সিনেমা বিষয়ে স্ট্যানলি কুবরিক এর কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। হাই স্কুল শিক্ষা যখন শেষ করেন তখন আমেরিকায় মন্দা চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সেই দেশে নিয়ম করা হয়েছিল, ৬৭% এর উপর নম্বর না থাকলে কেউ কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। তাই হাই স্কুলের পর আর কুবরিকের পড়াশোনা করা হয় নি। পরবর্তীতে মন্তব্য করেছিলেন যে, স্কুল তাকে কিছুই শেখাতে পারে নি, এমনকি স্কুলের কোনকিছুতে তিনি কোনদিন উৎসাহও পান নি।
বিস্তারিত»ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে…
একটা বেসিন ভাঙা দিয়া শুরু ক্লাস সেভেনে। পুরাকালে পেপসির লিটার যখন কাচের বোতলে বিক্রি হইত, একটা বোতল খালি করে কলেজে নিয়ে গেছিলাম। পানির কনটেইনার হিসাবে ব্যবহার করার ইচ্ছা। বাথরুম থেকে পানি ভরার পর বোতলটা হাত ফস্কে পড়ে গেল বেসিনের উপর। কি কেরমতি বোতলের! বোতল তো ভাঙলই না, বেসিনের মধ্যখান থেকে চারকোনা একটা টুকরা টপ করে ভেঙ্গে নিচে পড়ে গেল। দেখলাম বাথরুমে কেউ নাই, তাড়াতাড়ি ভাঙা টুকরাটা বেসিনের উপর চেপেচুপে বসিয়ে দিয়ে চলে আসলাম।
বিস্তারিত»আচার ২৮: আমি আছি! আমি আছি!! আমি আছি!!!
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল নাকি শার্লক হোমস লিখে সেভাবে পরিতৃপ্ত হতে পারেননি। তার দৃষ্টিতে ওই লেখাগুলো ছিল সস্তাদরের, রদ্দিমাল। তাই উৎকৃষ্ট সাহিত্য রচনাকল্পে তিনি কিছু ভারী উপন্যাস লিখলেন। বাজারে সেইগুলা কোন ভাত পাইল না, দুঃখের বিষয়। আমারও সেইম অবস্থা। আমার ব্লগগুলা খুব আমি কেন্দ্রিক হয়, কিংকং-এর ভাষায় কোন টুথপেস্ট দিয়া দাঁত মাজি এইসব নিয়া ব্লগ। স্যার ডয়েলের মতো আমিও ভাবলাম ভালো কিছু লিখতে হবে। সুতরাং টুথপেস্ট মার্কা ব্লগ না লিখে গল্প লিখতে হবে।
বিস্তারিত»ডায়লগ মেলোডি ৩.০ (মির্জাপুরিয়ান ভার্সন)
(বহুদিন পরে আবার লিখতে বসলাম।লিখা বললে ভুল হবে বলা চলে স্মৃতিচারণ।)
ঘটনা ১ :
বাথরুমে আমার এক ব্যাচমেট দাঁড়িয়ে জলবিয়োগ করছিলো।সে দেখতে আবার বিশাল(প্রায় ৬’-২”)।এই সময়ে এক জুনিয়রও তার কাজে পাশে এসে শুরু করে দিলো।হঠাৎ কি মনে করে সেই জুনিয়র পাশে দাঁড়ানো আমার সেই বন্ধুকে বলে বসলো
“কাইন্ডলি ……. ভাই উকি দিয়েন না”
(সেই বন্ধু আজও বলে যে সে নাকি কোনো দিকে তাকায় নাই।জুনিয়র এম্নিতেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলো)
ঘটনা ২:
এই শিক্ষককে নিয়ে আমার ব্যাচমেট জিহাদ আগেও একটা পোস্টে বলেছিলো।আজ তার অন্য এক কাহিনি।
বিস্তারিত»ঈদ কুরবানী নিয়ে বিরক্ত জনৈক ব্যাক্তির দিনলিপি : (উৎসর্গ ঈদ উৎসবে গরু ছাগলের সাথে কুরবানী হওয়া সকল দ্বিপদী মানব মানবীদের)
[ঈদ চলে আসল উৎসবের আমেজ নিয়ে। ছোট বেলায় যখন ঈদ উৎসব নিয়ে রচনা লিখতাম ঈদের আনন্দে মোহবিষ্ট হয়ে গিয়ে যা করি আর যা করতে চাই সব কিছুকে চালিয়ে খাতার মাঝে এক জগত তৈরি করে ফেলতাম। নিজের রচনা নিজেই পড়তে পড়তে অদ্ভুত ভার্চুয়াল সুখে মেতে উঠতাম। সময়ের আবর্তনে এখন যখন একটু দেখি চারপাশে বাস্তবতার আঘাতে সেই আনন্দ হারিয়ে যেতে চায়। কুরবানীর ঈদকে অনেকে বলে বড় ঈদ।
