অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৫

মিশন শেষে দেশে ফিরে কাজে জয়েন করে রংপুরের ‘কালবেলা’ আমায় মেইলে লিখেছিল – ‘‘দেশে আসেন বস্‌ – তারপর দেখবোনে কত লেখা দিতে পারেন ব্লগে’’। কথাটা আমার তখন পুরোপুরি উপলব্ধিতে আসেনি। আমি হেসেছিলাম মনে মনে। সেই জোশেই লাইবেরিয়া থেকে এসে ছুটির মধ্যে গরম গরম এবিসি রেডিওতে জমকালো গেট টুগেদারে শামিল হলাম। ব্লগের প্রিন্সিপাল, ভিপি, অ্যাডজু, আমার বন্ধু জুলহাস সহ আরো সব তুখোর ব্লগারদের সাথে দেখা হলো।

বিস্তারিত»

জন্মদিনে আমার ক্ষুদ্রতম পোষ্ট…

আজ থেকে তের বছর আগে কিছু নিষ্পাপ কিশোর-কিশোরীর পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দশটি বিশেষ কারাগার।
১৯৯৬-২০০২ ইনটেকের সকল পাপীদেরকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন।

:awesome: :awesome: :awesome:

বিস্তারিত»

দশটা কুখ্যাত কলেজের দশটা বছর পার করে দেয়া…

আজকে যদিও বুধবার, তাও আমরা সেজেগুজে কালচারাল ফাংশন দেখতে আর স্পেশাল ডিনার খাইতে গেলাম।

তার আগে সন্ধ্যা বেলায় হলো মুড়ি পার্টি, সেই আগের মত দুই হাত ভরে মুড়ি নিয়ে এসে
উপরটা চেটে দেয়া, যেন আর কেউ না নিতে পারে…এবার অবশ্য আমি ভালু মেয়ে
ছিলাম, নিজেই দুহাত ভরা মুড়ি নিয়ে নিয়ে এসে সবাইকে দিয়েছি…ভুটি, মনে আছে, তুই কেমন খাইষ্টা ছিলি? চেটে দিলেও তুই নিয়ে খেয়ে ফেলতি?

বিস্তারিত»

আনলাকি তেরতম জন্মদিন বিষয়ক আজাইরা পোস্ট

আজ আমাদের ব্যাচের জন্মদিন। গতকাল দুপুরে আমার অফিসের তেরতলার উপর হতে বৃষ্টির শুভ্রতরঙ্গ কেবল তেরবছর আগের (একদিন কম) একটি দিনের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। আমি অবশ্যি এমনিতে একটু বেরসিক আর কাঠখোট্টা স্বভাবের লোক। আবেগ খুব বেশি আমাকে ছোয় না। বৃষ্টি দেখে আমার বন্ধুদের চরম রোমান্টিক মূহুর্তে আমি “কিছুই লাগে না” জাতীয় নির্লিপ্ততায় অনেকের বিরক্তির কারণ হয়ে যাই । কিন্তু কিছু জায়গায় চরম বেরসিকেরও একটু ধাক্কা লাগে।

বিস্তারিত»

অবচেতন সম্রাজ্য

কোথাও টু শব্দটি নেই। হঠাৎ ভারী শব্দের সাথে আলোকরশ্মির মতো কিছু একটার আবির্ভাব ঘটে। তারপর শুরু হয় একটানা যান্ত্রিক শব্দ। এভাবেই স্ক্রিনে আসে সিনেমার নাম: পুরো স্ক্রিন জুড়ে ক্যাপিটাল অক্ষরে লেখা INLAND EMPIRE. এর মধ্যে দিয়েই ডেভিড লিঞ্চ আমাদেরকে এক বিস্ময়কর surrealist (পরাবাস্তব) জগতে নিয়ে যান। দর্শক মাত্রই সিনেমার মধ্যে ঢুকে যেতে বাধ্য। রেডিও ট্রান্সমিটার থেকে ভেসে আসে: Axxon N. The longest running radio play in history.

বিস্তারিত»

বালকবেলার প্রেম..

