গণমানুষের কবি Maya Angelou

আমেরিকান কবি ও প্রাবন্ধিক Maya Angelou ০৪ এপ্রিল ১৯২৮ তারিখে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইতে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিলো Marguerite Ann Johnson। তিনি ছিলেন তার পিতা Bailey Johnson এবং মাতা Vivian (Baxter) Johnson এর দ্বিতীয় সন্তান। তার বাল্যজীবন ছিল সংঘাতময়, মাত্র তিন বছর বয়সে তার পিতামাতার বিবাহ ভেঙ্গে গেলে তার পিতা তাকে তার দাদী Annie Henderson এর কাছে পাঠিয়ে দেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি California Labor School থেকে কলেজ শিক্ষা সমাপন করেন।

বিস্তারিত»

আমরা সবাই রাজা

লিজার্ড লগ পার্কে পৌঁছুতে মনে হলো কোন অলিম্পিক ভিলেজে এসেছি বুঝি। উনিশশো ছিয়ানব্বইতে আটলান্টা অলিম্পিকে বিভিন্ন ইভেন্ট দেখার পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে শহরের সাজসজ্জা দেখেছিলাম। ইসিএফ অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত ক্যাডেটস ডে আউটের বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখে অলিম্পিকের পুরনো স্মৃতি ফিরে এলো মনে। পার্কে আমরা পৌঁছুতেই চারপাশের উৎসবমুখরতা চোখে পরে! এখানে শীতের শেষে গাছে গাছে নবীন পাতা আর রংবাহারী ফুলের মেলায় আলো ছড়াচ্ছে প্রিয় সব মুখ। ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন আর কলেজের পতাকায় বর্ণময় বসন্ত সকাল!

বিস্তারিত»

স্ট্যাটাস সমাচার

অনেকদিন সিসিবি তে আসা হয় না। আজকে কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু কি লিখবো ভেবে পাচ্ছি না। তাই ভাবলাম সাম্প্রতিক কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করি। ব্লগের নিয়ম ভঙ্গ হয়ে থাকলে এডমিন এটা রিমুভ করে দিতে পারেন।

 

১.

অনেক আফা ই মনে করেন যে ছেলেরা শপিং করতে পারে না/পছন্দ করে না। এই ধারণা একদম ভুল।
তার হাতে একবস্তা টাকা দিয়ে কোনো ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটস এর দোকানে ঢুকিয়ে দেন,

বিস্তারিত»

ভ্রমণ

ভ্রমণ

আমার বয়স তখন ১৪ অথবা ১৫ বছর। নবম শ্রেণীতে পড়ি। মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজের নজরুল হাউজের রিক্রিয়েশন রুমের পার্শ্ববর্তী কক্ষে স্থাপিত পিংপং খেলার টেবিল। মাঝখান থেকে জালটা সরিয়ে নেয়া হয়েছে।এই টেবিলের ওপরেই আমি আন্তঃহাউজ দেয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের জন্যে আমাদের হাউজের বাংলা দেয়াল পত্রিকা লিখছি। আমাদের অর্থাৎ নজরুল হাউজের এই পত্রিকার নাম ‘তরঙ্গ’! পাশেই হাউজ মাস্টারের কক্ষে অথবা ১১ নম্বর রুমে ১৪ তম ব্যাচের রফিক ভাই লিখছেন ইংরেজি দেয়াল পত্রিকা।

বিস্তারিত»

গৌতম বুদ্ধের দেশে (প্রথম পর্ব)

[আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে, বিনোদনের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা কি, আমি এক মুহূর্তও চিন্তা না করে উত্তর দেব- “ভ্রমণ’। এর আগে বেশ ক’টি দেশ ঘোরার সৌভাগ্য হলেও, ভ্রমণকাহিনী কখনোই লেখা হয়ে ওঠেনি। কাজেই যা লিখতে যাচ্ছি, আদর্শ ট্রাভেলগের অনেক বৈশিষ্ট্যই হয়তো সেখানে অনুপস্থিত থাকবে। সবার কাছে অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।]

১.

