গতকাল ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এ বছরের একুশে বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের রাতে আমি আমার প্রকাশকের সনির্বন্ধ অনুরোধে রাজী হয়েছিলাম, সকালে বাঙলাবাজারে তার অফিসে গিয়ে আমার প্রকাশিতব্য বই “জীবনের জার্নাল” এর চূড়ান্ত প্রুফ দেখে অনুমোদন দিয়ে আসবো। ছোটবেলায় স্কুলছাত্র থাকার সময়ে বাঙলাবাজারে বহুবার গিয়েছিলাম। দেশ স্বাধীন হবার পর মাত্র দু’বার বরিশাল যাবার সময় সদরঘাট যেতে ঐ পথে গিয়েছি।
বিস্তারিত»অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা-১
যেদিন প্রকাশকের কাছে আমার প্রথম বই “গোধূলীর স্বপ্নছায়া”র পান্ডুলিপিটা ইমেল করে পাঠালাম, সেদিন থেকে মনে হচ্ছিল যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম, আমার দায়িত্ব শেষ হলো। অপেক্ষায় থাকলাম, প্রকাশক কী বলেন, তা শোনার জন্য। কিন্তু তখন পীক টাইম, তাই প্রকাশক কেন, কর্মচারী কিংবা সাহায্যকারীদেরও কথা বলার সময় নেই। তাই দিন গুনতে লাগলাম। একদিন প্রচ্ছদ শিল্পী প্রচ্ছদ ডিজাইনটা মেল করে পাঠালেন। প্রথম দেখাতে ভালোই লাগলো, তবে কিছুটা খুঁতখুঁতের বিষয়ও থেকে গেল।
বিস্তারিত»ঝরা পলেস্তারা
তুমি যখন পেরেক ঠুকো শক্ত হাতে,
ঠকঠকিয়ে ঠুকতে থাকো দিনমনে
আমার জীর্ণ মনের দেয়ালটাতে,
নিঠুর তোমার আপন মনে…
তখন সেথা ঝুরঝুরিয়ে ঝরে কত,
সকাল বিকেল যখন তখন অবিরত,
ইতিহাসের স্বাক্ষী যত পলেস্তারা,
তুমি জানো কি তা, নয়নতারা?
ঢাকা
১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
(ফেইসবুকে প্রকাশিত)
বিস্তারিত»কিছু চাওয়া
পৃথিবীটা সুন্দর, তাই বলে—
সবটাই তো কুসুম কানন নয়,
আর তা হতেও পারেনা।
কোথাও ধূ ধূ মরুপ্রান্তর,
কোথাওবা শুধুই রুক্ষ পাথর।
কোথাও সূর্যতাপে চামড়া ঝলসে যায়,
আবার কোথাও কনকনে শৈ্ত্যপ্রবাহে
দেহটা অসাড়, অনুভূতিহীন হয়ে রয়।
পৃথিবীর মাঝে আমি তো এক ক্ষুদ্রকণা
আমার চাওয়া পাওয়াতে কিছু যায় আসেনা।
তবু বলে যাই, আমি এইটুকু চাই—
এ ধরার কোন এক কোণে একটি শ্যামল প্রান্তর।
এবারের একুশে বই মেলায় আমার দুটো বই
ইন শা আল্লাহ, আগামী সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এবারের একুশের বইমেলায় আমার দুটো বই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথমটা কবিতার বই “গোধূলির স্বপ্নছায়া”, প্রকাশক- জাগৃতি প্রকাশনী, স্টল নম্বর ১৭৩-১৭৫। দ্বিতীয়টা আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল”, প্রকাশক- বইপত্র প্রকাশন, স্টল নম্বর ১২৭-১২৮।
সিসিবিয়ানদের সাদর আমন্ত্রণ রইলো।
এ পোস্টারটা আমার প্রকাশক পাঠিয়েছেঃ
জীবনের জার্নাল – ২৯
সাধারণতঃ তিন শ্রেণীর ক্যাডেটদের জন্য ক্যাডেট লাইফটা চরম আনন্দের ও আত্মতৃপ্তির হয়ে থাকে। প্রথম শ্রেণীতে পড়ে যারা স্পোর্টস এবং এ্যথেলেটিক্সে ভালো হয়ে থাকে। এরা বাকী ক্যাডেটদের জন্য, বিশেষ করে জুনিয়রদের জন্য রোল মডেল হয়ে থাকে। তারা খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে। হাউসের জন্য তারা পয়েন্ট অর্জন করে থাকে বলে তারা হাউস মাস্টার, হাউস টিউটর এবং হাউস এনসিওদের প্রিয়ভাজন হয়ে থাকে। এজন্য এদের ছোটখাট দোষ ত্রুটিও হাল্কাভাবে দেখা হয়।
বিস্তারিত»পত্র নয়, পদ্য
বুকটা যখন কোন কারণে ভারী হয়ে ওঠে,
পাখিরা তখন এসে আমায় গান শুনিয়ে যায়।
ভালো লাগে পাখিদের কণ্ঠ, বর্ণ, চলাফেরা।
কারো সযত্ন অবহেলা যখন বুকে বেজে ওঠে,
চোখের পাতা দুটো তখন ভারী হয়ে আসে।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরে সব ঠিক হয়ে যায়।
স্বপ্নেরা খেলা করে আমায় নিয়ে, শিশুদের মত
কখনো হাসায়, কখনো কাঁদায়। আমি বালিশকে
আঁকড়ে ধরে একটা অবলম্বন খুঁজে যেতে থাকি।
গানের ভেলায় বেলা অবেলায়……
১৯৬১-৬২ সালে আমরা ঢাকার কমলাপুরে থাকতাম। তখন আমার বয়স ৭/৮ বছর হবে। বাসার ঠিকানাটা এখনও মনে আছে-18, Republic Second Lane, Kamalapur, Dacca। আমরা ভাড়া বাসায় থকতাম। প্রতি মাসের ঠিক ২ তারিখে সন্ধ্যায় একজন টাকমাথা মধ্যবয়স্ক বাড়ীওয়ালা আসতেন। আব্বার কাছ থেকে গুণে গুণে ভাড়ার টাকা বুঝে নিয়ে একটা রসিদ লিখে দিতেন। তারপর বুকপকেট থেকে একটা রেভিনিউ স্ট্যাম্প বের করে জিহ্বার সাথে ঘসে রসিদটার উপর সেঁটে দিতেন।
