আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি

আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি

[আমার এই লেখাটা কোন ভাবেই কোন সিস্টেম বা ব্যাক্তিকে দায়ী বা কটাক্ষ করে লেখা নয়। বরং গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু ঘটনার কারনে মনের মাঝে জমে থাকা অনেকগুলো বিষয়কে রিলেট করে একটা সমাধানের আশায় লেখার একটা প্রয়াস মাত্র। আমি নিজে একজন ক্যাডেট বলেই হয়তো বিষয়টা নিয়ে আমি ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটির প্রেক্ষাপটে লিখছি। কিন্তু আসলে এটা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

বিস্তারিত»

মকবুল স্যার বাঁচবেন, আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে

ফেসবুকে Reza Shawon ভাইয়ের লেখা পড়ে আমারো একটা ঘটনা মনে পরে গেল।

ক্লাস ৯ অথবা ১০ এর কথা। আমাদের B ফর্মে সেদিন ছিল ভূগোল ক্লাস। আমরা মোটামুটি সবাই বিরক্ত এই ক্লাস নিয়ে। কারণ, ভূগোল অনেক মুখস্ত টাইপের পড়া। কোন দেশ কোথায়, কোন অঞ্চলে আম গাছ, আর কোথায় বাঁশ গাছ বেশি পাওয়া যায়, এসবের বিস্তারিত বর্ণনা। আফ্রিকাতে “রকি” মাউন্টেন, নাকি “কিলিমাঞ্জারো” এই নিয়ে আমাদের কেন এত মাথাব্যথা করতে হবে তা বুঝতাম না।

বিস্তারিত»

পোনসাই বদলাবেই

১৯৬৫ ইংরেজীর মার্চ মাসের শুরু, বাংলা ১৩৭১ ফাল্গুনের শেষাশেষি। ২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ইলেক্টোরাল কলেজ ভিত্তিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহ কে পরাজিত করে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব শাহীর বেসিক ডেমোক্রেসির দোর্দণ্ড শাসন চলছে। পাক-ভারত সীমান্তে টানটান উত্তেজনা , এই যুদ্ধ লেগে গেল বলে।আব্দুল মালেকের এসব খবর নেবার জো নেই।তার ভাবনায় অন্য কিছু।

বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল একেবারে সাধারন ঘরে। আব্দুল মালেকের অবস্হা ও তখন তাদের মতই ছিল।মেয়েরা উভয়েই প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের সময় মারা যায়।বড় ছেলে তো আর ও আগেই অকাল প্রয়াত।বাধ্য হয়ে মেধাবী মেঝ ছেলে মনু মিয়া কে কয়েক বছর পূৃর্বে প্রাইমারি স্কুলের পাট চুকিয়ে তার সাথে চাষবাসের কাজে লাগিয়ে দেন।বাপ-বেটার উদয়াস্ত পরিশ্রমে আব্দুল মালেকের অবস্হা দ্রুত উন্নতির দিকে।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ

স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।

বিস্তারিত»

পুরুষকে নারী

akas

কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই

আমার হাতে দ্বিধা
তোমার হাতে মায়া
তোমার চোখের দিঘীয়
মেঘের অমল ছায়া

তোমার হাতঘড়িতে
এলার্ম বাজায় নূপুর
তোমার ডাকে ঘুঘু
একলা আকাশ দুপুর

মুখ নামিয়ে আনে
আমার কাধের পাশে
উদাস হাওয়ার টানে
দুঃখী দীর্ঘশ্বাসে

তোমার হাতের বশ
আমার কানের সোনা
তোমার লোমশ বুকে
মুখ ভেজাবো না

মুখ ভেজাবো জলে
মুখ ভেজাবো চাঁদে
রাখবো থুতনী আর
তোমার চওড়া কাঁধে

কাঁচের ঘরে শুই
আয়নাতে মুখ ধুই
তোমার পাঞ্জাবীতে
দ্বিধার হাতে ছুঁই

বিস্তারিত»

আমরা কী ভুলে গেছি!

সবাই বুঝি ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি! ভারচ্যুয়াল জগতটাতেই স্বস্তিতে আছি! একটু কি সময় নেই আমাদের পরস্পরকে দেয়ার জন্য? একটু দেখা সাক্ষাৎ, গল্প আড্ডা, হা হা হি হি, ছবি তোলা, সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া কী করা যায় না?

