আমি মডারেটর প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছি। ইতিমধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে মডারেটর অপশন সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং আমি এখন থেকে একজন সাধারণ “লেখক” (Author)। এই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব। কেউ আমাকে বাধ্য করেনি বা সরে যেতে বলেনি।
কারণ
আমি অন্যের ব্লগে নিজের কিছু কমেন্ট এডিট করেছিলাম, এমনকি কিছু কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছিলাম। এটা আবার সবার অগোচরেই করেছি। অন্য কারও এমন এডিট বা ডিলিটের ক্ষমতা নেই। তার মানে আমি আমার ব্যক্তিগত কমেন্টে মডারেটরের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছি, যা অন্য যে কেউ চাইলেই করতে পারেন না। একজন ব্লগার এটাকে “ক্ষমতার চরম অপব্যবহার” বলেছেন, এবং এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে contact@cadetcollegeblog.com ঠিকানায় মেইল করেছেন।
মেইলটা আমিসহ অন্যান্য মডারেটরদরা পড়েছেন। কেউ কিছু বলার আগেই আমি নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছি। আসলেই এভাবে নিজের কমেন্ট এডিট বা ডিলিট করার মানে “ক্ষমতার অপব্যবহার”। কারণ, একটি পোস্টে যত কমেন্ট আসে তা এডিট বা ডিলিট করার ক্ষমতা কেবল দুইজনের: মডারেটর এবং পোস্টের লেখকের। কিন্তু যে-ই এ ধরণের এডিট বা ডিলিট করবেন তাকে তা সবাইকে জানানোর পর করতে হবে। আমি না জানিয়েই সেই ক্ষমতা নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছি।
তাই নিজে থেকেই মডারেটর পদ থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সরাসরি সরে যাওয়ার কারণ
আমি চাইলে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আর কোন কাজ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মডারেটর থেকে যেতে পারতাম। একজন দায়িত্বশীল মডারেটরের কাজ সেটাই হওয়া উচিত ছিল। কারণ, এভাবে নিজে মডারেটর প্যানেল থেকে সরে যাওয়া মানে সুবিধাবাদি দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেওয়া। কিন্তু আরও কিছু কারণ আছে বলে আমি এই সুবিধাবাদি কাজটাই করেছি। সুবিধাবাদি বলছি এই কারণে যে, অন্য মডারেটরদের কারও কথা না ভেবেই আমি সরে যাচ্ছি। যাহোক কারণগুলো বলি:
– ফাহিম ভাইয়ের “কি বলব বলুন?” নামক পোস্টে আমি কিছু মন্তব্য করেছিলাম যা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা। এর জবাবে তিনি আমাকে মডারেটর হিসেবে দায়ী করে বোঝাতে চেয়েছেন: যেহেতু সিসিবি-তে মডারেশন আছে তার মানে সিসিবি-তে প্রকাশিত লেখার পেছনে সিসিবি-র সম্মতি আছে। অর্থাৎ তিনি সিসিবি-কে একটি ব্যক্তির সাথে তুলনা করেছেন যার আদর্শ হচ্ছে আমার মতো। এতে সিসিবি-র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে, আমার কারণেই। কারণ আমার মতগুলো সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব, সেটা সিসিবি-র না। সিসিবি কেবল স্বাধীনতা এবং সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করে- এর বেশী কিছু না। কিন্তু ভবিষ্যতেও আমার মন্তব্যকে ঘিরে সিসিবি-কে দায়ী করা হতে পারে বিধায় আমি মডারেশন থেকে সরে যাচ্ছি।