বেশ ক’মাস ধরেই নেপাল ঘোরার একটা ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সব জায়গা বাদ দিয়ে নেপালই কেন,

বিস্তারিত»

চোখের ভাষা

কিছু কিছু ছবি আছে, চোখ ঝলসে দেয়।
ওরটাও তেমনই, যেন আলোর ঝাপটা।
একবার চোখ পড়ে তো সরানো যায় না।
জোর করে সরালেও প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে।

কিছু কিছু মুখ আছে, ভালোবাসার আধার।
হাজার অচেনা হলেও ভালোবাসা দিয়ে যায়।
দেখে যেন মনে হয় সেটা আজন্ম চেনামুখ,
চোখ দুটো বারেবারে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

নক্ষত্রের মত ঝিকিমিকি করা ওদুটো চোখে
চোখ পড়লে কিছুতেই স্থির থাকা যায় না।

বিস্তারিত»

অকারণে এলোমেলো…

গত কয়েকদিনে বেশ ক’জন প্রাক্তন সতীর্থ, জ্যেষ্ঠ্য-কনিষ্ঠ বন্ধু ও বন্ধুপত্নীদের গুরতর অসুস্থ হওয়া এবং পরপারে চলে যাবার মর্মান্তিক দুঃসংবাদে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। অনিবার্য মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র ক্বুর’আনে বহুবার আমাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছেঃ “প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে” । (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৮৫); “তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও”।

বিস্তারিত»

স্থবির

এখনো দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই,
যেখানে তুমি রেখে গিয়েছিলে।
কোন অগ্র পশ্চাৎ নেই,
কোন ভূত ভবিষ্যত নেই, তবু
সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছি,
এখনও নির্বিকার, যেমন ছিলাম।

এখনো দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই,
আনত পত্রপল্লব, শাখাপ্রশাখা সহ,
পাখিহীন, প্রজাপতিহীন দেবদারু
যেমন নির্বাক, নিথর, মৌ্ন থাকে।
বাতাস এলে শুনি মর্মর ধ্বনি,
বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় যত নোনা পানি।

আকাশে এখনো চাঁদ ওঠে,

বিস্তারিত»

মানব মনের বিষন্নতা এবং প্রকৃতিঃ

গত বুধবার সকালে ল্যাপটপে লেখালেখির কিছু কাজ করছিলাম। হঠাৎ ছোট বোনটা ফোন করে জানালো, আম্মার শরীরটা বেশী ভালো নেই, যেন ফোন করি। কয়েকদিন আগেই ফোনে আম্মার সাথে কথা বলেছিলাম, তখন তিনি ভালো ছিলেন। আমার স্ত্রীও আগের দিনই কথা বলেছিলেন, তখনো ভালোই ছিলেন এবং অনেকক্ষণ ধরেই কথা বলেছিলেন। তাই হঠাৎ কি হলো, এ কথা ভাবতে ভাবতেই আম্মাকে ফোন করলাম। আম্মা জানালেন, তার কিছু ভালো লাগেনা। যেন একবার গিয়ে দেখা করে আসি।

বিস্তারিত»

মেঘ জমে মস্তকে

আবার
চুপটি করে যখন-তখন
হানা দিয়ে যায় তোমার কাহন।
বৃষ্টি রোদে, শারদ নীলে-
জর্জরিত বেহালা বাদন।

সত্যান্বেষ ব্যর্থ আবার, মেঘ জমে মস্তকে।
কেবল
বাচাল চিন্তা সাঁতরায় মেঘে, পরিণতি সব ভুলে।
হাহা-
অদৃষ্ট জাল। অনন্তকাল! ভ্রান্তি সে যায় বুনে!
বেশ!

