দশটা কুখ্যাত কলেজের দশটা বছর পার করে দেয়া…

আজকে যদিও বুধবার, তাও আমরা সেজেগুজে কালচারাল ফাংশন দেখতে আর স্পেশাল ডিনার খাইতে গেলাম।

তার আগে সন্ধ্যা বেলায় হলো মুড়ি পার্টি, সেই আগের মত দুই হাত ভরে মুড়ি নিয়ে এসে
উপরটা চেটে দেয়া, যেন আর কেউ না নিতে পারে…এবার অবশ্য আমি ভালু মেয়ে
ছিলাম, নিজেই দুহাত ভরা মুড়ি নিয়ে নিয়ে এসে সবাইকে দিয়েছি…ভুটি, মনে আছে, তুই কেমন খাইষ্টা ছিলি? চেটে দিলেও তুই নিয়ে খেয়ে ফেলতি?

বিস্তারিত»

আনলাকি তেরতম জন্মদিন বিষয়ক আজাইরা পোস্ট

আজ আমাদের ব্যাচের জন্মদিন। গতকাল দুপুরে আমার অফিসের তেরতলার উপর হতে বৃষ্টির শুভ্রতরঙ্গ কেবল তেরবছর আগের (একদিন কম) একটি দিনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। আমি অবশ্যি এমনিতে একটু বেরসিক আর কাঠখোট্টা স্বভাবের লোক। আবেগ খুব বেশি আমাকে ছোয় না। বৃষ্টি দেখে আমার বন্ধুদের চরম রোমান্টিক মূহুর্তে আমি “কিছুই লাগে না” জাতীয় নির্লিপ্ততায় অনেকের বিরক্তির কারণ হয়ে যাই । কিন্তু কিছু জায়গায় চরম বেরসিকেরও একটু ধাক্কা লাগে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট ফারজানার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করুন

“ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের মেধাবী ছাত্রী ফারজানা ইয়াসমিন লতার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। দেশের কয়েকটা নামকরা হাস্পাতালের চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর ফারজানাকে পাঠানো হয় টাটা মেমোরিয়াল হাস্পাতালে। সেখানে রোগীর পেছনে ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। কিন্তু মারণব্যাধি থেকে মুক্তি পায়নি ফারজানা। বর্তমানে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য পুনরায় তাকে ভারতের মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ব্যায়বহুল চিকিৎসার ফলোআপ করাতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ফারজানার পিতা-মাতা।

বিস্তারিত»

এবং আমিও

নেট নাই, অন্যের পিসি থেকে খামচা খামচি করে করে মাঝে মাঝে ঢুকি। ঢুকে অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাই, কোন লিখা রেখে কোন লিখা পড়ব…..তবে আমার কপাল যে এত ভাল সেইটা মনে হয় আগে বুঝি নাই, সেইদিন ঢুকেই আল্লাহ পাক সেই পোস্টটা চোখের মুঠায় এনে দিল।
পৃথিবীর যত মোবাইল আছে সবগুলা থেকে মেসেজ পাঠায়ে চুপচাপ বসে থাকলাম, উপরে আল্লাহ নিচে লাবলু ভাই, এবং একদিন রাত এগারটায় আমার অতি সাধের ঘুম ভাঙ্গায়ে তার চেয়েও সাধের কলটা আসল।

বিস্তারিত»

বন্ধু কী খবর বল!

তানভীরটা কেমন যেন অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। আগে সারাদিন সিসিবিতে বসে বসে ‘দিনের সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী’ হবার জন্যে কম্পিটিশন করতো আমার আর টিটো’র সাথে। এখন কালে ভদ্রে দেখা যায়। মাউস টিপে ইমো দিয়ে চলে যায়। ফোনে জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘অফিসে এতো কাজের চাপ রে দোস্ত …… সময় পাই না।’ আমি সারাদিন অন প্যারেডে বসে বসে ভাবি তানভীর কবে আবার অফিসের কাজের চাপ থেকে ফ্রি হবে ! কবে আমরা আবার পোস্ট ভর্তি কমেন্ট করবো !!