– এতে আমার নিজেরও সুবিধা হবে। আমার মন্তব্যগুলো সবাই ব্যক্তিগতভাবে নেবেন। কেউ ভেবে বসবেন না, সিসিবি-ও এই ধারণা পোষণ করে। সিসিবি সবার কথা বলার জন্য, নির্ধিষ্ট কারও চিন্তাকে ধারণ করার জন্য না; এই স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই সরে যাচ্ছি। কারণ নিজে মডারেটর হয়ে এতটা স্বচ্ছ থাকার যোগ্যতা যে আমার নেই সেটা অলরেডি প্রমাণিত হয়ে গেছে।
মডারেশন সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কিছু কথা
মডারেশন বেশ ঝামেলার কাজ। সিসিবি-র বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়ত সেটা আরও কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ মডারেটরকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হয়। আমি নিরপেক্ষ থাকতে পারিনি বলেই পদত্যাগ করেছি। এখন সাধারণ লেখক হিসেবে মডারেশন নিয়ে কিছু কথা বলি:
আমরা সবাই সহযোগিতা না করলে মডারেশন সফল হবে না। ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে, মডারেটররাও ভুল করতে পারেন। সেটা আমরা শুধরে দেব। আমি নিজেও সেটা করব। কিন্তু মডারেটরদের কথা বলে সিসিবি-কে দোষী করাটা ঠিক না। আর আমার যদ্দুর মনে হয় সিসিবির মডারেশন খুব উদার: এটা আসলে সিসিবি-র সবার চিন্তাধারারই প্রতিফলন। সবাই যেভাবে চায় সেভাবেই মডারেশন হয়। সেটা নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। সুন্দর মডারেশনে সিসিবি এগিয়ে যাবে সন্দেহ নেই।
কেউ আবার ভাববেন না, শেষে কিছু কথা বলে আমি নিজের অপকর্মকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছি। আমি ভুল করেছি এবং সে কারণেই পদত্যাগ করেছি। যদিও এতে আমাকে খুব স্বার্থপর মনে হয়েছে, তারপরও করেছি। আর আমি গোস্যাও করি নাই। সিসিবি-তে আমি প্রায় আগের মতই নিয়মিত থাকব, তবে লেখক হিসেবে। আমি চাইব, ভবিষ্যতে যেন আমার পোস্ট এবং মন্তব্য কঠোরভাবে মডারেশন করা হয়।
কি শুরু হইল এসব।
ব্লগে এডজুট্যান্ট, মডারেটর কে বা কারা এইটা তো আমরা জানি না। সবার জানার দরকার বলেও মনে করি না।
দুদিন ধরে খুব চুপ করে আছি আর ভাল লাগছে না। সব কিছুর একটা লিমিট থাকা উচিৎ। সানা ভাই কই? সানা ভাই, ইউসুফ ভাই আসেন তো একটা ঝাড়ি দেন সবাইরে।
একটাই উপায়...... স্রোত উল্টা দিকে পাঠানো..... আমি আমার ড্রাফট থেকে একটা পোস্ট দিচ্ছি এই আশায়.....
নাহ,কি সব শুরু করলা যে তোমরা। তপুর সাথে একমত। সানা ভাই, ইউসুফ ভাই কে দরকার।
আসলে মডারেশন একটা কঠিন কাজ। আমিও একটা ব্লগের মডারেশন ছিলাম । কিন্তু সময় দিতে পারি না বলে ছেড়ে দিয়েছি।
মডারেটর দের কাজ কারো পছন্দ হবে কারো হবে না। এইটা চিন্তা করে লাভ নাই।
যাই, হোক, দেখা যাক কি হয়। কিন্তু পরিবেশ টা ঠিক হওয়া দরকার। নিজের বাড়ি মনে করেই অফিস এ কাজের ফাকে ফাকে সিসিবি তে থাকি। সারাদিন অফিস করে বাসায় গিয়ে আবার সিসিবি এর জন্য লিখতে বসি। এখন যদি নিজের ঘর ছাড়তে হয় তাহলে দুঃখ লাগবে।
সরে দাঁড়ানো কোন সমাধান নয় মুহাম্মদ।
তোমার সিদ্ধান্তে খুব কস্ট পেলাম।
ওকে, ভাল থেক।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সবকিছুর পরও সাধুবাদ জানাই। শুভ কামনা রইলো।
অন্তত যাদের মনে ক্ষীণতম ধারণা ছিল সিসিবি সবার মতামত না মেনে শুধু গুটিকয়েক মানুষের ইচ্ছা এবং দৃষ্টিকোণ থেকে চালিত হয় আশা করি তাদের ভুল ভাঙ্গবে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ, এটা কোনো সলিউশন না। কালকে আমি বলতে পারি, জিহাদের মডারেশন আমার পছন্দ না। তখন কি তুমিও পদত্যাগ করবা?