বিস্তারিত»দিনলিপি : উৎসবের মাঝে আমিত্বের আত্নত্যাগ স্বরণে
উৎসব উৎসব ভাবে চারদিক ছেয়ে গেছে আর বাই প্রোডাক্ট হিসেবে আছে গোবরের গন্ধ। গরু ছাগল উট ইত্যাদি ইত্যাদি। সকালে ছোটভাই এর সাথে একটা গবেষণা করলাম। কুরবানী করা যায় এইসব প্রাণীর ক্রাইটেরিয়া কি? মুরগী বা গাধাকে কেন বাদ দেয়া হবে ইত্যাদি।
উৎসবের প্রয়োজন মানব জীবনে কতটুকু সেটা আমি জানি না। সেটা ভ্যালেন্টাইনস ডেতে হুড তোলা রিকশায় লিপস্টিক দিয়ে রাঙ্গানো ঠোট চোষা বা ভরপেটে প্রাণীজ আমিষ খাওয়ার উপলক্ষ তৈরী করে দেয়া নাকি কোন সমাজতাত্বিক কারন আছে পৃথিবীজুড়ে উৎসবের দিনক্ষণ করার জন্যে।
বিস্তারিত»গল্প: ক্ষুধা
এলার্মের শব্দে চোখ খুলে উপরে ঝুলে থাকা সিলিংটাকে খুব অপরিচিত মনে হল আফসানা রশীদের। ঘুমের ক্রমবর্ধমান সান্দ্রতা তাকে টেনে বিছানায় ফেরৎ নেবার অপচেষ্টায় মত্ত তখন। আফসানার মনে একটি লোভনীয় আশা উঁকি ঝুঁকি মারার চেষ্টা করল। কোনদিন যদি এলার্মের শব্দটাকে পিছমোড়া বেধে ফেলে দেয়া যেত প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম খাতে। কি যেন নাম খাতটার, মিন্দানাও খাত সম্ভবত। যে শিডিউল গুলো ব্ল্যাকবেরীর ভেতরে অঘোরে ঘুমাচ্ছে একটি সদ্যজাতের তারস্বর চিৎকারের অপেক্ষায়,
বিস্তারিত»10th Down মারকুটে ব্যাটসম্যান
বাংগালি জাতি ক্রিকেট পাগল জাতি।আমি বাংগালি, জাতেও পাগল; কিন্তু ক্রিকেট পাগল না। কোনো খেলাধুলাই আমি পারিনা, ক্রিকেট তো আরো না।হাল ছেড়ে দেবার লোক আমি না। সূতরাং ক্রিকেটার হিসাবে প্রতিষ্ঠা সাময়িকভাবে আমার জীবনের লক্ষ্যে পরিণত হলো।
আমি তখন ৯ম শ্রেণীতে পরি; মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে। সামনে আন্ত: হাউজ ক্রিকেট কম্পিটিশন।জুনিয়র গ্রুপে আমরাই সবচে সিনিয়র।সূতরাং দলে আমাদের সংখ্যাই বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু দলীয়করন এবং স্বজনপ্রীতি এমন একটা ব্যপার যা সর্বত্র বিদ্যমান।
বিস্তারিত»ফৌজদারহাটের সুবর্ণজয়ন্তী : লেখা চাই
ফৌজদারহাটের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে গতবছর। একই সঙ্গে এদেশে ক্যাডেট কলেজ শিক্ষারও ৫০ বছর পার হয়েছে। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে ২৭ ফৌজদারহাটে তাই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব হবে। ফৌজদারহাটের অনেকেই সেই উৎসবে সামিল হবো।
“ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৫০ বছর : ক্যাডেট কলেজ শিক্ষার ৫০ বছর” শিরোনামে একটা দ্বিভাষিক সংকলন বের হবে। এতে ফৌজদারহাটের ক্যাডেট, শিক্ষক, ক্যাডেটদের দেখেছেন-কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিত্ব এবং বাকি ক্যাডেট কলেজগুলোর ক্যাডেটদের লেখা থাকবে।
বিস্তারিত»দিনলিপি -৫: নাইটেঙ্গেলের কুলখানিতে পঠিত কবিতা(উৎসর্গ : উত্তর দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়)