বিস্তারিত»

আমরা এদের সবাইকে চিনিতো?

বেশ কিছুদিন ধরেই একটা লেখা পড়ার পর নিজের ভেতর অনেক প্রশ্ন জমে ছিল।
কিছুই কি হবেনা?
কোন বিচার হবেনা? সত্য ঘটনা জেনেও আমরা চুপ থাকব?
আমরা এতই অসহায়?
শুধু টক শো করলেই সমাধান আসবে?

এটা পড়ার পর সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো ।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ ও আমার হতাশা

নিজের দেশকে ভালবাসি – একথা আমি কখনও সরাসরিভাবে স্বীকার করিনি। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমাদের দেশের লোকদের মাঝে বিদেশে যাওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করে। বিদেশে পড়তে যাওয়া, বিদেশে চাকরি পাওয়া, প্রবাসী বাংলাদেশী বিয়ে করা ইত্যাদি অনেকের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হয়ে পড়ে এবং এইসব কার্যক্রম সাধারণত সফলতার দাড়িপাল্লায় পড়ে।

আমার মা-বাবাও ব্যতিক্রমধর্মী নন, আমি ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময় থেকেই তাদের বড় সখ তাদের মেয়েরা স্কলারশীপ পেয়ে বিদেশে পড়বে।

বিস্তারিত»

আমি লিখতে পারিনা।

মোট কথা আমি লিখতে পারিনা। বাংলা লিখার চর্চা সেই ক্লাস টেন এর পর আর হয় নাই। মজা করে লিখার প্রশ্নই আসেনা, কারন ফাইজলামো ছোটবেলা থেকেই একটু কম করি। সাহিত্যিক ব্লগার ভাই বোনেরা আমার লিখা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন, আপনাদের ফাটাফাটি সুন্দর লিখাগুলো পড়ে আমি এতদিন কিছু লিখার সাহস করি নাই।

আমাদের বাসায় জগাখিচুড়ি অবস্থা। বাসা বদলি হচ্ছে। আমার আম্মু খুব গোছালো টাইপের মানুষ,

বিস্তারিত»

মনে পড়বে

আমাকে আজ কারোর মনে নেই…
অনেকদিন জোছনা উঠেনা,
তাই আমি আজ বিচ্ছিন্ন।

অচিরেই ইন্দু জোছনা বিলাবে,
রুপোলি চন্দ্রিমায় ভরে যাবে প্রান্তরময়;
হয়তোবা সেদিন তুমি আমায় ভুলে যাবে,
কিন্তু আকাশে চাঁদ হাসবে।

বিস্তারিত»

জেন্টল্‌ ক্যাডেটস!

আমি আমার আগের লেখাতেই বলেছিলাম ক্যাডেট থাকা অবস্থায় বাইরের মেয়েদের সাথে আমাদের চিন্তাধারার অনেক পার্থক্য ছিল। কলেজের নিয়মকানুন আর ব্যস্ততার জন্যই হয়তোবা নিয়ম ভাঙার বিষয়গুলো আমাদের অনেক বেশি আকৃষ্ট করত।

আমরা যখন ক্লাস টেন এ পড়ি, কোন এক ছুটিতে আমার কাজিনদের একজন ইটালি থেকে এসেছে। সঙ্গে এসেছে তার ছোট বেবিটা। আমাদের সব কাজিনদের গেট টুগেদার হচ্ছে বড়খালার বাসায়। ওখানে আমাদের একজন আরেকজনকে পঁচানোর উপায় ছিল ‘কুদ্দুস’ বলা।

বিস্তারিত»

আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া… গান ছাড়া

ক্লাস ইলেভেনে প্রথম টার্মটা আম চুরি, করমচা চুরি এসব টুকরো টুকরো ইনডিসিপ্লিন কাজ দিয়েই শেষ। এবার ২য় টার্মটাও বেশ কর্মবিহীন যাচ্ছে। সবার মনে তাই কিছুটা ভাব জেগে উঠেছে, বেশির ভাগ ওয়াকম্যানে গান শুনে সময় কাটাচ্ছে। আমাদের ডর্মে আমি আর কানিজ লেখালিখি করতাম। ক্লাস সেভেন থেকেই তাই আমাদের অবসরটা লেখালিখি করে ভালোই কাটছে।

