বারংবার বিরক্ত হই, খুবই বিরক্ত

কোনদিনই লেখার অভ্যাস ছিলো না, লিখবো কোনদিন এমনটাও ভাবি নি । গত দু দশকে জীবিকার জন্য লিখতে হয় নি, কিন্তু জীবিকা টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু কিছু লিখতে হয়েছে, যেগুলোর পাঠক/শ্রোতা রা উপস্থিত ছিলেন তাদের জীবিকা টিকিয়ে রাখার জন্য ।এর মধ্যে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ফর্ম পুরন করতে হয়েছে, সেগুলো ও লেখা, কিন্তু এখন যে অর্থে লিখছি, সেই লেখা না নিশ্চয়ই ।

লেখালেখি, তা যদি কাউকে পড়তে দিতে হয়,

বিস্তারিত»

সাংগঠনিক / প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা – একটি অভিজ্ঞতা – পর্ব ১

এটি আমার চলমান জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার শব্দরুপ মাত্র।

সম্পুর্ন কর্মজীবন এর সিংহভাগে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে, প্রথম মোড় যেদিন নিলাম, সেদিন অর্থ ও বানিজ্য বিষয়ক একটি উপ-দপ্তরের কাজ বুঝে নেবার দায়িত্ব পেলাম। আমাকে যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দিলেন, তারা ও ইতিপুর্বে আমার ই মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। যদিও তারা কেউই পুর্বতন প্রতিষ্ঠানে ১০ বছরের বেশী ছিলেন না, সেখানে ঐ একই ধরনের প্রতিষ্ঠানে আমার অভিজ্ঞতা ১৮ বছরের ও বেশী।

বিস্তারিত»

অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৬


জীবন প্রবাহে জীবিকার ছোবলে আক্রান্ত হতে হয় প্রায়ঃশই। কখনো হোঁচট খাই – কখনো বা পিছলে যাই – কখনো বা আমাদের স্রেফ বসে পড়তে হয়। তারপর আমরা হামাগুড়ি দিয়ে নড়তে শুরু করি। ধীরে ধীরে এরপর হেঁটে চলা আর একসময় দৌড়ে চলা। এহেন জীবন যাপনে আমরা অনেক সময়ই বাস্তবতার সাথে সমঝোতা করে নিই। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বরের জমকালো ইফতার সন্ধ্যা মিস্‌ করার পর নিজেকে সান্তনা দেওয়ার জন্যই বোধকরি এ ভূমিকাটুকুর অবতারনা।

বিস্তারিত»

অলিভার স্টোন-এর ‘প্লাটুন’ (১৯৮৬)

ফ্রঁসোয়া ত্রুফো বলেছিলেন, যুদ্ধবিরোধী সিনেমা কখনোই বানানো সম্ভব না, কারণ যুদ্ধ নিয়ে করা সব সিনেমাতেই বীরত্ব ও অ্যাকশন দেখানোর মাধ্যমে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয় যে যুদ্ধকে বেশ মজার মনে হয়। ত্রুফোর এই কথার চেয়ে বড় সত্য আর নেই। অনেক সিনেমায় যুদ্ধবিরোধী আন্ডারটোন থাকলেও নগ্ন বীরত্ব গাঁথা-টাই মুখ্য হয়ে উঠে। যুদ্ধের জটিল কলাকৌশল, স্নাইপারদের কারিশমা দেখতে তাই আমার কখনোই ভাল লাগে না। অপরদিকে যুদ্ধবিরোধী সিনেমা আমার প্রিয় জঁনরাগুলোর একটি।

বিস্তারিত»

আচার ০২৫: বিচিত্রামচা

১।

প্রথম বিশ্ব হোক আর তৃতীয় বিশ্ব- সব বিশ্বের সরকারের অবস্থা একই। চরম রকমের ইনএফিসিয়েন্ট এরা। নিজের বাপ সরকারী চাকুরীজীবি, তারপরও এই কথা বললাম। বলার কারণ অবশ্য যথেষ্টই আছে, বিদেশে পড়তে আসার মাস দুয়েক আগে থেকে শুরু হইছে সরকারী অফিসে অফিসে কাগজপত্রের জন্য ধরনা দেওয়া। কানাডায় আইসাও তার ব্যতয় ঘটে নাই, এই কাগজ সেই কাগজের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হইছে গত দুইবছর। বাংলাদেশের সরকারী অফিস আর এই খানের সরকারী অফিসের মধ্যে পার্থক্য একটাই,

বিস্তারিত»

কে কারে কি কয়?