মুহাম্মদ যেটা ডিসিশন নিসে ভেবেচিন্তেই নিসে। আমি ওর ডিসিশনকে সাধুবাদ জানাইসি। আর কিছুনা।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ওকে, আমার কিছু বলার নাই।
..................
Life is Mad.
সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ করছি । সবসময় যে সবকিছু খুশি খুশি থাকবে এমনতো কোন নিশ্চয়তা নেই । সমস্যার সময় ভেংগে না পড়ার জন্যই আমরা ক্যাডেট ।
United We Stand
নিরপেক্ষ আর স্মার্ট ডিসিশন। আমি এটুকুই বলব।
পড়াশুনা ফেলে একটা থ্যাঙ্কসলেস কাজ এতোদিন করে গেছিস। আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভ কামনা।
আশা করি আস্থা হারানোরা এবার আস্থা ফিরে পাবে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কামরুল ভাই, একজন চলে গেলেই আস্থা হারানোরা আস্থা ফিরে পাবে এমন মনে করাটা কি ঠিক হচ্ছে? আমি অন্যের কথা বলব না, আমি আমার অভিযোগ তুলেছিলাম মডারেশনের দিকে, ব্যক্তিগতভাবে কারো দিকে নয়। মডারেশনের উপর আস্থা হারানোদের আস্থা যদি মডারেশন প্যানেলের ফিরে পেতে হয়, তাহলে তা কাজের মাধ্যমেই পেতে হবে। আমি জানি যে কাজটা করেছে মুহাম্মদ থ্যাংকলেস, তবু পুরোনো পোস্ট ঘাঁটলে দেখবেন অনেকেই মডু-এডুদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। আমিও করি, সবসময়। কিন্তু অভিযোগ জানালে অভিমান করাটা মনে হয় না ঠিক হবে।
আশা করি, আমার কথায় মনে কষ্ট পাবেন না। আমি আপনাকে কোনভাবেই দুঃখ দিতে চাইনি।
তোমার যদি এখনো মনে হয় যে মডারেশন স্বচ্ছ নয় , তাদের আরো কাজের মাধ্যমে তা প্রমান করতে হবে , চিন্তা করোনা , মডারেটররা তোমার সেই আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্যে যা করার দরকার তা-ই করবেন।
যতটুকু আমি বুঝি , এটা বাইরে থেকে যেমন মনে হয় তার চেয়েও অনেক কঠিন কাজ।
আমি কোন দুঃখ পাইনি। কোন অভিমানও করিনি।
তুমি ভালো থেকো।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
তোমার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই বলি, একটু ভেবে চিন্তে দেখতে পার।
আমি মডারেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি ফাহিম ভাইয়ের পোস্টে। আমি আমার বক্তব্যের ব্যাপারে এখনো জোরালো অবস্থানেই আছি। কিন্তু তাই বলে মডারেশন ছাড়তে চাওয়ার ব্যাপারটা মনে হয় না ঠিক। কাউকে না কাউকে এই কাজটা করতে হবে, তোমরা শুরু থেকে করে আসছ। একসময় করতে পারবে না, নতুনরা আসবে। সেই দিন পর্যন্ত থেকে যাও।
ডিসক্লেইমারঃ মেইলে কি আছে জানি না, মুহাম্মদের ঘটনার কথাও জানি না। আমি কিছু না জেনেই এই কথাগুলো বললাম।