বিস্তারিত»একটি মুখের ছায়া
একটি মুখের হাসি
এই কুয়াশার মাঝেও রোদের ঝিলিক এনে দিতে পারে।
একজোড়া চোখের দৃষ্টি
সাগরের অতলান্তে আমায় শয্যা পাতার স্বপ্ন দেখাতে পারে।
হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া
কারো একটি দুঃখকথা আমায় অশান্ত করে তুলতে পারে।
একটি কন্ঠের গান শুনে
আমি শিশুর মত মুচকি হেসে হেসে ঘুমিয়ে যেতে পারি।
কারো একটি নাচের মুদ্রা
আমার বাতগ্রস্ত পায়েও মৃদু হিল্লোল এনে দিতে পারে।
জীবনের জার্নাল – ২৮
‘জীবনের জার্নাল’ এ গত কয়েকটা পর্ব ধরে আমাদের শিক্ষকদের কথা বলে চলেছিলাম। এখনো অনেকের কথা বলার বাকী রয়ে গেছে। কিন্তু আজ আর ওনাদের কথা বলতে চাচ্ছিনা, আজ আমার নিজেরই কিছু কথা বলবো। তখন জীবনের এমন একটা সময় পার করছিলাম, যখন মানুষ কিছু বৈপরীত্যের সম্মুখীন হয়। কিশোর মনে অনেক প্রশ্ন আসে, যেগুলো সবাইকে জিজ্ঞেসও করা যায়না, যেগুলোর উত্তর সবাই দিতেও চায়না। এই বয়সের একটা কালজয়ী বর্ণনা দিয়ে গেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
বিস্তারিত»অব্যক্ত অনুভূতি
দীর্ঘ সামরিক জীবনে,
যখনি কোন আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করেছি,
ব্যান্ডের তালে তালে মার্চপাস্ট করেছি,
জাতীয় সংগীতের সুরে সশস্ত্র সালাম দিয়েছি,
কেউতো দেখেনি আমার নীরব অশ্রুপাত।
কেন জানিনা,
সামরিক ব্যান্ডগুলোর সুরের মূর্ছনায়,
অপূর্ব বাঙ্ময় হয়ে উঠে যেকোন গান।
দেশাত্মবোধক হলে তো কোন কথাই নেই,
অশ্রু ও স্বেদ একাকার হয়ে প্রবাহিত হয়।
এখনো নাড়া দেয়,
জাতীয় কবির সেই তেজস্বী রণসঙ্গীত,
প্রকৃত বন্ধুর ভাবনা
গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে বেশ ক’জন পরিচিত মুখ ক্ববরে শায়িত হয়ে গেল! প্রায় প্রতিদিনই মাইকে ঘোষণা শুনতে পাইঃ …. নিবাসী …. নং রোডের …. নং বাড়ীর অমুক গতরাতে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমের নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর …. মাসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর তাকে … কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আবার এ সময়টা বিয়ে শাদীরও ভরা মৌসুম। এমতাবস্থায়, গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে প্রায় প্রতিদিনইঃ
১।
ব্যথা
পাখি নীরব হয়ে থাকে,
সেই সাথে যেন প্রকৃতিও,
বিরহিণীর চোখে নদী বয়ে যায়!
(আমেরিকান ইম্প্রেশনিস্ট কবি এযরা পাউন্ড এর “In A Station Of The Metro” কবিতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে)
ঢাকা
০৭ জানুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
জীবনের জার্নাল – ২৭
আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মোঃ আব্দুল গফুর
গফুর স্যার আমাদের ফিজিক্স পড়াতেন। তিনি অতি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন, কথাবার্তায় স্পষ্টভাষী ছিলেন, নিয়মনীতি পালনে ও রক্ষায় কঠোর ছিলেন। হোমওয়ার্ক নিয়মিতভাবে দিতেন এবং নিয়মিত ভাবে তা পরীক্ষাও করতেন। ল্যাবেও বেশ সিরিয়াস ছিলেন, কোন ফাঁকিজুকি পহন্দ করতেন না। তিনি ক্লাসে কদাচিৎ হাসতেন, আর একটু নাকি সুরে কথা বলতেন। বাহ্যিকভাবে তিনি খুব কঠোর থাকলেও অন্তরে তিনি ক্যাডেটদের প্রতি স্নেহপ্রবণ ছিলেন।
মায়াবতী
আজ থেকে ঠিক নয় মাস আট দিন আগে সিসিবিতে আমার প্রথম প্রবেশ ঘটেছিলো। এরই মধ্যে এখানে অনেক বন্ধু, হিতাকাঙ্খী, শুভার্থী এবং বোদ্ধা সমালোচক পেয়ে গেছি। মতের মিল অমিল বড় কথা নয়, দিনশেষে মন খুলে কথা বলার একটা জায়গা খুঁজে পাওয়াটাই বড় কথা। সিসিবি’র যেসব পাঠক আমার লেখাগুলো পড়েছেন, সময় করে মন্তব্য লিখেছেন কিংবা আমার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন, আপনাদের সবার প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃ্তজ্ঞতা।
বিস্তারিত»