প্রথমে গুড়িগুড়ি, পরে ঝিরিঝিরি, তারও কিছুক্ষণ পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল। বেশি দূরের নয়, গতকাল রাতের কথা বলছি। এই বৃষ্টি ছিল ক্যাডেটদের বহু আকাংখিত বিষয়ের অন্যতম একটি। কিন্ত আমরা সবাই জানি অতিবৃষ্টির কারণে বন্যাও হয়ে থাকে আমাদের দেশে বা ক্যাডেট কলেজগুলোতে। না না ভুল বলছি না আমাদের কলেজে ২০০২ সালে বেশ একটা বন্যা হয়েছিল ঘাঘট নদী উপচে পড়ে। সেই বন্যার স্মৃতিতেই আমার আজকের এই পর্ব।
(আগের লেখায় যারা মন্তব্য করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আর আমার ফ্রন্ট জনিত সমস্যার কারণে কিছু বানান ভুল আসে এজন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।এই লেখায় ভুল পাওয়া যাবেনা আশাকরি।)
প্রথম লেখার পর আমার এই লেখার উদ্দেশ্য সর্ম্পকে অনেকে ভুল ধারণা করেছেন,প্রথমেই সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছি।তবে যারা ইচ্ছা করে ঘুমাই তাদের ঘুম ভাঙানো য়ায় না।
আমি কিন্তু ইবলিসকে ফেরেশতা বলিনি বলেছি সে ছিল ফেরেশতাদের মধ্যে শ্রেষ্ট।আর হযরত ঈসা (আ) কে ক্রুশ বিদ্ধ করার আগেই আল্লাহতালা তাকে আসমানে তুলে নেন।মুসলমান হিসেবে আমি এটা বিশ্বাস করি তবে আমি ইতিহাসের কথ্ বলেছি।
টুট টুট, আই পি এস এর শব্দে বুঝতে পারলাম ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেছে। এখন কম্পিউটার অফ করে দিতে হবে অনিচ্ছা সত্তেও। জরুরী বিষয়গুলো সেভ করে সেটা করতে মিনিট পাচেক লেগে গেল। লোডশেডিং, বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই পর্বের স্মৃতিও এই লোডশেডিংকে উৎসর্গ করা।
ক্যাডেট কলেজেও লোডশেডিং হত বা এখনও নিশ্চয় হয়। কিন্তু দেশের অন্যতম ভাল প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হওয়ার সুবাদে ক্যাডেট কলেজগুলোতে লোডশেডিং হওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জেনারেটরের মাধ্যমে ইলেক্ট্রিসিটি বরাদ্ধ করা হয়ে থাকে।
অভিনন্দন আমাদের ক্রিকেট দলকে আমাদেরকে আরেকটি জয় উপহার দেবার জন্য, মন খুলে সেলিব্রেট করার আরেকটি উপলক্ষ তৈরী করে দেবার জন্য।
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের প্রথম জয় সেলিব্রেট করেছিলাম ১৯৯৭ এর আইসিসি ট্রফিতে। সে সময় পুরো দেশ এক হয়ে উদযাপন করেছিল সেই জয়। এরপর আরো অনেক জয় এসেছে। এক একটা জয় ছিল যেন বিশ্ব জয়ের সমান, সেভাবেই আমরা উদযাপন করতাম সেগুলোকে। শুধু আমরা দর্শকরা কেন,
একবার এক পথের কুকুর মাংস করিয়া চুরি,
ভাবিতে লাগিল, চুরির কাজেতে নাই তার কোন জুড়ি।
পথে যেতে যেতে সেতুর পাশেতে পানিতে দৃষ্টি পড়ে-
তার মত এক চোরা-মুখো মুখ জীব পানির ওপাড়ে।
সহসা ক্ষোভের গরম আগুন বয়ে গেল তার মাঝে-
তার মত আরো লোকও কি আছে চুরির এই চারু কাজে?
