তেরচা এসে
বৃষ্টির বেশে
ঝাঁপিয়ে’
(তার)
শরীরভরা
বিষণ্ণতা
কাঁপিয়ে
এঁকেবেঁকে
নামছিলো;
ঠিক তখন।
ফোঁটাগুলো শুনতে
পেলো
সাবানটির
ফেনিল
কথোপকথন:
মেয়ে তুমি
এবারো,
গোপনে
অবিরাম
কান্না
ঝরাতে পারো……
তেরচা এসে
বৃষ্টির বেশে
ঝাঁপিয়ে’
(তার)
শরীরভরা
বিষণ্ণতা
কাঁপিয়ে
এঁকেবেঁকে
নামছিলো;
ঠিক তখন।
ফোঁটাগুলো শুনতে
পেলো
সাবানটির
ফেনিল
কথোপকথন:
মেয়ে তুমি
এবারো,
গোপনে
অবিরাম
কান্না
ঝরাতে পারো……
আজকে চান রাত…সবাইকে ঈদ মোবারক…কয়েকদিন আগে রবিন (ককক) আমাদের sms কাব্যের একটা নমুনা পেশ করছিল……সেই সূত্রেই আজকের পোস্ট। ইফতার এর পর থেকেই শুরু হল আমাদের যুদ্ধ, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত sms-গুলো লিখে দিলাম…দেখা যাক এর শেষ কোথায় হয়……।
রবিন (ককক):
ইফতারের দিন হল শেষ,
কি চমতকার বেশ বেশ।
কাল থেকে হবে দিনে খাওয়া,
ইলিশ-পোলাও আর দাওয়াত যাবে পাওয়া।
ঈদের জন্য সবাই খুশি,
১
মাঝে মাঝে এই প্রবাস জীবনে খন্ড খন্ড অনেক আনন্দের মুহূর্ত চলে আসে। এই যেমন গাড়ি চালিয়ে যখন পাহাড়ের ঢাল বেয়ে সমতলে নামতে থাকি দূরে দেখতে পাই সাগরের এক ফালি অংশ। রূপালি রেখা, চিকমিক। আর রাতের বেলা হলে দেখবো সেই সাগর পাড়ের শহরটিতে স্তব্ধ জোনাকীদের মেলা। একেকটা এনার্জি সেভিং বালব যেন একেকটা জোনাকী। তারা সেখানে জ্বলেই আছে, নিভতে ভুলে গেছে। তাই দেখে মনটা ঝকমকিয়ে উঠে।
বিস্তারিত»আশির দশকে আমরা তখন খুলনায় থামতাম। খুলনা আমার শৈশব এবং কৈশোরের শহর। পৃথিবীর আর কোন শহর এতো বেশি নিজের মনে হয়না। শান্ত এবং স্নিগ্ধ একটি শহর। আমার প্রথম স্কুল সেন্ট জোসেফস, বাসা থেকে হাঁটা দূরত্বে ছিল। আমাদের বাসাটি ছিল ৩৬ আহসান আহমেদ রোড। সেই রাস্তার এক মাথায় ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আরেক মাথায় ছিল প্রাইমারি টেনিং ইন্সটিটিউট। আর পুরো রাস্তা জুড়ে যেন আমার রাজত্ব ছিল।
বিস্তারিত»[বহুযুগ আগে, সম্ভবত আগের জন্মে, আমি অফিসে বসে ব্লগিং করতাম। সময় বদলে গেছে প্রথমালু’র চাক চাক বাণীতে, মশলায়। তাই আমি এখন অফিসে বসে ব্লগাইতে পারি না। যা পারি, তা হলো টুকরো টুকরো চিন্তা করতে। অচিরেই চারপাশের হাউকাউ সেই চিন্তার সুতো ছিঁড়ে ফেলে। সেই চিন্তার সুতোগুলো জমিয়ে রাখছিলাম। আজকে জমানো সুতো দিয়ে কিছু বুনে ফেলার একটু সময় পেলাম।]
ক
কাচের জানালায় জমা হচ্ছে ড্রিজ্ল বিন্যাস,
আমাকে ভালবাসবার জন্যে তোমাকে পুরুষ হতে হবে।
আমার নেই প্রয়োজন নীল পদ্ম
কিম্বা
দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে লাল কাপড় বেধে দেবার।
পুরুষ হবার জন্য
তোমাকে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে
রাক্ষসের প্রানভ্রমর কবজ করতে হবে না;
দিগ্বিজয়ী বীরও হতে হবে না তোমাকে।
সাহস তো জোয়ান অব আর্ক, তারামন বিবি বা
দেবী চৌধুরানীরাও দেখিয়েছিল।
দুর্গার শক্তির কাছে নাকি হার মেনেছিল
মহিষাসুরও!
