অনেক ঝড়ঝাপটার আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ভারতের বাংলাদেশ সফর। অনেক দিক থেকেই এই সফর ব্যতিক্রম ছিল। আমি নিজেও খুব এনজয় করেছি এইসফরের চড়াই উৎরাইগুলো। বিদেশে বসে অনলাইন ক্রিকেট ব্রডকাস্টিংই মূল ভরসা। আর অনলাইন ক্রিকেটের জন্য সাধারনত ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলোর কাছেই যেতে ইচ্ছে না থাকলেও। তবে অনলাইনে ক্রিকেট দেখার সময় কিছু কিছু সাইটে চ্যাটিং রুমও থাকে। ক্রিকেটের চেয়েও সেখানে আরো গরম গরম আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ভারতের ম্যাচের সমান্তরালে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ও অনুর্ধ-১৯ টুর্নামেন্ট ও চলছে।
বিস্তারিত»স্টপ জেনোসাইডের লিংক এবং একটি অনুরোধ
১।
ওয়ার্ক গ্রুপ মিডিয়া আর্কাইভ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে রায়হান রশিদের ভাইয়ের মেইলে লিংকের জের ধরে মুক্তাঙ্গনে ইমতিয়ার শামীম ভাইয়ের পোস্টে, মুয়িন পার্ভেজ ভাইয়ের কমেন্টে স্টপ জেনোসাইডের লিংকগুলো পেলাম। লিংক গুলো মিডিয়া আর্কাইভে যোগ করতে করতে ভাবলাম, দারুন এই ডকুমেন্টারিটা হয়ত প্রিয় সিসিবির অনেকেই দেখেনি। তাই লিংক্টা তুলে দিলাম।
এটা দেখতে দেখতে সবার অনেক কথাই মনে হবে, কান্না পাবে, যেমন আমার হয়েছিল,
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৭ম পর্ব
আর সবার আমার এই ব্লগ পড়ে কেমন লাগছে তা জানিনা তবে আমার লিখতে খুবই ভাল লাগছে। প্রতিটি ব্লগ লিখতে বসে যখন পুরনো স্মৃ্তিগুলো লিয়ে চিন্তা করি সেই অনুভূতিটাই অন্যরকম। মনে হই এই সেদিনই কলেজে ঢুকলাম আর আজ প্রায় ১০ বছর হতে চলল। তো স্বভাবতই ক্লাস সেভেনের ক্যাডেট হিসেবে আমরা দৌড়ের উপরে থাকতাম। মোটামুটি সবাই আমাদেরকে পাঙানি দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকত। আর আমাদের শুরু হল এই পাঙানি কিভাবে বাঁচা যায় তা নিয়ে লুকোচুরি খেলা।
বিস্তারিত»শীতের আমেজে………..
এই হাড়কাঁপানো শীতের বিকেলে
গোসলটা দুই ডুবে সেরে
চাচার চায়ের দোকানের আড্ডা
উফ! কল্পনায় হিমালয়ের পাদদেশে
বসে চায়ের ভাড়ের উষ্ণতা খুঁজে পাই।
৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৬ষ্ঠ পর্ব
আজকে লিখতে বসে বেশ অনেকখন ধরে বসে ছিলাম। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথম পাঙানি যেদিন খেলাম সেইদিনের কাহিনী বর্নণা করব। এই পাঙানি খাওয়া ছিল জীবনের একটা বড় অভিজ্ঞতা।
যাইহোক ঘটনার দিন-তারিখ মনে করতে পারছি না, কিন্তু এটুকু বলতে পারি দিনটি ছিল সোম-বৃহস্পতিবারের মধ্যের যেকোন একটি দিন। ক্লাসে ৭ম পিরিয়ডে আমাকে জানানো হল যে লাঞ্চের পর ৩০৮ নং রুমে থাকতে হবে। ভয়ে ভয়ে শেষ পিরিয়ড করলাম এবং লাঞ্চে ঠিকমত খেতে পারলাম না।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৫ম পর্ব
আজ ভাবছি ঢালাও করে কিছু স্মৃতি লিখব। যদিও আমি জানি এই স্মৃতিগুলো সবারই মনে থাকার কথা। যেমন সকালে মাত্র দুটি বাথরুম-টয়লেটে ১৭-১৮ জনের টয়লেট, দাঁত মাঝার সিরিয়ালের লম্বা লাইন, পিটি বা ড্রিলে সবার সামলে দৌড়াও বা মার্চ কর, পিটির পর বাথরুমে গোসলের আবারও লম্বা সিরিয়াল, ব্রেকফাস্টের ফল-ইনে মার্চ ঠিকমত না হলে পেছন থেকে ক্লাস এইটের আদেশে নিজের ক্লাসমেটের লাথি খাওয়া, ব্রেকফাস্টের পর তিন পিরিয়ড নভিসেস ড্রিলের জন্য প্র্যাকটিস করা,
বিস্তারিত»দেশে বাঘ বিদেশে বিলাই, আসেন সবাই শেওয়াগকে কিলাই !!!