অনেকদিন ধরে কিছু লেখা হয়না, সিসিবি পড়াও হয়না । বেশিরকম ব্যস্ত, যাও বা সময় থাকে নানাধরনের ইযি কাজ সময় খেয়ে ফেলে । বেশ বড় রকমের একটা ডুব দিয়ে ছিলাম । ব্যাক করার আশায় ভাবছি এখন থেকে সিটকম স্টাইলে লিখব । সিরিজ লেখা কিন্তু পরস্পর সম্পর্কহীন । আমার এ লেখাগুলো কিছুটা কাল্পনিক কিছুটা অতি কাল্পনিক, তাই ঘটনার সূত্র জানতে চেয়ে কোন লাভ নাই ।

আজকে আমার প্রথম প্রেমের কথা বলি ।

বিস্তারিত»

দ্বিতীয় জন্ম ও প্রথম মৃত্যু

ভাবনা গুলো ইদানিং খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। কখন কী ভাবি কী করি পর মুহূর্তে ভুলে যাই কিংবা কোন চিন্তা স্থিতধী হয়ে বসতে পারে না । আমার মাঝেকার আমিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কদাচিৎ। খুব সুন্দর গোছগাছ করে কিছু লিখব তেমন হয়ে উঠে না। তাই আমার উপস্থিতি জানান দিতে আমি আবোল তাবোল বকবক করি। দ্বিতীয় জন্ম বলতে আমি নিজের ক্যাডেট হয়ে জন্ম নেয়াটাকে বুঝি। খুব বেশি মনে পড়ে তাই ১৯৯৬ সালের ৪ঠা জুন দিনটিকে।

বিস্তারিত»

পোর্চের সেলুন

চুল বড় হতে হতে এখন নাক ছাড়িয়ে গেছে। নাপিতের কাছে যেতে ইচ্ছা করে না। এই অনিচ্ছার কারণ অবশ্য ক্যাডেট কলেজ, প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে নাপিতের কাঁচির নিচে মাথা পেতে দিতে হত কিনা। তখন থেকেই নাপিতের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে আমার একটা এলার্জি জন্মে গেছে যেটা এখনও যায়নি। চুল খুব ত্যক্ত-বিরক্ত না করলে নাপিতের কাছে যাওয়া হয় না। হিসাব করে দেখলাম বছরে নাপিতের কাছে যাই দুইবার।

বিস্তারিত»

হায়রে পাখি !

মা’র কাছে শুনেছি আমি –
যেদিন ডিম ফুটে বেরিয়ে
চোখে মেখেছি সূর্যের আলো,
সেদিন ঝকঝকে এক দিন ছিল।
আমি আমার না ফোটা চোখ কুচকে
চরম বিরক্তিতে চিৎকার দিয়েছিলাম ।

বিস্তারিত»

কোন এক স্বপ্নকন্যার আরো কিছু লিখা

স্বপ্নকন্যা

আমার আগের পোস্ট টার লিংক দিয়ে এই লেখার রেফারেন্স দিলাম। মাইনুল ভাইয়ের উৎসাহে কোন এক স্বপ্নকন্যার আরো কিছু লেখা শেয়ার করলাম।

ঘন গৌরবে নব যৌবনা বর্ষা

আবার ও বর্ষা এসে পড়ল। কালো মেঘে ঢাকা আকাশ আর শ্বেত শুভ্র বারিধারা। সাদা আর কালোর কী অপূর্ব সমন্বয়। সাদা আর কালো দুটো রং ই আমার বড় পছন্দের। কিন্তু কোন রংয়ের সৌন্দর্য নয় কিংবা বারিধারার একঘেয়ে সুললিত ছন্দে ছন্দিত হয়ে নয় বরং আমার কাছে বড় হয়ে উঠে এর অলস সৌন্দর্যে।

বিস্তারিত»

কোন এক স্বপ্নকন্যার নিঃসঙ্গ দিনলিপি

এটা কোন মৌলিক লেখা কিনা বলা মুশকিল। বাংলা ব্লগে ব্লগিং শুরুর পর নিজের নামে ব্লগিং করলেও ভার্চুয়াল চরিত্র নির্মাণের আগ্রহ থেকে একজন কিশোরীর অবয়ব তৈরি করেছিলাম কিছু কাল্পনিক দিনলিপি লিখে। সেই স্বপ্ন কন্যার কোন নাম আমি দিতে পারিনি। শুধু তার দিনলিপিগুলো শেয়ার করার আগ্রহ হলো সবার সাথে। সেই কিশোরীর ডায়েরির পাতা থেকে আনা এই লেখা গুলো রইল।

স্বপ্নের রঙ সাদাকালো

আমি জেগে রই নিঃসীম রাত।

বিস্তারিত»

বন্ধু কী খবর বল!