প্রতিবছর রোজায় ব্লগের ইফতার পার্টির কথা কী আমরা ভুলে গেছি? আমি ভুলিনি। দেখি কার কার মনে আছে? সাড়া দাও, দাও সাড়া।

বিস্তারিত»

অতসীর ফুটবল খেলা দেখা

ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলাটা আমার খুবই প্রিয় ছিলো। সেই ক্লাস ৫ এ ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের গোড়ালি মচকিয়েছিলাম; তারপর মা পিটাবে, ঐ ভয়ে সারাদিন বাসায় যাইনি। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি, সন্ধ্যাবেলা যখন ঠিকই পা ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছিলো আর শরীর কাঁপিয়ে জ্বর এসেছিলো, তখন মা’র বসকিছু বুঝতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর খেলাধুলার জন্য অনেক সুযোগ পেলাম, কিন্তু সেই ক্লাস ১০এ পা ভাঙ্গার পর ফুটবলটা আর আগের মত খেলা হয়ে উঠেনি।

বিস্তারিত»

বাচ্চা+আমি (১)

তখন বয়স আর কত হবে, মনে হয় ক্লাস ১ এর মাঝামাঝি টাইমের কথা এটা। আমি যেখানে থাকতাম, সেখান থেকে আমাদের থানা সদরের (মনোহরদীর) একমাত্র বাজারটির দূরত্ব ১ কিলোমিটারের কিছু কম। বাচ্চাকালে বাসার পাশে স্কুলে হেঁটে গেলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যেত (লুতুপুতু বাচ্চা আছিলাম আর কি!!), আর ১ কিলোমিটারের মত হাঁটা তো অনেক কিছু। তখন আবার ঘুড়ি উড়ানোর সিজন চলছিলো। বাসার সামনের মাঠে, পাশের ধানক্ষেতের উপরের আকাশ বিকালবেলা ভরে যেত নানা রঙ-বেরঙয়ের,

বিস্তারিত»

আঠারো জুনের কবিতা

images

আজকে তোমার জন্মদিনে মনে পড়ে নৌকাভ্রমণ-
মনে পড়ে ধবলবিলের কাঁচের মতো মেঘলা আকাশ?
মেঘ মাখা নীল,নিঝুম দুপুর-
আমরা ছোঁয়াই সবুজ আঁধার নির্জনতার চক্রবালে
আমরা ছোঁয়াই শীতল আঙুল পরস্পরের অচিন গালে
কলমী ফুলের ছায়ায় হঠাৎ খলসে মাছের চোখ রাঙানী
মনে পড়ে সেই যে তোমার চোখের ভেতর আয়নাখানি?
চিরটাকাল আকাশবিহীন হঠাৎ সেদিন ধবলবিলে
রূপশ্রাবণের একলা আকাশ ছাউনি হলো বিলীন নীলে
কাঠপেন্সিল,নীলের গুড়ো ছড়িয়ে তোমার লাল কাগজে
জাদুকরের রঙিন রুমাল লুকিয়ে ফেলে খোঁপার ভাজে
মনে পড়ে মিথ্যে গল্প লেখা সেসব খাতার চিঠি?

বিস্তারিত»

অতসীর সতীন

http://www.cadetcollegeblog.com/raihan1303/34732 (এ সিরিজের প্রথম গল্প)

http://www.cadetcollegeblog.com/raihan1303/36719 (এ সিরিজের দ্বিতীয় গল্প)

 

অতসী এখন অনেক বড় হয়েছে। সে এখন একটা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী……সারাদিন বিজি থাকে। যখন তাকে ফোন দেই, “আমি তো পড়ছি, পরে কথা বলি?” বা “ক্লাসে এখন……পরে ফোন দেই?” টাইপ কথা শুনতে হয় আমার। আমি এইদিকে আমার স্টুডেন্ট নিয়ে বিজি, সন্ধ্যাবেলা আমার নিজেরই ক্লাস ৯ এর বাচ্চাগুলোকে সময় দেয়া লাগে।

বিস্তারিত»

একটি সুখস্বপ্ন

[বিঃ দ্রঃ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা 😛 ]

