বোনেরা নদীর মত

দুই সহোদরা বোন দুই নদীর মত,
যাদের জন্ম হয়েছে একই উৎসে-
শৈলচূড়ায়, গলিত হিমবাহে কিংবা
অন্য কোন উচ্চস্থানে। ওরা একসাথে
কিছু পথ পাড়ি দিয়ে ভাগ হয়ে যায়-
প্রকৃতির অদৃশ্য ইশারায়।

দুই সহোদরার জন্ম হয় একই পরিবারে।
ওরা বেড়ে ওঠে একসাথে, আনন্দে দুখে।
তারপর ওরা ভাগ হয়ে যায় দুই সংসারে,
দূরত্ব রচিত হয় তাদের মাঝে, চিরতরে।

বিস্তারিত»

প্রিয়জনের বিদায়কালে স্নেহ-মায়া-ভালবাসার অভিব্যক্তিঃ

প্রিয়জনের বিদায়কালে স্নেহ-মায়া-ভালবাসার অভিব্যক্তিঃ

আমাদের এ ক্ষুদ্র জীবনে আমরা কতজনের সাথেই স্নেহ ভালবাসা, মায়া মমতার অটুট বাঁধনে আবদ্ধ হই ও থাকি। কারো সাথে জন্ম থেকেই, যেমন বাবা মা, ভাই বোন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে, আবার কারো সাথে মায়া ভালবাসার ডোরে আবদ্ধ হই জীবন-পথে চলতে গিয়ে। কখনো সে বাঁধন চির অটুট থেকে যায়, আবার কখনো পারস্পরিক দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলে সে বাঁধন ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যায়।

বিস্তারিত»

শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমণ – ২

স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ভূগোল আমার অন্যতম প্রিয় বিষয় ছিল। সহপাঠীদের সাথে কিংবা বাসায় বড় বোনের সাথে আমরা ম্যাপ ম্যাপ খেলতাম। বেশ মনে পড়ছে আমরা আরেকটা খেলা খেলতাম, যার নাম ছিল “Name-Place-Animal-Thing”। অর্থাৎ কেউ একজন পালাক্রমে ইংরেজী একটা বর্ণ উল্লেখ করবে, পরে সবাই সেই বর্ণকে আদ্যোক্ষর করে প্রথমে একজন মানুষের নাম, তারপরে একটা জায়গার নাম, তারপর একটা প্রাণীর নাম এবং সবশেষে যে কোন একটা জিনিসের নাম লিখবে।

বিস্তারিত»

শান্তির দেশ ভুটান ভ্রমণ — ১

প্রায় হঠাৎ করেই এক অনির্ধারিত সাক্ষাতে আমরা চার বন্ধু দম্পতি ইচ্ছে প্রকাশ করলাম, শান্তির দেশ ভুটান সফরে যাব। শুধু ইচ্ছে প্রকাশ করলেই তো হবেনা, অর্থকড়ি ছাড়াও কিছু কাঠ খড়ও পোড়াতে হবে। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কম কথা বলে যে বন্ধুটি, সেই দায়িত্ব নিল সবার পক্ষ থেকে হোটেল বুকিং, টিকেট বুকিং, তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার। শুধু তাই নয়, ০৬ মে ১৭ তারিখে তার বাসায় বাকী তিন যুগলকে দাওয়াত করে সফরের উপর একটা নাতিদীর্ঘ প্রারম্ভিক ব্রীফিং দিল এবং টিকেট ও হোটেল বুকিং এর কাগজপত্র হস্তান্তর করলো।

বিস্তারিত»

অস্তাচলের ভাবনা

সন্ধ্যা ঘনায়ে এলো,পাখি খোঁজে নীড়,
মেঘ তুমি ভেসে যাবে ছড়িয়ে আবির।
আমি হেথা দেখে যাবো রঙের খেলায়
তোমার হারিয়ে যাওয়া আঁধার বেলায়।

মেঘ তুমি ভেসে যাবে কোন দেশেতে?
অনুপম এ রঙে তোমায় কে এঁকেছে?
সোনালী আভায় মোড়া নীল ধুপছায়া
প্রেয়সীর কপোল সম কোমল কায়া!

