কি ভাবছেন? আমি ভুল করে একুশে না লিখে পঁচিশে ফেব্রুয়ারী লিখেছি? উত্তরটা অতি শীঘ্রই জেনে যাবেন। আজ আমি সিসিবি তে প্রথম লিখছি….. তাও আবার বাংলায় ! আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে আমাদের এখানে একটি লোকাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্বটি আমার উপর ন্যস্ত হলো। কোরাসের জন্য বাছাইকৃত গানগুলো স্বহস্তে লিখার পর ফটোকপি করার দায়িত্বটিও আমারই উপর অর্পিত হলো। যখন “মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল”
বিস্তারিত»ফুটবল এবং সমান্তরাল
ফুটবল আর হিন্দী সিরিয়ালের মধ্যে আসলে কোন পার্থ্ক্য নাই। আসলেই নাই।
হিন্দী সিরিয়ালে সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে কূটনামী শিখানো হয়, আর ফূটবলে লাত্থালাত্থি। দুই মিনিট বসে থাকলে আপনি ছয়টা লাত্থির ঘটনা দেখবেন, তার মধ্যে দুইটা রেড কার্ড পাইসে, তিনটা হলুদ কার্ড, একটাতে তিনজন একসাথে উলটায় পড়ে পাছুতে ব্যথা পাইসে। আর হিন্দী সিরিয়ালে দেখবেন মাল্টি ডাইমেনশনাল কূটনামী, কোন দিক দিয়ে কি হয়ে গেল আপনি নিজেই ধরতে পারবেন না।
বিস্তারিত»আমার এবং আমাদের সন্তানের জন্য আমার শিক্ষানীতি -২
: মামনি, বল, এ ফর এ্যাপেল, বি ফর বল, সি ফর ক্যাট, ডি ফর ডগ। কি হল, বলছনা কেন, বল…এখন খেলা রাখোতো, বল…
হাতের পুতুলটি কে নিয়ে খেলতে খেলতেই শিশুটি বলল,
: মা এ ফর এ্যাপেল মানে কি?
: এত মানে বঝার দরকার নাই, আমার সাথে বল, এ ফর এ্যাপেল…
: মা, “এ” মানে কি?
: আহহা, বড় বেশি জ্বালাতন করছ…
স্মৃতি তুমি বেদনা
ক্লাস এইট থেকে নাইনে উঠবো…তখন ভূগোল বলে মহা বিরক্তিকর একটা সাবজেক্ট ছিলো এবং সবচেয়ে মেজাজী এবং মুডি এবং ভয়ংকর ম্যাডাম-রাও ছিলেন ভূগোলের টিচার। যাই হোক , তখন নিয়ম ছিল টার্ম এন্ড এর ছুটিতে যাবার আগে ফর্মলিডাররা সব টিচারদের কাছে যেয়ে যেয়ে ছুটির বাড়ির কাজ যোগাড় করবে এবং ছুটির মধ্যে সেইগুলা শেষ করে আনতে হবে। এমনেই ছুটি মাত্র কয়েকদিনের তারপরে আবার কবে বাসায় রেজাল্ট যায় তার চিন্তা,
বিস্তারিত»আমার এবং আমাদের সন্তানের জন্য আমার শিক্ষানীতি
পড়াশুনা এবং পাঠ্যপুস্তকের প্রতি অনীহা আমার বরাবরই। অন্যান্য বাবা মায়ের মত আমার মা বাবা ও দাবী করেন যে ছেলেবেলায় আমার ব্রেইন নাকি দারুণ সার্প ছিলো। ক্লাস ফোরের পর্বশেষ পরীক্ষার আগের সন্ধ্যার ঘটনা, মা সিলেবাস হাতে নিয়ে দেখেন আমি কিছুই পারি না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রচন্ড রাগারাগি করলেন এবং এক পর্যায়ে যথারীতি আমার উদ্ধারকারী জাহাজ “হামজা” অর্থাৎ আমার বাবা এসে আমাকে মায়ের বকুনীর হাত থেকে রক্ষা করে নিয়ে গেলেন।
বিস্তারিত»নারী
আমি নারী, গর্বিত তাই আমি।
আমি বহুরূপী বহু বর্ণা, যেন সরলা এক ঝর্না।
আমি মায়াবী, আমি রহস্যময়ী,
আমি মঙ্গলকামিনী দ্বীপান্বিতা।
আমি নারী,
তাই হতে পারি দূর্গা, কখনো কালী।
আমি লক্ষী, আমি বধু,
হতে পারি প্রেমিকা শুধু।
কখনো অকুন্ঠিতা, উদার… ঝরে যাই বৃষ্টির মত।
পরিপূর্ন হতে জানি নিজেকে নিঃস্ব করে।
আমি ভালবাসি, ভালবাসতে শেখাই।
বিস্তারিত»ICCLCM এবং আমাদের “মুন্না ভাই”
