প্রতীক্ষিত প্রাপ্তি

অপেক্ষার প্রহরগুলো অনেক সুন্দর, আবার তাও যদি হয় সুন্দর কোন মানুষের জন্য। কিন্তু সেই সুন্দর মানুষটি যদি আসার আগেই হারিয়ে যায়! যদি প্রকৃতির দুর্লঙ্ঘ্য নিয়মের বেড়াজালে সাত পাকে বাঁধা পড়ে যায়!
………………………………………………………….

বৃষ্টি আসবে
বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি
উদ্দাম বাতসের তান্ডব চলবে-
আমার পৃথিবীতে।
শুধুই অন্ধকার, নিষ্প্রদীপতা।
আমি নগ্ন হয়ে ভিজব।
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা
ছুঁয়ে যাবে আমার ওষ্ঠ,

বিস্তারিত»

আচার ০২৭: পিচ্চি মানুষ

সিসিবিতে প্রথম জয়েন করার ভেবেছিলাম ছদ্মনামে লেখব। যখনকার কথা বলছি তখনো সিসিবির প্রচলিত রীতি নীতিগুলো গড়ে ওঠে নাই, ছদ্মনামে লিখতেনও কয়েকজন। কি বলেন কাইয়ূম/ফৌজিয়ান ভাই? ;)) ছদ্মনাম হিসাবে পছন্দ হলো নন্দঘোষ নামটাকে। আমার কলেজ লাইফকে এই একটা শব্দ বেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে এক কথায় প্রকাশ করে দিতে পারে। ইতরামি-বানরামি যে করি নাই এমন না, কিন্তু গ্রুপ ফল্ট হইলেই আমারে কলেজ অথরিটি ঝুলায়ে দিত, আমি সেইখানে থাকি বা না থাকি।

বিস্তারিত»

আচার ০২৬: বাড়ির পথে

সুদীর্ঘ দুই বছর পর দুই সপ্তাহ পর দেশে ফিরে আসলাম। আসার পথে বিমানযাত্রাটা বেশ ঘটনাবহুল ছিল। সেইন্ট জনস থেকে উড়াল দিয়েছিলাম টরন্টোর উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে লন্ডনের ফ্লাইট ধরা হবে। ওখানে যাত্রাবিরতি ছিল তিন ঘন্টার মত। ব্লগ চাওয়ালা রকিবকে আগেই বলে রেখেছিলাম, ও এসে হাজির হয়েছিল এয়ারপোর্টে। ট্রানজিটের সময়টুকু আমরা কাটালাম ইতিহাস সৃষ্টি করে (সিসিবির প্রথম ওভারসিজ গেট টুগেদার করে)। লন্ডন পৌঁছার পর পরের গন্থব্য ছিল বাহরাইন।

বিস্তারিত»

ঈশ্বরচিন্তা – ৩

মানুষের প্রাচীনতম ধর্মীয় অনুভুতি গুলো প্রথমত উৎপন্ন হয়েছিল একধরনের ভীতি থেকে। প্রথম যে মানব সমাজে অলৌকিকতার ধারনা এসেছিল তা সম্ভবত প্রকৃতিকে বুঝতে অক্ষমতার কারনেই। প্রাচীন সমাজে ধর্মমত গুলো প্রধানত ছিল যাদু নির্ভর। বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তিকে না বুঝতে পেরে সেগুলোকেই উপাসনা শুরু করে প্রস্তর যুগের মানুষ। এ উপাসনা কিন্তু সম্পূর্ন পার্থিব কারনেই হত। প্রাথমিক উপাসনা সম্ভবত ছিল ঝড় বন্যা বজ্রপাত হতে বাচার জন্যে। সেজন্যেই আমরা দেখতে পাই প্রতিটি প্রাকৃতিক শক্তিকে উপাসনা করার ব্যাপারটি।

বিস্তারিত»

