প্লাটোনিক প্রেম

এক স্বপ্নীল মায়াবিনী
দূর হতে কোন এক লাজুক ছেলেকে
নিজের অগোচরে ভালোবেসেছিলো।
এমনি এমনি ভালোবেসেছিলো।
চুপি চুপি ভালোবেসেছিলো।
মন থেকে ভালোবেসেছিলো।

তার এ অনুচ্চারিত ভালোবাসায়
ছিলনা কোন কামনার উত্তাপ,
ছিলনা কোন প্রত্যাশার স্বপ্ন।
ছিল শুধু অনুভবে কাছে পাওয়ার,
রঙিন কল্পনা মাখা এক দুর্নিবার আকর্ষণ।
প্লাটোনিক প্রেম এভাবে আসে যায় চিরন্তন।

ঢাকা
০৮ জুন ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে

(এ লেখাটি গত ০৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে আমার ফেইসবুক পাতায় এবং অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিলো। ঈষৎ সম্পাদনা করে আজ এখানেও প্রকাশ করছি। হয়তো এক্স ক্যাডেটরা এবং আমার প্রাক্তন সতীর্থরা এ লেখায় তাদের অভিজ্ঞতার সাথেও অনেক মিল খুঁজে পেতে পারেন)

“এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার?
আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হল কার?
কাহার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে
উষা কাহার আশিস বহি হল আঁধার পার?

বিস্তারিত»

গভীর তমসায় আলোক রশ্মির সন্ধানে….

ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান, দেশের প্রখ্যাত এনডক্রিনোলজিস্ট। বারডেম হাসপাতালে চাকুরী করতেন, দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করেন ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে। মাঝে মাঝে সপ্তাহান্তে ছুটির দুই দিন সিলেটেও প্র্যাকটিসের জন্য বসেন তার ভক্ত রোগীদের আহ্বানে। মাস ছয়েক আগে চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার বাল্যবন্ধু, ১৯৬৭-৭৩ সালে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে এক সাথে পড়াশুনা করেছি, একই হাউসে ছিলাম। সেইসব দিনগুলো থেকেই তাকে দেখেছি, ক্যাডেট কলেজের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা তার পছন্দের ছিলনা।

বিস্তারিত»

খুঁজে নিও পদচিহ্ন

কখনো চাই ঊষার আলো,
কখনো অমানিশা।
কখনো চাই নীরব আঁধার,
কখনো দীপশিখা।
কখনো হই কাজের ঘোড়া,
কখনো জবুথবু,
কখনো ছড়াই আলোক রশ্মি,
কখনো নিবুনিবু।
সবাই চলেছে আপন ধারায়,
গতি তাদের ভিন্ন।
আমিও চলেছি আমার পথেই
খুঁজে নিও পদচিহ্ন।

ঢাকা
০৪ মে ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

ক্ষমা

আমি যখন নিজের দোষ বুঝতে পেরে
লজ্জিত হই,
অনুতপ্ত হই,
ক্ষমাপ্রার্থী হই,
কিন্তু মুখে ক্ষমা চাইতে পারিনা,
তখন খুব করে চাই,
কেউ আমার চোখ দুটো দেখে পড়ে নিক
আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন।

আমার প্রতি যখন কেউ অন্যায় করে,
আমি অপেক্ষা করতে থাকি,
সে নিজের ভুল বুঝুক,
লজ্জিত হোক,
অনুতপ্ত হোক,
ক্ষমাপ্রার্থী হোক।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩১

কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিনঃ
সেই সপ্তম শ্রেণীতে প্রথম টার্মেই গণজ্বরে ভোগার পর আল্লাহ’র রহমতে আমার আর কোনদিন তেমন অসুখ বিসুখ হয় নাই। বন্ধু বান্ধব কিংবা ছোট বড় কেউ কেউ মাঝে মাঝে হাসপাতালে কয়েকটা দিন থেকে এসে খবর দিত, সেখানে থাকতে তাদের খুব ভালো লেগেছে। ওদের কথা শুনে মনে মনে খুব ইচ্ছে হতো, কয়েকটা দিন আমিও যদি হাসপাতালে থেকে আসতে পারতাম! শীঘ্রই সে সুযোগও এসে গেলো।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩০

প্যারেন্টস’ ডে
সপ্তম থেকে নবম শ্রেণীতে পড়া পর্যন্ত প্যারেন্টস’ ডে গুলো আমার খুব ভালো লাগতো। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্যারেন্টস’ ডে হতো। যে মাসে দু’সপ্তাহের কম কলেজে থাকতাম, সে মাসে হতো না। দিবসগুলোর দিকে মুখিয়ে থাকতাম। প্যারেন্টসদেরকে আমাদের হাউসে আসতে দেয়া হতোনা। কলেজ অডিটরিয়াম, ক্লাসরুম, করিডোর, গ্যালারী, কলেজ হাসপাতালের সামনের খোলা জায়গা, ইত্যাদি স্থানে প্যারেন্টসরা এবং ভাইবোনসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরা ক্যাডেটদের সাথে নিভৃতে বসে কথাবার্তা বলতে পারতেন।

বিস্তারিত»

