আমার বাঁধভাঙা ইচ্ছেগুলো……………

চাকরি-বাকরি আর করবো না! কতোদিন আর অন্যের চাকর হয়ে থাকবো? দিনের পর দিন একই কাজ……… ক্লান্তিকর দিনযাপন!! ঘড়ির এলার্ম শুনে ঘুম ভেঙে দাঁত মাজা, বড় কাজ, ছোট কাজ, নাস্তা-স্নান, তারপর দে ছুট। অফিস, কাজ, চাকরি। রাতে আবার বাসায় ফিরে খাওয়া-দাওয়া, টিভি দেখা, রেডিও শোনা, শেষে ঘুম। দিনের পর দিন- এই তো রুটিন! একদম বাজে। এইসবই তো করে আসছি। যেন দম দেয়া মানুষ, মানুষের চেহারায় রোবট!

বিস্তারিত»

নেশা

নেশা… ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু কি ভয়াবহ তার প্রকৃতি। একবার যার আসক্তি হয়, তার আর রক্ষে নেই। ধীরে ধীরে তার অস্তিত্বকে গ্রাস করে নিতে থাকে এই শব্দটি। সমর্পিত হতে হয়; নিঃস্ব হয়ে যেতে হয়, বিলীন হয়ে যেতে হয়!

এই যে আমি, আমি কি নেশা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি? এখনো রাত হলে মনে হয় কখন পাবো তাকে, যাকে হনন করে আমি নিজেকে একটি সুখী মানুষ মনে করতে থাকব।

বিস্তারিত»

একটি গান- ফিরোজ 98 ব্যাচ FCC

এই গানটি গেয়েছে আমাদের FCC এর একজন এক্স ক্যাডেট। গানটা শুনে দেখা যায়।

বিস্তারিত»

একজন ক্যাডেটের আত্মহত্যা

৩০ এপ্রিল ২০০৭
অন্যান্য দিনের মতই ডিউটি ক্যাডেট এসে সকালে আমাদের রুমে ডেকে গেল এবং আমরা যথারীতি আবার ঘুমিয়ে গেলাম ।
স্টাফের বাঁশি শুনে সাধারণত ঘুম থেকে উঠতাম । তারপর কোনভাবে ড্রেসটা চেঞ্জ করেই দৌড় । রাত জেগে সব বন্ধুরা মিলে গল্প করাটা অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় ভোরে উঠতে দেরী হত ।
প্রায়ই বিউগল দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে ফল-ইনে দাঁড়াতাম ।
রুমের সবাই ঘুমাচ্ছি ।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত ভাব নেওয়ার একটা ‘স্থূল প্রয়াস’

অনেকদিন সিসিবি’তে কিছু লিখা হচ্ছে না। কারণ আর কিছুই না, পড়াশোনার চিপায় পড়ে কিছুদিনের জন্য চ্যাপ্টা হয়ে আছি। মাসরুফ-কর্তৃক আমার ‘কি যেনো’ চাওয়ায় মনে পড়ল আমার একটা বিশেষ স্মৃতি; সিসিআর এবং আইসিসিএএম নিয়ে। আজ পড়া সময়ের একটু আগেই শেষ হয়েছে। এই সুযোগে সেই স্মৃতিটাই শেয়ার করি।

১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় আইসিসিএএম অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহীতে। আমি তখন ক্লাস ইলেভেনে। আমাদের কলেজ থেকে ১১০ মিটার হার্ডলস এ নাম লিখিয়েছি।

বিস্তারিত»