[ এই ছড়ার কোন মানে নাই। নেই কাজ তো খই ভাজার বাইপ্রোডাক্ট ]

ফকা বলে সাকারে
ভাল করে তাকারে!
আমি তোর বাবা হই
নই বড় কাকা রে!

সাকা বলে ফকারে
দিয়ে গালে টোকারে!
তোমারইতো এই আমি
বুড়ো ধেড়ে খোকা রে!

বিস্তারিত»

রোজার দিনে বেজার দিনলিপি

দিনগুলা যায় ভালোই চলে
বেশতো সাধা সিধা
দু:খ খালি যায়না খাওন
লাগলে পেটে খিদা! :bash:

এই রোজাতে যায়না বোঝা
ক্লাস টাইমের পড়া
বোর্ড জুড়ে :just: ভাসতে দেখি
বুট, বেগুনী, বড়া! :dreamy:

বিস্তারিত»

কোন এক মিলনের বড় হবার স্বপ্ন ছিল

এক

আজকের দিনটা তার কাছে বিশেষ কিছু। এই দিনের মাহাত্ম্য আরো বেড়ে যাওয়ার কথা আর ঘন্টা দুই পরে।
কিঞ্চিত উত্তেজনা বোধ করছে নিজের অজান্তেই- তার কপাল বেয়ে নেমে যাওয়া ঘামের নোনতা স্বাদ ঠোঁটে লাগতেই সে চাপটা অনুভব করে। চাপ কমাতেই সে সিগারেট ধরায়। আনাড়ি হাতে ঠিকমত ধরাতে বেগ পেতে হয়। সিগারেট সে খায় খুব বেশিদিন না, যতটা না খাওয়ার জন্য তারচেয়ে বেশি নিজের পরিপক্কতার সার্টিফিকেটের জন্য।

বিস্তারিত»

বাসের অযোগ্য ঢাকা শহর…, অযোগ্যতার সীমানা কতদূর?

দিন দিন আমাদের এই ঢাকা শহরটা বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অযোগ্যতার সীমাটার শেষ যে কোথায় তা কে জানে। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকা…ঘন্টায় ঘন্টায় লোড শেডিং, দিনে সূর্য্যের প্রখর তাপ আর রাতের অন্ধকারে মশার কামড় এই নিয়েইতো ঢাকা বাসীদের দিনকাল। শত শত প্রাইভেট কারের ইঞ্জিনের তাপ যেন সূর্য্যি মামার শক্তিকে বহুগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে। যত্র তত্র গাড়ি পার্কিং করে বিশাল বিশাল রাস্তা গুলোকে কঙ্কালে মত সরু বানিয়ে রাখা হচ্ছে।

বিস্তারিত»

কৃষকের কৃতি কথা !


কৃষকের অপার প্রচেষ্ঠায়
ছোট ছোট বীজ থেকে
সবুজের বুকে রচিত হয়
একেকটি জীবন্ত সভ্যতা!


এভাবেই দিন যায়
ক্ষণ যায়, কাটে রাত !
এক প্রান্তে অভিজাত ঝলমলে শপিং মল
অন্য প্রান্তে অন্ধকারে জোনাকীর চলাচল।

বিস্তারিত»

আচার ০২৪: পরবাসীর রোজনামচা

১.
গত মাসের শেষে মাস্টার্স থিসিস জমা দিয়ে দিয়েছি। থিসিসের ডিফেন্সও শেষ। হাতে কাজ নাই বললে ভুল বলা হবে। থিসিসের কাজ-কর্ম রিপোর্ট করে একটা জার্নাল পেপার লেখার তাগাদা সুপার দিয়ে যাচ্ছেন থিসিস শেষ করার আগে থেকেই। সেই কাজে হাত দিয়ে বুঝলাম ব্যাটারির চার্জ ফুরায়ে গেছে, মায়ের হাতের রান্না আর বউয়ের বানানো পুডিং না খেলে ব্যাটারি রিচার্জ হবে না। অগাস্ট মাসটা চুপচাপ থাকি বরং, ছুটিতে গিয়ে পেপার লেখার ব্যাপারে চিন্তা করা যাবে।

বিস্তারিত»

আচার ০২৩: হ্যাকিং

দেখতে দেখতে আমার সিরিজটার ২৩ নম্বর কিস্তি চলে আসল। ২৩ নাম্বারটা একটা স্পেশাল নাম্বার, মাইকেল জর্ডান এইটা পরতেন জার্সি নাম্বার হিসাবে। শিকাগোর ইউনাইটেড গার্ডেন এরিনাতে এই জার্সিটা রিটায়ার করে রাখা হয়েছে তাঁর সম্মানার্থে। জর্ডানের সাথে ব্র্যাডম্যানের একটা এনালজি দেয়া যায়। ব্র্যাডম্যানের সাথে তুলনা অনেকেরই হবে, কিন্তু তর্কের শেষে ব্র্যাডম্যানকে হিমালয়সমান উচ্চতায় রাখতেই হবে। জর্ডানও এমন একজন খেলোয়াড় ছিলেন, বলা হয় বাস্কেটবলের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়। কোর্টে তার ইম্প্রোভাইজেশান খেলাটাকেই পরিবর্তন করে দিয়েছে।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন দিনলিপি

অনেকদিন ধরেই কিছুই লেখা হচ্ছে না। আমার সামনে দিয়ে কত ঘটনা ঘটে যায় কত গল্প উড়ে বেড়ায়- কিন্তু তা ধরার ফুরসত মেলে না। অলসতা আর সাথে কিঞ্চিত প্রতিকূলতায় ব্লগে আসা কমে যাচ্ছে। এই পোস্ট টি নিজের অস্তিত্বের জানা দিতে লেখা। আমার কেটে যাওয়া সময়ের গল্প। লিখতে গেলে অবশ্য আমার বরাবরই খাপছাড়া লাগে । গত কয়েকদিনে অনেক ঘটনাই ঘটে গেল। এত দ্রুত পরপর যে আমি নিজেই একটার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে আরেকটা ঘটে যায়।

বিস্তারিত»

আজো স্বপ্ন দেখি !

ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত হতে পারে !
আমার চশমার গ্লাস গলে –
এখনো আলগোছে ঢুকে পড়ে
বেপরোয়া দুরন্ত স্বপ্নরা!

আমার বুকে পাজরের দূর্গ ভেঙ্গে-
সংশপ্তক হৃদয়ে অনাহূতের মত
অনুপ্রবেশ করে লক্ষীছাড়া স্বপ্নরা।
ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত হতে পারে !

জন্মাবার পর থেকে প্রতি ক্ষনেই
জ্ঞানে-ধ্যানে-টানে-অভিমানে;
অজস্র স্বপ্নেরা ধরা দেয়
অদেখা কারেন্ট জালে।

পদে পদে সেই স্বপ্নের সমাধি
খুঁজে খুঁজে আমি গড়িয়ে যাই-
পথ থেকে পথে।

বিস্তারিত»

সমঝোতা !

পেরিয়ে আসা সেই দিনগুলো,
ফেলে আসা আমার কৈশোর
বড্ড প্রহসন করে আমায়।
টিপ্পনি কেটে বলে আজ
তোমার শুধু কাজ আর কাজ।

ফাইল গুলো খোলা রেখেই; তাই
কফির মগে এক চুমুক দিয়ে
টেবিল ছেড়ে উঠে যাই।
মুঠোফোনটি বোবা করে
আমি বারান্দায় এসে দাঁড়াই।

বিস্তারিত»