সময় খুব অদ্ভুত জিনিস। এই মুহূর্তে যা ভাবছি, সেই কথাটা হুশ করে আমার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে! এই পৃথিবী যে সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে বন বন করে, সেই ঘূর্ণনের বেগ জানি কতো? ১৬০০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টায়! আমি থির হয়ে এক জায়গায় বসে থাকলেও সটান জোরে চলে যাচ্ছি কতো দূরে। এই দূরত্ব অমোচনীয়। আবার দ্রুততায় মিশে যাচ্ছি কারো কারো সাথে। আমাদের এই পরিচয়,
বিস্তারিত»অ্যালোভেরা – এক অলৌকিক ঊদ্ভিদ
পৃথিবীর পরিবেশ মানুষের জন্য যতই অবান্ধব হয়ে উঠছে, মানুষ ততই তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন হচ্ছে। গাড়ির ধোঁয়া, খাবারে ভেজাল, ফলমূলে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ, অতিরিক্ত ভোজন বিলাস – সবকিছু মিলিয়ে এমন একটা পরিবেশের সৃস্টি হয়েছে যে স্বাভাবিক ভাবে স্বূস্থ্য থাকাই দায়। চেনা রোগের পাশাপাশি অজানা অনেক রোগের প্রাদুর্ভাবও ঘটছে। চিকিতসা করেও সারানো যায় না এমন রোগ যেমন ক্যান্সার, বহুমূত্র রুগীর সংখ্যা সমাজে অনেক বেড়ে গেছে।
বিস্তারিত»১০ বছরের পরিবর্তন…
খুব স্পষ্ট মনে আছে আমার, ক্লাস ফোর এর প্রথম দিনটির কথা। শ্রুতলিপি ক্লাসে সবার আগে লেখা শেষ করে আঁতেলের মত ম্যাডাম কে খাতা দেখাতে যাচ্ছিলাম। ব্যাপারটা একদমি সহ্য করতে পারেনি আমাদের সাথে সেকেন্ড টাইম চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া রাহাত। দৌড়ে গিয়ে সে আমার খাতায় ঘেচ করে একটি দাগ বসিয়ে দিল। আমি তখন কিছু বলিনি। পরে আবশ্য খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে নাকি ছেলে-মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার সাথে সমানে বেয়াদবি করে বেরায়।
বিস্তারিত»অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ৩
৩
শুভ’র হার্ড ব্রেকে একটা ঝাকুনী দিয়ে ফিল্ডারটি মূহূর্তেই থেমে যাবে।
(ক্লোজ শট)কিছুক্ষণ নিথর থেকে মনে মনে হিসাব কষে নিবে শুভ।
তারপর গাড়িটি রিভার্স গিয়ারে ফেলে পিছাতে শুরু করবে। সারাদিনের চিত্ত বিনোদন নিমিষেই উবে গিয়ে ভর করবে আঁধারে আবৃত অশনী সংকেত।
(হাল্কা জুম আউট ) এতক্ষণে গাড়ির বাকিরাও নড়ে চড়ে উঠবে।
পেছন থেকে স্নেহা (শুভ পত্নী) শুধালো, “কি হয়েছে ?
তুমি প্রেম দিলে……
তুমি প্রেম দিলে
মাতাল হবো;অট্টহাসিতে বিদীর্ণ করে
মেঘলা আকাশ সিঁড়ি গড়ে দেব বুকের পাঁজড়ে!
তুমি প্রেম দিলে
আগুন হবো;ঘোর অমানিশা জ্বালিয়ে দেবো
লেলিহান শিখা দাবানলে ছুড়ে অতীত পোড়াবো!
তুমি প্রেম দিলে
জোৎস্নার রাতে একা পাড়ি দেবো আটলান্টিক
নীল চাঁদ ভেঙে ছড়িয়ে দেবো রূপোলী সাগরে!
তুমি প্রেম দিলে
কাশবনে একা রাজহাস হবো;তোমার পায়ের
নিকটে থাকবো চিরকাল প্রেমী ভৃত্যের মতো!