বিস্তারিত»

প্রভুর ক্ষমা, মায়ের আশীষ

নিজের লেখায় কখনো তৃপ্ত বোধ করি না। যতবার পড়ি, ততবারই সম্পাদনা করতে ইচ্ছে হয়। নিজের লেখা পুরনো কবিতার ঝাঁপি খুলে আজ এই কবিতাটাকে হাতের কাছে পেলাম। পড়ে ভাল লাগলো, কবিতা লেখার পেছনের অনুভূতিটার কথা মনে পড়ে গেল। সাথে সাথে মাকে ফোন করলাম, দোয়া চাইলাম। মা জানালেন, সব সময় আমরা তাঁর দোয়ায় আছি। মাথায় তাঁর অদৃশ্য হাতের পরশ অনুভব করলাম। মায়ের হাসিমাখা কথাগুলো কানে গেঁথে রইলো।

বিস্তারিত»

তউফিক স্যারের জন্যে প্রার্থনা!

আমি নিজে বিখ্যাত মানুষ না হলেও অনেক বিখ্যাত মানুষদের সাথে আমার পরিচিতি ও সখ্যতা ছিল। কৈশোরকাল হতেই। এই সুযোগটা মূলত সৃষ্টি হয়েছিলো মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে আমার পড়াশুনা করার সুবাদে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ সাল। ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে সবার একটা সাধারণ ধারণা যে সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর অভিভাবকদের সন্তানরা এখানে পড়াশুনা করে। বিষয়টার বর্তমান সত্যতা সম্পর্কে আমি খুব বেশি ওয়াকিবহাল নই। তবে আমাদের সময়ে, তৎপূর্বে, এমনকি আমাদের পরের অনেকটা সময় জুড়েও ধারণাটা সত্য ছিল না।

বিস্তারিত»

সে রাতে আকাশটা অঝোরে ঝরেছিলো

সে রাতে আকাশ যেন ভেঙে পড়েছিলো,
জলভরা মেঘগুলো নেমে এসেছিলো,
পাখিদের নীড়গুলো ভিজে গিয়েছিলো,
নিশাচর পথিকেরা বাড়ী ফিরেছিলো।

সে রাতে আকাশটা অঝোরে ঝরেছিলো,
মেঘ ভরা জলধারা ঝরে পড়েছিলো,
সরীসৃপেরা সারারাত বিবরে ছিলো,
বাহিরের কিছু প্রাণী ভেসে গিয়েছিলো।

সে রাতে আকাশ থেকে নেমে এসেছিলো,
এক সুন্দরী জলপরী মায়ায় ভরা।
এক ঘুমহারা পাখিকে ঘুম পাড়িয়ে,

বিস্তারিত»

প্রয়াত শিক্ষক, পরবর্তীতে সহকর্মী মীর ওয়ালীউজ্জামান স্মরণেঃ

এম সি সি তে (Momenshahi Cadet College-MCC) আমার কিছুদিনের শিক্ষক ছিলেন মীর ওয়ালীউজ্জামান, ইংরেজীর প্রভাষক। আমরা তখন একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণীতে, উনি ঢাবি থেকে সদ্য মাস্টার্স করা টগবগে তরুণ শিক্ষক, অত্যন্ত সুদর্শন, নায়কোচিত চেহারা। বয়সের ব্যবধান তেমন ছিলনা (গুরু শিষ্যের মত), তদুপরি ওনার সারল্য এবং আন্তরিকতার কারণে আমরা বন্ধুর মত ছিলাম। আমাদের চোখে উনি তখন ভীষণ একজন স্মার্ট টীচার। এ রকম সুদর্শন একজন ব্যক্তিত্বকে আমরা প্রভাষক নয়,

বিস্তারিত»

অসংলগ্ন গল্প

নাফিস (১৯) আর নাকিব (১১) দুই ভাই। ওদের বাবা মা উভয়েই চিকিৎসক ছিলেন। ছিলেন বলছি, কারণ ওদের মা সদ্য প্রয়াত, মাত্র ৪৮ বছর বয়সে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অকুস্থলেই নিহত হন। দুই ভাই এর মধ্যে বয়সের ব্যবধানটা একটু বেশী হলেও ওরা, বিশেষ করে প্রবাসে আসার পর থেকে একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়। আজ থেকে ৮ বছর আগে ওদেরকে নিয়ে যখন ওদের বাবা মা ইমিগ্রেশন ভিসায় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে এলো,

বিস্তারিত»

ঈদ মুবারক!


আজ সন্ধ্যে ৭টা ২০ মিনিটে আমার শয়নকক্ষ থেকে ঈদুল ফিতর-২০১৭ এর নতুন চাঁদের ছবি।


আজ সন্ধ্যে ৭টা ২০ মিনিটে আমার শয়নকক্ষ থেকে ঈদুল ফিতর-২০১৭ এর নতুন চাঁদের ছবি।

রমজানের শেষ দিনে আজ ঘরে বসেই মাগরিবের নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ে বেডরুমের পর্দাটা সরিয়ে দেখি, আকাশের বুকে একফালি চাঁদ। ঈদুল ফিতর-২০১৭ এর চাঁদ। জীবনে এর আগে কখনো ঘরে বসে শয়নকক্ষ থেকে নতুন উদিত কোন চাঁদ দেখিনি,

বিস্তারিত»

খুঁজি অহর্নিশি

যারে খুঁজি অহর্নিশি
সুখে কিংবা দুঃখে ভাসি’
ব্যস্ততা বা বিরামে বসি’
অদেখা তারে ভালবাসি।

ভালবাসি বলেই খুঁজি,
জেগে কিংবা চক্ষু বুঁজি,
শিশু যেমন খোঁজে মা’কে
তেমনি আমি খুঁজি তাকে।

ঢাকা
২০ জুন ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

চক্রব্যুহ

আমার এখানে যখন গভীর অমানিশা,
অন্য কোন দূর দিগন্তে তখন অরুণোদয় হচ্ছে।
সেখানে পাখিরা ভোরের প্রার্থনা সঙ্গীত শুরু করেছে,
বিশ্বাসীরা দল বেঁধে উপাসনালয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আর কিছুক্ষণ পরে,
সেখানে সোনালী আলোর রশ্মি ছড়িয়ে পড়বে।
পাহাড় উপত্যকা পেরিয়ে, লোকালয়ে, বিস্তৃত মাঠে।
মানব মানবীরা বেড়িয়ে পড়বে নিত্যদিনের যাপন কর্মে।

কৃষ্ণপক্ষের পরে শুক্লপক্ষ,
আঁধারের পর আলো,

বিস্তারিত»

কবি মানস

কবির মনে যখন কোন আঁধার নেমে আসে,
তিনি নিশ্চুপ থেকেই আলোর সন্ধান করেন।
তিনি আত্ম সমর্পিত চিত্তে সব মেনে নিলেও
অন্তর্দৃষ্টিতে তিনি আলোর সন্ধান করে যান।

গভীর অনুতাপেও কবি কবিতা খুঁজে বেড়ান,
প্রভাময় প্রেমের উৎস অনুসন্ধান করে চলেন।
জীবনের প্রেমতাড়িত প্রত্যাশা ও প্রত্যাখানের
পুলক নৈরাশ্য নিয়ে কবিতা লিখেন ও পড়েন।

ভারী হৃদয়েও মুখে হাল্কা হাসির প্রলেপ মেখে
কবি বিচরণ করেন নিজ বাসভূমে,

বিস্তারিত»

সমুদ্রপারের পাড়ায় পাড়ায় ( লুনসারের লৌহ পাহাড়)

সমুদ্রপারের পাড়ায় পাড়ায়

লুনসারের লৌহ পাহাড়

আমার ব্যক্তিগত মত হল পৃথিবীতে স্বাধীনতা বা স্বাধিকারের জন্যে যুদ্ধই হল শুধুমাত্র ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ।  অন্য সকল যুদ্ধই অনৈতিক এবং মানুষের জন্যে অকল্যাণকর। প্রথম ধরনের যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সনে আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ। এক অলৌকিক তাড়নায় সমগ্র বাংলার মানুষেরা গ্রথিত হয়েছিল হিরন্ময় কোন এক সুত্রে। গড়ে তুলেছিল বিস্ময়কর প্রতিরোধ। হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে। আমি ঐ সময়টাতে ক্লাস ওয়ানে পড়া এক শিশু।

বিস্তারিত»