লালমাই-ময়নামতি পাহাড় শ্রেণির উত্তাংশের পূর্ব ভাগে অপেক্ষাকৃত নীচু ও সমতল ভূমিতে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আনন্দ বিহার অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও কুমিল্লা অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত বিহারসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই বিহার ‘আনন্দ রাজার বাড়ি’ নামেও পরিচিত। ৮ম শতকে দেব বংশের সবচেয়ে যোগ্য ও প্রভাবশালী নৃপতি আনন্দ দেব এই বিহার প্রতিষ্ঠা করেন অথবা তার নামে তার যোগ্য পুত্র মহারাজা ভবদেব এটি নির্মাণ করেন বলে প্রচলিত ধারনা রয়েছে। বিহার বিবেচনায় কুমিল্লা অঞ্চলের বহুল প্রচারিত শালবন বিহার অপেক্ষা আনন্দ বিহার আকারে যেমন বড় তেমনি সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৪২ খ্রীঃ ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক প্রথমে পরিদর্শন, পরে পর্যালোচনা এবং পরবর্তীতে পরিকল্পনামাফিক ১৯৭৫-১৯৮২ খ্রীঃ বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক উৎখনন কাজ করা হয়। খননে বিহারের আদলটি ক্রমান্নয়ে উম্মোচিত হয়ে ওঠে। বিহারটি ইটের তৈরী, বর্গাকার এবং এর প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য আনুমানিক ১৯০.৫ মিটার। চিরায়ত ধারায় বিহারের উত্তর বাহুর কেন্দ্রস্থলে এর প্রধান প্রবেশ পথ অবস্থিত। প্রবেশ পথের তোরনের দৈর্ঘ্য ৩০.৪৮ মিটার ও প্রস্থ ১৩.৭২ মিটার। কিন্তু কেবলমাত্র প্রবেশ পথের দৈর্ঘ্য ৮.৩৮ মিটার ও প্রস্থ ২.২৯ মিটার। প্রবেশ পথের তোরণটিতে ২টি ‘হল রুম’ পর পর রয়েছে, যার আয়তন যথাক্রমে ৯.০৯ পুরন ৪.৬ মিটার ও ৭.২৭ পুরন ২.৫৭ মিটার। হল ঘরের পাশেই ৬টি ছোট ছোট ঘর রয়েছে। দেখা যায়, তোরণটিতে একাধিক সংস্কার বা পূনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
প্রবেশ তোরণ দিয়ে বিহার অঙ্গনে প্রবেশ করলেই প্রথমে উন্মুক্ত আাঙ্গিনা। আঙ্গিনাকে বেষ্টন করে চারিদিকে সারিবদ্ধ ঘর রয়েছে। এই সব ঘরে শ্রমণ বা ভিক্ষুরা থাকতেন নিশ্চই, তবে মোট কয়টি ঘর যে এখানে ছিল তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয়নি। যেহেতু বিহারটি শালবন বিহার থেকে বড় এবং শালবন বিহারে ১১৫টি ঘর আছে, সুতরাং এখানেও কমপক্ষে ১২০ টির মতো ঘর আছে। প্রতিটি ঘরের আয়তন ৩.২৮ পুরন ২.৭৪ মিটার। কিন্তু ২য় নির্মাণযুগে এসে ঘরের প্রস্থ ২.৫৯ মিটার করা হয়। পিছনের আদি দেওয়াল ৪.৮৮ মিটার পুরু। আবার দু’টো ঘরের মধ্যবর্তী দেওয়াল ১.৮৫ মিটার পুরু। সবগুলো ঘরের আয়তন এক হলেও দক্ষিণ দিকের মধ্যখানের একটি ঘর তুলনামূলকভাবে বড় (দৈর্ঘ্য ৬.৪৮ মিটার ও প্রস্থ ১.৮৫ মিটার)।২য় নির্মান যুগে পিছনের দেওয়ালের পুরুত্ব ২.০ মিটার কমিয়ে ঘরের ভিতরের আয়তন বড় করা হয়।
ঘরের সামনে ১.৯ মিটার প্রশস্ততার টানা বারান্দা ছিল। বহু ব্যবহারের ফলে বারান্দার মেঝে কমপক্ষে ৫ বার এবং ২য় নির্মাণযুগে এর আনুষঙ্গিক অংশ পরিবর্ধন ও সংস্কার করা হয়। দক্ষিণ বাহুর মধ্যখানের ঘরটি সামনের দিকে স্ফীত এবং সংলগ্ন অংশে ছোট ২টি কক্ষ ও ১টি সিঁড়িঘর আছে। তাহলে কি বিহারটি একের অধিক তলা বিশিষ্ট ছিল? শুধুমাত্র ছাদে যাবার প্রয়োজনেই কি এটি ব্যাবহার করা হতো? আসলে কি উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি।
এই আঙ্গিনার মাঝখানে বিহারের ক্রশাকৃতির কেন্দ্রীয় মন্দিরটি অবস্থিত। কেন্দ্রীয় মন্দিরটি বেশ বড় আকারের, আর খননের ফলে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায় বিহারটি সম্ভবত বর্গাকার যার প্রতি বাহুর আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৫৬ মিটার। মন্দিরের চারপাশ জুড়ে ২.৭৪ মিটার প্রশস্ততার ইট বিছানো পায়ে হাটা পথ ছিল। নিপুন কারুকাজে শোভিত ছিল মন্দিরের দেওয়ালগুলো। ব্যবহৃত টেরাকোটার ফলকচিত্রে নানা বিষয় উপস্থাপিত হয়েছিল, এমনকি মানব-মানবীর পাশাপাশি দেব-দেবীর চিত্রও তাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
বিভিন্ন সময় ও পর্যায়ে খনন কাজ পরিচালনা করা হলে এখান থেকে নিউলিথিক যুগের অস্ত্রশস্ত্র যেমন-পাথরের হস্তফুট ও আনুসঙ্গিক নিদর্শন, মহারাজা ভবদেবের তাম্রলিপি, গুপ্ত পরবর্তী যুগের স্বর্ণের নকল ১টি মুদ্রা, পট্টিকেরা আদলের রূপার ১টি মুদ্রা, ৬৩টি হরিকেল মুদ্রা, টেরাকোটা সিল/লিপি সম্বলিত গোলাকার ফলক, প্রোটো-বাঙলা অক্ষরে লেখা ফলক, বৌদ্ধ দেব-দেবীর ব্রোঞ্জ দ্বারা নির্মিত মূর্তি যেমন-অবলোকিতেশ্বর, ধ্যাণীবুদ্ধ রত্নসম্ভব, অক্ষোভ্য, বোধিসত্ত্ব, ৯ম/১০ম শতাব্দীর আংশিক ক্ষয়প্রাপ্ত ১.৫ মিটার উচ্চতার ব্রোঞ্জ দ্বারা তৈরী বুদ্ধ মূর্তি, মেটে পাথরের মাঝারি আকারের অবলোকিতেশ্বর মূর্তি, পোড়ামাটির চিত্রফলক যেমন-পুরুষ ও মহিলা, অর্ধ মানব/মানবী, নর্তক, যোদ্ধা, অশ্বারোহী, তীরন্দাজ, সিংহের মুখ, দুই শরীরের এক মাথাওয়ালা সিংহ, বন্য শুকর, হাতি, ইদূর, মকর, যক্ষ, সুন্দর পাখাসহ রাজহাঁস, গাভী/মহিষ, বানর, ঘোড়া ও অদ্ভুত সুন্দর পরিস্ফুটিত নীলপদ্ম ইত্যাদি, মাটির প্রদীপ, মাটির পাত্র, ৪ ও ৮ হাত বিশিষ্ট তারা/চুন্ডা খোদিত ফলক, মূল্যবান পাথরের গুটিকা, ব্রোঞ্জ/মাটির নির্মিত ভোটিভ স্তুপ, ভোটিভ স্তুপ, ব্রতোদযাপন চলস্তুপ, অলংকৃত ইট যেমন-অর্ধ গোলাকার ও পাতলা ধারের ইট, পিরামিড, ফুলেল নকশাকাটা, পদ্মপাতা, করাতের দাঁতাকৃতি, বন্ধনী ও আঁকাবাঁকা, জ্যামিতিক আকৃতি, দড়ি ইত্যাদি, লোহার জিনিসপত্র যেমন-পেরেক, ছুরি, ধারালো ফলা, কোদালের মাথা, কব্জা, কাচি, ২টো শিকল যুক্ত ১টি আংটা ইত্যাদি, তামার তার, হাঁড়ি-পাতিল, ভাঙ্গা পাত্রের টুকরা, স্বর্ণের কানের দুল, ব্রোঞ্জের পিরিচ ও ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, চারকোল, দগ্ধ ধান, ঘোড়া ও খচ্চরের দাঁত ইত্যাদি পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ টির অধিক প্রত্নবস্তুর নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে।
আনন্দ বিহারের প্রধান উপাস্য অবলোকিতেশ্বর-আর অবলোকিতেশ্বরের এই মূর্তিটি একটি আদর্শ মানব উচ্চতা সম্পন্ন। এটিই বাংলাদেশে প্রাপ্ত সব থেকে বড় বুদ্ধ মূর্তি হিসাবে বিবেচিত। বিহার থেকে উদ্ধারকৃত মূর্তিসমূহের মধ্যে অবলোকিতেশ্বরের প্রাধান্য থাকায় এবং অন্যান্য সংকেত থেকে ধারনা করা হয় যে বিহারটি অবলোকিতেশ্বরের প্রতি নিবেদিত ছিল।
বিহারের দক্ষিণ বাহুর বাহিরে ১৯৭৭ খ্রীঃ খননে মাটির পাত্র পোড়ানোর ৫টি চুল্লী/ভাটির সন্ধান পাওয়া যায়। যদিও এখানে মাত্র ৫টি চুল্লীর সন্ধান পাওয়া গেছে কিন্তু এর সংখ্যা যে আরো বেশী ছিল তা ধরে নেওয়া যায়। যাহোক, এই রকম ভাটির সন্ধান কিন্তু এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্য কোথাও পাওয়া যায়নি। সমতট তথা বাঙলাঞ্চলের মাটির পাত্র তৈরীর কারখানা/পদ্ধতির এ এক অনণ্য দৃষ্টান্ত। এখানে উৎপাদিত মাটির পাত্র আনন্দ বিহারে যে ব্যবহৃত হতো তা নিশ্চিত, এমনকি পার্শ্ববর্তী ভোজ রাজার বিহার, ইটাখোলা মুড়া বিহার, লোতিকোট বিহার, রূপবান মুড়া বিহারেও তা ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বা এখান থেকেই যোগান দেওয়া হতো বলে ধারনা করা যায়।
ময়নামতি-লালমাই পাহাড় শ্রেণির প্রত্ন-নিদর্শনের মধ্যে প্রথম যে ৫টি স্থান চিহ্নিত করে পরিকল্পিতভাবে খনন কাজ করা হয় তাদের মধ্যে আনন্দ বিহার অন্যতম। এখানে প্রাপ্ত অনেক প্রত্ন-নিদর্শন ময়নামতি যাদুঘরে সংরক্ষণ করা হলেও অগনিত নিদর্শন বিদেশের মাটিতে চলে গেছে। মহারাজা ভবদেবের যে তাম্রলিপিটি কুমিল্লা নিবাসী এক ভদ্রলোক প্রথমে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন তিনি তার হাঁস-মুরগীর খোয়াড়ের দরজা হিসাবে তা ব্যবহার করছিলেন। এক পর্যায়ে, কুমিল্লার এক সিনেমা হলের মালিক ও হিন্দু ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তা বিক্রি করে দেন। উক্ত ব্যবসায়ী, ১৯৪৭ খ্রীঃ দেশ বিভাগের সময় তা কলকাতায় নিয়ে যান। পরে ১৯৫১ খ্রীঃ কোলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি পত্রিকায় ড. ডি.সি. সরকার কর্তৃক ‘ক্যালকাটা কপার প্ল্যাট অব কিং ভবদেব’ নামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হলে পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট ড. হারুন-অর-রশিদ মারফৎ এই সব তথ্য আমরা জানতে পারি।
বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের যে মূর্তিটি এখানে পাওয়া গেছে সেটার সাথে কুটিলা মুড়ার একই রকমের মূর্তিটির মিল থাকায় ধারনা করা যুক্তিসঙ্গত যে এটি ৭ম শতকের শেষ দিকের বা ৮ম শতকের প্রথম দিকের কোনো স্থাপনা। আবার, লালমাই-শালবনে প্রাপ্ত তারা ও ধ্যাণীবুদ্ধ মূর্তিগুলোর মধ্যে আনন্দ বিহারের তারা ও বুদ্ধের মূর্তির মান উন্নত মানের। শালবন/ভবদেব বিহারের পোড়ামাটির চিত্রফলকের মানের তুলনায় আনন্দ বিহারের কারুকাজও উন্নত মানের। পোড়ামাটির একটি চিত্রফলকে বাঙলার লোকজ গল্প ‘হাতির ফাঁদের দড়ি কাটছে ২টি ইদূর’ এখানে অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পোড়ামাটির ফলকে উৎকীর্ণ প্রোটো-বাঙলা অক্ষরের লেখাটির অর্থ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তথাপি সার্বিক বিবেচনায় কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার কোটবাড়ি নামক স্থানের আনন্দ বিহার শালবন বিহার নির্মাণের পূর্বে নির্মিত বলেই অনেকেই মত পোষণ করেন। এখানে প্রাপ্ত টেরাকোটার ফলকগুলোর সাথে মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশীয়ায় ব্যবহৃত মন্দিরের সাদৃশ্য রয়েছে।
বিহারের উত্তর-পূর্ব দিকে বিশাল এক দিঘী রয়েছে যা আনন্দ রাজার দিঘী নামে পরিচিত।
————————————————————————————————————————————————
১. এ এক অনন্য প্রাপ্তি, সিরাজুল ইসলাম আবেদ, দৈনিক প্রথম আলো, ৩০ জুন ২০০২ খ্রীঃ/
২. The Remains of a Rich & vibrant Past, Reema Islam, The Daily Star, 10 November 2006 AD/
৩. ময়নামতি বৌদ্ধ বিহার এক ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যকীর্তির নাম, রমজান বিন মোজাম্মেল, দৈনিক ইত্তেফাক, ১৩ আগষ্ট ২০০৭ খ্রীঃ/
৪. প্রত্নতত্ত্বের সন্ধানে ভ্রমন, খান মাহবুব, দৈনিক যুগান্তর, ১৫ জুন ২০১২ খ্রীঃ/
৫. লালমাই সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শন, দৈনিক ইত্তেফাক, ১০ নভেম্বর ২০১৪ খ্রীঃ/
৬. মনোলোভা শালবন বিহার, গাজীউল হক, দৈনিক প্রথম আলো, ০৮ জানুয়ারী ২০১৫ খ্রীঃ/
৭. কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু, মো. লুৎফুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাক, ৩০ জানুয়ারী ২০১৬ খ্রীঃ/
৮. ঘুরে আসুন কুমিল্লা, সাহেদ ইব্রাহীম, দৈনিক প্রথম আলো/
৯. ঘুরে আসুন কুমিল্লা, সুমন পাটওয়ারী, দৈনিক প্রথম আলো/
১০. মহাস্থান ময়নামতি পাহাড়পুর, ডক্টর নাজিমুদ্দিন আহমেদ, পৃঃ ৬৭/
১১. বাঙলাদেশের প্রত্নসম্পদ, আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া, পৃঃ ৬৪৫-৬৪৭/
১২. বাংলার প্রাচীন সভ্যতা ও পুরাকীর্তি, খন্দকার মাহমুদুল হাসান, পৃঃ ১৪৮/
১৩. Coins From Bangladesh, A guide to The Coins of Bengal Especially Circulated in Bangladesh, Bulbul Ahmed and AKM Shahnawaz, পৃঃ ১৯/
১৪. Early Terracotta Figurines of Bangladesh, Saifuddin Chowdhury, পৃঃ ১৩১/
১৫. পুরাতত্ত্বের বাংলাদেশ ঐতিহ্যের বাংলাদেশ, মোহা. মোশাররফ হোসেন, পৃঃ ১৫৬-১৫৭/
১৬. গ্রাফোসম্যানের ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা, ড. ছন্দশ্রী পাল, পৃঃ ৯৪/
১৭. হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, গোলাম মুরশিদ, পৃঃ ৩৯৯/
১৮. প্রাচীন বাংলার প্রত্নকীর্তি, খন্দকার মাহমুদুল হাসান, পৃঃ ৪৫/
১৯. প্রাচীন বাংলার ধুলো মাখা পথে, খন্দকার মাহমুদুল হাসান, পৃঃ ৬০/১১২/
২০. ইটাখোলা বিহার (৭ম-১৩শ শতক পর্যন্ত বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন), হাবিবুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, পৃঃ ২/৮/২৯/
২১. Excavations At Ananda Vihara, Mainamati, Comilla 1979 – 82, Md. Shafiqul Alam, Md. Abul Hashem Miah/
২২. উইকিপিডিয়া/বাংলাপিডিয়া/অন্তঃজাল
২৩. প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর