ক–এ কলা খ–এ খাই
এতো বেশী খেতে নাই।
গ–এ গরু ঘ–এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস।
‘ঙ’ বলে, “কোলা ব্যাঙ,
সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ!”
ক – খ – গ – ঘ – ঙ॥
চ–এ চাচা ছ–এ ছাই
দাঁত মাজো। ছাই চাই?
জ–এ জাম ঝ–এ ঝড়
ঝড় এলো জাম পড়।
‘ঞ’–বলে, “মিঞা ভাই,
বিয়ে খাব। চল যাই।”
চ – ছ – জ – ঝ – ঞ॥
ট–এ টাকা ঠ–এ ঠাট
ঠাট মেপে গড় হাট।
ড–এ ডাব ঢ–এ ঢল
ঢল এলো বাড়ি চল।
‘ণ’–বলে “আনো শণ।
ঘর তুলি কেটে বন।”
ট – ঠ – ড – ঢ – ণ ॥
ত–এ তাল থ–এ থাল
থালে রেখে খাবো তাল।
দ–এ দাতা ধ–এ ধার
ধার দিয়ে টাকা হার।
‘ন’ বলে, “নানা ভাই,
না’বো। চল বাড়ি যাই।”
ত – থ – দ – ধ – ন॥
প–এ পাতা ফ–এ ফল
ফল ভরা গাছে বল।
ব–এ বালা ভ–এ ভার
ভারী বালা হাতে কার?
‘ম’ বলে, “গা রে, মা;
‘আয় আয় চাঁদ মামা’।”
প – ফ – ব – ভ – ম ॥
এই কটি অক্ষরে
শেষ হলো ছড়া বলা।
ছড়ায় ছড়ায় হলো
মা’মণির ক-খ শেখা।
বাবা বসে গুণে দিন
আদরিনী কবে তার
গা’বে গান কোলে চড়ে।
“চাদের কপালে চাদ
টিপ দিয়ে যা॥”
পাদটিকা:
আমার দশ বছরের মেয়েটি বায়না ধরলো তাকে বাংলা অ্যালফাবেটের গান শোনাতে হবে। এই প্রথম তার বাবা-মা আর তেরো বছরের আপুর সাথে বাংলাদেশ দেখতে আসা। মনে পড়লো আমার ছোট্টবেলায় শোনা মিঠু-মন্টির অসমাপ্ত ছড়াটি। ওটিতে শেষ অন্তরাটুকু এভাবে জুড়ে দিলে ওকে শোনাবার জন্য কেমন হবে?
ভাইয়া আমার কাছে পুরো লিরিকটা আছে। আমি পরে এখানে লিখে দেব।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
ভাইয়া, তাহলে খুব ভালো হয়। (সম্পাদিত)
লিরিকটা নিচে দিলাম। ছোট-খাটো কিছু ত্রুটি থাকতে পারে
ক- এ কলা
খ- এ খাই
এত বেশি খেতে নাই
গ- এ গরু
ঘ- এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস ?
ঙ বলে কোলাব্যঙ সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ
ক খ গ ঘ ঙ ।।
চ- এ চোখ
ছ- এ ছল
চোখ দুটো ছলছল
জ- এ জল
ঝ- এ ঝিল
কত জল ঝিলমিল
ঞ বলে মিঞা ভাই ভয় নাই ভয় নাই
চ ছ জ ঝ ঞ ।।
ট- এ টুপি
ঠ- এ ঠিক
হেরে গেলি ঠিকঠিক
ড- এ ডাল
ঢ- এ ঢোল
ডাকে ঢোলে সোরগোল
তালু আর জিভে মিলে হল মূধণ্য ণ ।
ট ঠ ড ঢ ণ ।।
ত- এ তুমি
থ- এ থামি
থামব নাকি আমি
দ- এ দাঁত
ধ- এ ধার
কার দাঁতে কত ধার ?
দাঁতে আর জিভে মিলে হল দন্তন্য ন ।
ত থ দ ধ ন ।।
প- এ পাপ
ফ- এ ফল
রাজা গেল রসাতল
ব- এ বোন
ভ- এ ভাই
কত বোন কত ভাই
ম- এ মাটি
ম- এ মা
মাটি আমার মা
প ফ ব ভ ম ।।
য- এ যাবে
র- এ রথ
রথ যাবে ছাড়ো পথ
ল- লাল
ব- বাতি
জ্বলছেরে লালবাতি
তালব্য শ- এ বলে বেশি বেশি কেন নেবে ।
য র ল ব শ ।।
তালু আর
জিভে মিলে
মুর্ধ্যণ-ষ
দাঁতে আর
জিভে মিলে
হ্য় দন্ত-স
ষ-এ ষাড়
স-এ সাত
পালা সাপ
ওরে বাপ
ঝোপ বুঝে কোপটা মারব।।
হ-এ হাতি
ড়-এ বড়
হাতি দেখ কত বড়
ঢ-এ ফোটা দিলে ঢ়
মধু বড় গাঢ়
ৎ-এ কুপোকাৎ
মাৎ করে বাজিমাৎ
অ আ চন্দ্রবিন্দু।।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
:thumbup: :thumbup:
ডিস্ক্লেইমার: মন্তব্যের অবস্হানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। মেডিক্যাল অফিসার (আমাদের সময়কার গুল্লি) নাই বলে হয়তো। দয়া করে যার যার জবাবটা খুঁজে নিয়ে পড়ে নেবেন।
আহমদ ভাইয়া, তোমারটা একেবারে কমপ্লিট। দুটো মিলে আমাদের বাপবেটির কাজ ভালোই চলবে। তোমার জন্য বড়সড় ‘ধন্যবাদ’!
আজহার দারুন হয়েছে!!!
রমিত, দারুণ হয়েছে জেনে দারুণ লাগলো! (সম্পাদিত)
(সম্পাদিত)
প্রথম ব্লগ লেখার শুভেচ্ছা আজহার ভাই।
ছড়াটা ভালো লেগেছে।
আপনি কি ছোটদের জন্য লেখেন?
ছোটদের জন্য কম লোকেই লেখে।
আশা করি আরো আরো লিখবেন এখানে।
নূপুরদা, আপনার শুভেচ্ছা সাদরে গৃহীত হলো। কিছু লিখলে এখানেই আগে আসবে!
ভালো লাগলো ছড়াটি পড়ে আজহার ভাই। 😀
ভালো লাগলে খুব ভালো!