মেঘবালিকার ছবি।

মেঘবালিকা হারিয়ে গেছে
এক ভিন্ন মেঘের দেশে,
আকাশটা তাই মেঘশূন্য,
নীরব হয়ে আছে।

মেঘের ঘরেই গড়তে বসত
চেয়েছিলেন এক কবি,
স্বপ্ন ভেঙে জেগে দেখেন,
মিথ্যে হলো সবই।

জানালাটা খোলাই রাখেন
তারপরেতেও কবি,
আকাশ মাঝে খুঁজে ফেরেন
মেঘবালিকার ছবি।

ঢাকা
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

আজও

আজও চাঁদ ওঠে আকাশের বুকে…
পৃ্থিবীর কত লোক ঐ চাঁদ দেখে…
চাঁদের জ্যোৎস্নাটুকু নিজ মুখে মাখে…
আমি শুধু আড়ালে একটি মুখ খুঁজি অবিরত,
চাঁদের পাশে দেখায় যাকে ঠিক তোমারই মত…

ঢাকা
২১ মার্চ ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা-২

অনেক প্রতীক্ষার পর গত ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে অবশেষে আমার আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল” বইটি ‘বইপত্র প্রকাশন’ এর স্টলে ( নং ১২৭-১২৮) আবির্ভূত হয়। ঐদিন সন্ধ্যের পর আমি বইমেলায় গিয়েছিলাম। বইটিকে স্টলে দেখতে পেয়ে মনটা প্রফুল্ল হয়ে উঠেছিলো। অনেকক্ষণ বসেছিলাম, দেখি অনেকেই এসে স্টলের অন্যান্য বই এর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ আমার বইটা হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা ওল্টাতে থাকে। আমি বেশ রোমাঞ্চিত বোধ করতে থাকি,

বিস্তারিত»

কিছু প্রশ্ন ছিল মনে। (অবশেষে রাইটার্স ব্লক ছেড়ে কিছু লিখতে পারলাম)

বাঙলাদেশ
(১) জনসংখ্যাঃ ১৬,৮৯,৫৭,৭৪৫ (আনুমানিক ষোল কোটি ঊননব্বই লক্ষ সাতান্ন হাজার সাতশ পয়তাল্লিশ)। বাস করেঃ ১৪২,৬১৫ (আনুমানিক এক লক্ষ বেয়াল্লিশ হাজার ছয়শ পনের) বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
(২) রাজধানীঃ ঢাকা। রাজধানীর জনসংখ্যাঃ ১,৫৬,৬৯,০০০ (আনুমানিক এক কোটি ছাপ্পান্ন লক্ষ ঊনষাট হাজার)
(৩) বিটিআরসির ৩০ নভেম্বর ২০১৫ হিসেব মতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাঃ ৫,৩৯,৪১,০০০ (আনুমানিক পাঁচ কোটি ঊনচল্লিশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার)
অন্তর্জাল ব্যাপ্তির হারঃ ৩১.৯%
(৪) নভেম্বর ২০১৫ হিসেব মতে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যাঃ ২,৮০,০০,০০০ (আনুমানিক দুই কোটি আশি লক্ষ)।

বিস্তারিত»

ত্যাল

ইঞ্জিনে ঢালে, খাবারে মেশায়,
কুন্তলে মাখে বালিকা;
তরল সে এক পদার্থ ভাই,
তেল- জগতের চালিকা।

কিন্তু ভ্রাতারা, জান কি তোমরা, সকল তেলের মাসী-
আছে সে ‘ত্যাল’ এক, অসীম শক্তি, সিংহকে করে খাসী?
মাখামাখি ওই তরলে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-জনগণ,
সেই ত্যালেরই গুণ গাহি আজ, শুনিও ভ্রাতারা দিয়া মন।

ত্যালের প্রকৃতি অদ্ভুত বড়, মধুর মতই মিষ্ট;
কষ্ট ছাড়াই আনিবে ঠিক সে,

বিস্তারিত»

একজন সুখী মানুষের কথা (অনুবাদ কবিতা)

Edwin Arlington Robinson এর “A Happy Man” কবিতাটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছিলো। “When these graven lines you see, Traveller, do not pity me;” (“হে পথিক, রেখাঙ্কিত এ সমাধিগুলো দেখে কখনো আমার প্রতি করুণা কাতর হয়োনা”) এই পংক্তি দুটো পড়ার সাথে সাথে আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। আমি কবিতাটি অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই এবং কবির জীবনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই। তাঁর জীবনী পড়ে বিস্ময়ে অভিভূত হই।

বিস্তারিত»

বইমেলার টুকিটাকি

এবারের একুশে বইমেলায় নিজের বই বিক্রী হোক বা না হোক, কোন কোন দিনে বেশ চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। যেমন একদিন একটা নয় দশ বছরের বাচ্চা মেয়ে আমার “জীবনের জার্নাল” এর প্রচ্ছদের ছবিটার দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে দেখছিলো। তার পরে কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে একটা চ্যাপ্টার পড়া শুরু করলো। দুই একটা পৃষ্ঠা একনাগাড়ে পড়লো। ততক্ষণে ওর মা কয়েকবার ওকে ডেকে পাশের একটা স্টলের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।

বিস্তারিত»

স্মৃতিটুকু রয়ে যায়….

বালকেরা ভুলে যায়, বালিকারা নয়।
পুরুষেরা ভুলে যায়, রমণীরা নয়।
প্রথম চিঠির, প্রথম পরশের স্মৃতিটুকু,
বালকের, পুরুষের উড়ুউড়ু মন থেকে
যত দিন যায়, তত ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়।

বালিকারা, রমণীরা মনের তোরঙ্গতলে
সযতনে সেসব স্মৃতি ভাঁজ করে রাখে।
অলস সময়ে আকাশে কালো মেঘ হলে
তারা আপন মনে সে তোরঙ্গ খুলে বসে।
পরতে পরতে সযতনে ভাঁজ করে রাখা
স্মৃতির সে সম্ভারগুলো খুলে খুলে দেখে,

বিস্তারিত»