ভারতের ব্যাটসম্যানদের নিজেদের মাটিতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে, বিদেশের মাটিতে রানের জন্য খাবি খাওয়ার হাজার নিদর্শন আছে। আবার ভারতের বোলারদের অবস্থাও তাই। ভারতের স্পিনাররা দেশের মাটিতে পারলে প্রত্যেকেই দশ উইকেট নেয়। কিন্তু বিদেশের মাটিতে সেই উইকেট টেকার বোলাররাই যেন স্ট্যাম্প চোখে দেখেন না। বেধড়ক মার খেয়ে তক্তা হয়ে যায়। যা হোক ভারতের দেশে বাঘ, বিদেশে বিলাই স্বভাব নিয়ে অনেক মজার মজার কৌতুক আছে।
বিস্তারিত»ক্যাডেট সব পারে
কলেজে পা রেখেই যে কয়েকটি চমকপ্রদ কথা শুনেছি তার মধ্যে একটি হচ্ছে “ ক্যাডেট সব পারে”। অবশ্য স্যার ম্যাডামদের মুখে এই কথাটা অনেক সময় ব্যাঙ্গাত্মক রূপে উচ্চারিত হত। যাই হোক, ক্যাডেট দ্বারা তেমনই একটি অসাধ্য সাধিত ঘটনা আমি সবাইকে জানাতে চাই। ছোট্ট একটি প্রমাণ দিতে চাই , আসলেই ক্যাডেট সব পারে।
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সম্ভবত আমাদের এস এস সি পরীক্ষা ছিল। তাই সম্ভবত অক্টোবর বা নভেম্বরে আমাদের টেস্ট পরীক্ষা হয়েছিল।
একটু উষ্ণতার জন্য
একটু উষ্ণতার জন্য, হে খোদা
রাস্তার মোড়ে টায়ার পোড়ে,
ছিন্নমূল শিশু জ্বালায় ছেঁড়া কাগজ।
একটু উষ্ণতার জন্য, হে খোদা
ভাসমান শ্রমিকেরা কাওরানবাজারে
ঝুড়িতে শোয় শরীর প্লাস্টিকে মুড়ে।
৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৪র্থ পর্ব
এই পর্বেও কিছু বলে নিতে চাই। অনেকের মন্তব্য শুনে ভাল লেগেছে, আর অনেকের মন্তব্য শুনে লেখার জন্য আরও উৎসাহিত হয়েছি। যারা ছোট করে পর্ব লেখার জন্য অভিযোগ করেছে তাঁদের জন্য আবারও বলছি আমার সময় স্বল্পতার কারনে পর্বে পর্বে লিখছি। আর ৩-৪ দিন পর পর বড় করে লেখার সময়ের অভাবেই তো প্রতিদিন ছোট পর্বে লিখছি।
তো এই পর্বে চিন্তা করেছি আমি কতটা সৌভাগ্যবান ছিলাম তা একটি স্মৃতির কথা লিখে প্রকাশ করব।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ৩য় পর্ব
প্রতিটি পর্ব লেখে মন্তব্য দেখে কিছু কিছু জিনিস পরিস্কার করে বলে দিতে হচ্ছে। লেখাগুলো এত ছোট হওয়ার কারণ হচ্ছে সময়। দেশে থাকলে হয়ত বড় করে লেখা যেত কিন্তু দেশের বাইরে থেকে জব করে, ক্লাস করে বড় করে লেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সবার অবগতির জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।
এখনও সাতদিনের কাহিনীতে আটকে আছি। আরও ২-৩ পর্ব হয়ত এই সাতদিনের কাহিনী শেষ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত»একটি আদর্শ মন্দ দিন
