জুবায়ের অর্নব ভাইয়ের পোস্ট এবং আমার নৈশ কালের আজাইরা চিন্তার খসড়া

( জুবায়ের ভাইএর পোস্ট “সো লেটস স্টার্ট লিভিং এ লাইফ” পড়ে ভেবেছিলাম একটা মন্তব্য করবো কিন্তু মন্তব্যটা বড় হয়ে যাওয়ায় পোস্ট আকারে দিচ্ছি )

আমরা ভাবতে গেলে প্রায়শই চিন্তাভাবনা এগোতে পারে না, এটা হয়ত পরিপক্কতার অভাব ,যেমন প্রাচীন মানুষরা আকাশের তারকা কে অলৌকিক শ্বাপদের চোখ ভাবত। এখানে যত মানুষ জেনেছে ততই ভ্রান্ত এবং অলৌকিকের ধারনা থেকে মুক্ত হয়েছে। এই মুক্ত হওয়াটা কোন সার্ব্জনিন বিষয় নয় অবশ্যি, এখনো হস্ত রেখায় বিশ্বাসী মানুষ তাবিজ কবজে বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে অনেক। তবে এ মানব সভ্যতার আওতায় জ্ঞান বলতে সেই জ্ঞানটি কিছু মানুষের হাতে থাকলেই তাকে আমাদের আওতাধীন বলতে পারি। ১৯২০ এ বলা হত মাত্র তিনজন মানুষ জেনারেল রিলেটিভিটি বুঝে। সেভাবে সঙ্গায়িত করলে আমরা এগিয়েছি অনেক্টুকুই,আমি প্রাচ্য পাশ্চাত্যের বিবাদে যাব না। মানুষ বলতে আমি আন্তর্জাতিক মানুষই বুঝাচ্ছি। এখন আমাদের জীবনে যদি র্যাশনালিটিকে স্ট্যান্ডার্ড ধরি তাহলে বলা যাবে ইন্টেলেকচুয়াল দৃষ্টি থেকে অলৌকিকতা মোটামুটি এক্সটিঙ্কট একটা অধ্যায়। মেইনস্ট্রীম মানুষ রা ,যারা সভ্যতার অর্জন জ্ঞান সমুহ কিছুটামাত্র আয়ত্ব করতে পেরেছে সে নিজের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থাকা পরিবেশে অলৌকিকতাকে পাত্তা দিবে না। সুতরাং অলৌকিকতার শেষ আশ্রঅয় এখন পূরাণে, সাহিত্যে আর ঐতিহাসিক সমাজবিজ্ঞানে। আর সর্বপরি রিলিজিয়াস স্ক্রিপচার গুলোতে।

