মেঘ জমে মস্তকে

আবার
চুপটি করে যখন-তখন
হানা দিয়ে যায় তোমার কাহন।
বৃষ্টি রোদে, শারদ নীলে-
জর্জরিত বেহালা বাদন।

সত্যান্বেষ ব্যর্থ আবার, মেঘ জমে মস্তকে।
কেবল
বাচাল চিন্তা সাঁতরায় মেঘে, পরিণতি সব ভুলে।
হাহা-
অদৃষ্ট জাল। অনন্তকাল! ভ্রান্তি সে যায় বুনে!
বেশ!

বিস্তারিত»

ভোকাট্টা

একটা বর্ণিল চৌকোণ ঘুড়ির মত
আজকাল আমি আকাশে উড়ি,
নিঃসীম আকাশে ঘুরি ফিরি,
আর উড়ি, অনেক উঁচুতে উড়ি।

আমার একটা লম্বা লেজ আছে।
সেটাও মহানন্দে নেচে ওঠে,
যখন সে দেখে ঘুড়ির নাটাইটা
গাঁথা আছে তোমার চোখের পাতায়।

তুমি যতক্ষণ তাকিয়ে থাকো,
ততক্ষণ আমি উল্লাসে উড়ে বেড়াই
মেঘ থেকে মেঘান্তরে,
পাখিদের সাথে পাল্লা দিয়ে।

বিস্তারিত»

নতুন বই এর পর্যালোচনা- আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম

পুরো বইমেলা জুড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে অনেক বইই তো কিনলাম, তবে পড়বো কখন? সিরিয়াস পঠন এখন আর ততটা ভালো লাগেনা। কবিতার অঙ্গণে একজন নবাগত কবির কবিতার বই পড়েই এবারের বইমেলা থেকে কেনা বই এর পাঠ শুরু করলাম। আর পড়েই যখন ফেললাম, তখন আর আমার ভাবনাগুলো পাঠকদের সাথে শেয়ার করি না কেন? তবে তাই করছিঃ

বই এর নামঃ আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম
বইয়ের ধরণ : কবিতা
লেখক: গুলতেকিন খান
প্রকাশক: তাম্রলিপি,

বিস্তারিত»

নিখোঁজ সংবাদ

নিখোঁজ সংবাদ

বশির ভাইদের কুড়ে ঘর আমাদের পিছনের বাড়িতেই। তারা এক ভাই, এক বোন! বাবা-মা দুজনেই কবে মরে গেছে আমি জানিনা। বোনের নাম জোহরা। আমার চেয়ে কয়েক বছরের বড়। আমার সাথে সকালে মসজিদে কুরআন শরীফ পড়ে। সেই সুত্রে সে আমার সহপাঠিনী! আমাদের বাড়ি আর বশির ভাইদের বাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে একটা বিশাল জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা। এত গভীর সে জঙ্গল যে আমি দুপুর বেলাতেও তার ভেতরে ঢুকতে আমি ভয় পাই।

বিস্তারিত»

কথা বলে যায়……

আমার কানে কানে ক্ষণে ক্ষণে আজকাল
কিছু কিছু শব্দেরা কথা বলে যায়।
জানা অজানা, পড়া না পড়া শব্দেরা
কবিতার ছন্দ হয়ে কথা বলে যায়।

ভুলে যাওয়া কিছু গানের কথা,
পরিচিত বিস্মৃত কিছু কন্ঠের কথা,
ফিনিক্স পাখির মত পুনর্জীবিত হয়ে
একত্রে সম্মিলিত সুরে কথা বলে যায়।

দেখা অদেখা কিছু ফুল কথা বলে যায়,
নিশ্চল কিছু ছবি পদ্যের মত কথা বলে,

বিস্তারিত»

একটি অসম্পূর্ণ গল্পের গল্প

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দৈর্ঘে একটু বড়। পড়ার মাঝে ধৈর্যচ্যূতি ঘটতে পারে, পড়া শেষে সময়ের অপচয় হয়েছে বলে আফসোস হতে পারে)

সেদিন সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের ঠিক আগে আগে হক সাহেবের দাফন প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হলো। তার ছোট ছেলে ক্ববরের উপর শেষ কয়েকটা মাটির ঢেলা ছিটিয়ে দিয়ে মাওলানা সাহেবের সাথে কন্ঠ মেলালো… “মিনহা খালাক নাকুম, ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম, ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম, তা’রাতান উখরা” – “মাটি দিয়ে আমি সৃষ্টি করেছি,

বিস্তারিত»

প্লাটোনিক প্রেম

এক স্বপ্নীল মায়াবিনী
দূর হতে কোন এক লাজুক ছেলেকে
নিজের অগোচরে ভালোবেসেছিলো।
এমনি এমনি ভালোবেসেছিলো।
চুপি চুপি ভালোবেসেছিলো।
মন থেকে ভালোবেসেছিলো।

তার এ অনুচ্চারিত ভালোবাসায়
ছিলনা কোন কামনার উত্তাপ,
ছিলনা কোন প্রত্যাশার স্বপ্ন।
ছিল শুধু অনুভবে কাছে পাওয়ার,
রঙিন কল্পনা মাখা এক দুর্নিবার আকর্ষণ।
প্লাটোনিক প্রেম এভাবে আসে যায় চিরন্তন।

ঢাকা
০৮ জুন ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে

(এ লেখাটি গত ০৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে আমার ফেইসবুক পাতায় এবং অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিলো। ঈষৎ সম্পাদনা করে আজ এখানেও প্রকাশ করছি। হয়তো এক্স ক্যাডেটরা এবং আমার প্রাক্তন সতীর্থরা এ লেখায় তাদের অভিজ্ঞতার সাথেও অনেক মিল খুঁজে পেতে পারেন)

“এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার?
আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হল কার?
কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে
উষা কাহার আশিস বহি হল আঁধার পার?