তানভীরটা কেমন যেন অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। আগে সারাদিন সিসিবিতে বসে বসে ‘দিনের সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী’ হবার জন্যে কম্পিটিশন করতো আমার আর টিটো’র সাথে। এখন কালে ভদ্রে দেখা যায়। মাউস টিপে ইমো দিয়ে চলে যায়। ফোনে জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘অফিসে এতো কাজের চাপ রে দোস্ত …… সময় পাই না।’ আমি সারাদিন অন প্যারেডে বসে বসে ভাবি তানভীর কবে আবার অফিসের কাজের চাপ থেকে ফ্রি হবে ! কবে আমরা আবার পোস্ট ভর্তি কমেন্ট করবো !!

বিস্তারিত»

অন্তরে মা থাকুন মম ………

মা,

খুব ছোট সম্বোধনেই বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠল। ছোটবেলায় পরীক্ষায় পাস করতে কত তোমার কাছে মিথ্যামিথ্যি চিঠি লিখলাম- কখনো এমন লাগেনি। মিথ্যা চিঠিটা লিখতে গিয়েও কেবলই থেমে যাচ্ছি। তোমার কাছে কী লিখব ? কিছু লিখতে মনে চায় না। কারণ মা যেখানেই থাকুন না কেন সন্তানকে দেখেন – সে কী করে, কোথায় যায়- অনুভব করেন নাড়ীর টানে। এই সহজ সত্যটুকু বিশ্বাস করতাম বলেই তো হোস্টেলে থাকতে কখনো তোমার কাছে চিঠি লিখতাম না।

বিস্তারিত»

ধর্মঃ একটি নৃতাত্ত্বিক অধ্যয়ন – ৩

মনোবিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা

সাংস্কৃতিক বিবর্তনবাদীদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রথার বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিক্রিয়া নৃবিজ্ঞানের মধ্য থেকে আসেনি। সেটা এসেছে সামাজিক বিজ্ঞানে ঐতিহাসিক চিন্তাধারার প্রভাবের বিরুদ্ধে ইতিবাচকতাবাদী আন্দোলনের সাধারণ ক্ষেত্র থেকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগের বছরগুলোতে মনোবিশ্লেষণের নিয়মতান্ত্রিক মনোবিজ্ঞানবাদ এবং Anne Sociologique এর সমান নিয়মতান্ত্রিক সমাজবিজ্ঞানবাদের উত্থান ঘটে। এর ফলে বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনকে পটভূমির সাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব আকারে উপস্থাপন করতে বাধ্য হন। অথচ এই উভয় আন্দোলনের প্রধান নেতা অর্থাৎ যথাক্রমে ফ্রয়েড ও ডুর্খেইম উভয়ের উপরই তখন পর্যন্ত বিবর্তনবাদের গভীর প্রভাব ছিল।

বিস্তারিত»

কবিতা রিভিউ : তালগাছ (ত্রিমিতার পোস্ট পড়ে লেখার তাগিদ অনুভব করলাম)

খুব ফানি করেই কথাগুলো বলি যদিও কথাগুলো খুব ফানি নয়। আমাদের দেশ নিয়ে আমাদের হতাশা আমাদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ভরা আড্ডা পার করে এসেছি অনেকদিন। ত্রিমিতার পোস্ট পড়েও সেই সময়টার প্রতিধ্বনি অনুভব করলাম অন্তরের গভীরে। জাফর ইকবাল মার্কা কিছু লোক নাকি নতুন প্রজন্মরে স্বপ্ন দেখায় যদিও আমি তেমন কিছু খুননজে পাই না তারপরেও দেশের ক্রান্তি কালে তাদের পিউর বিজ্ঞানী সেজে যাওয়ার ধৃষ্টতাতে আমি বিরক্ত। বরং আমি নিজেই জাফর ইকবালের মত আশার কথা বলি।

বিস্তারিত»