আফটার এণ্ড বিফোর এভরি ইভেন্ট জোকস – ১

পরোটা

ক্লাস সেভেনের ঘটনা। আমাদের ব্যাচে জামিল দুইজন। একজন র-জামিল, অন্যজন ফ-জামিল।
র-জামিল মানে রবীন্দ্র হাউসের জামিল আর ফ-জামিল মানে ফজলুল হক হাউসের জামিল। ঘটনাটা ফ-জামিলকে নিয়ে।

ডাইনিং হলে খাবার সময় কিছু চাইলে পাশের সিনিয়র ভাইদের কি বলতে হইত এটা আমাদের সবার মনে আছে। যেমন- ভাত দরকার হলে বলতাম, “প্লিজ ভাই এক্সকিউজ মি, ভাই, ভাত পাস করেন”। অথবা ডাল দরকার হলে বলতাম,

বিস্তারিত»

চড়ুই-গল্প

চড়ুই আমার
নিলয় অলিন্দ নিলয় করো
ঘুলঘুলিতে কুটো,
সারিয়ে দেবে
কিসে বলো
হৃৎপিন্ডের ফুটো…

বিস্তারিত»

স্বপ্নপাঠ

শিয়রে এসে
সবুজ প্রহর
দাঁড়ালে
মধ্যযামে,
স্বপ্নেরা
ঝরে যায়
পাপড়ির
ছদ্মনামে

ছোঁবার
আকুলতায়
পাখিটি
ঘুমকাতুরে
ঠোঁটে
জোটাতে
পেরেছে
কিছু
একপেয়ে
অবকাশ
মোটে….

______________________________________________________________________

রুম্মানের এই ছবি নিয়ে লিখতে গেলে টের পেলাম, কি অসীম রোমান্টিকতাই না ওকে ভর করেছিলো আঁকার সময়।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৭

একেকদিন অফিস পালিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াতে বেশ লাগে।কি একটা জরুরী কাজ পড়ে গেছে ভান করে বেরিয়েই একটা লম্বা শ্বাস-উফ্‌, দম বন্ধ হয়ে আসছিলো!ঘাড় কাত করে তার আর দালানের জঙ্গল থেকে আকাশটাকে আলাদা করতে চেষ্টা করি, পারিনা।একটুকরো আকাশও আজকাল এত দুর্লভ হয়ে গেছে এই শহরে!

অফিস পালিয়ে মানুষ দেখি,ছককাটা আকাশের নীচে ঢাকার উদভ্রান্ত ছুটে চলা দেখি।
দিনটাকে এত মনোরম আর রঙিন মনে হয়!অঢেল সময় হাতে নিয়ে একেকটা মুহূর্তকে নবাবী মেজাজে ছুঁড়ে ফেলতে ফেলতে ফুটপাত ধরে এগিয়ে চলা।ঘাড়ের কাছে কয়েকটা রিকশা এসে দেনদরবার করে উড়িয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয়ে।না হে,

বিস্তারিত»

সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে? -২।

ব্যাপারটা শুরু অনেকটা fun থেকে, হালকা মেজাজের গল্প থেকে।বাবা-মা হজ্জ থেকে আসার পর সব ভাইবোন গোল হয়ে বসে গল্প শুন ছিলাম।অর্থাৎ “আম্মা গাঁধি” আর তাঁর শ্রদ্ধেও পিতাজান এই হজ্জ সফরে কি কি বোকামি করাতে আব্বার কি অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল, তার ফিরিস্তি শুনছিলাম। আম্মা মৃদু প্রতিবাদের সাথে শুনছিলেন এবং স্বভাবসিদ্ধ মৃদু মৃদু হাসছিলেন।

মা কোন এক ধর্মীয় বইতে নাকি পড়েছিলেন, হজ্জে স্বামীর টাকার চেয়ে নিজের টাকা অথবা ছেলের টাকায় গেলে সব থেকে বেশি ভাল।

বিস্তারিত»

ফিরে আসা (শেষ পর্ব)

২০০০ সালের মে-জুন মাসের দিকে হবে । সময়টা  সকালের সবচাইতে ‘Rush Hour’. New York  MTA’র দুই নম্বর লাইনের শেষ প্রান্তে  Brooklyn College – Flatbush Avenue থেকে উঠেছি বলে বসার সিট পেয়েছি।গন্তব্য ম্যনহাটন।Clark Street আর  Wall Street এর মাঝে সম্ভবত  East River এবং সমুদ্রের মোহনার নিচ দিয়ে টিউব লাইন, তাই বাইরের কিছু দেখার যো নেই। বেশ সময় নেয় নদীর তলদেশটা পাড় হতে।বসে বসে তাই মানুষ দেখছি।

বিস্তারিত»

সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে?

