অত্যাচারী সূর্যের নীচে মুখোশের মিছিল

কাক ডাকা ভোরে বেড়িয়ে নিজেকে নানা ভাবে প্রবোধ দিলাম এই পৃথিবী অসমতল ভাবলেই অসমতল। নাহলে ইউক্লিডীয়ান সমতল ভেবে নিলে কেউ তো জবাবদিহী করতে আসছে না। গস ,বোলাই ,রীম্যান ,আইনস্টাইনরা একটু কষ্ট পেতে পারে, কিন্তু তাদের থোড়াই কেয়ার করি আমি। জানি এই ভোরের হিম লাগা বাতসের আনুপূর্বিক লোমকুপ অভিযান, আর থেকে থেকে শিউড়ে ওঠার পর্যায়ক্রমিকতা যদি আমি থার্মোডিনামিক্স দিয়ে ভাবতে চাই তাহলে তা বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার অসামান্য উদাহরনের মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বিস্তারিত»

আমার জ্বীন দেখা

তখন ক্লাশ ইলেভেনে । পাড়ার বখাটে ছেলে বলতে যা বোঝায় হাউসে আমাদের কয়েকজনের অবস্থা ছিল অনেকটা সেরকম যদিও নিজেদের আমরা খুব বস মনে করতাম । আমরা ৫ জন। আমি, আরাফাত, ইফতে, আলীম, মেহেদী।

আমাদের হাউসে এক অদ্ভুত চিড়িয়া বাস করত । ধরি তার নাম ” ফ্যা ” । ক্লাস সেভেন থেকেই সে আমাদের ইনটেকে বিরাট বিনোদনের উৎস ছিল । এক টার্মে ছুটি থেকে কলেজে আসার পর দেখি তার অনেক চেঞ্জ ।

বিস্তারিত»

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ৩ (শেষ)

ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ১ , ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের বাড়িতে ২

সিঁড়ি দিয়ে উঠে প্রথমেই দৃষ্টি আটকে যায় কালের ধূলোয় জীর্ণ এক এলিভেটরে। একটা টানা দড়ি এর একেবারে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত চলে গেছে আর ভেতরে একটা হুইল চেয়ার রাখা । বোঝাই যাচ্ছে হুইল চেয়ার ফ্রাঙ্কলিনের ব্যবহারের জন্য ছিল, কিন্তু টানা দড়ি? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি বিশালদেহী ফ্রাঙ্কলিনের শরীরের সচল ঊর্ধ্বাংশের শক্তি এই এলিভেটরসহ নিজেকে টেনে তোলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল!

বিস্তারিত»

সাপ-কাহিনী

উৎসর্গ: ফয়েজের সাপ-কাহিনী।

হিলহিল এঁকেবেঁকে জলের আস্তর সরিয়ে সরিয়ে একটা সাপ — নালার পাড়ে পাড়াতো শিশুদের উল্লম্ফ উল্লাস — কারো হাতে টিঙটিঙে ভাঙা ডাল, খোঁচাতে গিয়েও সম্ভ্রমে থমকে যায় বারবার। একটা ক্ষুদে দর্শক কণ্ঠ খেলিয়ে কি সুন্দর তুলে আনে সাপুড়ে বাঁশির কোমরদোলানো সুর — চকিতে বেদের মেয়ে অঞ্জু ঘোষ মনে পড়ে। সাপটি ফিরেই যাচ্ছিলো, এই সুর শুনতে পেলে আনমনা হয়ে সেও খানিক থমকায়: পরক্ষণেই তার চকরাবকরা মাজায় বাংলা সিনেমা জুড়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি নাচতে লেগে যায়…….

