেমা নিয়ে লিখা আরো চাই। আমি আসলে ইদাণিং সিরিয়াস আর দুঃখ মার্কা সিনেমা বেশী দেখছি। (Edge of love, Me marley)যদিও আমি শুরু করেছি সহজ সিনেমা হিসাবে। আর সময় সংকটেও আছি। তাড়াতাড়ি লেখা ছাড়েন
সব বাদি এই বুড়া পোলার চোখ পড়ছে কই গিয়া, কই যে যাই, ঘোর কলিকাল, 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
"সব বাদ্দিয়া" হইব
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
'বাদ্দিয়া'টাই দেখি বাদ পরি গেলো ফয়েজ ভাই 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফয়েজ ভাই আমারে বুড়া কইলো কেনো বুঝলাম না। আমিতো ফয়েজ ভাই এর অনেক ছোট। আমার কোনো অংশের কোনো চুল পাকে নাই।
আর বিকিনির উপর চোখ পড়লে অস্বাভাবিক কি কিছু আছে। এটাতো একটা সহজাত পুরুষীয় (সঠিক বাংলা জানি না) ও ক্যাডেটিয় ব্যাপার।
ফয়েজ ভাই আপনি ডাউট সিনেমার মেরীল স্ট্রীপের মত হয়ে যাচ্ছেন। সব কিছু বুঝে শুনে ইজি থাকেন। আমরা বুড়া না হইলেও বড় হইসি তো। 🙂
আমার মাথার কোনো অংশের কোনো চুল পাকে নাই। মাথা শব্দটা বাদ পড়ে গেছে। 🙂
সময়ের অভাবে মুভি দেখা একটু কমেছে। দুটো দেখা শুরু করেছি। রাচেল গেটিং ম্যারেড আর টুয়েলাইট সিরিয়াস মুভি না। ডাউট দেখার ধান্দায় আছি।
আর যা দেখা গেল না তা চেয়ে সিরিয়াস বস্তু আর কী আছে? 😛
আমি কিছু কমু না
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
দারুন পোস্ট। অনেককিছু বুঝলাম। এতো মজা করে না লিখলে এই ধরণের পোস্ট পড়তাম কিনা সন্দ। :thumbup: :thumbup:
জটিল পোস্ট :boss: :boss:
এইজন্যই আমি ইকনোমি বড় ভালাপাই 😀 😀
আমিও ভালো পাই।
ভালো লিখছো মাসুম। উপস্থাপনাটা আরো জটিল (আজকালকার পুলাপাইনের ভাষা)। লিখে চলো।
অর্থনীতি নিয়ে লেখায় ভাষার ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যতোদিন অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে লেখালেখি করেছি, তখন এই বিষয়টার দিকেই বেশি নজর দিতাম। পাঠকের বোঝার ভাষাটা রপ্ত করাটা একটা রীতিমতো শিল্প। তুমি সেটা ভালো রপ্ত করেছ। ধন্যবাদ :hatsoff:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এর চেয়ে বড় কমপ্লিমেন্ট আর কি হতে পারে লাবলু ভাই 🙂
:hatsoff:
অফটপিকঃ মাসুম ভাই আজকাল কম দেখা যায় মনে হয় আপ্নেরে 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ব্যস্ত ছিলাম। মুডও একটা বিষয়।
ভাইয়া, দারুন করে লিখা। :boss: :boss:
বাহ! অনেক কিছু বুঝে গেলাম তো! B-) B-)
:thumbup: :thumbup: :thumbup: