সিসিবির পিকনিক হওয়ার কথা ছিল অনেক অনেক দিন আগে। গতবছর একটা তারিখ ঠিক করেও শেষ মুহূর্তে বাতিল করতে হয়েছিল। এবছরও শীতে আমার ছেলের পরীক্ষা থাকায় করা যায়নি। তারপর আমার যুক্তরাষ্ট্র সফরের কারণেও পিছিয়েছে। আমাকে বাদ দিয়ে পিকনিকটা হয়ে গেলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু কেন যেন এবারের পিকনিকের জায়গাটা ঠিক হয়েছিল পল্লবী-২ এ। আর তাতেই বারবার বিপত্তি! এবার আর কোনো বাধা মানতে রাজি ছিল না অনেকে।
বিস্তারিত»অতসীদের বাসায় আরেকদিন
অতসীদের পরিবারের সাথে আমার সম্পর্কটা এখন বেশ সহজ। তার বাবা বাদে ফ্যামিলির সবাই আমার সম্পর্কে জানে। তবে তার বাবা জানলে আমার অবস্থা যে কি হবে, সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউই জানে না। আমার নিজের উচ্চতা ছয় ফিট (গর্ব করতাছি না…), সেজন্য মনে হয় আমার থেকে কম উচ্চতার মানুষদের দেখে কখনও ভয় পাব না আমি। কিন্তু এই পাঁচ ফিট দশ ইঞ্চি মানুষটাকে দেখে কেন জানি আমার গলা শুকিয়ে যায়,
বিস্তারিত»ঘুম ভাঙ্গার পর
অভ্যেসটা ঠিক এমন হলো-
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ইদানীং আর অবাক হই না,
মধ্যরাতে একলা হাঁটি,
বিন্দু বিন্দু শিশিরগুলো-
জমতে থাকে নগ্ন পায়ে।
চেনাজানা পথ অচেনা হলে-
কাছে কিংবা দুরে কোথাও
হারানো দিনের বিলাপধ্বনি!
সরু লম্বা কান্ডগুলো,
বিষন্নতার স্তম্ভ যেনো।
দুর আকাশে দু’চোখ মেলি,
কেমন যেনো অন্যরকম!
আকাশ ভরা কান্নাগুলো-
কুয়াশা হয়ে নেমে আসে।
শিরোনামহীন #১
রোদেলা দুপুরে
মনের ভিতরে
বৃষ্টিতে শ্রাবণ
বিষণ্ণতায় অবগাহন…।
তুমি আর আমি
অন্ধকার কামী
নিস্তব্দতার মাঝে
হারাবো এই সাঁঝে…।
সিসিবির পিকনিক এবং আমরা কয়েকটি প্রান
সানাউল্লাহ ভাইয়ের পল্লবীর বাসাটা খুঁজে পেতে একটু বেগ ই পেতে হল। যদিও সামিয়া আপু ম্যাপ দিয়েছিলেন কিন্তু যে কোন আগন্তুক এর কাছে বাসা খুঁজে পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব কাজ। এ গলি ও গলি পার হয়ে যখন বাড়ীর গেটের সামনে পৌঁছালাম তখন পড়ন্ত বিকেল। বাসায় ঢুকতেই পিকনিক পিকনিক একটা গন্ধ পাওয়া গেলো। আমার পাওয়া ক্যাডেট কলেজ ব্লগের প্রথম পিকনিক। তাই উত্তেজনা একটু বেশিই ছিল। ব্লগে সবাইকে চিনলেও বাস্তবে অনেককেই চিনিনা তাই পাবন ভাইকে বলে রেখেছিলাম পিকনিকে আসতে।
বিস্তারিত»অপরিচিত কিংবা অর্ধ পরিচিত মানুষ ও জীবনের গল্প
গল্প লিখতে বসলে গল্পের চরিত্র নিয়ে কাহিনী ও নাম সংকটে পরে যেতাম প্রথম প্রথম। বাস্তব আর গল্পের অসমতায় প্রভাবিত হয়ে গল্পের প্লট নিয়েই সন্দেহাতুর হয়ে যেতাম। বাস্তবের ঘটনাগুলো গল্পের মতো অভিনব হয় না নাকি গল্প বাস্তবের মত জীবন্ত হয় না এ নিয়েই দ্বিধা কাজ করতো মনে। কাহিনী তাই গড়ে উঠে বয়ে চলা জীবনগুলোর একটার সাথে আরেকটার কাহিনীর যোগ বিয়োগে। অদেখা জীবন গল্পে চলে এলে সেই জীবনের বাস্তবতার চেয়ে সেই জীবন নিয়ে রোমান্টিক ভাবনায় স্টেরিও টাইপ কাহিনী গড়ে উঠে।
বিস্তারিত»অসাড়তা
না-পাঠানো চিঠি
‘আয়!’-
বলে ডাক দিতেই
হায়
পিলপিল করে
উঠে আসে তারা,
আসকারা
পেয়ে
টেবিল
বেয়ে
নেমে
অক্ষরের
সে বেহায়া
মিছিল
আশ্লেষে
ছড়িয়েছে
গোটা পাড়া
সবখানে
হাসাহাসির সে কি
ধুম লেগে গেছে
তুমিই বোঝনি এসব
অপ্রতিভ ইশারা
আঠারো জুনের কবিতা
সাগর থেকে মেঘের পরী
এই শহরে এলো
আমরা তখন সিঁড়ির কাছে
ভীষণ ব্যস্ত ঠোঁটে
মাঝ দুপুরের নির্জনতা
শব্দ করে ফোটে
নিচের থেকে দ্বারপ্রহরী
এলো কী কুক্ষণে
বিদায় বেলায় এসব কথা
কেউ রাখে না মনে!