মোহাম্মদ,একজনের ব্যক্তিগত ভালো লাগা অথবা না লাগা থাক্তেই পারে,তাই বলে সেটা তোমার পদত্যাগের কারণ হতে পারে না,তুমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছো,তোমার জায়গায় হয়ত আমিও একই কাজ করতাম।কিন্তু সত্যি কথা হলো ভাইয়া,তুমি যেই কাজ করছিলে সেটা পুরোটাই স্বেচ্ছায় প্রণোদিত হয়ে যাকে আমরা ভলান্টিয়ার বলে থাকি.........অনেক ক ষ্ট সাধ্য এই ধরনের কাজ।দুই চারজন তাদের মত করে বলতেই পারে।তাই বলে তুমি কাজ করবে না এটা ঠিক না।এইসব থ্যাঙ্কলেস জব এ অনেকেই অনেক ক টূ মন্তব্য করে থাকে কিন্তু তাদেরকে যদি করতে বলা হয় তারা আর বেশি লাফায় না.........তাই বলছি।তুমি তোমার মত করে কাজ করে যাও।নইলে আজকে তুমি চলে গেলে কাল কে দেখা যাবে জিহাদ বল্ল যে আমিও মোহাম্মদের পথ ধরে চলে গেলাম.........এভাবেই কিন্তু ভালো কিছুর পথ চলা থেমে যায়।কাজেই বলছি সিসিবির স্বার্থে তুমি ফিরে এসো।
মুহাম্মদ, তোমাকে ধন্যবাদ কৃতিত্ত্ব না পাওয়া এরকম একটা কষ্টের কাজ করার জন্য আর এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।
আমার ব্যক্তিগত মতামত, প্লিজ, মডারেটর প্যানেল থেকে সরে যেও না। তুমি যদি ভুল করে থাক, সেই ভুলটা ক্ষমা করে দেয়ার মানসিকতা আমাদের সবার মধ্যেই আছে। তাছাড়া এভাবে সরে দাঁড়ালে আমাদের মধ্যে বিভক্তিটা (যদি অল্পকিছু হলেও থেকে থাকে) আরও বাড়বে। আমি মনে করে এখনই আমাদের মধ্যকার বন্ধনটা আরও দৃঢ় করার সময়।
প্লিজ আমার অনুরোধটুকু একটু চিন্তা করে দেখ।
ভাল থেক।
নিজের ভুল স্বীকার করে + প্রচার করে দায়িত্বমুক্তি নেয়াটা কিন্তু ভাল, প্রশংসনীয়। এটা আমাদের সবার জন্য শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে।
কিন্তু তোমার পরের কারনগুলো এত সিরিয়াস না মনে হয়। কারন সবাই এটা ভাল করেই জানে, যে, তুমি যেসব লিখ এটা তোমার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা থেকে লেখা, এটার জন্য আমরা কেউই সিসিবি'র উপর রাগ দেখাই না। তোমার সাথে অনেকেরই যুক্তি-বিনিময় হয়, কিন্তু কেউ এটা বলেনা, যে, তুমি মডারেটর হয়ে সিসিবি'তে তোমার যুক্তির উপস্থাপন করছো।
যাইহোক, "সাধারন" লেখকদের দলে তোমাকে স্বাগতম।
এখানকার ছোট বড় সকল ভাইয়াকে বলছি, আপনারা কেন ও কখন এই ব্লগে এসেছেন আমি জানিনা। আমি এই ব্লগে এসেছি যখন আমার খুব খারাপ সময় চলছিল। নিজেকে কিভাবে আবার ঠিক রাস্তায় আনব বুঝতে পারছিলাম না। সেই থেকে গত ১ বছরে সিসিবির কল্যাণে আমি ঠিক হয়েছি। এখনো সারাদিন সিসিবিতে পড়ে থাকি। একটা বাড়ি বড় হলে তার কোথাও কোথাও একটু আধটু ভুল থাকতেই পারে সেটা নিয়ে সবাই এমন করে গুমোট পরিবেশ তৈরি করবেন এইটা ভাল লাগছে না।