বিস্তারিত»

ভোকাট্টা

একটা বর্ণিল চৌকোণ ঘুড়ির মত
আজকাল আমি আকাশে উড়ি,
নিঃসীম আকাশে ঘুরি ফিরি,
আর উড়ি, অনেক উঁচুতে উড়ি।

আমার একটা লম্বা লেজ আছে।
সেটাও মহানন্দে নেচে ওঠে,
যখন সে দেখে ঘুড়ির নাটাইটা
গাঁথা আছে তোমার চোখের পাতায়।

তুমি যতক্ষণ তাকিয়ে থাকো,
ততক্ষণ আমি উল্লাসে উড়ে বেড়াই
মেঘ থেকে মেঘান্তরে,
পাখিদের সাথে পাল্লা দিয়ে।

বিস্তারিত»

নতুন বই এর পর্যালোচনা- আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম

পুরো বইমেলা জুড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে অনেক বইই তো কিনলাম, তবে পড়বো কখন? সিরিয়াস পঠন এখন আর ততটা ভালো লাগেনা। কবিতার অঙ্গণে একজন নবাগত কবির কবিতার বই পড়েই এবারের বইমেলা থেকে কেনা বই এর পাঠ শুরু করলাম। আর পড়েই যখন ফেললাম, তখন আর আমার ভাবনাগুলো পাঠকদের সাথে শেয়ার করি না কেন? তবে তাই করছিঃ

বই এর নামঃ আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম
বইয়ের ধরণ : কবিতা
লেখক: গুলতেকিন খান
প্রকাশক: তাম্রলিপি,

বিস্তারিত»

নিখোঁজ সংবাদ

নিখোঁজ সংবাদ

বশির ভাইদের কুড়ে ঘর আমাদের পিছনের বাড়িতেই। তারা এক ভাই, এক বোন! বাবা-মা দুজনেই কবে মরে গেছে আমি জানিনা। বোনের নাম জোহরা। আমার চেয়ে কয়েক বছরের বড়। আমার সাথে সকালে মসজিদে কুরআন শরীফ পড়ে। সেই সুত্রে সে আমার সহপাঠিনী! আমাদের বাড়ি আর বশির ভাইদের বাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে একটা বিশাল জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা। এত গভীর সে জঙ্গল যে আমি দুপুর বেলাতেও তার ভেতরে ঢুকতে আমি ভয় পাই।

বিস্তারিত»

কথা বলে যায়……

আমার কানে কানে ক্ষণে ক্ষণে আজকাল
কিছু কিছু শব্দেরা কথা বলে যায়।
জানা অজানা, পড়া না পড়া শব্দেরা
কবিতার ছন্দ হয়ে কথা বলে যায়।

ভুলে যাওয়া কিছু গানের কথা,
পরিচিত বিস্মৃত কিছু কন্ঠের কথা,
ফিনিক্স পাখির মত পুনর্জীবিত হয়ে
একত্রে সম্মিলিত সুরে কথা বলে যায়।

দেখা অদেখা কিছু ফুল কথা বলে যায়,
নিশ্চল কিছু ছবি পদ্যের মত কথা বলে,

বিস্তারিত»

একটি অসম্পূর্ণ গল্পের গল্প

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দৈর্ঘে একটু বড়। পড়ার মাঝে ধৈর্যচ্যূতি ঘটতে পারে, পড়া শেষে সময়ের অপচয় হয়েছে বলে আফসোস হতে পারে)

সেদিন সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের ঠিক আগে আগে হক সাহেবের দাফন প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হলো। তার ছোট ছেলে ক্ববরের উপর শেষ কয়েকটা মাটির ঢেলা ছিটিয়ে দিয়ে মাওলানা সাহেবের সাথে কন্ঠ মেলালো… “মিনহা খালাক নাকুম, ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম, ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম, তা’রাতান উখরা” – “মাটি দিয়ে আমি সৃষ্টি করেছি,

বিস্তারিত»