ক্লাস সেভেনের ট্যালেন্ট শো তে যখন সুমী আপা খুব ক্ল্যাসিকাল ঢঙ্গে “শ্যামা তন্বী আমি মেঘ বরনা” গান টি শিখালেন, তাও আবার হারমনিয়াম বাজানো সহ, তখনো বুঝিনি গান জিনিসটি কে এত ভালবেসে ফেলব সারা জীবনের জন্য। কিন্তু ভালবাসলেও এর যথার্থ মর্যাদা আমি দিতে পারিনি। বাবার ভীষন শখ ছিল গানটা কে সব সময় চর্চায় রাখব, গলায় স্বরস্বতী না থাকলেও সুর মনে হয় ছিল, তা না হলে ICCLCM গুলোতে যতবার গিয়েছি,
বিস্তারিত»বন্ধ হওয়ার পরও পিসি তে ফেসবুক ইউজ করা এবং ফুল ফেসবুক সাপোর্ট এর উপায়
বন্ধ হওয়ার পরও পিসি তে ফেসবুক ইউজ করা এবং ফুল ফেসবুক সাপোর্ট এর উপায় :
যা করতে হবে তা হলঃ নিচে freegate সফটওয়ার এর লিঙ্ক দিয়েছি,ওটা ডাউনলোড করে নিন।তারপর জাস্ট freegate ক্লিক করে ওপেন করুন।এরপর সরাসরি ইন্টারনেট ব্রাউজার বা গুগল ক্রোম ওপেন করে জম্পেস ভাবে ফেসবুক ইউজ করুন।কিন্তু যারা মজিলা ফায়ারফক্স ইউজ করছেন তারা অপশন এ গিয়ে ইন্টারনেট সেটিংস চেঞ্জ করুন এবং “use proxy”অপশন সিলেক্ট করে “ok”.freegate হয়তো নতুন ভার্সন আসলে তা নিজে থেকেই আপডেট হবে।
বিস্তারিত»নতুনের আগমন
দিন আসে দিন যায়। সময়ের ঘোড়সওয়ার আমরা পুরাতন হতে হতে নতুনদের দেখি। আবার আশান্বিত হই। উদ্বেলিত হই। নিজের এক হাতের জায়গায় দশ হাতের অস্তিত্ব অনুভব করি। একতাই বল – সেই ছোটবেলায় শেখা বাণীটার মর্ম অনুধাবন করি। স্বপ্ন শাণিত করি। ভাবনায় ভেসে উঠে – হবে। যা হওয়ার কথা ছিল, হয়নি – তা হবে। যা হওয়ার কথা – তাও হবে। নতুন প্রাণ, নতুন আশা। আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখা।
বিস্তারিত»ঐতিহাসিক দিন
আজ থেকে ১৬ বছর আগে।
এই দিনে।
একদল নিরপরাধের জেলের শাস্তি হলো। তারা জানেও না কেনো। কিন্তু আদেশ যেহেতু হলো যেতে তো হবেই।
তাই তারা ভয়ে ভয়ে জেল খানায় গেলো। কিন্তু তারা জানেও না এই জেলখানার সময়টাই তাদের জীবনের সেরা সময় বলে গন্য হবে। মেয়াদ এর পর সবসময় আফসোস হবে এই সময়টার জন্য। এই কয়েদীরাই সবচেয়ে কাছের হবে তাদের জীবনে।
হ্যা,
অতঃপর সেই আমি-২
পার্ট ১ এর পর ২ নং টা ছাড়লামঃ
পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন
ছোট্ট একটা মফস্বল শহর।১৯৬৫ সাল।পূর্ব পাকিস্তানের নরসিংদী এলাকার শ্রীনগর।এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পাশাপাশি দুটি বাড়ী।তার একটা জলিল সাহেবের অন্যটা রনজিত সাহার।ধর্মে ভিন্ন হলেও তাদের অন্যান্য কিছুতে তারা ভিন্ন নয়।দুজন একই অফিসে চাকরী করেন।গত আট বছর ধরে তারা পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।দু’ পরিবারে বেশ ভাব।যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক কাজে সবাই যেন পরস্পরের জন্য নিবেদিত প্রান।জলিল সাহেবের পরিবারে আছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে।জলিল সাহেবের দুই ছেলের মাঝে একজন আমার বড় ভাই ফারুক অন্যজন আমি।রনজিত সাহার দুই মেয়ে,জয়িতা আর সুনন্দা।জয়িতার বিয়ে হয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে।সুনন্দা আমার সাথে কলেজে পড়ে।সুনন্দাকে আমি সুনু বলেই ডাকি।অন্যান্য মেয়েদের চাইতে সুনু একটু আলাদা।তার মাঝে একটা অন্যরকম ভাব আছে যা অন্যদের মাঝে নেই।সুনুর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হল সে হাসলে গালে টোল পড়ে।ওর মায়াভরা মুখটা আমার সবচেয়ে আপন লাগে।হাসির মধ্যে একটা শিশুসুলভ ভাব রয়েছে।