আজ  ৯ই জিলহজ্জ ।পবিত্র ‘অকুফে আরাফাত’ বা আরাফাতের অবস্থানের দিন।সৌদি আরবের আরাফাতের প্রান্তরে আজ যারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে যে কোন সময় অবস্থান করবেন, তাদের আল্লাহ চাহেত পবিত্র হজ্জ পালন করা হয়ে যাবে।

আজকে দিনটাকে বেশি করে মনে পড়ছে এই জন্যে যে, আমার বাবার জিব্দশায় বহুবার হজ্জ পালন করেছিলেন এবং দিনটাকে অসামান্য গুরুত্ব দিয়ে সারা সময় টেলিভিশনে সামনে বসে থেকে হলেও ‘আরাফাতে’ সামিল হতেন।ওঁর হিসেব অনুযায়ী (চাঁদের হিসাবে) এবার হজ্জ  ‘শুক্র বার’

বিস্তারিত»

ফিরে আসা-৪।

যারা ধ্যৈর্য ধরে আমার ‘ফিরে আসা’র শেষ দুই খণ্ড পড়েছেন, তাদের মধ্যে যদি মনবিজ্ঞানি থাকেন, নিশ্চয়ই Illusive Mental Disorder বা Imaginative, Hallucinatory Syndrome বা  Paranoid Behavior বা ইংরেজি কোন খট্-বটে নামে আমার পূর্ববর্তি অধ্যায় দুইটির মূল্যায়ন করবেন, যার সোজা বাংলায় কোন মানসিক বিকারগ্রস্তের কাছে পিঠে কিছু হবে।আমি সেই সব জ্ঞানি গুনিদের সাথে তর্কে যাবোনা , কারন পৃথিবীর সব কিছু নিয়ে তর্ক করা সম্ভব, শুধু “মা”

বিস্তারিত»

ফিরে আসা-৩।

নাই, কোথাও নেই। একদম ছোট বেলায়, যখন আঙ্গুল ধরে হাঁটতে শিখেছিলাম, নরম শাড়ির আঁচল, বোরখার জর্জেট কাপড় কূট কূট করে কাটতে শিখলাম, তখন থেকে আজ অব্দি সব সময়ের জন্যে সাথেই তো ছিল। সুখের সময় , দুঃখের সময় , বিপদের সময় , সাফল্যের সময় – কখন ছিলনা সাথে ? সুদূর জার্মানিতে হলুদ বাতির নিচে, যখন ভার্সিটি শেষে কাজ, কাজের শেষে একাকী ড্রাইভ করে বাড়ি ফিরতাম।তখনো আমার একমাত্র সঙ্গিনী মা।

বিস্তারিত»

ফিরে আসা-২

সময়টা ছিল ২০০০ সাল। আমার জিবনের জন্যে একটি ‘Turning Point’. । জাগতিক দুনিয়াদারির স্কেলে আমি তখন প্রায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্তান করছি।মান সম্মান প্রতিপত্তি প্রায় সবই আমার করায়ত্তে।কি না করছি তখন,স্টক এক্সচেঞ্জ সদস্য হিসাবে ‘সাউথ এশিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ ফেডারেশন’ (SAFE) করছি, নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ বলে Screen Based Trading শিখার জন্যে Training এর দাওয়াত  লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, টরন্টো স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সাড়া পাচ্ছি।CSE Team Leader হিসাবে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিস্তারিত»

সেই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত।

ফেলে আসা দিনগুলিকে ফ্রেম এ বন্দী করার প্রয়াস।। যদিও তাকে ফেলে এসেছি  খুব বেশি দিন হয় নি।

বিস্তারিত»

ফিরে আসা।-১

” তৌবা ” শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ ফিরে আসা ‘ । যে কেউ, যে কোন অনিসলামিক কাজ থেকে অনুশুচনায় তাড়িত হয়ে ‘ দীন ‘ এর পথে ফিরে আসাই এই তৌবার মুক্ষ প্রতিপাদ্য ।এখানে একটা বিষয় পরিষ্কারঃ কৃত কর্মের জন্য আনুশুচনা বশতঃ অর্থাৎ বিবেকের দংশনে ফিরে আসতে হবে।কারো জোর বা প্রলোভনে সাময়িক ফিরে আসা নয় ! সৃষ্টিকর্তা পূর্ববর্তী সমস্ত কৃতকর্ম ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে বিচার করবেন যদি ঐ সকল অনৈতিক গর্হিত কাজ আর পরবর্তী জীবনে না করার অঙ্গীকার করা হয়।

বিস্তারিত»

ভর্তি যুদ্ধ !!!

আমাদের ছোট ভাই-বোনেরা এখন ভর্তি যুদ্ধ নিয়ে খুব ব্যস্ত ।ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে ।অনেকের চান্স হয়েছে, অনেকের হয় নি ।আরও কিছু পরীক্ষা বাকি আছে ।তাদের মুখ থেকে ভর্তির গল্প শুনে এবং আমার কিছু অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি থেকে ক্যাডেটদের ভর্তি যুদ্ধের ব্যাপারে কিছু কথা বলছি ।একজন ছাত্রের কোন ভাল প্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়া মূলত দুইটি জিনিস এর উপর নির্ভরশীল ।প্রথমত ছাত্রের অধ্যয়ন এবং দ্বিতীয়ত ছাত্রকে কিভাবে পাঠদান করা হয়েছিল ।চলুন ঘুরে আসি আমাদের প্রিয় ক্যাডেট কলেজ থেকে ।প্রথমে আসি ক্যাডেটদের পাঠদানকারী শিক্ষক প্রসঙ্গে ।দুটি প্রেক্ষাপট এর ভিত্তিতে যদি শিক্ষকের মান বিবেচনা করা যায় ( আমাদের বড় ভাইদের আমলের ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক আর বর্তমান সময়ের ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক এবং বর্তমান সময় এর ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক আর বাইরের নামকরা কলেজ সমূহের শিক্ষক) তাইলে দেখা যাবে যে দুটি ক্ষেত্রেই ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক এর মান তুলনামূলক ভাবে ভাল নয় ।অনেক ভাল শিক্ষক ক্যাডেট কলেজে সুযোগ সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যায় ।এবার আসি ক্যাডেটদের অধ্যয়নের ব্যাপারে ।কলেজ এর বিভিন্ন নিয়ম-শৃঙ্খলা,ডেইলি রুটিন,

বিস্তারিত»

আমার দেখা ‘৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ।(বার)

দিনগুলি রোদ্রজ্জল ঝক ঝকে।আর রাত গুলিতে বেশ শীত পরতে শুরু করেছে। তখন ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ এর যুগও ছিলনা, নভেম্বর ডিসেম্বর জানুয়ারি আসলেই শীতকাল ছিল।হাড় কাঁপানো শীত। তবে এ নিয়ে আমাদের এত আক্ষেপ ও ছিলনা। বরং আমরা খুশিই ছিলাম। আমার ছোট্ট একটা বুদ্ধি বেশ ভালই কাজ দিচ্ছল।

আমাদের ব্যাচেলর দের থাকার রুম ছিল বারান্দার একদম শেষ মাথায়। বাথরুম এর পার্শে। ফজরের নামাজ শীতের কারনে একসাথে  না পড়ে নিজ নিজ ঘরে পরার পারমিশন পেয়ে গেলাম আব্দুল করিম মিয়া সাহেবের কাছ থেকে।

বিস্তারিত»

মিস্টি আসলে কতো মিস্টি!!

এক. ‘চিনি’ দারুণ মিস্টি শব্দ। বুঝের বয়স থেকেই চিনি বা মিস্টি খেতে পছন্দ করেছি। মা গল্প করেন, ভালোবাসতাম বলে শিশু বয়সে বাবা প্রায়ই অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আমার জন্য মিস্টি নিয়ে আসতেন। আমি নাকি ছোট ভাইবোনদের তুলনায় একটু বেশি ‘সুযোগ-সুবিধা’ পেয়েছিলাম! স্মৃতিতে ভাসে গুড়ো দুধের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে কতো খেয়েছি। এই কদিন আগেও ফ্রিজ খুলে প্যাকেট থেকে তুলে নিয়ে মুখে চালান করেছি কতো মিস্টি।

বিস্তারিত»