দিনের শুরু দুইভাবে হতে পারে। সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অথবা রাত বারোটার পর থেকে। যেহেতু খারাপ দিনের সূচনার পিছনে আগের রাতের বিষয়টা জড়িত, তাই এখানে নতুন দিন বলতে রাত বারোটার পর বুঝাবো।
এশার নামাযের পর পরই কাছের কোন এক মসজিদ বা মাজার থেকে ওয়াজ মাহফিল শুরু হলো। শুরু হলো তো হলো, শেষ হওয়ার নাম নেই। অবশেষে রাত বারোটার দিকে ওয়াজ শেষ হলো। এবার ঘুমানো যাবে ভেবে বিছানায় গেলাম।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন- ২য় পর্ব
২য় পর্ব শুরুর আগে কিছু বলে নিতে চাই। ২২০৩ দিন হেডিং দিয়েছি বলে এইটা ভাবা যাবে না যে ২২০৩টা পর্ব হবে। যে স্মৃতিগুলো সবার সাথে শেয়ার করা যাবে সেগুলো পর্বে পর্বে লিখতে চাই। আর সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি আমি ২৬তম ব্যাচ(২০০০-২০০৬)।
১ম রাতে ডিনারের পর আমাদের সবাইকে বোধহয় ৩২১ নং রুমে ডাকা হয়েছিল। সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল ২১তম ব্যাচ। আমাদের সবাইকে বলা হল হিন্দী গান “রুকি রুকি”
বিস্তারিত»প্রসঙ্গ টিপাইমুখ বাঁধ: আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের অবস্থাণ এবং সাধারণ মানুষের কর্তব্য……
বিপদটা হলো আমরা সোচ্চার হলাম অনেক দেরীতে……..
ঘটনা ঘটার পরে কথা-বার্তা শুরু করে তো সত্যিকারের কোন লাভ নাই…….ইতিমধ্যে এই বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়ে গেছে (ভিত্তিপ্রস্তর করে ফেলেছে মনমোহন সিং)…….আমাদের কর্মকর্তাদের সেখানে গিয়ে চা খেয়ে আসার দাওয়াত-ও দিয়েছে ভারত!!!!
আমাদের কি মনে আছে International Tipaimukh Dam Conference 2005 Dhaka Bangladesh নামে একটা সম্মেলন হয়েছিল ২০০৫-এর ৩০-৩১ ডিসেম্বরে??? এবং যাতে দাওয়াত পেয়েও মেজর হাফিজ যোগ দেননি……..আবার মাল মুহিত,
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ১ম পর্ব
আমি (ক্যাডেট জুলফিকার, ক্যাডেট নং ১২৩৪, ওমর ফারুক হাউস রংপুর ক্যাডেট কলেজ) কলেজে আবেদনপত্র বা স্টেটমেন্ট লিখতে গেলে এইভাবেই শুরু করতাম। তাই ভাবলাম এখানে ওভাবেই শুরু করি। যাইহোক হেডিং দেখে বোঝা যায় আমি আমার ক্যাডেট জীবন সম্পর্কে লিখতে চাইছি। কিন্তু ৬ বছরের প্রতিটা দিনের স্মৃতি মনে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না তাই যেগুলো মনে আছে সেগুলো লেখার চেষ্টা করা যেতে পারে।
কলেজে ঢোকার প্রথম দিনের কথা আর সবার মত আমারও মনে আছে।
বিস্তারিত»