দ্বিতীয় জন্ম ও প্রথম মৃত্যু

ভাবনা গুলো ইদানিং খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। কখন কী ভাবি কী করি পর মুহূর্তে ভুলে যাই কিংবা কোন চিন্তা স্থিতধী হয়ে বসতে পারে না । আমার মাঝেকার আমিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কদাচিৎ। খুব সুন্দর গোছগাছ করে কিছু লিখব তেমন হয়ে উঠে না। তাই আমার উপস্থিতি জানান দিতে আমি আবোল তাবোল বকবক করি। দ্বিতীয় জন্ম বলতে আমি নিজের ক্যাডেট হয়ে জন্ম নেয়াটাকে বুঝি। খুব বেশি মনে পড়ে তাই ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুন দিনটিকে।

বিস্তারিত»

মুখ ও মুখোশ……………

প্রথমে হাড়ির খবর দিয়ে শুরু করি, হাড়ির নয় নিজের ভাতের থালা দিয়েই শুরু করছি। আমার বাবা একজন প্রান্তিক ব্যবসায়ী। আমাদের দোকানের খরিদ মূল্য ১২লাখ এবং এবং মূলধন ১৫ লাখ টাকা মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়াল ২৭লাখ টাকা। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের সময় দৈনিক বিক্রয় হত গড়ে ১২০০ টাকা। ২০% লাভ ধরলে ২৪০ টাকা প্রতিদিন। মাস ২৫ দিন ধরে মোট আয় দাঁড়ায় ৬০০০ টাকা। ভাবা যায় ২৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাত্র ৬০০০ টাকা আয়।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – মনের আলমারীতে সাজিয়ে রাখা ভালোলাগার পৃষ্টাগুলি (দ্বিতীয় কিস্তি)

১।

আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন জেসমিন আপা (নামটা বদলে দিলাম)।

জেসমিন আপারা ছিলেন সাত বোন দুই ভাই। একদম আমাদের লাগোয়া বাসা। জেসমিন আপা সবার ছোট, তাদের নয় ভাই-বোন এর মধ্যে। একটু ডানপিটে আর গেছো টাইপ ছিলেন উনি, আমাদের গলিতে অনবরত সাইকেল চালাতেন। বাবাই বলেছিলেন উনাকে, আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে দিতে।

আমাদের সাইকেলটা ছিল পুরোনো আমলের, ব্রান্ড যতদূর মনে পড়ে রয়েল বা র‌্যালে জাতীয় একটা নাম।

বিস্তারিত»

লাইভ ফ্রম কলেজ-১

ভ্যাকেশন শেষে কলেজে জয়েন করলাম আজ এক সপ্তাহ হল!এরইমধ্যে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কলেজ।অথচ হাপিয়ে উঠেছি এই ক’দিনেই।আরো প্রায় ৮৭ দিনের মত বাকি।ইদানিং এমন শুরু হয়েছে-একেকটা টার্ম তিনমাসেরও বেশী।আগে এটা দেখিনি,এ বছরই প্রথম।নতুন ক্লাস সেভেনের এটাই ফার্স্ট টার্ম।আমরা ক্লাস টুয়েলভই যদি বিরক্ত হয়ে উঠি সেখানে ওদের যে কী হবে!
অনেকগুলো কম্পিটিশন হয়ে গেছে।বাংলা স্পেলিং হল সোমবারে,বৃহস্পতিবার ইংলিশ স্পেলিং ২৫ তারিখ থেকে ভলিবল।সেই অজুহাতে সকালে পিটি করতে হয় না,প্লেয়ার বলে বেঁচে যাই!

