মানুষটা সিসিবি থেকে নাই হয়ে গেছে অনেক আগেই। পৃথিবীটা বড় পরিবর্তনশীল, কখন কি হয় কেউ বলতে পারে না। একটা সময় যেমন আমরা ভাবতেই পারতাম না আমাদের পোস্টের প্রথম কমেন্টটা দিহানাপ্পুর হবে না। কোনদিন বলি নাই, আজকে বলি, আমার পোস্ট দেয়ার সময় আমি অনেক্ষণ বসে থাকতাম, যেই দিহানাপ্পু অনলাইন হত, আমি তখন পাবলিশ বাটনে টিপি দিতাম, মানুষটা ফার্স্ট হতে খুব পছন্দ করত যে।
জীবনের টুকরো দেশবিদেশে (আমার সোনার বাংলা)
(আমার ‘অতীত বয়ান কেউ যদি শুনতে চায়’ সিরিজটার নাম বদলে ‘জীবনের টুকরো দেশবিদেশে’ করলাম। বানান চেক করতে পারিনি। দুঃখিত সে জন্য।)
১
দেশে আসলাম প্রায় তিন বছর পর। প্রবাসে দেশে যাচ্ছি বললেই এরকম কথা শোনা যায়
‘গরমে সিদ্ধ হবে।’
‘মশার যন্ত্রণা।’
‘আইন শৃখংলা পরিবেশ খুব খারাপ। আমার অমুক আত্মীয় দেশে যাওয়ার পর পরই ডাকাতী/ছিনতাই এর কবলে পড়ে।’
‘কোথায় যাওয়া যায় না।
কামব্যাক পোস্ট
এইখানে সামার মানে আনন্দ আনন্দ আর আনন্দ। সবাই ক্যালেন্ডারের পাতা দেখে জামা কাপড়ের দৈর্ঘ্য কমায় আর কাজ কর্ম শিকেয় তুলে বেড়াতে বের হয়ে যায়। সবচেয়ে মজা হয় সকালের দিকে পার্কে বা মাঠে গেলে। ডে-কেয়ার সেন্টারের আন্ডাবাচ্চাগুলোকে একটার পর একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে একসাথে শিকলের মতো করে নিয়ে ঘুরতে বের হয় প্রায়ই। কি বিচিত্র তাদের কান্ডকীর্তি তা না দেখলে বলে বুঝানো আমার কর্ম না। আমি আর তৌফিক একসাথে বের হলে এদের দেখি আর হাসি,
বিস্তারিত»বিদেশফেরৎ একজন অশিক্ষিত…
নিজেকে হারাতে কেমন লাগে মানুষের? তাও বারবার সে যদি ভুলে যায় আসলে সে কি ছিল, কিংবা সে কি চেয়েছিল যখন সে ছোট্ট রাজকন্যা ছিল, তার ছোট্ট বাসাটাই তার রাজত্ব ছিল। তারপর একদিন এক রাজপুত্তুর এসে নিয়ে যাওয়ার মতন করে গোটা জগৎটা তাকে হুড়ুম করে নিয়ে গেল তার রাজত্বের বাইরে…সে দেখলো ছোট্ট মুখ হাঁ করে, কি আজব, কত নতুন নতুন সমস্যা, কত নতুন নতুন তার সমাধান,
বিস্তারিত»একটি হৃদয়স্পর্শী প্রেমের উপন্যাস (নাম খুঁজছি)
পর্ব – ২
হাকিম চত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ১৯৮৬
রোকেয়া হল থেকে বেড়িয়ে একটু হাটলেই হাকিম চত্বর। দুপুরের পর থেকে অনেক রাত পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের আনাগোনায় এ জায়গাটা কোলাহলমুখর হয়ে উঠে। সকালের দিকটায় কিছুটা নিরিবিলি থাকে। দেশের রাজনীতির সাথে সাথে এই বছর গ্রীষ্মও খুব উতপ্ত। তবে সকালের রোদটায় তেতে উঠতে কিছুটা সময় নেয়। চারপাশে একটু মিষ্টি মিষ্টি আমেজ ছড়িয়ে আছে। বসে আছি প্রকাণ্ড কড়াই গাছটার নিচে।
বিস্তারিত»একটি হৃদয়স্পর্শী প্রেমের উপন্যাস (নাম খুঁজছি)
পর্ব(-১)
ফলসম, ক্যালিফোর্নিয়া -জুন, ২০০৮
জুনের প্রথম সপ্তাহেই একদম চাঁদি ফাটা গরম। চারপাশের পাহাড়ের সবুজ ঘাস জ্বলে শুকনো খড়ের মতো হয়ে গেছে। আর কিছুদিন পরে পাহাড়গুলোর গায়ে একটুও সবুজ থাকবে না। খোলস বদলে হয়ে যাবে মেটে। ক্যালিফোর্নিয়াতে ম্যাপল গাছ আর পাহাড় এই দুটোর দিকে তাকিয়ে সাথে সাথেই বলে দেওয়া যায় এখন কী ঋতু চলছে। এ দেশে শীতকাল আর বর্ষাকাল একসাথে মিশে গেছে।