একটি মোবাইল কল এবং অতঃপর…
(কাহিনীটা আসলে আমার দুই জন সি সি আর ক্লাসমেট এর। কিন্তু দুইজনই ব্যস্ত থাকায় ওদের অনুমতি সাপেক্ষে আমি লিখছি।)
সেই নার্সারী থেকে শুরু করে আজ অব্দি মোস্তফার দুঃখ, সে জীবনে প্রেম তো দূরে থাক কোন মেয়ের কাছাকাছি আসার সুযোগ ও পায় নি। তাই মেয়েদের মিষ্টি কন্ঠের প্রতি তার আকর্ষণটা একটু বাড়াবাড়িই। অফিস এর চরম ব্যস্ততার মাঝেও ভর দুপুরে কোন এক নাম না জানা ভার্সিটি কন্যার অজানা নাম্বার হতে কল তাকে বিরক্ত করতে পারার কথা না।
বিস্তারিত»স্ব-রচিত প্রথম
কলেজ এর সাহিত্য সাময়িকী তে একবার টুক্লিফাইং করে এক কবিতা দিছিলাম। সেইটা ছাপা হওয়াতে খুব মজা পাইছিলাম। তবে এবার নিজেই একটা লিখছি। তবে এটা কবিতে হইছে কি না এখনও সন্দেহ আছে আমার। এই জন্য শিরোনাম এ কবিতা কথাটা উল্লখ করি নাই। যাউকগা ছাইড়া দিলাম সবার সামনে।
দ্বন্দ্ব
না,
নাটোরের বনলতা সেনের কথা বলছি না।
যার বর্ণনা দিয়ে স্মরণীয় হয়ে গেছেন কবি।
চৌত্রিশের প্রথম আনুষ্ঠানিক জামাই-কেচ্ছা
মাসখানেক আগে আমার সাবেক রুমমেট আমাকে একদিন ফোন করে বলে: বন্ধু, ঈদের তৃতীয় দিন আমার বিয়ে। চলে আসিস। আমি তো বলা যায় আকাশ থেকেই পড়লাম। সাধারণত বিয়ের মাসতিনেক আগে থেকে বেশ কানাঘুষা শোনা যায়, এর বেলায় সেগুলির কোনো বালাই নেই। আমি জিজ্ঞেস করলাম: কে রে? সেই জন যাকে দেখেছিলুম? উত্তর পেয়ে আশ্বস্ত হলাম।
আফটার অল, আমাদের প্রথম কারোর এরকম ঘটা করে বিবাহ, তাই আমি নিজেকে কোনোভাবেই চুপ রাখলাম না।
বিস্তারিত»হাজার ফুল
হাজার ফুলের গন্ধে আমার হৃদয় মাতোয়ারা
আকুল করে- ব্যাকুল করে- করে পাগলপারা
এমন ফুলের ঘ্রাণ
ভরিয়ে দিল প্রাণ
বাজিয়ে দিল আমার প্রাণে কোন সে সুরের ধারা।
ডঃ লরা কী বলেন
ডঃ লরার কথা প্রায়ই শুনতাম এখানে আমার কিছু বন্ধুদের কাছ থেকে যাদের প্রায় সবাই আন্তঃধর্ম কিম্বা আন্তঃরাষ্ট্র বিয়ে করেছে। পেশায় একজন মনোনিজ্ঞানী এই মহিলা রেডিওতে একটা জনপ্রিয় টক শো করতেন সেখানে শ্রোতাদেরকে সম্পর্ক বিষয়ক নানা সমস্যার সমাধান দিতেন। তার নানারকম চটজলদি সমাধানের রেশ ধরে বন্ধুদের মধ্যে ডঃ লরার প্রসঙ্গ উঠতো। আমিও তার টক শো শুনেছি। প্রাশ্চাত্যের তুলনায় কিছুটা রক্ষণশীল বলে মনে হয়েছে। তবে মোটের উপর বেশ ভালোই লাগতো।
বিস্তারিত»একটি ব্যক্তিগত রেসিপি
কাজ করতে একটুও ইচ্ছে করছেনা।কি ভীষণ গরম! সিগারেট খাবার জন্য দুবার অফিসের বারান্দায় এসেই ঘেমে নেয়ে যাবার উপক্রম। দরজা ঠেলে ফের ভেতরে ঢুকতেই নিশা, আমার ব্যক্তিগত সুন্দরী (সরি, সেক্রেটারি), এখনো মানুষ হলেনা-গোছের দুষ্টু হাসি দিয়ে নাক চেপে ধরলো। নাহ্ আজ পালাবো। একটু ইটিশ পিটিশ করতে ইচ্ছে হচ্ছে আজ….
