১.
বাবুপুরা গ্রামের হাফ কিলো দক্ষিণে রেল লাইনটা সোজা পূর্ব থেকে পশ্চিমের দিগন্তে মিশেছে যেন। এই গ্রামের দু’তিন ক্রোশের মধ্যেও কোন স্টেশন নেই। তবু জোছনা রেল লাইনের পাশে বসে ট্রেনের অপেক্ষায় আছে। চারদিকের অন্ধকার এখানো কাটেনি। তবে পূবের আকাশ ফর্সা হয়ে আসছে। ট্রেন আসতে সেই আটটা বাজবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে সে রাজী আছে। তবে এর মধ্যেই তার বাবা আজীজ চেয়ারম্যান টের পেয়ে যাবেন যে,
এলোমেলো-২: ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য
১.
অনেক বেসরকারী কোম্পানীতেই ওয়ার্কশপ বলে একটা ব্যবস্থা চালু আছে। সবাই মিলে অফিসের বাইরে একটা জায়গায় গিয়ে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে। আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে এইবার সিদ্ধান্ত নেয়া হল গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সেন্টারে ওয়ার্কশপ করা হবে (জায়গাটাকে BCDM বলে, কিন্তু এইটা মানে যে কি, তা আর জানা হলো না)। আলোচনার বিষয়বস্তু- আমাদের ডিপার্টমেন্টের পজিটিভ, নেগেটিভ দিকগুলো খুঁজে বের করা, কিভাবে নিজেদের আরও উন্নত করা যায়-এইসব হাবিজাবি আরও কত কি!
প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ২
প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ১
৪। আমি আর তৌহিদ বসে আছি বাংলাদেশ সেন্টারের টিভি রুমে । চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছি কি কি আছে। টিটু ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো টিভি রুমেই। কথায় কথার অনেক খোঁজ খবর নিলেন। আমাদের খাওয়া দাওয়ার দূর্দশার কথা শুনে বললেন, “কাল তো রবি বার, আমার তেমন কাজ নেই, চল তোমাদের কে বাজার করতে নিয়ে যাব। তারপর এসে একসাথে রান্না করে খাব,
বিস্তারিত»এই বর্ষণসন্ধ্যায় দুইখানা
[কুড়ানী পইড়া মনের মধ্যে হু হু কইরা উঠলো। আজকে ভারি বর্ষণে আমার শরীর ভিজাইছি। সাথে মনও কি সিক্ত হয় নাই? ঠাহর পাইলাম বাসায় ফির্যা, এই লেখাটা পইড়া। ফয়েজ ভাই, মাইনুল ভাই দুইজনকেই ধন্যবাদ। এখন নিজের কুলিখিত দুইখানা নিবেদন করতেছি। ]
বর্ষামাঠের ওপর মেঘের ঘর
১.