বিস্তারিত»কম্পিউটারঃ আরেক তথ্য বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে
শিরোনামে যা লিখেছি তা একটি বহুল প্রচলিত বাক্য। বাংলাদেশে আমি কোন পরীক্ষক হলে এই বাক্যটি একটা বাংলা পরীক্ষায় ভাবসম্প্রসারণ করতে দিতাম।
যে প্রশ্নগুলো মাথায় আসে তা হলোঃ
তথ্য বিপ্লব কী?
তথ্য বিপ্লব হলে কী হয়?
দ্বারপ্রান্ত মানে কোন প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকবো ঢুকবো অবস্থায় আছি – প্রবেশদ্বারের ওপারে কি আছে?
শেষ কথার এক কথা আমি কোন মারফতী মানের ধার ধারি না,
অনুবাদঃ পাকিস্তান কিভাবে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেঃ কয়েকটি সাক্ষ্য
[কয়েকদিন আগে ই-লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পড়ছিলাম। পড়ার পর মনে ভীষণ চাপ পড়ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। বইটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড এফেয়ার্স কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। মোট ২৬ টি সাক্ষ্য এতে আছে। আমি শুধু প্রথমটাই অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। অনুবাদের দূর্বলতা হয়তো পুরো অনুভূতি তুলে ধরতে পারেনি, সেটার দায় আগে থেকেই মেনে নিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের ছবিটা ওই স্ক্যান করা বই থেকে নেয়ার কারণে এত খারাপ অবস্থা।
বিস্তারিত»ঘুড়ি ২৯
…u can not make people listen to u, they are so busy preaching their own religion..interestingly u are not hearing too, coz, u hav your own.
সব মানুষকে মনের কথা খুলে বলা যায় না…মানুষ তার নিজের মনের কথাটা শোনাতে এত ব্যস্ত থাকে যে, তোমার কথা গুলো তার মাঝে হারিয়েই যাবে। তার বক্তব্যের চাপে তোমার সহজ সরল অভিজ্ঞতা গুলো, ভুল প্রমাণিত হয়ে মিথ্যে হয়ে যাবে।
বিস্তারিত»ডাকাডাকি পোস্ট
পোস্টটা শুরু করতেসি আমার দিহানাপুর কথা মনে করে। দিহানাপু, আমি গরীব মানূষ, মোবাইলে টাকা থাকে না জন্য তোমাকে ফোন্দিতে পারি না। কিন্তু প্রতিটা দিন আমি তোমার কথা মনে করি, বিশ্বাস করো, চাপা ছাড়তেসি না…প্রতিটা দিন…
ধুমায় পড়াশুনা করতেসি…এই সেমিস্টারে ভালো রেজাল্ট করতেই হবে এমন একটা ভাব…সারাদিন কাজকাম করসি, মাঝে মাঝে ফেসবুকে ঢুকে পড়তেসি জন্য মাত্র ফেইসবুক ডিএক্টিভেট করলাম। এরপর সিসিবিতে এসে দেখি টিটো ভাইয়ের লেখা,
বিস্তারিত»অতীত বয়ান কেউ যদি শুনতে চায় (জীবন যেরকম)
১
অনেক আগে বয়স যখন পনের-ষোল ছিল তখন সুনীলের একটা উপন্যাস পড়েছিলাম। বইটির নাম ‘জীবন যেরকম’। উপন্যাসের একটি চরিত্রের নাম ছিল শান্তা। একটি চরিত্র আমার মিতা ঠিক এ কারনে নয়, উপন্যাসটির ঘটনার বুনন আমাকে পড়ার সময়টুকুতে মোহাবিষ্ট করে রেখেছিল। অক্ষর দিয়ে বোনা চলচিত্র। মনে হচ্ছিল চরিত্রগুলো সত্যি সত্যি শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। সুনীলের এই এক বাহাদুরী। এই বইটি আমার ব্যক্তিগত লাইব্রেরীতে ছিল না। কার থেকে নিয়ে পড়েছিলাম তাও মনে নেই।
মন ভাল করার ১০১টা উপায়…(ভ্যালু নাই বলে মাঝের শূন্যটা বাদ)
এই লেখাটা আমাদের সদা অভিমানী তপু ভাইয়ের জন্য…:D
১। প্রেম করেন (খবরদার! বোন বানানো যাবে না!)
