- রেনেসাঁ পর্ব
(জীবনানন্দ দাশ স্মরণে)
বিম্বিসার নগরে উঠেছে ঘোলাটে ময়লা চাঁদ
অরূপাক্ষ নদীতে পড়ে বালুচর। প্রিয়তমার মিথ্যা শরীরে
ডোবে কুহক-পুরুষ, প্রেমিক হতে পারে সে যদিও,
চুপ!- দেখো কুৎসিত কালো জলে ভাসে প্রণয়ের লাশ।
যাবতীয় ব্যর্থতাবাদী-বিধাতা-পূজারী সকল
ঘেটেঘেটে কাদাপাঁক রণে ভঙ্গ দেয় সেই রাতে
বিক্ষোভ মিছিল চলে অবিরাম গতিতে
দেবতাবিহীন রাজার স্বৈরাচারী সাম্রাজ্যে।
***
- জন্মশোক পর্ব
অরূপাক্ষ ছেড়ে শহরকামী আমি
বহুদিন;
হলুদ ধূলোর মতো কুয়াশা আমার জন্যে
অনেকটা পথ পদছাপ খুঁজে এসেছিলো,
জড়ানো বিষাদ ফেলে।
ফর্সা আলো ছিঁড়ে এসে আমি
মিহি আঁধার খুঁজে পেতে থাকি।
নিচে কালো-পাথর রাজপথ রেখে
চতুর্ধা চিহ্নশাখায় অকস্মাৎ
গাড়িহীন নৈঃশব্দ্যে
বিপন্ন ঝুলন্ত লাল ট্র্যাফিক সিগন্যালে
পুরোনো ধূলো-কুয়াশা কিছু-
দেখতে পাই।
বিভ্রম ভেবে মুখ ফেরালেই
কাঁধের ওপরে এক বাক্স সূর্য
হেসে দেয়।
***
[আমার সব লেখালেখি নিয়ে একটা সাধারন অভিযোগ যে আমি খুব সরলভাবে লিখি না। সরল লেখার সক্ষমতা খুব বড়ো লেখকদের থাকে। আমার সেটা নাই। যা হোক, এই দু’টা কবিতাই শীত নিয়ে। দু’টার মাঝে বয়সের পার্থক্য একবছর, তবে সুরগতভাবে তারা কাছাকাছি। প্রথমটা আমার লেখালেখি পুনরায় শুরুর সময় লেখা। দ্বিতীয়টা মাঝের একটা ‘খরা’ কাটিয়ে এসেছিল। কোন এক অদ্ভুত কারণে এই শুষ্ক ঋতুতে আমার লেখাগুলো অন্যরকম হয়ে ওঠে! বছরশেষে তাই সেই ঋতু-প্রণতি…]
আমার আগে কেউ নাইক্কা
হা হা হা! সবতে ভোটাইতে গেছে মনে লয়! B-)
মুহাম্মদই তো কইল ... ইদ ইদ ভাব ... ভুলে ২-১ টা নামাযে না চইলা যায় ...
:khekz: :khekz: :khekz:
যাই হউক ... মাথার উপর দিয়া গেসে ... আফ থাকন ই ভালো।
আহা!!
কি রে! আর কিছু বললি না? কেমন আছিস?
কবিতা পইড়া এই শব্দ কয়টাই মনে আসছিল। তাই লিখছি।
এইতো চলে, আল্লাহর রহমত আর তোদের দোয়া।
তোর কি খবর?
আমার ছুটি চলতেছে, ঘুরান্টির উপ্রে দিন কাটাইতেছি। ভোট দিয়ে আসলাম! 😀
আসলেও কবিতা দুটো পড়ে মুখ দিয়ে বের হয়, আহা!
বহুদিন কবিতা মাথা দিয়ে ঢুকে না 🙁
এই লাইনটা অসাধারণ। থম মেরে গেলাম।
থম ধরায়ে দিতে পেরে খুশি হলাম! 🙂
এই কয়টা পঙ্কতি অসাধারন। :boss: :boss:
অনেক ধন্যবাদ শার্লী! পংক্তিগুলো আমারো খুবই প্রিয়! 🙂
আমি কিছুই কইত্তাম না, আমার মুখে ভাষা আসে না... :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute:
সামরিক ব্রাদার! তোমার স্যালুট পেয়ে বিরাটানন্দ লাগতেছে! :awesome: :awesome:
ঠিক ঠিক, আমার মনে হয় সবারই এ ব্যাপারে সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কেম্নে কী! 😕 😕 😕
কীসের সদিচ্ছা? কোন ব্যাপারে? সবাইটা কে? :-/
তোমার এই পোস্টটা পরিবেশ দূষণ রোধ নিয়ে না??? :-B
তাই বলছিলাম আর কি...সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে... O:-) B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:khekz: :gulti: :khekz:
BULL'S EYE! একমাত্র আপনিই ধরতে পারলেন বিষয়টা!
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
সাবাস জুনা...আমি ওইরহমই সন্দ করছিলাম
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
যাই মাতায় আরেক বাক্স সূর্য, থুক্কু .. পানি দিয়াশি।
সাবধান! মাথায় সূর্য দিও না। হিলিয়াম গ্যাস খুব ডেঞ্জারাস জিনিশ! 😉
ভালো লাগছে। বুঝছি মনে হয় একটু একটু
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমিও একটু একটু খুশি হলাম অনেকটুকু! :shy:
হুম! :dreamy:
😀 😀
আরে! কবিতাগুলো মিস্ করলাম ক্যামনে!!!
এইটাও একটা টেকনিক কিন্তু 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হা হা হা! আপ্নে পারেনও ! যাক্, তবে কবিতা ভাল লাগলেই আমি খুশি! বেশি কিছু চাওয়ার নাই।
এইডাও কিন্তু একটা টেকনিক 😉
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:khekz: :khekz:
:gulti:
প্রথমটা মনে হয় আগেও পড়ছিলাম,দিছিলি কোথাও?
কবিতার মাঝে জীবনানন্দের ন্যায় নাগরিক সভ্যতা বিমুখী সুর, কিংবা
বিমানবিকীকরণের বিরুদ্ধতা ,আর ধুলোয় ধূসরিত ধরণীর মাঝে কোন ও নিঃস্তরঙ্গ জীবনের সন্ধান।
আর বেশি কমু না।তাইলে আমার ক্লাশ চিচিং ফাক হয়ে যাবে।
কেমন আছিস দোস্ত?
হ্যাঁ, দুটাই সামহোয়ারে দিয়েছিলাম আগে। লেখাগুলোর বয়সও হয়ে গেল প্রায় বছরখানেক (আমার লেখালেখি একবছরের মত, এটা ভাবলেই কেমন অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে!!)
প্রথমটার ব্যাপারে যা বললি, আমার চিন্তাগুলোও তার কাছাকাছিই। চিচিং ফাক হয় নাই। এখানে সবাই-ই চল্লিশ চোর! 😉