বিস্তারিত»

চল্লিশোর্ধ যুবক আজ একচল্লিশে(??) পা দিলেন…

বিসিএস পরীক্ষার ডাউট দিয়া আজকাল আমি ব্লগে প্রায় কিছুই লিখি না,কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপার আছে যখন না লিখে পারা যায়না।সেই ংটা কালে যেই লোককে স্কিন টাইট জিন্স আর ঢোলা শার্ট পড়ে পাড়ার “উনাদের” সাথে পার্ট নিতে দেখতাম,যেই আঙ্কেল আমাদের জেসিসির এডজুটেন্টের ব্যাচমেট হয়েও ক্যাডেট কলেজে আমাদের সিনিয়র হবার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ(উনাকে ক্লাস সেভেনে পেয়েছি টুয়েল্ভ হিসেবে,আমাদের কলেজে নয়,এফসিসিতে)-সেই মানুষটার বয়েস আজ আরো বাড়ল।কাগজে কলমে এই মানুষটা আমাদের থেকে মাত্র ৬ ব্যাচ সিনিয়র কিন্তু জনতার দাবী অনুযায়ী ইনার বয়স কমপক্ষে চল্লিশ।এইতো সেদিন উনার সাথে ইয়াহুতে চ্যাট করবার সময়(পাঠক,দয়া করে বাংলা শব্দ আমলে নেবেন না,

বিস্তারিত»

ভিডিও লিংকঃ

ক্যাডেট কলেজ ব্লগের পক্ষ থেকে শহীদ আর্মি অফিসারদের স্মরণে বিডিআর গেটে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি কর্মসূচীর ভিডিও লিংকটি নিয়ে দেয়া হলো:

বিস্তারিত»

টুশকি ২৮

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২০] [২১] [২২] [২৩] [২৪] [২৫] [২৬] [২৭] [২৯]

১.

বিস্তারিত»

ডাউনলোড লিংকঃ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

পাঠকরা হয়ত জেনে থাকবেন, কিছুদিন আগে মুক্তিযুদ্ধোর ইতিহাসকে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটা উদ্দোগ নেয়া হয়। খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে যথেষ্ট রেফারেন্স সহ বইটি লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী পত্রিকা “ছুটির দিনে” এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

আগ্রহী পাঠকরা এই লিংক থেকে বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন এখানে “হাই কোয়ালিটি” এবং “লো কোয়ালিটি” বলে দুটি অপশন আছে,

বিস্তারিত»

দার্জিলিং জমজমাট – শেষ পর্ব

পরদিন ভোর বেলায় উঠে সবাই গেলাম কাঞ্চনজঙ্গা’য় সূর্যোদয় দেখতে। ‘টাইগার হিল’ থেকে সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্গা’র চূড়া। মাইনাস ৪/৫ তাপমাত্রায় ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে টাইগার হিল যাওয়ায় সময় মনে হচ্ছিলো এবস্যালুটলি রঙ ডিসিশান। আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে একটা জীপ নিয়ে সবাই পৌছে গেলাম ‘টাইগার হিল’। আমাদের মতো আরো অনেক ট্যুরিস্ট অপেক্ষা করছে সেখানে। প্রচন্ড শীতে অনেকেই কাহিল। আগুন গরম চা খাচ্ছি একের পর এক,

বিস্তারিত»

সত্যের শিশ্নচ্ছেদ উতসব

দাবীকৃত ঐশৃরিক প্রত্যাদেশ লিফলেটের বোল্ড হরফে
পার্থিব বায়ুমন্ডলে বেচে জাতিতে জাতিতে কালো সাদা
হলদে পূব পশ্চিম ছোট চোখ গ্রীক নাক সব গেরস্তালীতেই
দাড়িয়ে গেছে জোব্বা চন্দন ক্রুশ মেকাপের রক্তপায়ী
অপমানব উত্তরাধিকারী ।

তাই সভ্যতার ফোলানো বিষবাষ্পের বেলুনে কেবল লাল চোখ
উদগত ঘৃণা তথাকথিত ত্রাতাদের হুংকার ।পোড়া মাংশের গন্ধ
গুজরাটে কাশ্মীরে নিউইয়র্কে প্যলেস্টাইনে আর বঙদেশে
খিন্ন সব জৈবনিক স্পন্দন আর রাস্তায় রাস্তায় পোস্টমর্টেম ।

বিস্তারিত»

ভোট দিন… পৃথিবীর জন্য!!!