২। জাপানের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মানুষদের জন্য ঠাডায়ে কাজ করা শুরু করেন, মন খ্রাপের টাইমই পাবেন না 😀
৩। আপনে বড়ই পেসিমিস্ট মানুষ, অপ্টিমিস্ট হয়ে যান, (বাংলাদেশ ৫৭, ৯ উইকেটের সময়ও বিড়বিড় করে দোয়া করতে থাকবেন ইয়া মাবুদ, বাংলাদেশরে জিতায়া দেও)
৪। যেইটা ইচ্ছা সেইটা করে ফেলবেন,
নারীর ক্ষমতায়ন কী পুরুষের জন্য অশনিসংকেত?
(কিঞ্ছিৎ ভূমিকাঃ আমার কম্পিউটার বিগড়ানোর আর সময় পেল না। সিসিবিতে কতো নতুন পোষ্ট! নারী দিবস উপলক্ষ্যে নতুন একটা লেখা দিতে চেয়েছিলাম তা আর পারলাম না। ঘরওয়ালার কম্পিউটার ধার করে লিখছি এখন। পুরনো একটা রেডিমেট লেখা পোষ্ট করছি। এজন্য আ্ন্তরিকভাবে দুঃখিত। লেখাটা প্রবাসের একটা পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল। এক বছর আগের লেখা। এর মধ্যে দিয়ে পদ্মায় অনেক পানি প্রবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু আমার চিন্তাভাবনা একদম আগের জায়গাতে রয়ে গেছে বলে এই লেখাটার একটা শব্দও আর পরিবর্তন করলাম না)
১
নারীর ক্ষমতায়ন শব্দটি দিয়ে আসলে কী বোঝায়?
আমাদের শিল্পসাহিত্যের গতিপ্রকৃতি (প্রথম পর্ব)
১
আমরা যারা বিভিন্ন ব্লগের সাথে জড়িয়ে গেছি তারা বোধহয় কমবেশি সবাই বই পড়তে ভালবাসি। নইলে তো ইউটিউব, ফেসবুক আর ভিডিও গেইমেই বাঁধা থাকতাম। দেশে এখন বই মেলা হচ্ছে। রমরম ঝমঝম। দূরে বসেও তার ঝংকার শুনতে পারছি। বেশ বুঝতে পারছি ঢাকা শহরে ফেব্রুয়ারী এখন বেশ উতসবের মাস। বাংগালিদের জন্য এই মাসটা বেশ ঘটনাবহুল। ফাগুন রাংগানো সুখ আছে। আবার একুশের কালো ব্যাচে ঢাকা দুঃখও আছে।
স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা ৩
১
সেপারেশন এংজাইটি বলে একটা কথা আছে যার সহজীকরণ বাংলা দাড়ায় ছেড়ে যাবার ভয়। পাঁচ ছয় মাসের বাচ্চারা যখন বুঝতে পারে তার মা আর সে আসলে ভিন্ন সত্তা তখন মা তার থেকে দূরে সরে গেলে সে ভীত হয়ে পড়ে। অথচ সেই বাচ্চাই একসময় মায়ের কোল ছেড়ে প্রেয়সীর হাত ধরার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে। বয়োসন্ধির আগ-পিছু হঠাত সে আবিষ্কার করে তার ‘আমিময়’ সত্ত্বাকে। সে আসলে পৃথিবীতে একা।