তাহলে বিশ্বাসের ভিত্তি কোথায় প্রোথিত? কোথাথেকে আমাদের মাঝে আত্নপ্রেরনা আসে সরলরেখার আবশ্যিকভাবে একটি শুরুবিন্দুর কল্পনা ?(যদিও আধুনিক গনিত বিজ্ঞান আমাদের ইন্টুশন থেকে অনেক এগিয়ে ,কিন্তু অধিবিদ্যিক চিন্তাধারা এই ইন্টুশঙ্কে ঘিরেই তৈরী। অইক্লিডিয় জ্যামিতি আমাদের জানায় রেখার শুরুবিন্দুর কোন প্রোয়োজন নেই, সেইসাথে সরলরেখাও আসন্নীকরন ছাড়া আর কিছুই নয় তখনো মেটাফিজিক্সের ধারনা প্রনেতারা সেই ইন্টুশনের বাইরে যেতে পারেন না। আমরা এখনো একই এন্টিটির যুগপত ভিন্ন অবস্থানে থাকা স্বীকার করে উঠতে পারি নি, যদিও কোয়ান্টাম পরিমন্ডলে তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। )যেকারনে সকল মেটাফিজিক্যাল চিন্তাই ইন্টুশন থেকে আসা, একধরনের স্থুল সাধারনীকরন যা প্রধানত বিশ্ব সম্পর্কে অবৈজ্ঞানিক চেতনাই প্রকাশ করে। এদের এক মাত্র ডিফেন্স মেকানিজম হচ্ছে বিজ্ঞানের অসুম্পূর্নতা। বিজ্ঞান সম্পুর্ন নয়,এবং নিয়ত পরিবর্তনশীল। সেকারনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আসে নতুন তত্ব। কিন্তু এই অসুম্পুর্নতা মেটাফিজিক্সের কোন বৈধতা হতে পারে না। এটা অনেকটা এরকম দৃষ্টিভঙ্গী যে “টার্বুলেন্ট ফ্লুইডের ” কোন স্ট্যাবল তত্ব নেই সুতরাং টার্বুলেন্ট ফ্লুইড নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কোন চিন্তাতীত প্রকৃয়া দ্বারা। এই দৃষ্টিভঙ্গী মানব সমাজের ইতিহাসে খুবি জনপ্রিয় দৃষ্টিভঙী সন্দেহ নেই,একসময় বজ্রপাত ,রোগবালাই ও এই ব্যাখ্যার আওতায় ছিল। কিন্তু দেখাই যাচ্ছে মেটাফিজিক্সের কারিশমা সঙ্কুচিত হতে হতে বর্তমানে না না বহুরুপে সার্ভাইব করার চেষ্টায় মড়িয়া। প্রথমত মেটাফিজিক্স ঢুকে পড়েছে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীতে, কারন বর্তমান যুগের অলৌকিকতা গ্রহনযোগ্য নয়। সেই সাথে বিজ্ঞানের অসম্পূর্ন অংশ গুলোতে। মেটাফিজিক্সের কিছু রুপভেদও আছে যারা মেটাফিজিক্সকে সামাজিক এবং নৈতিক মুখোশে গ্রহনযোগ্যতার যুক্তি প্রদর্শন করে। কেঊ কেউ মেটাফিজিক্স কে সামাজিকভাবে অসাড় ভাবায় একে ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিবেকজাত উদ্দীপনা হিসেবে সঙ্গায়িত করার চেষ্টা করছে। প্রতিক্রিয়াশীলতা মেটাফিজিক্সের অনেক বড় বৈশিষ্ঠ্য কিন্তু এমন না যে মেটাফিজিক্স ধারঙ্কারী এন্টিটি বা পোষক প্রতিক্রীয়াশীল। এই সহনশীলতা কিন্তু মেটাফিজিক্সের অবদান নয়। কারন ঐতিহাসিকভাবেই আমরা দেখেছি কিভাবে মানব সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সহনশীলতার স্কেল এক্সপনেনশিয়ালি ইঙ্ক্রিজিং গ্রাফের মত আচরন করে।

জুবায়ের ভাই এর মাঝে একটি অন্যরকম অহংকার আছে , মানব সমাজের সাথে যুক্ত হবার অহংকার, বিভিন্ন পশ্চাতপদতা সত্ত্বেও মানুষের বিশাল জ্ঞানের সম্ভারের সাথে নিজেকে যুক্ত করবার অহংকার, চারপাশকে পাপের পাহাড় আর শাস্তি দিতে মুখিয়ে থাকা দুই শিং আর ত্রিশুলধারী দের অনস্তিত্বের অহংকার। অন্যান্য পরিমন্ডলে তার কল্লা নেবার মত মানুষের অভাব হত না। কিছুদিন আগেই আমাদেরই একজনকে হুমকি দেয়া হয়েছে তার চারপাশের কিছু আদিম উন্নাসিক মানুষ দ্বারা। ভার্চুয়াল পরিমন্ডলে এই প্রক্রীয়আ আরও প্রতিক্রিয়াশীল। কিন্তু এই ব্লগে হয়ত ক্যাডেট দের উন্নততর র্যাশনালিটি এবং বিভেদ এর আগে ভ্রাতৃত্ব চিন্তার কারনে রক্তচক্ষু দেখি নি। তবে লুকানো সমাজচ্যুতির ঘোষনা প্রকাশ পেয়েছে কোথাও কোথাও,সেটাও খুব খেয়াল করে না দেখলে চোখে পড়ে না। এমনকি আমার পর্যবেক্ষনে ভুল থাকতে পারে এই সন্দেহ আমি করি।