সেদিন কত আর্দ্র রাত্রি
বৃষ্টিতে মন্থর
যাদুকরের মন্ত্রে ছোটে
বজ্র হিবিজিবি
দুর্যোগে তার তন্দ্রা ছোটএ
বিস্মিত পৃথিবী
হরিণ যত দৌড়ে পালায়
প্রাচীন মায়াবনে
আজকে সেসব মিথ্যে কথা
কেউ রাখে না মনে।
ভাত খেতে পায়না তো কি হয়েছে, বার্গার খাবে
২০০৪ সালের দিকে পেশাগত কাজে মিরপুর মাজার রোডে প্রতিদিনই আমার যেতে হতো। যেদিন সন্ধ্যাবেলায় যেতাম, এক নাম্বার গোল চত্বরের কাছে নির্দিষ্ট একটি যায়গায় প্রতিদিন কিছু লোকের জটলা দেখতাম। একদিন কৌতুহলে উঁকি দিয়ে দেখলাম দুজন লোক একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা বালতির ভেতর থেকে ছোট ছোট প্লেটে কিছু তুলে তুলে মানুষকে দিচ্ছে। এবার একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম-একি? এ যে খাবারের উচ্ছিষ্ট, এ কি করে সম্ভব?
বিস্তারিত»বার্থডে উইশ
রাত ১২ টা বাজার মাত্র ১৫ মিনিট বাকি। মাত্র ১৫ মিনিট পরেই সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি শুরু হবে। ২রা জুলাই, প্রিয়তির জন্মদিন।কিন্তু প্রিয়তির মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে। ঘনঘন মোবাইলে টাইম দেখছে সে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। আচ্ছা, এবার সবার আগে প্রত্যয় উইশ করতে পারবে তো? ওর খুব ইচ্ছা জন্মদিনের প্রথম উইশটা ওর সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাই করুক। এর জন্য ফেসবুকে বার্থডে রিমুভ করে রেখেছে সে।জিনিসটা হয়ত অনেকের কাছে ছেলেমানুষি মনে হবে,কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে অনেক সময় এইসব তুচ্ছ জিনিসও অনেক বেশি আকাঙ্খিত হয়ে যায়।
বিস্তারিত»আমার নতুন পরিচয়: আমি ক্যাডেট
১৫ এপ্রিল, ২০০৬। বাসে উঠলাম সকাল বেলায় আব্বু আম্মুর সাথে…… গন্তব্য ফেনী। বাসে উঠেই আম্মু প্রথমে আমাকে যা যা বোঝানো শুরু করল তা হল ক্যাডেট কলেজে যেন ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করি,নামাজ পড়ি, ঠিক মতো পড়াশোনা করি,নিজের যত্ন নেই আর…… আর যাই হোক মাথা গরম করে আমি যেন কার সাথে মারামারি না করি। কারণ সেই পিচ্চি বেলায় ক্লাস থ্রি তে থাকতে ঘুষি মেরে ১ টা ছেলের নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলাম।
বিস্তারিত»লোডশেডিং ও একটি ভূতের গল্প
প্রায় একমাস ছুটি কাটিয়ে কলেজে পৌঁছাবার পর রাতেরবেলা আমাদের গল্প যেন আর ফুরাতেই চাইতোনা! একেজনের পেটে কত কথা! কার চুল কতো সে.মি বড় হলো এই ব্যপারে নিরীক্ষামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন থেকে শুরু করে ছুটিতে টিভিতে দেখে আসা বিজ্ঞাপনের মডেলদের অঙ্গভঙ্গি অনুকরণ- নানারকম আলোচনায় গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকি আমরা। সেবারও ব্যতিক্রম হয়নি, ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র বের করে লকারে গুছিয়ে রাখতে রাখতে অনর্গল বকে যাচ্ছি। তখনই মৌসুমি ব্যাগ থেকে একটা কি যেন ক্রিমের টিউব বের করে আমাদের সবাইকে দেখিয়ে সেটার গুণকীর্তন করতে লাগলো,
বিস্তারিত»শুরু হচ্ছে IUT 4th NATIONAL ICT FEST 2012
আগামী ২১-২২ জুন Islamic University of Technology(IUT) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে IUT 4th
National ICT FEST 2012. IUT Computer Society(IUTCS) এর সার্বিক তত্বাবধানে চতুর্থ বারের মত
এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৮ সালে প্রাইম ব্যাংক 1st National ICT fest অনুষ্ঠিত হয়, যা সারাদেশের
ICT প্রিয় তরুণ-তরুণীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় AB ব্যাংক
2nd National ICT fest এবং ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় IBBL 3rd National ICT fest.
হে বীর, তোমায় সালাম
সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।
বিস্তারিত»