শংকর বাসস্ট্যান্ডে রিকশা করে যাচ্ছিলাম।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি গাঢ় নীল। আকাশের সুগন্ধী যোনীতে ফুটে আছে একথোকা মেঘ, ভেনাস দ্যা মিলোর মসৃণ ত্বকে যে শতাব্দীর ঘন সুবাস আয়েশে জমে আছে তার ভাস্কর্য্য। আমি সুন্দরের শরীর স্পর্শে পাগল হয়ে যাই, বাতাসের স্তনবোটায় জমা স্বেদবিন্দুর স্বাদ নিতে উদ্বেলিত হয়ে যাই। কবিতারা ঝাক বেধে যেন জন্মায় এই শরীরে।
উত্তর দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। অসংখ্য শুন্যচোখ আর জব ওরিয়েন্টিজমের স্টান্টবাজির গিলোটিনে ঘাড় পেতে দেয়া ঠোটপালিশ মাখা প্লাস্টিকের ঠোট দেখলাম।
বিস্তারিত»৩০০০তম পোস্টও এই মাস্ফ্যুর! (হইলেও হইতে পারে)
পোষ্টের নাম দেইখা ভয় পাবার কিছু নাই। ৩০০০তম পোষ্ট টা দেওয়ার জন্য সবাই চুপ চাপ খামি মাইরা বইসা রইছে। সুযোগ পাইলেই ছাইড়া দিবে, কিন্তু আমি তা হইতে দিতে পারি না। আমি সবাইরে জানাই দেওয়ার জন্যই এই পোষ্ট টা দিলাম। এখন দেখি যুদ্ধে কে ফার্স্ট হয়।
বেশি দিন আগের কথা না, আমাদের জামাই ম্যাশ ২০০০ তম পোষ্ট দিতে গিয়া বিরাট ধরা খাইছিল। পরে লাবলু ভাইয়ের হস্তখেপে বেচারা ম্যাশের ইজ্জত রক্ষা হইছে।
গল্প: দানব
ইকরাম মিয়া সিগারেট শেষ করে সশব্দে পাশের রাস্তায় থুতু ফেলল। গলার ভেতরটা শুকিয়ে আমসি। একটু পানি খাওয়ার জন্যে এদিক ওদিক তাকালো সে। মোড়ে চায়ের দোকানের পাশে বড় একটা ফিল্টারের গায়ে হেমন্তের নাতিশীতোষ্ণ রোদ প্রতিফলিত হচ্ছে। রোদের কারুকার্য দেখে সময় নষ্ট না করে সেদিকে হাটা দিল সে। ডিউটি শুরু হতে এখনও কিছুটা বাকী আছে। তাই কি করবে সে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না। ময়লা ড্রেনের পাশে নাম না জানা পোকাগুলোর অবিরাম অত্যাচারী সঙ্গীতে কটকটে রোদের আবহাওয়া অসহনীয় লাগছে তার কাছে।
বিস্তারিত»একঘেয়েমীতায়
মহাজাগতিক ইশারায়
মহাকাশে চলে গ্রহদের
অবিরাম প্রদক্ষিণ।
বাড়ন্ত বেলায় দেখি
প্রতিশ্রুতিময় সকাল,
ক্লান্ত দুপুর -অবসন্ন বিকেল,
একাকী সন্ধ্যা আর নির্জন রাত।
গল্প:ক্ষয়
(লোকালটকের একটি নিক নার্ভাস নাইন্টিজ এর ব্লগ টাইটেল দেখে গল্পটির প্লট আমার মাথায় আসে। তাই লেখাটা লোকালটক ওরফে ফিউশন ফাইভকে উৎসর্গ করলাম)
শাহবাগের মোড়ের আলম ভাইয়ের মুড়ি ভর্তা খেতে গিয়ে মরিচ চিবিয়ে ফেলল রফিক। ঝালে মুখে দাউদাউ করে জ্বলা আগুন আর চোখ দিয়ে নামা ফসফরাস মেশানো পানির দ্বিমুখী আক্রমনে দিশেহারা হয়ে রফিক এদিক ওদিক তাকালো। ফজলে নুর তাপসের চাদখানা মুখ দেখতে পেল। ইদানিংকার সুপারস্টার তাপসের চেহারা আগে কখোনো খেয়াল করে নাই।
বিস্তারিত»দিনলিপি – ৪: বমনার্ত সময়ে প্রেম আকড়ে মহাসমুদ্র পথে টিকে থাকা
বাসে করে যাচ্ছিলাম। অচল জনপদ সাঁই সাঁই করে জানালা ছুয়ে পেছনে পরে যায়, আর অস্তগামী অগ্নিকুন্ডটা তার যৌবন অতিক্রান্ত ঠোটপালিশ দেখিয়ে আদায় করতে চায় যেন সামান্য কিছু আকর্ষণ। ডিভানের নরম প্রেক্ষাপট নয়, বলধা গার্ডেনের কাঁটাবসনো ঝোপের পেছনে সামান্য স্থায়িত্বের কিছু অনুভুতিশূন্য শিশ্ন হলেই চলে যাবে তার। এ পৃথিবী হতে উঠেই গেছে ভালোবাসার স্পর্শ, শিঁড়দাড়ায় চুমু কিংবা স্তনের বোঁটায় ফোটা ফুলে অর্ঘ্য ঢালা, কেবল ডটেড কন্ডমে পর্দা করা নপুংসক শিশ্নই যথেষ্ঠ ঐ অস্তগামী সূর্যটার।
বিস্তারিত»