আলো

১.
বাবুপুরা গ্রামের হাফ কিলো দক্ষিণে রেল লাইনটা সোজা পূর্ব থেকে পশ্চিমের দিগন্তে মিশেছে যেন। এই গ্রামের দু’তিন ক্রোশের মধ্যেও কোন স্টেশন নেই। তবু জোছনা রেল লাইনের পাশে বসে ট্রেনের অপেক্ষায় আছে। চারদিকের অন্ধকার এখানো কাটেনি। তবে পূবের আকাশ ফর্সা হয়ে আসছে। ট্রেন আসতে সেই আটটা বাজবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে সে রাজী আছে। তবে এর মধ্যেই তার বাবা আজীজ চেয়ারম্যান টের পেয়ে যাবেন যে,

বিস্তারিত»

এলোমেলো-২: ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য

১.
অনেক বেসরকারী কোম্পানীতেই ওয়ার্কশপ বলে একটা ব্যবস্থা চালু আছে। সবাই মিলে অফিসের বাইরে একটা জায়গায় গিয়ে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে। আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে এইবার সিদ্ধান্ত নেয়া হল গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সেন্টারে ওয়ার্কশপ করা হবে (জায়গাটাকে BCDM বলে, কিন্তু এইটা মানে যে কি, তা আর জানা হলো না)। আলোচনার বিষয়বস্তু- আমাদের ডিপার্টমেন্টের পজিটিভ, নেগেটিভ দিকগুলো খুঁজে বের করা, কিভাবে নিজেদের আরও উন্নত করা যায়-এইসব হাবিজাবি আরও কত কি!

বিস্তারিত»

প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ২

প্রবাসের ডায়েরি থেকে…(প্রথম খন্ড) – ১

৪। আমি আর তৌহিদ বসে আছি বাংলাদেশ সেন্টারের টিভি রুমে । চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছি কি কি আছে। টিটু ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো টিভি রুমেই। কথায় কথার অনেক খোঁজ খবর নিলেন। আমাদের খাওয়া দাওয়ার দূর্দশার কথা শুনে বললেন, “কাল তো রবি বার, আমার তেমন কাজ নেই, চল তোমাদের কে বাজার করতে নিয়ে যাব। তারপর এসে একসাথে রান্না করে খাব,

বিস্তারিত»

এই বর্ষণসন্ধ্যায় দুইখানা

[কুড়ানী পইড়া মনের মধ্যে হু হু কইরা উঠলো। আজকে ভারি বর্ষণে আমার শরীর ভিজাইছি। সাথে মনও কি সিক্ত হয় নাই? ঠাহর পাইলাম বাসায় ফির‌্যা, এই লেখাটা পইড়া। ফয়েজ ভাই, মাইনুল ভাই দুইজনকেই ধন্যবাদ। এখন নিজের কুলিখিত দুইখানা নিবেদন করতেছি। ]

বর্ষামাঠের ওপর মেঘের ঘর

১.
এই ঘরে মগ্নতায় আমার অনিদ্রাযাপন, ফ্রিজিয়াম-বিরহ
রাতের বয়স বাড়ছে, ক্রমেই কমেছে জীবনের আয়ু
আমি খুশি হই,

বিস্তারিত»

কুড়ানী —— মণীশ ঘটক

ফয়েজ ভাইয়ের আদেশ শিরোধার্য করে, মণীশ ঘটকের লেখা আমার খুবই প্রিয় একটা কবিতা, কুড়ানী দিয়ে দিলাম। এই কবিতাটি আমি পড়েছিলাম ক্লাস এইটের শেষ দিকে, সেই থেকে আমার খুবই প্রিয় একটা ফ্যান্টাসি —
বন্ধুত্ব ……… প্রনয় ……… পরিণয় ………


স্ফীত নাসারন্ধ্র. দু’টি ঠোঁট ফোলে রোষে,
নয়নে আগুন জ্বলে। তর্জিলা আক্রোশে
অষ্টমবর্ষীয়া গৌরী ঘাড় বাঁকাইয়া,
“খট্টাইশ, বান্দর, তরে করুম না বিয়া।”

বিস্তারিত»