এই পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যক্তি স্বত্বা আমি। আমার চারপাশ কে ঘিরেই আমার অনুভুতি এবং বোধের বিবর্তন। আমি জানতে চাই বা বুঝতে চাই দেখেই চারপাশের গড়ে ওঠে নানা ডিসিপ্লিনের নানা জ্ঞান। এই বোধের উত্তর দিতেই আমরা যেটা (সকল ক্ষেত্রেই ব্যাক্তি আমির ই সম্প্রসারন)। কারন সকল কিছুই এসেছে কোন না কোন ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা থেকেই। আমি সুখ পাই এই অইঊক্লিডিয় বিসৃতির বক্র স্তানকে বৌদ্ধিক আরোহ পদ্ধতি দ্বারা বুঝতে। সুখ পাই ইয়েটস এলিয়ট সুধীন দত্তের কবিতায় জীবন বোধের ধারনাতীত কারুকার্যে। এ সুখ সত্য স্বীকারের সুখ। বস্তুগত মানুষকে জোর করে অবস্তুগত করারে চেষ্টা কোন বৌদ্ধিক আরোহ পদ্ধতিতে পরে না।
মানুষ কে মানুষ ভাবাই মানুষ কে সর্বোচ্চ সম্মানিত করা অতিলৌকিক উচ্ছিষ্ট ভাবার চেয়ে। তাই নৈর্বত্তিক হতে চাই ,তীব্র ভাবেই নৈর্বত্তিক হতে চাই।

২,৯৯৭ বার দেখা হয়েছে

৩১ টি মন্তব্য : “জুবায়ের অর্নব ভাইয়ের পোস্ট এবং আমার নৈশ কালের আজাইরা চিন্তার খসড়া”

  1. তৌফিক (৯৬-০২)
    মেইনস্ট্রীম মানুষ রা ,যারা সভ্যতার অর্জন জ্ঞান সমুহ কিছুটামাত্র আয়ত্ব করতে পেরেছে সে নিজের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থাকা পরিবেশে অলৌকিকতাকে পাত্তা দিবে না।

    বুঝলাম না, বুঝায়া বলবা একটু?

    প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থাকা পরিবেশ বলতে কি বুঝাইছো?

    জবাব দিন
    • হোসেন (৯৯-০৫)

      তৌফিক ভাই

      ধরেন আপনাকে কেউ অলৌকিক ঘটনা বলল, আপনি কখোনই বিশ্বাস করবেন না, সাধারন মানুষ ও তার সামনে মিরাকল ঘটার আশা করে না। আদিম মানুষ মিরাকল আর জাদু কে নিজেদের জীবনে বিশ্বাস করত। আধুনিক মানুষ অলৌকিকতা বিশ্বাস করে না,(কথাটা সার্বজনীন নয়,তবুও প্রতিনিধিত্বকারী গ্রুপের জন্য সত্য হওয়াটা স্বাভাবিক)। সে চোখের সামনে মিরাকল দেখার আশাও করে না। পুরাণে বা স্ক্রিপচারে অলৌকিকতা মেনে নিতে পারে, নিজের চোখের সামনে কোন অলৌকিকতা মানবেও না, অলৌকিক ব্যাখ্যা দিবেও না। তাই অবুস্তবাদী মানুষরাও আধুনিক যুগে মজ্জায় বস্তুবাদী।


      ------------------------------------------------------------------
      কামলা খেটে যাই

      জবাব দিন
  2. এরকম পোস্টের টাইটেল দেখেই পড়ব না...... হোসেন মাইন্ড খাইও না... আমার আর ভাল লাগতিছে না এইসব তর্কাতর্কি....