বেশ কিছুদিন আগে একটা মেইল পেয়েছিলাম পৃথিবীর জন্য ভোট করার জন্য, সাবজেক্ট দেখেই মুছে ফেলেছিলাম, আজাইরা কিছু মনে করে। গতকাল আবার মেইল পেলাম, এবার পড়ে জিনিষটা বেশ চমকপ্রদ মনে হলো, তাই এখানে শেয়ার করলাম।

এই ভোটকে বলা হচ্ছে পৃথিবী ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং (বাংলা কি হবে??) এর মধ্যে ভোটযুদ্ধ। পৃথিবীর জন্য ভোট করতে হলে কোন ব্যালট পেপারে সিল দিতে হবে না, শুধু লাইটের সুইচ অফ করলেই হবে।

বিস্তারিত»

১৯৭১ এর দুটি ভিডিও

কিছুক্ষন আগে আমার শাবিপ্রবি এর এক বন্ধু সুশান্ত ইউটিউবের দুইটা লিঙ্ক পাঠাইলো। আমার বন্ধুর মতে আমেরিকা প্রবাসী জনৈক মাশুকুর এবিসি ও এনবিসি টিভির আর্কাইভ থেকে এই ভিডিওগুলো সংগ্রহ করেছেন। ভিডিও গুলো ইঊটিউবে গত ২০শে মার্চ পোস্ট করা হয়েছে। অনেকেই দেখে থাকতে পারেন। যারা দেখেন নি তাদের জন্য।

বিস্তারিত»

সন্দেহ… সংশয়… Doubt !!

প্রেক্ষাপটঃ ব্রংস,আমেরিকা ১৯৬৪। চিন্তার স্বাধীনতা ও সামাজিক মুক্তির বিষয়গুলো তখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। পরিচালক জন প্যাট্রিক শ্যানলী তার পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী মঞ্চনাটক থেকে এই সিনেমার চিত্রনাট্য এডাপ্ট করেছেন। মূল থিমটা পুরোনো। একদিকে আছে প্রাচীন নিয়ম কানুন, পরম্পরা আর বিশ্বাসকে আকঁড়ে ধরে রাখা কট্টরপন্থী (গুরুকুলের অমিতাভ) আর অন্যদিকে আছে নতুন আচার আচরন,বিশ্বাস আর মুল্যবোধকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত উদারমনা আধুনিক ব্যাক্তিত্ব। (গানের মাস্টার ছ্যাঁকু শাহরুখ) Doubt সিনেমার কাহিনী্তে একজন নান তার এক সহযোগী পুরোহিতের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন।

বিস্তারিত»

যেসকল সময়ে মনে হয় আত্নহনন ভীষন অযৌক্তিক

এখন সময় খুব প্যাচানো জালের মত মুক্তিচেতনাহীন।তাই বিভিন্ন আটকানো নি:শ্বাসে বাতাস ভারী,অসুস্থ।মনে হয় থ্রেশহোল্ড পেরিয়ে গেছি,ভেঙ্গে যাবো যে কোনোও সময়ে কেবল অপেক্ষায় আছ কখন ভাঙ্গবো।

আত্নহননে উত্সাহী মানুষরা সবসময়েই আত্নহননের সিদ্ধান্ত নেবার পর খুব আয়েশী হয়ে যায়।আত্নহননের কোনও চিন্তা মাথায় না আসলেও অস্তিত্বের প্রশ্ন (কেন দাড়িয়ে আছি বা কেনই দাড়িয়ে থাকব!)সব গুলো ধমনীর কপাটিকাতে আছড়ে পরে নিরন্তর জলোচ্ছাসের শক্তিতে,ক্রোধে।তাই মুখ লুকোতে হয় বালিশে অথবা প্রিয়ার কাম্য বুকে যদি কিছুটাও আলো আস্বাদনের সুযোগ ঘটে।

বিস্তারিত»

দ্বিধাবিভক্ত আমি-২

আমার আগের এই নামের কবিতার সাথে এই কবিতার একমাত্র মিল হল উভয় ক্ষেত্রেই আমি দ্বিধাবিভক্ত ছিলাম।

শ্রেণী বৈষম্যের আলোকে সমাজকে দেখেছিলেন
মার্ক্স, কার্ল মার্ক্স।
সভ্যতার উত্তরণ, এগিয়ে চলার পথ আর আইনকে
তিনি দেখেছিলেন অর্থনৈতিক ভিত্তিতে।
সেই আইন, প্রলেতারিয়েতদের ওপর যা চাপিয়ে দেয়
বুর্জোয়াদের ইচ্ছার প্রতিফলিত ফলাফল।

বিস্তারিত»