সিনেমার সুকান্ত: জঁ ভিগো

সুকান্ত ভট্টাচার্যের কাব্যপ্রতিভার রহস্য এখনও কেউ ভেদ করতে পারে নি। সুকান্ত একই সাথে আমাদের মাঝে বিস্ময় ও বিষাদ এর অনুভূতি জাগিয়ে গেছেন। তার অসাধারণ কাব্য সুষমা জাগিয়েছে বিস্ময়, আর তার অকালমৃত্যু আমাদেরকে চিরদিনের জন্য করে গেছে দুঃখী। অনেক সমালোচকের মতে রাজনৈতিক চেতনা নিয়ে বেশি ভাবতে গিয়েই কবি ও কাব্য সমালোচকরা সুকান্তর প্রকৃত প্রতিভার প্রতিটি পাঁপড়ি মেলে দেখতে পারেন নি। সুকান্ত মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা গেছেন।

বিস্তারিত»

রাত্রিস্নান

আজকাল অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি।
কেন যেন ঘুম ধরে না
কোলবালিশটা আঁকড়ে ধরে-
এপাশ-ওপাশ করতে থাকি।
কখনো পাশে শোয়ানো মোবাইলটা তুলে
সময়টা জেনে নেই, আচ্ছা-
গভীর রাতে সময়টা শ্লথ হয় কেন?
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার কোনো-

বিস্তারিত»

শেষ হয়ে গেল টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব

টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল যে এত সমৃদ্ধ আগে ভাবতেও পারিনি। স্বয়ং আম্রিকার কোন চলচ্চিত্র উৎসবও এত গমগম করে না। অস্কার আর গোল্ডেন গ্লোব দিয়ে তারা চলচ্চিত্র উৎসবকে ছেয়ে ফেলেছে। সেখানে উৎসব মানেই পুরস্কার। পুরস্কার ছাড়া যেন উৎসব হয় না, কিংবা উৎসব থাকলেই যেন সেখানে পুরস্কারের সমারোহ থাকতে হবে।

মহাবিশ্বের ইতিহাস নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে গিয়ে টরন্টোর ভাল ফিচার করতে পারছি না।

বিস্তারিত»

অভিশাপ নারে আশীর্বাদ দিমু

তোমরা আমারে চিনবানা, আমার গলাত
ঝুলানি কোন চিকচিকা পরিচয়পত্র নাই।
একটা পাও নাইক্কা আমার – পঙ্গু অহন,
এর থিকা পষ্ট আর কি পর্‌মান চাই?
অহন কোন কিছুতেই ধরে না তেমন জ্বালা,
আমি য্যান এ্যাক্কারে পাথ্‌থর হয়্যা গেছিগা।

দামাল আছিলাম সত্যই; নাইলে কি কামে কিসের টানে ,
বেবাক ভুইল্যা মাইত্যা উঠছিলাম আমি বিষম অভিমানে!
দ্যাখতে দ্যাখতে এতডি বছর হইয়্যা গেল পার,

বিস্তারিত»

যার মনের সাথে গণিতের চিরস্থায়ী শত্রুতা

সিসিবি’র ই-বই ‘পরানের গহীন ভিতর’ পুরোটা প্রিন্ট করে বাসায় এনে রেখে দিয়েছি। একেবারে বইয়ের মতো বাঁধাই করে। আমার টেবিলের উপরে বা বিছানার পাশে থাকে। পরিচিত কেউ বাসায় আসলে নেড়ে চেড়ে দেখে, অতি উৎসাহী অনেকে পড়েনও। আমার নিজের দু’টি লেখা আছে সেখানে। কেউ পড়তে শুরু করলে মনে মনে অপেক্ষায় থাকি এই বুঝি পড়া শেষ করে আমার কোন লেখার প্রশংসা করবে! আফসুস, কেউ এখন পর্যন্ত করেননি। লোকজন অনেক সৎ হয়ে গেছে আজকাল।

বিস্তারিত»

দর্শক

বারান্দায় গ্রীল ধরে অনেক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম। কোন কারন নেই। এমনেই। আসলে কিছুই জীবনের মাঝখানে মেলাতে পারি না ,শুধু গ্রীল জাপ্টে দাড়িয়ে দেখি। কিছু দেখার উদ্দেশ্যে তাকাই না। চোখে পরে। একে দেখা বলে না। দেখা মানে তথ্য ,অবয়ব সংগ্রহ করা। কিছুই সংগ্রহ করি না , কিছু সংগ্রহের ইচ্ছাও নেই। পৃথিবীর অসংখ্য উপাদানের সাথে আমার পার্থক্য করে দেয় এই গ্রীল। আমি অখুশি হই না। পরম আগ্রহে গ্রীলের মরচেতে হাত ডোবাই।

বিস্তারিত»

ঈদ মুবারক

রমজানের ঐ ঈদ এলো রে
উচ্ছ্বাসী এক প্রথা
এই খুশিতেও একটু ভেবো‌
সেই ছেলেটার কথা।

যার মুখেতে তোমার মতন‌
ফিরনী, পায়েশ জুটলোনা
শাওয়াল মাসের আধখানা চাঁদ
যার আকাশে উঠলোনা।

আতর মাখা সুগন্ধতে‌
এই খুশি আর আনন্দতে‌
সময় করে সঙ্গে নিও তাকে‌
পাশের বাসার ন্যাংটো ছেলেটাকে…

বিস্তারিত»

ইঙ্গমার বারিমানের সাক্ষাৎকার: প্লেবয়

প্রকাশ: জুন, ১৯৬৭; প্লেবয় ম্যাগাজিন

চলুন বারিমানের “দ্য সাইলেন্স” মুক্তি পাওয়ার সেই উত্তাল মাসগুলোতে ফিরে যাই। স্টকহোমের প্রতিটি সিনেমা হলে উৎসুক দর্শকদের ভীড়, তার দেখাদেখি আরও ডজনখানেক দেশে সাইলেন্স নিয়ে একরকম চাপা উত্তেজনা, একেক জনের হলে আসার কারণ একেক রকম- কেউ এসেছে এই সুয়েডীয় চলচ্চিত্রকারের বিশ্বনন্দিত ট্রিলজির (আগের দুটি হল “থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি” ও “উইন্টার লাইট”) শেষ পর্ব দেখতে,

বিস্তারিত»

যাই না – বলো আসি…

গত ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে ওদের হাল্কা কথোপকথন
আকাশঃ
হ্যালো। দেখতে দেখতে অনেকটুকু সময় পেরিয়ে গেল, না!
নীলিমাঃ
হুম্‌ম। ব্যস্ত সময় খুব দ্রুত পেরিয়ে যায়।

– জানো, তোমায় ভেবে ভেবেই পৃথিবীটাকে লাটিমের মত ঘূর্নি খাইয়ে খাইয়ে এই সময়টুকু পার করেছি আমি।

– এই যে, এখন আমাকে খুশী করা হচ্ছে না? শুধু তো আমায় ভেবেই বুঝি দিন যায় তোমার ?

বিস্তারিত»

ঈশ্বরচিন্তা

একটা ছোট গল্প দিয়ে শুরু করছি। মেরুদন্ডী প্রানীর প্রাচীনতম পূর্বপুরুষ হচ্ছে সেলা। বেচারাদের অবশ্য পৃথিবী নিয়ন্ত্রন করা বর্তমান কর্ডেট দের তুলনায় কিছুই ছিল। স্পাইনাল কর্ডের সামান্য উর্ধ্বাংশই ছিল তাদের সম্বল। ছোট, কয়েক সেন্টিমিটারের প্রানীগুলো ছিল প্রচন্ড বিপদে। তখন রাজত্ব চলছে বিশাল বিশাল আর্থোপোড প্রিডেটরের। সাত আট ফুট লম্বা এই সব কিলিং মেশিন সমুদ্র দাবড়িয়ে বেড়াত। সেলা লুকাত বালির নীচে।

এখন কি ভাবা সম্ভব?

বিস্তারিত»

প্রাপ্তির হিসাব কিতাব – আনন্দাশ্রু

সেদিন মনে হলো – এইতো সেদিন মেম্বার হলাম এই ব্লগে। তারপর কাজের ভীড়ে তলিয়ে গেলাম। হঠাত মেইল পেলাম পার্সোনাল মেইল এ। তখন খেয়াল হলো পরিবারে এসে নাম লিখিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু কাজ তো করি নি কোনো। তাই চেষ্টা করলাম লিখতে কেমন লাগে সেটা বোঝার জন্য। দিলাম ছোট্ট একটা লেখা। স্বাগতমের ভীড়ে চাপা পড়ে গেলাম, যা আমাকে মনে করিয়ে দিলো দায়বদ্ধতার কথা। মনে করিয়ে দিলো খেটে খাওয়ার কথা।

বিস্তারিত»