এই ঘরে মগ্নতায় আমার অনিদ্রাযাপন, ফ্রিজিয়াম-বিরহ
রাতের বয়স বাড়ছে, ক্রমেই কমেছে জীবনের আয়ু
আমি খুশি হই,
কুড়ানী —— মণীশ ঘটক
ফয়েজ ভাইয়ের আদেশ শিরোধার্য করে, মণীশ ঘটকের লেখা আমার খুবই প্রিয় একটা কবিতা, কুড়ানী দিয়ে দিলাম। এই কবিতাটি আমি পড়েছিলাম ক্লাস এইটের শেষ দিকে, সেই থেকে আমার খুবই প্রিয় একটা ফ্যান্টাসি —
বন্ধুত্ব ……… প্রনয় ……… পরিণয় ………
১
স্ফীত নাসারন্ধ্র. দু’টি ঠোঁট ফোলে রোষে,
নয়নে আগুন জ্বলে। তর্জিলা আক্রোশে
অষ্টমবর্ষীয়া গৌরী ঘাড় বাঁকাইয়া,
“খট্টাইশ, বান্দর, তরে করুম না বিয়া।”
আউলা চিন্তা – মানবতার গান।
(আগের সর্তকবানী মনে আছে তো, মনে না থাকলে এই পোষ্ট পড়ার দরকার নাই। আর একটা কথা, আমার পোষ্টে সিরিয়াস আলোচনা একদম নিষেধ।)
“আচ্ছা তুই আমারে বল, চুরি না কইরা কোন শালা বড় লোক হইছে, আর কর্পোরেট হাউস কখনো নিজের স্বার্থ ছাড়া নেতাদের টাকা খাওয়াইছে, তুই এটা বিশ্বাস করিস? এই যে মোবাইল কোম্পানী গুলার কাছ থেকে এত এত ল্যাপটপ অনুদান হিসেবে নিছে সেনা-প্রধান,
বিস্তারিত»দূরত্ব-
দূরত্ব
———
দুয়েকটা মাছরাঙার গলা টিপে দিতে মন চায়।
জানালা খুলে নির্নিমেষ চেয়ে থাকি।
চারটে বনভূমি পেরিয়ে- কোন এক বোকা মানবীর
অশ্রু ঝুলে থাকে মাকড়সার জালে;
আমি তাকে মধু ভেবে খেয়ে নিই।
আমি ছুয়ে দিতে গেলে-
সরে সরে যায় শুধু মেঘ।
আহা রঙধনু, তোমাকে মাখিয়ে মুখে
সুখ নিতে চাই, তাই, আকাশের সাথে
বাড়ে আমার শত্রুতা।
অকালপক্ক!
আমার পিতার মাথার চুল প্রায় শাদা। মধ্য তিরিশেই তাকে দেখতাম মাঝে মাঝে ছুটির দিনে হাতে একটা শণ্ (চিমটা) নিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে চুল বাছতে। তারপরে একটা সময়ে পাকাচুলের সংখ্যা এত বেড়ে গেল যে সেগুলো বাছার খুব একটা দরকার পড়েনি। বেশ কাঁচাপাকা একটা ধূসরতা তাঁর মাথার ওপরে মেঘের মত বসে যায়। চোখের ওপরে মোটা ফ্রেম আর ভারী কাচের চশমায় তাঁকে ঋষিসুলভ লাগে আমার! সময়ের সাথে সাথে মাথার উপরের সেই মেঘ আরো ফর্সা,
বিস্তারিত»আমার আপুসোনা – ৫
[ এইটা আমার কাল্পনিক সিরিজ। আমার একটা বড় বোন এর অনেক শখ। সেটা নিয়ে প্রায়ই কল্পনা করি। সেটার বহিঃপ্রকাশ এই সিরিজ। খুব মজা পেলাম মাহমুদ ফয়সালের কথা শুনে ও নাকি বুঝতেই পারেনি এইটা কাল্পনিক সিরিজ। ইশশ খুব ভাল হত এইটা যদি কাল্পনিক না হয়ে সত্য হত ]
এই সিরিজের আগের পার্ট আমার আপুসোনা
ক্রিংক্রিংক্রিং………
ধুর ঘুমের মধ্যে রিং ভাল লাগে না।
কেমন আছেন সবাই?
বাসা ভর্তি মেহমান। তাও এমন সব মেহমান যাদের সামেন সিগারেট খাওয়া যায় না। কাল রাতের খাওয়া শেষে দরজা বন্ধ করে গেলাম বারান্দায়। সিগারেট খেতে। বারান্দায় আলো ছিল না। অন্ধকারে সিগারেটের আগুনের হলকা বোধকরী এলাকার নাইটগার্ডের যথেষ্ট কৌতুহল তৈরি করেছিল। সে রাস্তা থেকে বেশ সিটি মারা শুরু করল। তাদের সিটির নিশ্চয়ই কোন মানে আছে। কারণ মূহুর্তেই দেখলাম সিটি বাজাতে বাজাতে আরো তিনজন নাইট গার্ড জমা হয়ে গেল।
বিস্তারিত»ছয়মিশালী নাইট প্রেপ
কলেজ থেকে চলে আসার পর এখনো প্রেপ টাইমটা প্রচন্ড মিস করি ।
তার মানে এই নয় যে আমি প্রচুর পড়াশুনা করতাম । আসলে তিন হাউসের সব বন্ধুরা এই প্রেপ টাইমেই একসাথে হতাম । আলোচনা হত সারাদিনের এবং পরদিনের কার্যক্রম নিয়ে । প্রাণখুলে টিজ হত এই সময় । আর যদি কোন ইন্টার হাউস কম্পিটিশন থাকত তাহলে তো পুরো প্রেপ কোন দিক দিয়ে পার হত টেরই পেতাম না ।
উপজেলা পরিষদে আদৌ কি প্রতিশ্রুত দিন বদল হবে?? !!