বিস্তারিত»

সুপার ফ্লপ থেকে সুপার হিট……

(দল – খেলা – জয় – পরাজয় – ফলাফল নেই – পয়েন্ট)
রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৪ – ১১ – ৩ – ০ – ২২
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবঃ ১৪ – ১০ – ৪ – ০ – ২০
চেন্নাই সুপার কিংসঃ ১৪ – ৮ – ৬ – ০ – ১৬
দিল্লী ডেয়ার ডেভিলসঃ ১৪ – ৭ – ৬ – ১ – ১৫
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসঃ ১৪ –

বিস্তারিত»

আইলসা পোস্ট

অফিসে বইসা আছি, মাগার কোন কাম করতে ইচ্ছা করতেছে না। করে না অবশ্য প্রায় সময়ই। সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয় ৯.৩০ টার দিকে। উঠেই কোনমতে কিছু মুখে দিয়ে বিড়ি একখান ধরাইয়া গাড়ি স্টার্ট দেই। বাসা থেকে অফিস কাছে হওয়ার এই এক সমস্যা। আগে অফিসে আসতাম ৯ টার মধ্যে। দিনে দিনে আইলসামি বাড়তাছে। বউ প্রায়ই কয়, তোমার চাকরি আছে তো? আমি হাসি।

বাসা থেকে আফিসে আসতে লাগে দশ মিনিট।

বিস্তারিত»

না বলা কথন…

আমি যা লিখতে যাচ্ছি তা নিয়ে শত লেখা শত সহস্র জন লিখেছেন।আমি জানি আমার এই লেখার বিন্দুমাত্র মূল্য নাই।এই লেখা কিছুই করতে পারবে না।তবু পাগলের প্রলাপ হিসেবেই লিখছি।

সেদিন সকালে খাবার সময় পত্রিকায় সুন্দর একটা ছবি ছেপেছে রাহুল গান্ধির।ছবিটা দেখেই আব্বা বল্ল,”কত বিচক্ষন ছেলে!আর আমার দেশে আছে দুইজন নায়ক;দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়।একজন তো সততার পরীক্ষায় প্রথম আরেকজন দেশের বাইরে থেকে দেশের মঙ্গলের জন্য পথ বাতলে দিচ্ছেন।হ্যা,আমি ভদ্রলোক তারেক জিয়া আর gentleman সজীব ওয়াজেদ জয় এর কথাই বলছি।

বিস্তারিত»

আমার ইদানিংকার উন্নয়ণ-পাঠ নিয়ে হাবিজাবি প্যাচাল

ডিস্ক্লেইমারঃ এটা একটা হাবিজাবি প্যাচালের পোষ্ট। দেখলাম আরো দুয়েকজনে ‘ইরাম’ পুষ্ট দিছে। তাই আমিও…… ;;;

এই কোয়ার্টারে একটা ক্লাসে যাচ্ছি- ‘উন্নয়নের সমাজবিজ্ঞান’। শুরু হয়েছে পুঁজিবাদ কি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে পুঁজিবাদী সমাজের রূপ কি রকম, পুঁজিবাদী সমাজে কি একই সাথে অন্যান্য সামাজিক ব্যবস্থাও (আসলে উতপাদন ব্যবস্থা) সমান্তরালে চলতে পারে কিনা, পারলে তা দেখতে কেমন- ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা দিয়ে। এরপর পড়া এগিয়েছে পুঁজিবাদের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট (এডাম স্মিথ,

বিস্তারিত»

পোর্চের সেলুন

চুল বড় হতে হতে এখন নাক ছাড়িয়ে গেছে। নাপিতের কাছে যেতে ইচ্ছা করে না। এই অনিচ্ছার কারণ অবশ্য ক্যাডেট কলেজ, প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে নাপিতের কাঁচির নিচে মাথা পেতে দিতে হত কিনা। তখন থেকেই নাপিতের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে আমার একটা এলার্জি জন্মে গেছে যেটা এখনও যায়নি। চুল খুব ত্যক্ত-বিরক্ত না করলে নাপিতের কাছে যাওয়া হয় না। হিসাব করে দেখলাম বছরে নাপিতের কাছে যাই দুইবার।

বিস্তারিত»

আজাইরা পোস্ট

১। আমরা বিপুল বেগে গিয়ে এখন কম বিপুল বেগে ১০০০ সদস্যের দিকে এগিয়ে চলেছি।
২। পোলাপাইন আইজকাল সব কঠিন কঠিন পুস্টাইতাছে। বুজতে ম্যালা কস্ট।
৩। রকিব পুলাডা পোস্ট না পইড়াই পরথম হবার লাইগা পোস্টে খালি হাসি দিতাছে।
৪। অনেক পোলাপাইন জন্মদিন পালন করতাছে।
৫। সানা ভাইরে অনেকদিন দেখা যাইতেছে না।
৬। আমারেও অনেকদিন দেখা যাইতেছে না।
৭। কামরুল নতুন দাড়ি রাখছে।