    এসংক্রান্ত আর কোন পোস্টই পড়ব না....... ( ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত)..

    আমি আমার চিন্তা ভাবনা এত সহজে পাল্টাই না, এমনকি আমাকে যুক্তি, প্রমাণ দিয়ে ভুল করার পরেও.....কারণ আমি জানি আমি যুক্তিতে হেরে গেলাম মানে এই না অপর পক্ষই ঠিক... তাকে ভুল প্রমাণ করার ক্ষমতা আমার না থাকুক, কারো না কারো অবশ্যই আছে...
    আমার নিজেকে পাল্টানোর ইচ্ছা নাই... তাই কারো মতের পক্ষে / বিপক্ষে কোনদিকেই যাব না....

    I Quit

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কেউ যদি তার এন্টিনাটা আমারে একটু ধার দিত...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    পোস্টটা খুব ভাল লাগল হোসেন। তোর চিন্তাধারা কিভাবে আবর্তিত হয় সেটা খুব ভালভাবে বুঝতে পেরেছি। এই অংশটুকু একেবারে নতুন চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে:

    যদিও আধুনিক গনিত বিজ্ঞান আমাদের ইন্টুশন থেকে অনেক এগিয়ে ,কিন্তু অধিবিদ্যিক চিন্তাধারা এই ইন্টুশঙ্কে ঘিরেই তৈরী। অইক্লিডিয় জ্যামিতি আমাদের জানায় রেখার শুরুবিন্দুর কোন প্রোয়োজন নেই, সেইসাথে সরলরেখাও আসন্নীকরন ছাড়া আর কিছুই নয় তখনো মেটাফিজিক্সের ধারনা প্রনেতারা সেই ইন্টুশনের বাইরে যেতে পারেন না। আমরা এখনো একই এন্টিটির যুগপত ভিন্ন অবস্থানে থাকা স্বীকার করে উঠতে পারি নি, যদিও কোয়ান্টাম পরিমন্ডলে তা প্রতিষ্ঠিত সত্য।

    জুবায়ের ভাই সম্পর্কে তোর অবজারভেশনটাও লক্ষ্য করার মতো:

    জুবায়ের ভাই এর মাঝে একটি অন্যরকম অহংকার আছে , মানব সমাজের সাথে যুক্ত হবার অহংকার, বিভিন্ন পশ্চাতপদতা সত্ত্বেও মানুষের বিশাল জ্ঞানের সম্ভারের সাথে নিজেকে যুক্ত করবার অহংকার, চারপাশকে পাপের পাহাড় আর শাস্তি দিতে মুখিয়ে থাকা দুই শিং আর ত্রিশুলধারী দের অনস্তিত্বের অহংকার।

    আমি এটার সাথে একমত। আর এজন্যই জুবায়ের ভাইয়ের লেখা ভাল লাগে। কারণ আমি বুঝে গেছি তার এই অহংকার কারও কোন ক্ষতি করবে না। তিনি অনেকের সাথে বিতর্কে যাবেন ঠিকই- কিন্তু সেটা সবই বুদ্ধিবৃত্তিক। সিসিবি-র পরিমণ্ডলে হয়ত তার অনেক কথা অ্যাগ্রেসিভ লাগতে পারে। কিন্তু যদি চিন্তা করি, জুবায়ের ভাই কথা বলছেন আড়াই হাজার বছর আগের এথেন্সের এক পানশালায় বসে- তখন আর কোন দ্বিধা থাকে না- তার কথাগুলোর গুরুত্ব বুঝে যাই।

    তোর নৈর্বক্তিক হওয়ার আকাঙ্ক্ষাটা খুব ভাল লেগেছে। আমিও নৈর্বক্তিক হতে চাই। তবে অবশ্যই স্বীকার করি, অনেকেই নৈর্বক্তিক হতে চায় না- যেমন প্লেটো চায়নি।