বাইরে সুন্দর একটি আলো আলো দিন। ঠান্ডাও না, আবার গরমও না। আসিফ সাধারনত অফিস থেকে দেরীতে ফেরে। আগে ফিরেও বা কি করবে। অফিসের অন্যরা প্রায় সবাই চলে গেছে তখন। একা অফিসে থাকতে ভালই লাগে আসিফের। জালনা দিয়ে বাইরের দূর পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে। অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় তার চার তলার অফিস থেকে। এই দিকেই তার ফেলে আসা জন্মভূমি, তবে অত দূর দেখা যায়না।
বিস্তারিত»আইপিএল ২০০৮……রাজস্থান রয়েলস এর খেলা। খেলা তুমুল জমছিল! আর ফর্মে রাজন Razasthan Royals, Razasthan Royals করতে করতে মুখে ফেনা তুলার মতো অবস্থা। আমরা পরে বিরক্ত হয়ে এই টিম এর নাম দিয়েছিলাম, “RazaNsthan Royals”। ওর পাগলামী দেখে পোলাপান ওরে খেপানোর চান্সটাও মিস করছিল না। খালি টয়লেটে যায়, আর এসে ফ্লপ মারে। “মোবাইলে দেখে আসলাম…রাজস্থান রয়েলস এর ৪০/৬…” এইসব! তারপর সবাই মিলে রাজনরে পচাই। চরম মজা পাচ্ছি।
বিস্তারিত»[মেডিকেল কলেজের Professional Exam-এর আগের রাত্রির বিভিষীকাময় মুহূর্তগুলোর কথা মনে করলে ভয়ে আজও আত্মা শুকিয়ে যেতে চায়। অন্যান্য ফ্যাকাল্টির কথা জানি না, তবে আমার বিশ্বাস তাদেরও same অবস্থা হয়। সেই ভীতিময় রাত্রি নিয়ে সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের Prof ফিকশন– নিসানের 1st Prof…..]

ঘুটঘুটে অন্ধকার রুমটা।
শেষের মাথার দিকে ছোট্ট একটা যন্ত্র থেকে নিয়নের মিহি আলোর একটা রেখা বের হচ্ছে।
রঙিন মেঘ ফড়িং হয়
আকাশ ছোঁয় হাওয়ার টান
মাচার ‘পর পরীর ঘর
হলুদ রঙ পাখির গান
পাখির গান মাতাল সুর
হলুদ ফুল আজ ফোটে
আকাশ মেঘ নদীর পাড়
খায় চুমু কার ঠোঁটে
নদীর ধার কাশের বন
পাড় উজার জলের ঢেঊ
দৌড়ে যায় নূপূর পা’য়
রঙিন কাঁচ ভাঙলো কেউ
ভাঙলো কেউ পাজড় হাড়
নীল ব্যথায় মুচড়ে যায়
বুকের জল শীতল হয়
একলা রাত কান্না পায়
কান্না পায় তাই ছড়ায়
আসমানে বকুল ফুল
আগুন জল নষ্ট হয়
কষ্ট পায় সবুজ ভুল
সন্ধ্যা হয় ধূপ জ্বালায়
মিথ্যে তার অহঙ্কার
নীল ছায়ায় তার আঙুল
স্পর্শ পায় অলঙ্কার!
ঈদের আগাম শুভেচ্ছা।
সম্প্রতি এই পোস্ট দেখে মনে হল আমারও কিছু ফিডব্যাক দেওয়া দরকার এ ব্যাপারে (যদিও আমি খুব একটা রেগুলার লগইন করি না, এবং বিশ্বাস করতে ভালবাসবো যে, মত প্রকাশের পর লগইন/মন্তব্য/পোস্ট করার অধিকার হরণ হবেনা)।
নিঃসন্দেহে এভাবে গালিগালাজ করে মেইল করা অসভ্যতার লক্ষণ এবং এতে নিজেদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পাবার কোনো আলামত দেখা যায়না, বরং আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিস্তারিত»আমার বন্ধু রহমান…একটু ডানপিটে, একটূ দুষ্টু, পড়ার বইয়ের চাইতে অন্য অনেক কিছুতেই বেশী আগ্রহ। আর রহমানের বাপ…যদিও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদরেল প্রফেসর, আমাদের কাছে তার নাম শুনলেই চন্দ্রার বেত হাতে নিয়ে রহমানকে তাড়া করে বেড়ানোর একটা কাল্পনিক ইমেজ।নিন্দুকেরা বলে যে, উনি নাকি প্যারেন্টস ডে’তে পর্যন্ত ব্যকরণ বই নিয়ে রহমানকে বসায়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন…আর রহমান ব্যস্ত থাকতো যথারীতি ব্যকরণ বইয়ের ফাঁক দিয়ে ইতিউতি সৌন্দর্য্য অবগাহনে।
আমাদের কৈশোর,
বিস্তারিত»– হ্যালো, মোনালির বাবা?
– হ্যাঁ, পিংকী আছো কেমন?
– ভাল। তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে নাকি? গলাটা কেমন ধরা শোনাচ্ছে …
– না, মানে, ওই যে তোমার বুক শেলফটায় মিড নাইটস চিলড্রেন বইটা ছিল না? ওটা পড়তে পড়তে চোখটা বুঁজে এসেছিল।
– সবই বয়সের ছাপ। তোমাকে আগে কোনদিন দেখিনি তুমি বই পড়ার সময় ঘুমিয়ে পড়তে!
বিস্তারিত»তোমার ছবিই একেঁছিলাম মনের চিত্রপটে
চাইলেও মুছতে পারবে না, ছিড়তে পারবে না,
নষ্ট করতে পারবে না পুরনো ছবিটা চিরতরে ,
কিভাবে যেন বুনো ফুল হয়ে গেলে
সবাই হামাগুড়ি দেয় তোমার বিছার শব্দে
কি আটসাট হয়ে চলে আসে তোমার কাছে!
অথচ কত লক্ষীটাই না ছিলে
যদিও তুমি দেবী হতে চেয়েছিলে ,
তবে অপদেবতা তো হলে!!