ভাবনা গুলো ইদানিং খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। কখন কী ভাবি কী করি পর মুহূর্তে ভুলে যাই কিংবা কোন চিন্তা স্থিতধী হয়ে বসতে পারে না । আমার মাঝেকার আমিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কদাচিৎ। খুব সুন্দর গোছগাছ করে কিছু লিখব তেমন হয়ে উঠে না। তাই আমার উপস্থিতি জানান দিতে আমি আবোল তাবোল বকবক করি। দ্বিতীয় জন্ম বলতে আমি নিজের ক্যাডেট হয়ে জন্ম নেয়াটাকে বুঝি। খুব বেশি মনে পড়ে তাই ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুন দিনটিকে। সেদিন আকাশে কালো মেঘ জমেছিল; কিছু অবুঝ কিশোরের মনের কষ্টের মেঘের গাঢ়ত্বকে সে ছাড়াতে পারেনি । পারেনি বলেই সে সেদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিল সেই কিশোরগুলোর শৈশব আবর্তিত স্মৃতিগুলোকে শুধুই জলে ঝাপসা করে দিতে। সেই দিনের কষ্টের কথা মনে পড়লে হাসি পায় আজ চিত্তপানে জেগে উঠে ২৩শে জুন ২০০২। কলেজকে বিদায় দিয়ে আরেকবার চোখ ঝাপসা করে ফেরার সময় ভেবেছিলাম সেদিন মানে ৪ঠা জুনের জন্ম নেয়া আমাদের দ্বিতীয় সত্তা আজ মরে গেল। ৪ঠা জুনের সেই কষ্ট ঢাকা আনন্দের দিন আমার সারা জীবনের স্মৃতিকোঠায় জ্বলুক এমনি ভাবি।
আমার দ্বিতীয় সত্তার মৃত্যু ভাবনা খুব অল্পদিনেই ভুল হয়ে গেল। আমি কিংবা আমরা বুঝলাম ক্যাডেট কলেজের ইট পাথরের মাঝে আমাদের বন্ধন নয় বরং আমাদের মাঝেকার যে আত্মার টান যে বন্ধুত্বের টান তা রয়ে গেছে পরম সযতনে আমাদের হৃদয়ে অল্প অল্প করে জমা হওয়া সাধারণ মানবীয় গুণাবলীর মাঝে।
আমার গল্প আমাদের গল্প গুলো তাই যতটুকু বলার যতটুকু দেখার তার চেয়ে অনেক বেশি অনুভবের। সেই অনুভূতির প্রকাশগুলো ঘটে কোন এক চরম মুহূর্তে। তেমনি এক সময় আমার হৃদয়পটে ভাসে সেদিন- সেই প্রথম মৃত্যুর দিন। সেদিনটা আজ থেকে ঠিক দুবছর আগে………… ফ্ল্যাশ ব্যাকে বাংলা সিনেমার মত অনেক দৃশ্য চলে আসে। কিছু বলতে পারি না। কিছু বলতে পারি না কারণ ভাষা খুঁজে পাই না। হঠাৎ হঠাৎ কোন এক অলস আড্ডার মূহুর্তে সে আসে কিংবা সে সবসময়ই থাকে আমাদের মাঝে আমাদের কথা আমাদের আড্ডায় আমাদের ভালোবাসায়। আড় কিছু বলতে পারি না তার জন্য। আমরা কলেজে ডাইনিং হলে শুভ জন্মদিন পালন করতাম একজনকে সবাই উইশ করে আর ৪ঠা জুনের দ্বিতীয় জন্মদিনকে ইনোভেটিভ করতে আমাদের প্রয়াসের অন্ত থাকত না। কিন্তু আমাদের মাঝেকার প্রথম হ্যা প্রথম কোন একজনের মৃত্যুদিন কিভাবে যাপন করতে হয় তা আমার এবং আমাদের জানা নেই। শুধুই একটু অশ্রুহীন বোবা কান্না আর অনেক অনেক অব্যক্ত ভালোবাসা।
যেখানেই থাক ভালো থাকো — তোমার বিদেহী আত্মার কাছে একরাশ কষ্ট ভেজা ভালো বাসা জানিয়ে গেলাম ——– আবার দেখা হবে বন্ধু ———ভালো থেকো আলম ।
২৮ টি মন্তব্য : “দ্বিতীয় জন্ম ও প্রথম মৃত্যু”
মন্তব্য করুন
অসাধারন ...............
মন টা খারাপ বস। তারপরেও আমার লেখা আপনাকে একটু হলেও ছুতে পেরেছে জেনে সম্মানিত বোধ করছি।
আন্তরিক দুঃখিত আমিন ...... আমি হাততালি আর হ্যাটস অফ এর ইমো দিতে চেয়েছিলাম। দয়া করে ঠিক করে দিয়ো। ঘুম ঘুম চোখে সিরিয়াস পোস্টের কমেন্ট করা বন্ধ করতে হবে। আবারো দঃখিত আমিন। আমি এই ইমো ব্যবহার করতে চাইনি .........
:bash: :bash: :bash: :bash: :bash:
আরে বস ব্যাপার না। ঠিক আছে। 🙂 🙂
ঠিক আছে মানে ???? 😮 😮 😮
লোকজন ভাববে আমি পাগল হয়ে গেসি ......
বস, মুছে দিলাম ইমোটা।
অনেক ধন্যবাদ আমিন।
আল্লাহ যেন ওর আত্মাকে মাগফেরাত দান করেন......
মির্জাপুরের ৩৪তমর কাছে ওর শূন্যতা কখনো পূর্ণ হবার না...
অনেকদিন পর তোমাকে দেখলাম। অবশ্য আমি নিজেও খুব কম আসি এখানে।
কয়েকদিন ধরেই মন খারাপ। এইবার মন খারাপটাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে কষ্ট টাকে লঘু করার হাস্যকর ব্যর্থ চেষ্টা করলাম।
আলমের জন্য ভালোবাসা আর প্রার্থনা.......
ভাল লাগ্লো পড়ে ভাইয়া।
কী...!!!!!!!!!!!!
আমারও জানা নেই। শুধু বুকটা হু হু করে কেদে ওঠে। শুন্যতা আর শুন্যতা। আলম আজ আমাদের মাঝে নেই। দোয়া করি, তুই যেখানেই থাকিস আল্লাহ তোকে শান্তিতে রাখবে।
সেটাই........
আলমের জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা।
মনটা খারাপ হয়ে গেলো হঠাৎই 🙁
আল্লাহ নিশ্চয়ই সাহসী এই ছেলেটিকে ভালো রেখেছেন
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
দুঃখিত মন খারাপ করে দেয়ার জন্য......
প্রার্থনা...
প্রার্থণা.......
আলমকে আল্লাহ অনেক সুখে রাখুন।
সেটাই আমাদের প্রার্থণা..........
:hatsoff:
লেখকের জন্য এবং তার বন্ধুর জন্য।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আপনাকেও :hatsoff: :hatsoff:
আল্লাহ আলমকে বেহেশত দিন
ঐ
আল্লাহ আলমকে বেহেশত নসীব করুক...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মন খারাপ হলো।
আলমের আত্মা শান্তি পাক।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আলমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি । অনেক ভাল ছেলে ছিল ।
ঐ......