    জবাব দিন
  5. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    এই লেখা পড়ে "gods in gaps" বিষয়টা নিয়ে আবার ভাবলাম। বিষয়টা এরকমও হতে পারে:
    বিবর্তনের পথ ধরেই মানুষের মধ্যে এমন একটা ইনস্টিঙ্কট জন্ম নিয়েছিল যা তাকে বলে: ব্যাখ্যাতীত যেকোন কিছুতে অতিপ্রাকৃত কিছু ঢুকিয়ে দিতে হবে। এখনও মানুষ সে ইনস্টিঙ্কট ছাড়তে পারেনি। একসময় হয়ত বজ্রপাতের ব্যাখ্যা মানুষ জানতো না, তাই ধরে নিতো দেবতা আর অসুরের লড়াই চলছে। আজকের যুগেও এই চিন্তা মানুষের আছে। বজ্রপাত বাদ দিয়ে এখন বিগ ব্যাং এর আগে, বা এ ধরণের ব্যাখ্যাতীত জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে। সেন্ট অগাস্টাইন তো বিগ ব্যাং এর আগের সময়টাকে শুধু ঈশ্বরের জন্যই ঠিক করেছিলেন। এজন্য দেখি এটাকে অনেক সময় অগাস্টাইনীয় এরা ও বলা হয়।

    জবাব দিন
  6. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    অলৌকিকতার শেষ আশ্রঅয় এখন পূরাণে, সাহিত্যে আর ঐতিহাসিক সমাজবিজ্ঞানে।

    😮

    :khekz: :khekz:

    হোসেন, না হেসে পারলাম না। ভাই মাফ করো।

    প্রায় ১০ বছর ধরে সমাজবিজ্ঞান পড়ছি। এমন একটা কথা এই প্রথম শুনলাম।

    একটা পরামর্শ দেই, সমাজবজ্ঞান আর কমনসেন্স এক না, কখনোই। কথাটা মনে রাখলে হাসির উপলক্ষ্য কম হবে।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • কামরুল হাসান (৯৪-০০)

      মাহমুদ ভাইয়ের কমেন্ট দেখি খালি 69 হইয়া যায় 😉


      ---------------------------------------------------------------------------
      বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
      ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

      জবাব দিন
    • হোসেন (৯৯-০৫)

      মাহমুদ ভাই,

      দেখুন আমি সমাজবিজ্ঞানে তেমন কিছুই জানি না। আমি জানি একটি ডিসিপ্লিনের মানুষএর কাছে সংজ্ঞাগত বিশুদ্ধি কতটা জরুরী। কেউ যখন ব্যাখ্যার নামে ফিজিক্সের সংজ্ঞাগত বিশুদ্ধি ধরে রাখতে পারে না তখন আমি ঠিক আপনার মতই হাসি 😀 😀 😀 😀

      তাই আমার ভুল অবশ্যই হয়েছে তাই আমি এটা দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছি সেটা বলি, আপনি বলে দিতে পারবেন প্রেশাইস ডেফিনেশনে ব্যাপারটি কিভাবে উপস্থান করা যাবে।

      আদিম সমাজে এই অলৌকিকতার প্রথম উদ্ভব হয়েছে। সেখানে মানুষ প্রথমে চারপাশকে ব্যাখ্যা করতেই এর আশ্রয় নিয়েছিল। পরবরর্তীতে একে পুজি কোরেই আদিম সমাজের ক্ষমতা এবং কন্ট্রলের ডাইনামিক্স আবর্তিত হয়েছে ।পুরোহিতরা পেয়েছে রাজনঐতিক অবস্থান।

      এই ব্যাপারটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি।


      ------------------------------------------------------------------
      কামলা খেটে যাই