পেতে যদিবা সে পারত আরেক মাংস টুকরাখানি,
করে বা একটু রক্তারক্তি একটুকু হানাহানি।
ক্লাস নাইন এ আর্টস পাওয়ার পর আমার “বি” ফর্মে আসতে হয়। ক্লাস সেভেন, এইট এই ক্লাসগুলোতে হাউজ ফিলিংস, ফর্ম ফিলিংস এগুলো বেশি থাকার কারণে অন্য ফর্মের পোলাপান গুলারে কেমন কেমন লাগতো। ওই ফর্মে গিয়ে শুনলাম, আমার নাকী খবর আসে, হামিম আমার খবর করবে। টিজ করতে করতে মাইরা ফেলবে একদম ~x(
কিন্তু দেখা গেল ক্লাস প্রেপ টাইম এই সময় গুলাতে “এ” ফর্মে যত না কথা বলতাম,বদমাসি করতাম “বি”
আজকাল আমার মন কেমন করা অসুখ হয়েছে
অসুখ তো সুখ,যখন তখন
বুক চিড়ে বের হয়ে আসে সুদীর্ঘশ্বাস
যখন তখন মনে পড়ে বাল্যস্মৃতি
অতীত থকে কষ্ট এনে বুকের উপর পারদ জমাই
পারদের মতো অস্থির তুমি,বুকে খেলা করা তোমারই মুখ
ইচ্ছে করে যখন তখন তোমার চোখে ওষ্ঠ ছোঁয়াই
কষ্ট হয়;যে কারণে বুকের ভেতর খাঁ খাঁ,ফাঁকা-তাই বুঝি না
দূরে থেকে তোমায় কেমন অচেনা লাগে,চিনতে পারি না
মাঝে মাঝে কেমন একটা স্বপ্ন দেখি,হ্যালুসিনেশনঃ
হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় যে তুমি আমার উঠোনে দাঁড়ানো
আমার দিকে চেয়ে তুমি হাসছো,দেখছো-সেই যে তুমি
আমি জানি তা মিথ্যে,তবুও দেখার সময় ভুল বুঝে যাই
সত্যি যদি তুমি একবার এসে আমার জানালায় দাঁড়াও
বিশ্বাস করো,আমার সেদিন অশ্রু হবে না,কান্না হবে না
আমি কেবল তোমার অমন আকুল করা হাসিটা নিয়ে
খুব মায়াময় রূপোর ফ্রেমে বাঁধিয়ে আমি বুকে রাখবো
তোমার ঠোঁটের হাসিটা আমি আঙুল দিয়ে টেনে আনবো
হা হা হাসি,খাঁ খাঁ শূণ্য
তুমি আমার মৃত্যু অতীত জানোনা নারী,কেমন ব্যথা
বিষন্ন বিষ,নীল করে দেয় আমার সর্বশরীর জুড়ে
চোখে আমি ঝাপসা দেখি,তুমি আমার সুদীর্ঘশ্বাস!
বাড়ী থেকে বেড়িয়ে জোরে একটা দৌড় দিয়েও বাসটা ধরতে পারলোনা ইমরোজ। আরো ৫০ গজ বাকী থাকতেই বুঝলো লাল-সাদা রঙের ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা গড়ীটা তার গতি পেয়ে গেছে। থেমে গেলো ইমরোজ । তাকিয়ে দেখলো দুটো গেটেই সবাই বাদুড়ের মত ঝুলছে। বাসটা ধরতে পারলেও তাতে উঠতে পারতো বলে মনে হয়না। ইমরোজ বাস ধরতে না পারলেও ঠেলা-ঠেলি করে, দাঙ্গা করে উঠতে তার ভালো লাগেনা। সবাইকে ধাক্কা দিয়ে উঠে যাবার মত শক্তি তার আছে।
প্রশ্নটা করে উনি বেশ খানিকটা সময় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে, কেমন একটা কৌতুকমাখা নাকি ব্যঙ্গাত্মক এবং প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে, ঠিক বুঝে উঠতে না পারার আগেই স্বতস্ফূর্তভাবেই জবাবটা বেরিয়ে এল মুখ দিয়ে, “যদি আমি রাজি হই?”, ফিক করে হেসে ফেললেন উনি। আর মূহুর্তের মধ্যেই বদলে ফেললেন মুখে ধরে রাখা কোমলতার ছাপটা, আমি কি বুঝতে পারছি, উনার উত্তরটা ঠিক কি আসছে এক্ষুণি??…
হাজার মানুষ- সেই মানুষের হাজার রকম শখ
কেউ হতে চায় প্রকৌশলী কেউ বা চিকিৎসক।
আমার কেবল একটা চাওয়া- মানুষ হতে চাই
মানুষ হওয়ার জন্যে আমি মানুষ খুঁজে যাই।
মানুষ হয়ে জন্ম নিলেই যায় না মানুষ হওয়া
মানুষ হয়েও তাই এ আমার নিঃস্ব হয়ে রওয়া।
মানুষ হয়ে জন্ম তো হয় মানুষ হওয়ার তরে
মানুষ হওয়ার স্বপ্ন কবে জাগবে ঘরে ঘরে?
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ মজিলা ফায়ারফক্স -এর নাম শুনেনি এমন মানুষ সারা দুনিয়ায় নাই, আর এইটা নিয়া কোনো সন্দেহও নাই। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, গুগল ক্রোম, অপেরা-এগুলা সবই ইউজ করেছি কিন্তু ক্যান যেন মজিলা-র প্রেম ছাড়তেই পারি নাই। আর এই মজিলা-ফায়ারফক্স ইউজাররা প্রায় সবাই-ই আমরা অ্যাডঅন ইনস্টল করতে অভ্যস্ত। কাজের সুবিধার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় অনেক অনেক অ্যাডঅন ইনস্টল করি। কিন্তু ফায়ারফক্সেই কিন্তু এর কনফিগারেশন পরিবর্তন করার অপশন রয়েছে।