তোমার কি মনে হয় মুহাম্মদ, আমি যে মেইলটা তোমাদের করেছি, তাতে এর চেয়ে বেশি কিছু ছিল। অথচ তোমার রি-আ্যক্ট করা দেখে তোমার নিজের কথা এবং কাজ কি কন্টাডিকটরি হয়ে যাচ্ছে না।
আজব, যার জন্য চুরি করি, সেই বলে চোর।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই আমরা সবাই জানি সিসিবির জন্য যে কজন সবচেয়ে বেশি ভাবে তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম। মুহম্মদের ব্যাপারটাও আমি বুঝতে পারছি। এইসব মান অভিমান সব ঠিক হয়ে যাবে ভাইয়া। আপনিও বিব্রত থাইকেন না আর মুহম্মদ ও তোমার ডিসিশনটা দেখ ভেবে।
আপনের মেইল আমি সেভাবেই নিয়েছি। নেগেটিভলি নেই নাই। আর আমার ডিসিশনটাও কিন্তু জাস্ট ভালর জন্যই নিছি। 🙂
সবাই ভুল বুচ্ছে। আমি তো কইছিই, আমি মাইন্ড করি নাই। এই সিদ্ধান্ত কোন অভিমান থেকে নেয়া নয়।
আর আপনারা অনেকেই হয়ত ভাবছেন, মডারেটর প্যানেল থেকে সরে দাড়ালে কি না কি হবে। আসলে ব্যাপারটা কিছুই না। সিসিবি-র মডারেশনে আমার তেমন কোন ভূমিকাই ছিল না। আমি সরে দাঁড়ানোতে সিসিবি-র কোন ক্ষতিই হবে না। বরং একটু লাভ হবে। সেই লাভটাই আমি বলতে চেয়েছি। ক্ষতি নেই বরং কিছুটা লাভ থাকতে পারে: এজন্যই সরে দাড়িয়েছি।
এটা কে অত সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই। আমি কিন্তু সান্ত্বনা পাওয়ার জন্যও এই ব্লগ লিখিনি। মডারেটর প্যানেলে আমি নাই এইটা জানানোর জন্য জাস্ট লিখছি, আর কিচ্ছু না।
আর ফয়েজ ভাইরে বলি: আপনি প্লিজ মাইন্ড কইরেন না। এখানে মাইন্ড করার কিছুই নাই। বরং ধইরা নিতে পারেন: "আমি মডারেটর প্যানেল থেকে অব্যাহতি পেতে আকুপাকু করতাছিলাম, আপনের মেইলটা সেই সুযোগ করে দিছে।"
আর আপনারা সবাই কি মনে করেন না, আমি মডারেটর হিসেবে আসলেই ক্ষমতার অপব্যবহার করছি। অবশ্যই করছি। আমি কেবল সেই ভুলগুলা শুধরানো এবং ভালর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিছি।
সবাই ঠাণ্ডা মাথায় ভাবেন। আর ব্লগে ফূর্তিটাই আসল, সিরিয়াস জিনিসেও ফূর্তি পাওয়া যায় আবার কমিক জিনিসেও ফূর্তি পাওয়া যায়: ব্লগে ফূর্তির পরিবেশ ফিরে আসুক সেইটাই কামনা...
পোলাটা আসলেই বড় হয়ে গেসে
আমি মনে করি তুমি যা করেছ সেটা যথার্থই। নিজের মত যদি এরকমই হয় যার বিরোধীতা করার জন্য একটি গনতান্ত্রিক ভাবেই শক্তিশালী বিপক্ষ আছে তাহলে এই দুই পক্ষের মাঝখানে বিচারকের ভূমিকাধারী তুমি হয়ে থাকলে হয় তোমাকে তোমার স্বাধীন মত বলার অধিকার কিছুটা সাপ্রেস করতে হবে, নয় দুই পক্ষের মধ্য নিজের রিকোয়ার্ড লেভেল অফ নিউট্রালিটি তুমি ধরে রাখতে পারবা না। তোমার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
কী আর কইতাম?