আউলা চিন্তা – মানবতার গান।

(আগের সর্তকবানী মনে আছে তো, মনে না থাকলে এই পোষ্ট পড়ার দরকার নাই। আর একটা কথা, আমার পোষ্টে সিরিয়াস আলোচনা একদম নিষেধ।)

“আচ্ছা তুই আমারে বল, চুরি না কইরা কোন শালা বড় লোক হইছে, আর কর্পোরেট হাউস কখনো নিজের স্বার্থ ছাড়া নেতাদের টাকা খাওয়াইছে, তুই এটা বিশ্বাস করিস? এই যে মোবাইল কোম্পানী গুলার কাছ থেকে এত এত ল্যাপটপ অনুদান হিসেবে নিছে সেনা-প্রধান,

বিস্তারিত»

দূরত্ব-

দূরত্ব
———

দুয়েকটা মাছরাঙার গলা টিপে দিতে মন চায়।

জানালা খুলে নির্নিমেষ চেয়ে থাকি।
চারটে বনভূমি পেরিয়ে- কোন এক বোকা মানবীর
অশ্রু ঝুলে থাকে মাকড়সার জালে;
আমি তাকে মধু ভেবে খেয়ে নিই।

আমি ছুয়ে দিতে গেলে-
সরে সরে যায় শুধু মেঘ।
আহা রঙধনু, তোমাকে মাখিয়ে মুখে
সুখ নিতে চাই, তাই, আকাশের সাথে
বাড়ে আমার শত্রুতা।

বিস্তারিত»

অকালপক্ক!

আমার পিতার মাথার চুল প্রায় শাদা। মধ্য তিরিশেই তাকে দেখতাম মাঝে মাঝে ছুটির দিনে হাতে একটা শণ্‌ (চিমটা) নিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে চুল বাছতে। তারপরে একটা সময়ে পাকাচুলের সংখ্যা এত বেড়ে গেল যে সেগুলো বাছার খুব একটা দরকার পড়েনি। বেশ কাঁচাপাকা একটা ধূসরতা তাঁর মাথার ওপরে মেঘের মত বসে যায়। চোখের ওপরে মোটা ফ্রেম আর ভারী কাচের চশমায় তাঁকে ঋষিসুলভ লাগে আমার! সময়ের সাথে সাথে মাথার উপরের সেই মেঘ আরো ফর্সা,

বিস্তারিত»

আমার আপুসোনা – ৫

[ এইটা আমার কাল্পনিক সিরিজ। আমার একটা বড় বোন এর অনেক শখ। সেটা নিয়ে প্রায়ই কল্পনা করি। সেটার বহিঃপ্রকাশ এই সিরিজ। খুব মজা পেলাম মাহমুদ ফয়সালের কথা শুনে ও নাকি বুঝতেই পারেনি এইটা কাল্পনিক সিরিজ। ইশশ খুব ভাল হত এইটা যদি কাল্পনিক না হয়ে সত্য হত ]
এই সিরিজের আগের পার্ট আমার আপুসোনা

ক্রিংক্রিংক্রিং………
ধুর ঘুমের মধ্যে রিং ভাল লাগে না।

বিস্তারিত»

কেমন আছেন সবাই?

বাসা ভর্তি মেহমান। তাও এমন সব মেহমান যাদের সামেন সিগারেট খাওয়া যায় না। কাল রাতের খাওয়া শেষে দরজা বন্ধ করে গেলাম বারান্দায়। সিগারেট খেতে। বারান্দায় আলো ছিল না। অন্ধকারে সিগারেটের আগুনের হলকা বোধকরী এলাকার নাইটগার্ডের যথেষ্ট কৌতুহল তৈরি করেছিল। সে রাস্তা থেকে বেশ সিটি মারা শুরু করল। তাদের সিটির নিশ্চয়ই কোন মানে আছে। কারণ মূহুর্তেই দেখলাম সিটি বাজাতে বাজাতে আরো তিনজন নাইট গার্ড জমা হয়ে গেল।

বিস্তারিত»