বিস্তারিত»

গভীর তমসায় আলোক রশ্মির সন্ধানে….

ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান, দেশের প্রখ্যাত এনডক্রিনোলজিস্ট। বারডেম হাসপাতালে চাকুরী করতেন, দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করেন ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে। মাঝে মাঝে সপ্তাহান্তে ছুটির দুই দিন সিলেটেও প্র্যাকটিসের জন্য বসেন তার ভক্ত রোগীদের আহ্বানে। মাস ছয়েক আগে চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার বাল্যবন্ধু, ১৯৬৭-৭৩ সালে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে এক সাথে পড়াশুনা করেছি, একই হাউসে ছিলাম। সেইসব দিনগুলো থেকেই তাকে দেখেছি, ক্যাডেট কলেজের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা তার পছন্দের ছিলনা।

বিস্তারিত»

খুঁজে নিও পদচিহ্ন

কখনো চাই ঊষার আলো,
কখনো অমানিশা।
কখনো চাই নীরব আঁধার,
কখনো দীপশিখা।
কখনো হই কাজের ঘোড়া,
কখনো জবুথবু,
কখনো ছড়াই আলোক রশ্মি,
কখনো নিবুনিবু।
সবাই চলেছে আপন ধারায়,
গতি তাদের ভিন্ন।
আমিও চলেছি আমার পথেই
খুঁজে নিও পদচিহ্ন।

ঢাকা
০৪ মে ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

ক্ষমা

আমি যখন নিজের দোষ বুঝতে পেরে
লজ্জিত হই,
অনুতপ্ত হই,
ক্ষমাপ্রার্থী হই,
কিন্তু মুখে ক্ষমা চাইতে পারিনা,
তখন খুব করে চাই,
কেউ আমার চোখ দুটো দেখে পড়ে নিক
আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন।

আমার প্রতি যখন কেউ অন্যায় করে,
আমি অপেক্ষা করতে থাকি,
সে নিজের ভুল বুঝুক,
লজ্জিত হোক,
অনুতপ্ত হোক,
ক্ষমাপ্রার্থী হোক।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩১

কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিনঃ
সেই সপ্তম শ্রেণীতে প্রথম টার্মেই গণজ্বরে ভোগার পর আল্লাহ’র রহমতে আমার আর কোনদিন তেমন অসুখ বিসুখ হয় নাই। বন্ধু বান্ধব কিংবা ছোট বড় কেউ কেউ মাঝে মাঝে হাসপাতালে কয়েকটা দিন থেকে এসে খবর দিত, সেখানে থাকতে তাদের খুব ভালো লেগেছে। ওদের কথা শুনে মনে মনে খুব ইচ্ছে হতো, কয়েকটা দিন আমিও যদি হাসপাতালে থেকে আসতে পারতাম! শীঘ্রই সে সুযোগও এসে গেলো।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩০

প্যারেন্টস’ ডে
সপ্তম থেকে নবম শ্রেণীতে পড়া পর্যন্ত প্যারেন্টস’ ডে গুলো আমার খুব ভালো লাগতো। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্যারেন্টস’ ডে হতো। যে মাসে দু’সপ্তাহের কম কলেজে থাকতাম, সে মাসে হতো না। দিবসগুলোর দিকে মুখিয়ে থাকতাম। প্যারেন্টসদেরকে আমাদের হাউসে আসতে দেয়া হতোনা। কলেজ অডিটরিয়াম, ক্লাসরুম, করিডোর, গ্যালারী, কলেজ হাসপাতালের সামনের খোলা জায়গা, ইত্যাদি স্থানে প্যারেন্টসরা এবং ভাইবোনসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরা ক্যাডেটদের সাথে নিভৃতে বসে কথাবার্তা বলতে পারতেন।

বিস্তারিত»

মেঘবালিকার ছবি।

মেঘবালিকা হারিয়ে গেছে
এক ভিন্ন মেঘের দেশে,
আকাশটা তাই মেঘশূন্য,
নীরব হয়ে আছে।

মেঘের ঘরেই গড়তে বসত
চেয়েছিলেন এক কবি,
স্বপ্ন ভেঙে জেগে দেখেন,
মিথ্যে হলো সবই।

জানালাটা খোলাই রাখেন
তারপরেতেও কবি,
আকাশ মাঝে খুঁজে ফেরেন
মেঘবালিকার ছবি।

ঢাকা
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

আজও

আজও চাঁদ ওঠে আকাশের বুকে…
পৃ্থিবীর কত লোক ঐ চাঁদ দেখে…
চাঁদের জ্যোৎস্নাটুকু নিজ মুখে মাখে…
আমি শুধু আড়ালে একটি মুখ খুঁজি অবিরত,
চাঁদের পাশে দেখায় যাকে ঠিক তোমারই মত…

ঢাকা
২১ মার্চ ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»