এক্স ক্যাডেট হওয়ার প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কলেজকে আগের মত এখন আর মিস করা হয়না, মাঝে মাঝে আশপাশের কিছু কিছু ঘটনায় কলেজের কথা খুব বেশী মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ডিভিডি শো গুলোর কথা মনে পড়ে, কিংবা বাস্কেটবল গ্রাউন্ড দেখলে কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডটাকে খুব মিস করি। মনে পড়ে ক্লাসে কিংবা প্রেপে দোস্তদের সাথে আড্ডা কিংবা ফাজলামির কথা,

বিস্তারিত»

ম্যাজিক দৃশ্য

11479530014_cf186a4c8a_b

তিনটি পাখি ডাইনে গেলো, চারটে পাখি বাঁয়ে
আর কে দিলো নুনের ছিটা কাটার ওপর ঘাঁয়ে?
চালের চেয়েও সস্তা আটা, নুন ও তেলের চেয়ে
ম্যজিক দৃশ্যে বদলে যাচ্ছো, বুঝতে পারো মেয়ে?
নুন আনতে পানা ফুরায়,পান্তা আনতে তেল
পথের পাশে কুড়িয়ে পাওয়া লাল রঙা ককটেল
দশম শ্রেণীর শেকল তোলে র‍্যাটম খাওয়া কনে
চারটে আঙুল উড়ে গেলো হঠাৎ বিস্ফোরণে
তিনটি আঙুল উড়ে গেলো প্রিয় পাখির মতো
ডান ও বায়ের পাখিগুলোও ঘুরছে অবিরত

বিস্তারিত»

ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর

ফেইসবুক স্ট্যাটাসঃ প্রসংগ ৬০৩ (১৯৮৮-’৯৪), সিসিআর

কেন যেন হঠাৎ করেই নীচের লাইনগুলো লিখতে ইচ্ছা হল। ইদানিং ইমোশোন চেপে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ৬৪২-এর ফেইসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী আসলেই বোধহয় আমাদের ঘণ্টা বাজার সময় শুরু হয়ে গেছে।

গত কয়েকদিন খুব কষ্ট করে নেট ব্যবহার করতে হয়েছে। ছিলাম দিনাজপুরে, থ্রী-জি কাজ করেনা সেখানে। গরুর গাড়ির গতিতে ৬০৩-এর ব্যপারে প্রতিটা খবর নিচ্ছিলাম। মনের অবস্থা কেমন ছিল,

বিস্তারিত»

যোগ-বিয়োগ

“তারপর, আবার কবে আসবেন?” মিথিলা হাস্যোজ্জল মুখে মাসুদকে জিজ্ঞেস করে।

মিথিলা মাসুদের খালাতো বোন। অন্যরকম চেহারার এ মেয়েটিকে দেখলে মাসুদ নিজের অজান্তেই শিহরণ অনুভব করে। কতবার সে চেষ্টা করেছে তার মনের কথা মিথিলাকে বলবে…কতবার সে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছে…কিন্তু প্রতিবারই মিথিলার অতি সরম ব্যবহারে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। বা এমনওতো হতে পারে, পুরোটাই মিথিলার অভিনয়!

–      মন তো চায় প্রতি সপ্তাহেই তোমাদের বাসায় আসি,

বিস্তারিত»

প্রলাপ-১৭

“You enter it by the Ancient way
Through Ivory Gate and Golden”

১.
অদ্ভুত একটা কমপ্লেক্সিটি…অনেকগুলো গলিপথ-ঘুপচি…যার শেষ সমুদ্রে…এগুলো নদী না নিশ্চিত…নদী হলে নৌকা থাকতো…মাছ থাকতো…পাড়ঘেষে বাড়ি থাকতো…বাড়িতে মানুষ থাকতো…মানুষের সংসার থাকতো…

এখানে কেবল বৈরাগ্য!
২.
যে রাবারের বনের কথা বলা হয়েছে পুরোনো গল্পে,সেখানে এখন এয়ারফিল্ড হয়ে গেছে,যার রানওয়ে ঘিরে আলোর স্ফটিক,সোডিয়াম আলোর পরিবর্তে সাদা ফ্লাডলাইট।যার কন্ট্রোলরুমে বসে ইউনিফর্ম পড়া রমনীরা মৃদুভাষ্যে বলে যাচ্ছে দুঃসময়ের সঙ্কেত।

বিস্তারিত»