একদিন দেলোয়ারা ম্যাডাম ডি.এম. ছিলেন, উনি হঠাৎ করে আমাদের ব্লক সার্চ করে সব ওয়াকম্যানগুলি সিজ করে নিয়ে গেলেন।

বিস্তারিত»

এই দূর পরবাসে তারা গুনি আকাশে আকাশে…

ওয়াশিংটন ডিসি তে আছি প্রায় তিন মাস হল। গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলস গিয়েছিলাম স্প্রিং ব্রেকে, দারুন একটা শহর! ফেরত এসেই ওয়াসি আঙ্কেলের(অরকা সেক্রেটারি, USA) ফোন-পরের মাসের আপডেট।

গোড়া থেকেই বলি। জানুয়ারী ৭ তারিখ জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে আসার পর পুরাই মাথা খারাপ হবার জোগাড় হয়েছিল আমার! মানুষ, রাস্তা-ঘাট কিছুই চিনিনা, গলা দিয়ে খাবার নামেনা (এখানকার খাবার অখাদ্য!), সবচেয়ে বড় কথা- তীব্র শীত! (আসলে সবচেয়ে বড় কথা হলো বাথরুম…)!

বিস্তারিত»

চুরি কাহিনী (২)

আগেরটা ছিল সত্য হাউজের আমচুরির ঘটনা। তারা যেহেতু ব্যর্থ তাই এবার সদাচার হাউজের সবচেয়ে দুষ্টু ক্যাডেট কিন্তু ট্যালেন্টেড আর সত্য হাউজের বাদরদের অন্যতম একজন উদ্যোগী হয়ে উঠল আম চুরির ব্যাপারে। নতুন এডজুটেন্টের অহেতুক ভাব আর সহ্য হচ্ছে না তাই তাকে ব্যস্ত রাখতে হবে নিয়ম ভেঙে আর সেটা শুধু ক্লাস 11-ই পারে।

এবার শনিবারে ক্লাস শেষে লাঞ্চ করে সবার শর্ট ওয়ে তে হাউজে ফেরার কথা,

বিস্তারিত»

চুরি কাহিনী (১)

ছেলেদের কলেজের বন্ধুদের কাছে শুনেছি তারা নাকি ডাব চুরি করে, কলেজ পালায় ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা যেহেতু মেয়ে তাই আমাদের পক্ষে কলেজ পালানোটা সম্ভবপর ছিল না। উপরন্তু নিজেদের সিকিউরিটির একটা ব্যাপার ছিল। তাই ডাব চুরি মাথায় ঘুরতে থাকল। কিন্তু ফলিনের পাশে (broad way) তে দাড়িয়ে থাকা নারিকেল গাছ গুলির দিকে তাকিয়ে আমরা বেশ কজন মনে বেশ দুঃখ নিয়ে ভাবতে লাগলাম – এত লম্বা গাছে ছেলেরা ক্যামনে উঠে?

বিস্তারিত»

চুরি কাহিনীঃ প্রিলিউড

[এই ব্লগটি যারা পড়ছেন তাদেরকে যদি একাদশ/দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়মভাঙার গল্প বলতে বলা হয়, তাহলে আপনারা কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবেন তাই নিয়েই হয়তো দ্বিধান্ধিত হয়ে পড়বেন। কারণ এদিক দিয়ে আমাদের (মগকক) চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ আপনাদের গল্পের ঝুড়ি; লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া বা কলেজ পালিয়ে খেজুরের রস চুরি করতে যাওয়া। গল্পগুলি আসলেই অনেক মজার। কিন্তু একজন এমজিসিসিয়ানকে যদি তার ক্যাডেট লাইফের কিছু নিয়মভাঙার গল্প বলতে বলা হয় তাহলে সে রীতিমত চিন্তায় পড়ে যাবে কারণ দেখা যাবে তার গল্পের ভান্ডার প্রায় শুন্য (কারণটা একটু পরেই বলছি)।

বিস্তারিত»