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

        হোসেন,
        এইবার লাইনে আইছো। :thumbup: 😀

        কিন্তু আদিম সমাজে অলৌকিকতার গপ্পো করে যখন কোন কোন সমাজ দাবী করে যে, তারা বর্তমানে অলৌকিকতা মুক্ত, তখন আবার যে আমার হাসি পায়! এর রোগের কিচিতসা, কো ত দেহি? 🙁

        অফটপিকঃ সমাজের পরিসরে জ্ঞানের সাথে ক্ষমতার সম্পর্কে তোমার ধারনাটা ভালো লাগছে। 🙂


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
        • হোসেন (৯৯-০৫)

          মাহমুদ ভাই,
          আমার পোস্টের শুরু থেকে একটু কোট করি

          "

          প্রাচীন মানুষরা আকাশের তারকা কে অলৌকিক শ্বাপদের চোখ ভাবত। এখানে যত মানুষ জেনেছে ততই ভ্রান্ত এবং অলৌকিকের ধারনা থেকে মুক্ত হয়েছে। এই মুক্ত হওয়াটা কোন সার্ব্জনিন বিষয় নয় অবশ্যি, এখনো হস্ত রেখায় বিশ্বাসী মানুষ তাবিজ কবজে বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে অনেক।

          হ্যা কেঊ মুক্ত নয় বুজরুকী থেকে,কিন্তু এখন একজন মানুষের কাছে সুযোগ আছে মিথ্যা বুজরকী বুঝবার কারন সেই জ্ঞান টুকু পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে আছে, কেউ চাইলে খুজে পাবে। এই লাক্সারী আদিম সমাজে ছিল না।তাদের অজ্ঞতা তাদেরকে ধাবিত করেছে অলৌকিকের দিকে।

          অফটপিক
          আরো কিছু মজার ব্যাপার আমি একবার একটা ছোট গল্প লিখতে গিয়ে মাথায় এসেছিল
          ঐ পুরোহিতরা সম্ভবত চেষ্টা করত সাধারন মানুষকে অজ্ঞ রাখতে। কারন আমি খেয়াল করলাম জ্যোতিরবিজ্ঞান প্রাথমিকভাবে চর্চিত হয়েছে পুরোহিত সম্প্রদায় দ্বারা। আরো গুরুত্বপূর্ন যেমন চিকিতসাবিদ্যা,শরীরবিদ্যা,গাছের ভেষজ গুনাগুন এগুলোও এদের হাতে আদিম সমাজগুলোতে সম্মৃদ্ধ হয়েছে। হয়ত তারা একই সাথে জ্ঞানের গুরুত্ব এবং সেটা সৈরতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রনের বিষয়টি বুঝেছিল। কিছুদিন আগে মাইকেল মুরের সিকো দেখতে গিয়ে একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টারী সদস্যের একটা মন্তব্য ভালো লেগেছিল

          its harder to manage a healthy educated population


          ------------------------------------------------------------------
          কামলা খেটে যাই

          জবাব দিন
  7. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আমি আসলেই হাসতে ছিলাম। তাই 69 হয়া গ্যাছে।

    কিন্তু এখন ত মনে হইতাছে, হোসেন মাইন্ড করতে পারে এইটা দেখে। সেই রকম হলে আমি খুবই দুঃখিত। :no:


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  8. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    @ হোসেন

    তোমার পোষ্টে আমার অনেক দ্বি-মত আছে, থাকতেই পারে। তবে আমার ভালো লেগেছে তোমার আপ্রোচ। অন্যকে, অন্যের অনুভূতিতে আঘাত না করে কিভাবে কথা বলা সেটা তোমার মাঝে কিছু হলেও পাচ্ছি। আর পাওয়ার কারনেই বির্তকে উৎসাহ পাচ্ছি।

    কিন্তু বির্তকে যাব না, শুধু বলে রাখি, তোমার বলার ধরন ভাল লেগেছে। :thumbup:


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।