যাক ভালো দিক বলি।
এবার আবার পুরোদমে লেখালেখি শুরু কর। সত্যজিতের সাক্ষাৎকারটাই না হয় অনুবাদ করা শুরু কর। একটু হালকা হ।
🙁 🙁 🙁
রকিব-সাজিদ কই? সবাইরে :teacup: :teacup: :teacup: দিয়া একটু ঠান্ডা কর ভাই
গরম চা খাইয়া ঠান্ডা না হয়ে উলটা গরম হইতে পারে... পারলে ঠান্ডা কোমল পানীয়র ব্যবস্থা কর।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাই চাতো গরম, মাথা কি ঠান্ডা হবে, তাও :teacup: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup:
দিয়া দিলাম, বিলটা রকিব ভাইরে দিয়েন, উনি আমারে বিলটিল নিতে দেয়না 🙁
মুহাম্মদ,
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা যদি তোমার মত হতো তাহলে দেশ আজ কত উন্নত হত চিন্তা করছি।
তবে তুমি ভেবে দেখ। একটা সমাধান করে যাও, নাহলে এর পরে যে আসবে সেই বেচারারও একি অবস্থা দাঁড়াবে। আমার মনে হয়, আরেক জনের মন্তব্যে লেখকের এডিট করার অপশন থাকার কথা না। সেটা লেখকের লেখা/অভিমত না। লেখক এর ভয়াবহ রকমের অপব্যবহার করতে পারে। লেখন মন্তব্যকারীর ইমেইল এড্রেস দেখে তাকে ইমেইল করে বলতে পারে যদি তার কোন অভিযোগ থাকে। মন্তব্যকারী যদি মনে করেন তা পরিবর্তন করবেন, তাহলে করবেন। তার জন্যে সে নিজে দ্বায়ী থাকবেন।
যাইহোক, তুমি যা ভাল বোঝ কর, কিন্তু সমাধান বের করতেই হবে।
সিসিবিতে বাক-স্বাধীনতা নিয়ে আমার কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল। এখন মনে হচ্ছে সঠিক সময় না, হলে জানাব।
জাহিদ ভাই যে বাকস্বাধীনতা নিয়ে ভেবেছেন অবশ্যই এটা সাধুবাদ জানানোর যোগ্য। আমরাদের সবাই যদি এভাবে ভাবি তাহলে খুব সহজেই আমরা এই কন্সেনসাসে পৌছ্তে পারব যে যেকোন একটি সোশ্যাল সমাবেশ যেটা কিনা এসেন্সিয়লি একটি মতামত চালাচালির মুক্ত প্ল্যাটফোর্ম, তাকে সফল ও ইন্টেলেকচ্যুয়লি ইতিবাচক হতে হলে সর্বপ্রথম যেই বিষয়টা প্রতিষ্ঠিত করা দরকার তা হল ফ্রী স্পিচ, যেটা আমাদের দিবে ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন, এটা প্রয়োজন এই কারণে যে, ভাল মত বেশী প্রতিবর্ধিত হয় (the most democratic opinions tend to resonate the most), আর এই উথ্যাপিত ইস্যুর বিরুদ্ধে মতের এই রেজোনেন্স নির্ধারণ করবে কি হতে যাচ্ছে আমাদের কালেক্টিভ মূল্যবোধ। সেন্সরশিপ এখানে একটি কাজ করে উথ্যাপিত ইস্যুর গলা চিপে ধরে সেই জনমতের গনতান্ত্রিক মতামতের রিজোনেন্সের দিকে কোন কেয়ার না করে সরাসরি একটি মূল্যবোধ ব্যবস্থা ইম্পোজ করে যা কিনা আমাদের কালেক্টাভ কিছু নয়। আমি একটি পোস্ট লিখছি এ বিষয়ে পরিসংখ্যান সহকারে যা আশা করছি সিসিবি আমাকে আপ করতে দিবে। ভাল থাকবেন।
অর্ণব,
সমস্যা হচ্ছে, সবাই ধান্দাবাজ। বিরোধীদলে থাকতে সবাই বলে 'বিশেষ ক্ষমতা আইন' বাতিল করতে হবে, ক্ষমতায় গেলে সব ভুলে যায়। তুমি যে সব দেশের ভুয়সী প্রশংসায় ব্যস্ত, (এই খানা যথাযথ গালি বসবে) নিজেরদের বিরুদ্ধে এইগুলো কিছুই মানে না। সাদারা বড় বড় কথা কয়, কামের বেলায় নাই। তুমি পাশ কর, তারপরে বুঝবা।
কে যেন একবার বলেছিল, নাম মনে নাই, "আমার নাকের ডগা যেখান থেকে শুরু সেখানে তোমার ব্যক্তি স্বাধীনতা শেষ।" কথার মাজেজা বড়ই বেশী।
সবাই ভাল থেকেন।
:)) :)) =)) =))
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
আমি এর সাথে সম্পূর্ণ একমত, ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখা যেতে পারে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমিত্ত এসেন্সিয়লি তাই মনে করি, লেখক ছাড়া কোনো পোস্ট বা মন্তব্য এডিট করার ক্ষমতা কারও থাকা উচিত না, কারণ এতে পোস্ট লেখক অপ্রিয় মন্তব্যকারী পাঠকের মন্তব্য এডিট করে এর কনটেনেন্ট এর ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।
🙂
:teacup:
:thumbup:
:guitar:
:clap: