একদিন ফুটবল মাঠে

সবসময়ই বুঝি আমার মতো দুই-চারটা থাকে যারা কোন খেলাই পারেনা……….(কিন্তু খেলা দেখে)…….

সেভেন-এইটে তো হাঁকাও ভলিবল মাঠে গিয়ে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি করতাম………নাইন থেকে পালানোর শুরু……..মাঝে মাঝে পালিয়ে হাউসে লুকিয়ে থাকতাম, মাঝে মাঝে ধরা খেতাম স্টাফদের কাছে…….. :frontroll:

একদিন আমি আর বাশাদ (আমার ৪বছরের রুমমেট) ধরা খাওয়ার পর (স্টাফের নাম ভুলে গেছি) স্টাফ বিরক্ত হয়ে পানিশমেন্ট না দিয়েই ফুটবল খেলতে নামায়ে দিল…….

বিস্তারিত»

দু’টি অণুগল্প / কালবেলা

।।১।।
১৬ কোটি বাংগালীর হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাংগালী করে মানুষ করোনি।

সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। পৃথিবীর ছায়াপথে অগুনতি নক্ষত্র জুটির মতই জেগে আছে আকাশ আর নীলু নামের এক জুটি নক্ষত্র । ওদের একজনের নিঃশ্বাস পড়ছে আর একজনের উপর। আসন্ন ঝড়ের অপেক্ষায় একজন আর একজনের চোখে চোখ ফেলে তাকিয়ে ।
হঠাৎ নীলু বললঃ আচ্ছা আমরা বাচ্চা নিব কবে?
আকাশঃ পি এচডি টা একবারে শেষই করে নিই,

বিস্তারিত»

বিশেষজ্ঞ জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, প্রচার ও ক্ষমতা বিষয়ক আমার ভাবনাঃ একটি আধা-কাল্পনিক কথোপকথন

দ্রষ্টব্যঃ এই পোষ্টটি আমার আগের একটি পোষ্টের ফলো-আপ। এখানে আমি ঐ পোষ্টের মূল বক্তব্যের সাথে পাঠকের কমেণ্ট থেকে কিছু সংযোজন করে আমার বক্তব্যকে আরো স্পষ্ট করার প্রয়াস পেয়েছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

বিশেষজ্ঞ জ্ঞান সম্পর্কে মিশেল ফুকো’র (Foucault) ‘Disciplne and Punish’ চিন্তার জগতে একটা আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই। ফুকো’র মূল কথাটা কি ছিলো?- ফুকো আধূনিক ইউরোপে বিচারব্যবস্থার মানবিকীকরণের (যেমন, মৃত্যুদন্ডের তুলনায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড)প্রক্রিয়ায় জেলখানার ভিতরে এবং সেখান থেকে সমাজজীবনে ক্ষমতার রুপান্তরের বিশ্লেষণ মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের স্বরূপ উৎঘাটন করেছেন।

বিস্তারিত»

প্রথম পোস্টঃ রক্ত গোলাপ

আমার প্রথম পোস্ট।
কোয়ালিটি আর কোয়ান্টিটি’র ধাক্কাধাক্কিতে ভয়, আবার ব্লগে অতি সুন্দর লেখাগুলি দেখে নিজের মাঝে কিছূ লেখার জন্য এক ধরনের
চুল্কানির চাপ, এই দুই এর মাঝে পরে বেশ কিছুটা চিড়ে-চেপ্টা অবস্থায় ছিলাম। পরে ভাবলাম “যা থাকে কপালে, আমরা আমরাই তো!”
খাওয়া এবং হজমের দায়িত্ব আপনাদের।
(আমি জানি ৯৪-০০ ইনটেক আমার সাথে আছে!)

বিস্তারিত»

এলোমেলো কথা

মাঝে মাঝেই দিনগুলি যাচ্ছেতাই রকমের বিরক্তিকর ঠেকে আমার কাছে। এই যেমন আজকে। এর পর সর্দি লেগেছে আবার, সাথে মরার উপরে খড়ার ঘা এর মত কোল্ড এলার্জিটা।

কোন সন্দেহ নেই, চট্টগ্রামের সবথেকে বিরক্তিকর আবহাওয়া এই জুন-জুলাই-অগাষ্ট মাসটাতেই। বিরক্তিকর মানে বিরক্তিকর, মহা বিরক্তিকর। সবচেয়ে খারাপ লাগে আর্দ্রতাটা। সহজে ঘাম শুকাতে চায় না। আমার চেয়ে বেশি কষ্ট শারমীন আর জিহানের, কারন দিনের বেশির ভাগ সময়টাতেই আমি অফিসে থাকি,

বিস্তারিত»

শব্দজট

শব্দগুলো জট পাকিয়ে
মাথার ভিতর খেলা করে,
ইচ্ছে করে লিখে ফেলি
গল্প কিংবা কবিতা।

খাতার পাতায় মুক্ত হয়ে
শব্দগুলো প্যারেড করে,

বিস্তারিত»

পোল-ভোল্ট রেকর্ড টা কি ভেংগেছে?

আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগের কথা!! ৯৬ সাল!! ঝিনাইদাহ ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম -ইন্টার ক্যাডেট কলেজ এথলেটিক্স মিটে। ক্লাস টেন-এ পড়ি তখন। ভীষণ উত্তেজনা, ভীষণ আনন্দ!! আজো স্মৃতিতে অম্লান।

সবাই জানি কলেজে এথলেটিক্স প্রতিযোগীতার সময় “পোল-ভোল্ট” আইটেম টা নিয়া কেমন ক্যারিক্যাচার হয়!নরমালি এই আইটেমটাতে কেউ ইন্টারেস্টেড হইত না। তখন বছরের শেষের দিক। ইন্টার হাউস ফাইনাল চ্যাম্পিয়নশীপ নির্ভর করছে এই একটা মাত্র আইটেমের উপর। এথলেটিক্স।

বিস্তারিত»

লাইফ বিগিংন্স @ থার্টি ফাইভ

(সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরনঃ ১। এটা পুরুষ জাতির পোষ্ট। নারী জাতি নিজেদের সংগে মিলাতে পারেন, তবে নিজ দায়িত্বে।
২। যারা “কোয়ালিটি পোষ্ট চাই” বলে অনবরত টেবিল চাপড়াচ্ছেন, তাদের পোষ্টে ঢুকতে নিরুৎসাহিত করছি 😀 )

১।
আমি তখন ঢাকায়, গুলশানে-১ নম্বরে অফিস, বনানীতে বোনের বাসায় থাকি, গায়ে মোটামুটি টাইপের হাওয়া লাগিয়ে ঘুরি। আর বনানী গুলশান মানেই তো, মাশ-আল্লাহ, পুরাই সেই রকম জায়গা।

বিস্তারিত»

একটা জরিপ/ভোটাভুটি করলে কেমন হয়?

অনেক দিন ব্লগে আসা হয় না। আজকে হঠাৎ খুলে বসলাম। খোলার সাথে সাথেই একটা কথা মনে হল। এই কারণেই বোধয় বিয়ে-শাদী করার পরে লোকজন হালকা বোরিং হয়ে যায়। কারন কথাটা আমার বিবাহ করার জন্যই মনে হয়েছে। মানে বউয়ের সাথে বাত-চিত কালীন। বউয়ের সাথে কথা হচ্ছিল ক্যাডেট কলেজ নিয়ে। সে তার ছেলে মেয়েদের কে ক্যাডেট কলেজে দিব কি দিবে না -এই বিষয়ে। আমি তার ইচ্ছা শুনে একটু মনক্ষুন্নই হইছিলাম।

বিস্তারিত»

এই তো জীবন….

ক্যাডেটরা দুষ্টু হয়, ক্যাডেট কলেজে ঢুকার আগেই তা কানে এসেছিল। কলেজে পা ফেলার প্রথম দিন থেকেই তার প্রমাণ পাওয়া শুরু করলাম । অভিভাবকদের নিয়ে ডাইনিং রূমে যাওয়ার সময় দেখলাম একটা ছাগল শ্যান্ডো গেনজি আর জাঙ্গিয়া পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতগুলা বাইরের লোকের সামনে যেন লজ্জা না পায়, এ কারনেই হয়তো কোন সিনিয়র ভাই এ ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু পাশেই একটা গরুকে কেন এ ব্যাবস্থার আওতায় আনা হয়নি,

বিস্তারিত»

পূর্ব-এশীয় দেশগুলোর শিল্পায়নের অভিজ্ঞতা থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শিক্ষা

বিশ্বের শিল্পোন্নত সকল দেশ- ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে কোরিয়া ও তাইওয়ান- শিল্পায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে দেশীয় শিল্পকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা সহায়তা দিয়ে শক্ত ভিত্তির উপর গড়েছে। এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র যেসব উপায় অনুসরণ করেছে তা’র মধ্যে বিশেষ বিশেষ দেশীয় শিল্পকে সুবিধাজনক শর্তে ঋণদান, কাঁচামাল আমদানী+তৈরী পণ্য রপ্তানীতে ইনসেনটিভ প্রদান, আভ্যন্তরীণ বাজারে উদীয়মান দেশীয় শিল্পের সাথে প্রতিযোগীতাকারী বিদেশী পণ্যের প্রবেশে বাঁধা প্রদান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। প্রথম পর্যায়ের শিল্পোন্নত দেশগুলো (অর্থ্যাৎ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহ)এইসব সংরক্ষণমূলক নীতিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভূমিকাকে আড়াল করতে চাইলেও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো প্রকাশ্যেই এগুলোকে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করে যা ‘Import-Substituting Industrialization (ISI)’

বিস্তারিত»

রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিল্পায়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নঃ পূর্ব-এশীয় অভিজ্ঞতা

নিও-লিবারেল ডিসকোর্সে জাতীয় উন্নয়নে রাষ্ট্রের অংশগ্রহনকে ক্ষতিকর হিসেবে দেখা হয়। কারণ, এতে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনাকাংখিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইত্যাদি দেখা দেয় যা’ শিল্পায়ন ও ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। বাস্তবতা হচ্ছে, যে কয়টি দেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে, তারা সবাই জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্পে রাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমেই হয়েছে, যেমন জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং ও সিঙ্গাপুর। এইসব পূর্ব-এশীয় দেশসমূহের উন্নয়নের পথটা তাহলে কি ছিলো? শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি,

বিস্তারিত»

উন্নয়নের গল্পঃ নিও-লিবারেলদের আজাইর‌্যা প্যাচাল বনাম বাস্তবতা

ডিস্ক্লেইমারঃ ১। অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো সিসিবি’তে উন্নয়ন-বিষয়ক একটা লেখা দেওয়ার। নানা ঝামেলায় তা আর হয়ে উঠছিলো না। আর ক’দিন ধরে এটা লিখতে গিয়ে বিশাল ঝামেলায় পড়েছি কি লিখবো আর কি বাদ দিবো তা’ই নিয়ে। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক বড় হয়ে গেল লেখাটা। তাই আপাতঃত তিন পর্বে এটা সিসিবি’তে পোষ্ট করবো।

২। এই লেখা বোঝার জন্য এন্টেনা আবশ্যক। 😀

বর্তমানে উন্নয়ন বিষয়ক প্রায় সকল আলোচনায় ‘সুশাসন’কে উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – ছোট্ট বেলার নায়কেরা

১।

জাহাজের বদ-রাগী ক্যাপ্টেন গুলি করে খালাসী ব্যাটাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল আর কি। শেষ মুহুর্ত্তে তিনি হাত দিয়ে ক্যাপ্টেন কে ঠেলে দেয়াতেই সেই যাত্রায় বেঁচে গেল খালাসীটা। অবশ্য কৃতজ্ঞ খালাসী এর প্রতিদান দিতে সপ্তাহ দেড়েকে বেশি নিলনা যখন তার নেতৃত্বে সব অফিসারকে মেরে মেরে জাহাজ দখল করে নিল কর্মচারীরা। খালাসীটা প্রানে বাচিয়ে রাখল তাকে, কিন্তু অন্য বিদ্রোহীদের চাপে তাকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সহ নামিয়ে দিতে বাধ্য হল কঙ্গোর গহীন জঙ্গলে,

বিস্তারিত»

সিসিবি থিম

অল্প ক’জন ক্যাডেটের সান্নিধ্যে জন্ম নেয়া সিসিবি প্রাঙ্গন আজ অনেক বড়, অনেক বিকশিত। হয়তো বলবেন এখনো শতভাগ পূর্ণাঙ্গতা আসেনি, তবুও মেনে নিতে হবেই সিসিবি প্লাটফর্মের বর্তমান অবস্থান ঈর্ষনীয় এবং প্রশংসার দাবীদার। শুধু স্মৃতিচারণের গন্ডীতেই নিজেদের আটকে না রেখে চিরতরুণ ক্যাডেটদের (এক্স-ক্যাডেট বলবো না, কারণ অন্তরে তারা আজো সেই পুরনো ক্যাডেটই রয়ে গিয়েছেন) বিচরণ ছড়িয়েছে বহুদূর। আজ এর সদস্য প্রায় হাজারের পথে এগুচ্ছে, আর পোষ্টের সংখ্যা তো বেশ আগেই দু’হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গিয়েছে।

বিস্তারিত»