যদিও ছোটবেলায় ও বেশ মোটা ছিল কিন্তু ও যেন দিনদিন আমার কাছে আলাদা রকম আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।জানিনা আমার আকর্ষন বোধটা অন্য মেয়েদের চেয়ে ওর প্রতি এতটা বেশী কেন।হয়তোবা ওর সেই অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের জন্যই।আমরা আলাদা ধর্মের হলেও কখনও সুনু কিংবা আমি পরস্পরকে আলাদা ভাবিনি।মোটকথা সুনন্দাকে আমার বেশ ভাল লাগে।তবে ওকে নিয়ে আমি কখনও সেরকম ভাবনা ভাবিনা।সেরকম ভাবনা বলতে আমি ভালবাসা কিংবা প্রেম-টেম বোঝাচ্ছিনা,আমি বলতে চাইছি আকর্ষনের ব্যাপারটা।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন (০২-০৮)
আমরা কলেজে ঢুকি ২০০২ সালে ৭ই মে। সেইদিনের সব কথা আজও মনে আছে। গাইড হিসেবে মেহেদী ভাই এর আমাকে হাউজে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাউজ মাষ্টারের সাথে দেখা করা আমাকে রেখে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আম্মুর কান্নাকাটি আরো কত কিছু। রাতে প্রথম বারের মত কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়া, ম্যানু টাও এখনো মনে আছে ডিম ছিল। :dreamy:।
রাতে রুমমেট মুস্তো আর রেজার শহীদ কোচিং নিয়ে গল্প।
দিনবদলের স্বপ্ন
আমার কন্ঠে সূর নেই,
তবু গাইবো
অন্ধ আমি তবুও
দেখতে চাইবো
বধির আমি যে তবু জেদ
গান শুনবো,
ক্যাডেট কলেজ ডে উদযাপন ও কিছু কথা…..
Disclaimer: এখানে বলা সকল কথা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত।কাউকে দায়ী করার জন্য বা কারো দায়িত্ববোধ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা আমার উদ্দেশ্য নয়,তাই আমি চাইনা এই কথাগুলো নিয়ে কোন বিতর্ক হোক।আমার কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাই আমার উদ্দেশ্য,তাই সবাই নিজ গুনে আমার অজ্ঞতা মাফ করবেন।
গত ২৮শে এপ্রিল ছিলো ক্যাডেট কলেজ ডে।২৫ তারিখে এক বড় ভাই জানালেন যে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে নাকি তা ৩০শে এপ্রিল উদযাপন করা হবে।তাই ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের পক্ষ থেকে রংপুর ওল্ড ক্যাডেটস এসোসিয়েশন (ROCA) এর জন্য বরাদ্দ করা কিছু কার্ড জুনিয়র ব্যাচের ছেলেদের মাঝে ভাগ করে দেয়ার দায়িত্ব পড়ল আমার উপরে।এই দায়িত্ব পালন কালে এবং এই প্রোগ্রামে গিয়েই আমার মনে কিছু প্রশ্ন আসে ও নানাজনের কাছ থেকে কিছু প্রশ্ন পাই যে প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা তো নেইই বরং অন্য কারো কাছেই সদুত্তর পাইনি।তাই সিসিবির কাছেই আশ্রয় নেয়া এবং এই লেখার অবতারণা করা।
বিস্তারিত»আবার আমিঃ নতুন ছুটি নতুন কথা
এসে পড়েছি আবার! অনেক লেখা জমে আছে, পড়াও অনেক… সব্বার দোয়া চাই!
বিস্মৃতি
তেপান্তরের দূর্গ মাঝে
কঠিন কারাগার
চারপাশে তার কঠিন সাগর
নেইকো পারাপার
কোন সে পাষাণ সূখ দেবতার
বন্দিনী রাজকন্যা
সূখের মায়ায় ভিলিয়ে দেয়া
মনের আনাগোনা
মিথ্য সুখের অন্ধ মোহে
বৃথাই ছোটাছুটি
মিথ্যে হাসা, গল্প বলা
মিথ্যেই খুনসুটি
আজকে তারও পড়েনা মনে
যুগান্তেরও আগে
ভুলিয়ে দেয়া সুখের স্মৃতি
স্বপ্ন মতন লাগে
সেই কন এক রাতের স্মৃতি
বাঁধভাঙা সেই চাঁদ
ভালোবাসায় ছুঁয়েছিলো
অচেনা এক হাত
একটি দুটি কথায় কথায়
হাজার কথা বলা
মনের মাঝে জট পাকানো
দুঃখগূলো খোলা
চোখের পরে রাখতে আঁখি
পরাজয়ের গ্লানি
তবুও সেই উষ্ণ আবেগ
আপন কতোখানি!