বিস্তারিত»

ত্রিভুজ প্রেমের হর্ষ বিষাদ

লেখাটি মূলতঃ একাডেমি ধারার অর্থাৎ অনেকটা তাথ্যিক। লেখাটিকে প্রবন্ধ বললে ভুল বলা হবে।

তামিলরা মূলতঃ ভারত হতে চা শ্রমিক হিসাবে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিল। আর তাদের নিয়ে গিয়েছিল বৃটিশরা । সিনহলিজরা এখানে আদিবাসী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠি। এছাড়া আছে কিছু শিবানুজ মানে শিব ভক্ত হিন্দু সম্প্রদায়। সিংহলী এবং শিবানুজদের বাস মূলভুমিতে। শ্রীলঙ্কার উত্তারাংশে বসবাস করে তামিল এবং সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। ঐতিহাসিকভাবে তামিল এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্ক নাই।

বিস্তারিত»

স্বপ্নেরা মর্ত্যে নেমে আসে

আকাশের উপরে ভিত্তিহীন ভাবে ভেসে থাকা স্বপ্নেরা হুড়মুড় করে মর্ত্যে নেমে আসে। অতিকষ্টে আকাশের পরে আজন্ম দুলতে থাকা সংশয়পূর্ণ স্বপ্নেরা সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে শাসন না মেনে ফিরতে না চাওয়া দুষ্ট ছেলের মত, লুটোপুটি খায় কাঁদামাটিতে। আমি চেয়ে চেয়ে ওদের ভূলুণ্ঠিত উচ্ছল চেহারা দেখে ভাবি কিভাবে এতদিন ওরা এত উপরে ছিল। হর্ষধ্বনিতে উন্মাতাল এই পতন দেখে শঙ্কিত আমি বিষ্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে থাকি আমার আশৈশব লালিত স্বপ্নগুলোর দিকে।

বিস্তারিত»

সতের বছর আগে এই দিনটি-আজ ২১ মে

সময় কিভাবে গড়িয়ে যায় তা আজ আবার মনে হলো। আজ সেই দিন যেদিন আমি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ নামক এক অজানা জায়গার উদ্দেশ্যে বিকেল দুইটায় আমার বাসা থেকে রওনা দেই। তখনো জানতাম না এই জায়গায়টাই জীবনের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হয়ে যাবে। আজও মনে পড়ে ২১ তারিখ সন্ধ্যার কথা যখন নিজ হাউস নজরুল এর বদলে ভুলে রবীন্দ্র হাউস ঢুকে পড়ায় প্রথম দিনেই এক বড় ভাই এর থাপ্পড় এর কথা।

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৬

[বি:দ্র: আমার কিন্তু এখনো সিরিজের মাঝে ফুকা দিয়া অন্য পোস্ট দেবার বাতিক সারেনাই; এর আগেরটা’র পরেও হেই কাম করসি, পরেরটা’র আগেও চান্স আছে। আগে থেকেই বইলা রাখলাম; পরে গাইল দিলে কিন্তু GAME OVER কইরা দিমু]

তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৫
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৪
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৩
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে –

বিস্তারিত»

দ্বিতীয় জন্ম

একদিন বাবা এসে জিজ্ঞেস করলেন, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেব কিনা। ওই সময় ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা ছিলো না। শুধু এইটাই জানতাম, এটা এক ধরনের আবাসিক স্কুল। বছরে আট-নয় মাসের মতন বাসার বাইরে থাকতে হবে চিন্তা করতে ভালো লাগেনি। তারপরেও কি ভেবে রাজী হয়ে গেলাম, পরীক্ষা দিতে তো কোন সমস্যা নেই। কত তারিখে পরীক্ষা হয়েছিলো ভুলে গিয়েছি, শুধু মনে আছে মারাত্বক মাথা ব্যাথা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম।

বিস্তারিত»