বহুকাল আগের গল্প। কোন এক দেশের কোন এক শহরের কোন এক গ্রামে এক টুপিওয়ালার বসবাস। টুপি বিক্রি করে জীবন চলে তার। নিজ হাতে পরম যত্নে টুপি প্রস্তুত করে টুপিওয়ালা। নিজেও নিজের হাতে তৈয়ার করা একখানা টুপি মাথায় দেয়। সারা সপ্তাহ টুপি তৈয়ার করে সপ্তাহান্তে শহরের পাশের বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। টুপির ঝোলা কাঁধে নিয়ে পাড়ি দেয় বন, গ্রাম। কোন একবার, কোন এক সপ্তাহান্তে, চারটা খেয়ে, টুপির ঝোলা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল বাজারের উদ্দেশ্যে। হাটতে হাঁটতে গ্রাম পেরুলো, বন পেরুলো, গ্রাম পেরুলো, দুপুর নাগাদ পৌছালো এক বনের পাশে। ভাবল, কোমর থেকে দুটো শুকনো মুড়ি গুড় খেয়ে, গাছের তলায় জিরিয়ে নেওয়া যাক। হাত মুখ ধুয়ে, দুটো খেয়ে জিরিয়ে নিতে গিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল টেরও পেল না। ওদিকে ঐ বনে ছিল বানরের পালের জয় জয়কার। সে ঘুমিয়ে পড়তেই বানরের দল এসে তার ঝোলা থেকে সব টুপি বের করে নিল। বের করে তার দেখা দেখি সবাই একটা করে মাথায় দিল। মাথায় দিয়ে কেউ এই ডালে কেউ ওই ডালে বসে ঝুল খেতে লাগলো।
ঘুম ভেঙ্গে উঠে তো টুপিওয়ালার মাথায় হাত। ঝোলায় একটা টুপিও নেই। চারপাশ নজর বুলিয়ে দেখে, বানরের পাল তার টুপি মাথায় দিয়ে গাছে গাছে ঝুলছে। কি করবে, কি না করবে, কোন কূল কিনারা করে পারলো না। পাঁথর ছুড়ে মারলে বানর উলটো সেই পাঁথর আবার ছুড়ে মারে, হাত নাড়িয়ে তাড়া দিলে বানরও হাত নাড়ে। এভাবে এক এক করে সব প্রচেষ্টা বিফলে গেলো। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল। এখন খালি হাতে উলটো পথে বাড়ি হাঁটা ছাড়া আর কোন উপায়ই নেই তার। কিভাবে যাবে এই সপ্তাহ, এই কয়দিন? রাগে দুঃখে নিজের মাথার টুপিটা মাথা থেকে খুলে ছুড়ে ফেলে দিলো মাটিতে সে। ওমা, একি কান্ড!! তার মত করে সব গুলো বানরও তাদের মাথার টুপি খুলে মাটিতে ফেলে দিলো। দ্রুত টূপি গুলো কুড়িয়ে নিয়ে ঝোলায় ভরে টুপিওয়ালা উপরওয়ালাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জোর কদমে বাজারের দিকে রওনা করল………………………………………………।
…………………………………………………………………………………………………।…………
………………… অতঃপর অবশ্যই সে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো।
এই ঘটনার বহুকাল পরের ঘটনা। টুপিওয়ালা আর আমাদের মাঝে নেই। টুপিওয়ালার নাতি এখন আমাদের টূপিওয়ালা। টুপি বিক্রি করে জীবন চলে তার। নিজ হাতে পরম যত্নে টুপি প্রস্তুত করে টুপিওয়ালা। নিজেও নিজের হাতে তৈয়ার করা একখানা টুপি মাথায় দেয়। সারা সপ্তাহ টুপি তৈয়ার করে সপ্তাহান্তে শহরের পাশের বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। টুপির ঝোলা কাঁধে নিয়ে পাড়ি দেয় বন, গ্রাম। কোন একবার, কোন এক সপ্তাহান্তে, চারটা খেয়ে, টুপির ঝোলা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল বাজারের উদ্দেশ্যে। হাটতে হাঁটতে গ্রাম পেরুলো, বন পেরুলো, গ্রাম পেরুলো, দুপুর নাগাদ পৌছালো সেই বনের পাশে। ভাবল, কোমর থেকে দুটো শুকনো মুড়ি গুড় খেয়ে, গাছের তলায় জিরিয়ে নেওয়া যাক। হাত মুখ ধুয়ে, দুটো খেয়ে জিরিয়ে নিতে গিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল টেরও পেল না। ওদিকে সে ঘুমিয়ে পড়তেই বানরের দল এসে তার ঝোলা থেকে সব টুপি বের করে নিল। বের করে তার দেখা দেখি সবাই একটা করে মাথায় দিল। মাথায় দিয়ে কেউ এই ডালে কেউ ওই ডালে বসে ঝুল খেতে লাগলো।
ঘুম ভেঙ্গে উঠে তো টুপিওয়ালার নাতির মাথায় হাত। ঝোলায় একটা টুপিও নেই। চারপাশ নজর বুলিয়ে দেখে, বানরের পাল তার টুপি মাথায় দিয়ে গাছে গাছে ঝুলছে। কি করবে, কি না করবে, কোন কূল কিনারা করে পারলো না। পাঁথর ছুড়ে মারলে বানর উলটো সেই পাঁথর আবার ছুড়ে মারে, হাত নাড়িয়ে তাড়া দিলে বানরও হাত নাড়ে। এভাবে এক এক করে সব প্রচেষ্টা বিফলে গেলো। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল। এখন খালি হাতে উলটো পথে বাড়ি হাঁটা ছাড়া আর কোন উপায়ই নেই তার। কিভাবে যাবে এই সপ্তাহ, এই কয়দিন? হটাত তার ছোটবেলায় নানার কাছে শোনা গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো। নিজের মাথার টুপি খুলে ফেলে দিলেই বানরগুলোও টুপি খুলে ফেলে দেবে। বাহ, এটাইতো করবে সে এখন। যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের মাথার টূপিটা খুলে মাটিতে ফেলে দিলো সে। কি আশ্চর্য, কি ভানুমতি!! কোন বানরই মাথার টুপি খুলে ফেলে দিলো না। বরং বানরগুলো তার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলো। নাতি অবাক! এরই মাঝে একটু রাশভারি চেহারার বানর তার মাথার কাছের এক ডালে এসে বলল, “তোমার কি মনে হয়, নানা দাদা খালি তোমার একারই আছে? আমাদের নানা দাদা নেই?”
পুনশ্চঃ গল্পটা আমার লেখা নয়। অনেক আগে শোনা। যতদূর মনে পড়ে আমার রংপুর ক্যাডেট কলেজের বন্ধু নিহাব আহসানের(০০-০৬) মুখে বি এম এ তে কোন এক ঠান্ডা রাতে, মাঠের কোন এক কোনায় বসে গল্পটা শুনেছিলাম। অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন। গল্পটা আমার কাছে বেশ মেটাফোরিক। দাদা, নানা, চাচা, মামা কি শুধু তোমারই আছে??? আমাদের কি দাদা, নানা, খালু, মামা থাকতে পারে না?
হা হা হা ... চমৎকার হইছে। মেসেজটাও সেইইই...
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
মাটিই জীবন, জীবন ই মাটি :teacup:
\\\"।নিউট্রন বোমা বোঝ. মানুষ বোঝ না ! ।\\\"
এত মজা যে হাসিতে বাঁচি না। শিক্ষণীয় বিষয়টি দাঁড়াচ্ছে অহমিকা অনেক সময় বিফলতার কারণ।