বর্তমান সরকারের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারের “গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য কর্মসূচী” অধ্যায়ের ৬ (ছয়) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে
“ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা হবে।জেলা পরিষদকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন শৃংখলা ও সকল প্রকার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন সদরকে স্থানীয় উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু, পরিকল্পিত পল্লী জনপদ এবং উপজেলা সদর ও বর্ধিষ্ণু শিল্প কেন্দ্রগুলোকে শহর-উপশহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে।“
দিন বদলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আগত শেখ হাসিনা ওয়াজেদ নেতৃতাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তার নির্বাচনী ওয়াদা পূরনে কতটুকু বদ্দ পরিকর তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট সন্দিহান-ই হয়ে পড়েছি।
বিস্তারিত»ক্যাডেট ফারজানার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করুন
“ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের মেধাবী ছাত্রী ফারজানা ইয়াসমিন লতার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। দেশের কয়েকটা নামকরা হাস্পাতালের চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর ফারজানাকে পাঠানো হয় টাটা মেমোরিয়াল হাস্পাতালে। সেখানে রোগীর পেছনে ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। কিন্তু মারণব্যাধি থেকে মুক্তি পায়নি ফারজানা। বর্তমানে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য পুনরায় তাকে ভারতের মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ব্যায়বহুল চিকিৎসার ফলোআপ করাতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ফারজানার পিতা-মাতা।
বিস্তারিত»পেপসোডেন্ট পোস্ট
তিন দিন আগেও আমার ধারণা ছিলো হৃদয় ভাঙ্গার ব্যাথার চেয়ে বড় কোন কষ্ট এই পৃথিবীতে নেই। কিন্তু গত তিন দিনে আমার ধারণা পাল্টাইছে। এখন আমি মোটামোটি নিশ্চিত পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে দাঁত ব্যাথার কষ্ট। বহুদিন আগে এক রুপবতী যখন টার্ন-আউটে ভেজাল থাকার কারণে আমার হৃদয় ভেঙ্গে খান খান (বলিউডের কিং ‘খান’ না কিন্তু ) করে দিয়ে অন্য একজনের সাথে ফ্যামিলি প্ল্যানিং শুরু করেছিলো তখনো আমি এতো কষ্ট পাই নাই যতোটা কষ্ট গত তিনদিনে আমারে নিচের মাড়ির ডান দিকের শেষ দাঁতটা দিচ্ছে।
বিস্তারিত»তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৫
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৪
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ৩
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ২
তুমি ভাসবে হৃদয়-মাঝে – ১
ভার্সিটির সবচেয়ে কোলাহলমুখর জায়গা হল ক্যান্টিন। পুরো ক্যাম্পাসে মনে হয় তুলনা করলে সবচেয়ে বেশি হৈচৈ এখানেই হয়। এক গ্রুপ বসে চা-সিঙ্গাড়া খাচ্ছে, কেউ কেউ ক্রিকেটের গল্প করছে, কোন সংঘ হয়তো তাদের কার্যকলাপের ফিরিস্তি নিয়ে মিটিং বসিয়েছে নাস্তার টেবিলেই।
বিস্তারিত»