কাল একটু ভালো করে সাজগোজ করে এসো কেমন? কাজ আছে… নিশাকে বলে বেরিয়ে পড়লাম।
সিঁড়ি দিয়ে দুরদার করে নামতে নামতে দেখি পৃ-র মেসেজ।
অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি – ২
২
ব্যাকগ্রাউন্ডে তখনও বাজছে –
Hooray! Hooray! It’s A Holi-Holiday
what a world of fun for everyone, holi-holiday
Hooray! Hooray! It’s A Holi-Holiday
ফ্রেমে একে একে ভেসে উঠছে রিসোর্টটির লোকেশন।
সবুজ ঘাসে উপর হরিন হেঁটে বেড়াচ্ছে – পাশে সুইমিং পুল।
কৃত্রিম লেকে বোট রাইডিং – ঝিরি ঝিরি বাতাসে গাছের পাতা গুলো দুলছে…
সব মিলিয়ে খুবই প্রানবন্ত একটি বিকেল।
গুরুকে জুতা মেরে তারপর গরু দান
লাউফুল চৌধুরী । একে তো লাউগাছের ফুল তারসাথে আবার চৌধুরী। নামটা নিয়ে সুযোগ পেলেই রসিকতায় মেতে ওঠে ছাত্ররা। নতুনদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বলা হয়, নামটা শুনে সুন্দরের যত সুবাস পাওয়া যায় নামটা আসলে ততই দূর্গন্ধ ছড়ায়। পোলাপান আড়ালে আবডালে কেউ ডাকে খ্যাক, কেউ ডাকে খ্যাত ।
তিনি আবার শিক্ষক মানুষ। সে সুবাদে স্যার শব্দটাও যোগ হয়েছে সাথে। ইশকুলে তার নাম হয়েছে খ্যাক সাহেব,
বিস্তারিত»ছোট্ট আমি
আমি একজন পারফেক্ট গাব। বড় ভাই ক্যাডেট কলেজে পড়া সত্ত্বেও আমি আবার সেখানে পড়তে যাই। ক্লাস সেভেন এ যখন ঢুকি ক্লাস এইট এর ভাইয়া দের কে মনে হত এরা মনে হয় অন্য জগতের মানুষ। বাইরের ছেলেদের মত হাসে না, তাদের মত চলাফেরা করে না। কেমন যেন একটু অন্য রকম। এর পর তারা দেখি বলে সিনিয়র এর সাথে ঠিক ভাবে বিহেভ করতে। ঠিক ভাবে বিহেভ করা বলতে যে ঠিক কোনটাকে বোঝায় আমি তখন ও বুঝি না।
বিস্তারিত»বৃষ্টি-৭
খোলাছাদে এই যে বৃষ্টির কণাগুলো
অবিরল শরীর ছুঁয়ে
মুখ ঠোঁট বুক চুঁয়ে
নেমে যায়
কবেকার কোন্ পাহাড়ি মেয়ের
উদ্গত অশ্রুগাঁথা নিয়ে,
কে জানে।
আমি শুধু লম্বমান।
ভিজে চলি
বালিকার তীব্র অভিমানে।
এদিকে কান্নাগুলো
কখন চুপিচুপি
ছাদের থেকে নেমে
নালা-নদী হয়ে
চলে গেছে সমুদ্রের কোলে।
মেয়েটি?
ততক্ষণে চোখ মুছে নিয়ে
আকাশের নীল খাম ছিঁড়ে
মেঘের ফেরত-চিঠি খোলে……..

