জলে ভেজা একখন্ড কাগজ। তার কীবা দাম এই জীবন-সংসারে? কাগজটির গায়ে লিখে থাকা এককালের বিখ্যাত কোনো কাব্য-গল্প কেউ এখন তুলে দেখে না। পথিকের পদভারে দলিত হয়, অবহেলায় মুষড়ে পড়ে। দক্ষিনা হাওয়া এসে যদিবা উড়িয়ে নিয়ে যায়- এ প্রত্যাশায় বুক বাঁধে সে, কিন্তু তার ডাকে বন্ধুবেশে আসেনা কেউই। রোদের ঝলকে কিছুটা শুকিয়ে আসতেই আবার বৃষ্টির বৈরিতা নেমে আসে তার উপর। আবারো সে জলে ভেজা কাগজ, আবারো বর্জ্যের জীবন। আবারো তার প্রতীক্ষার প্রহর, কোনো সহানুভূতির হাতছানিতে যদি উঠে দাঁড়াতে পারে সে। কবি এখানে নিজের অসহায়ত্বের সাথে জলে ভেজা কাগজটির তুলনা করেছেন। আমাদের সবার জীবনেই কি এরকম মন খারাপ মুহূর্ত আসেনা, কখনো?
জলে ভেজা কাগজ যেন আমার এই জীবন
না কেউ লেখে, না করে কেউ অগ্নি সংযোজন।
অবহেলায় অনাদরে স্থবির ভূলুন্ঠিত
ভার উঠাবার প্রশ্নে যেন পবনও কুন্ঠিত।
প্রখর রোদে হাওয়ার ঝোকে শুষ্ক হলে পরে
বন্ধু মেঘের অভিবাদন বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
শুষ্ক যদি হই কদাচিৎ প্রকৃতির করুণায়
কর্দমাক্ত নোংরা বর্জ্যে দৃষ্টি কে ফেরায়?
ভাবনা জাগে বন্ধু হবে দখিনা সমীরণ
উড়িয়ে নেবে যত্রতত্র হাওয়ায় সন্তরন।
বিচূর্ণ হয় সব অভিলাষ পথিক পদতলে
দলিত-মথিত-অযাচিত জগত রোষানলে।
হর্ষ বিষাদে পূর্ণ গল্প লেখা যত এই বুকে
অপ্রকাশিত অদ্য অবধি শত বৈরিতা মুখে।
ছিলাম কভু বাঁধাই করা বইয়ের পাতা হয়ে
পড়তো আমায় পাঠক যতন-ভক্তি সমন্বয়ে।
ছিন্ন আজি ভিন্ন বেশে দৈন্য পরিণতি
না কেউ করে আপন আমায়, না সহানুভূতি।
জীবনে প্রাণের পরশ তবে কি ফিরবে না কোন কালে,
কোনো সযত্ন কোমল হাতের স্পর্শ ইন্দ্রজালে?
-একান্ত, ২৪.০৫.২০০৮।
১ম হইছি মনে হইতাছে 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমি ২য় 😀
কোটেড অংশটা কি ভূমিকা নাকি ? ভাল লাগলো কবিতা ।
কোটেড অংশটা কবিতার গদ্যরুপ বলতে পারেন।
দারুন! :clap: :clap:
গদ্য+পদ্য একই সাথে। :thumbup:
আমার জন্য এটাই পারফেক্ট। 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ঐ 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাল লাগলো কবিতা :clap:
boroi sundor laglo
দারুন হইছে,অসাধারন
ধন্যবাদঃ :shy:
রকিব
আদনান ভাই
মাহমুদ ভাই
নাজমুল ও
আহসানকে।।
ভাল্লাগছে। 🙂
:clap: :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
২য় দফায় ধন্যবাদঃ :shy:
নাজমুল
শার্লী
মহিব ও
কাইয়ুম ভাইকে।
শুধু ধন্যবাদ দিলে হবে না আলম ভাই। চা খাওয়ানো লাগবে। 😀
😀 😀
তোমার লেখাটাতে হাততালি দিয়া আসছি, তুমি কি খাওয়াইবা?? 😉
অই দোস্ত একান্তটা কে রে? তোর ছদ্মনাম নাকি?
একান্তটা এই কবিতার কবি। বাকিটা কী বলবো? তোদের সাথে আবার ছদ্ম-এর কী আছে?? তাইনা? 😕
সুন্দর। :clap: :clap:
আখেরি ধন্যবাদঃ :shy:
একান্ত
আদনান
এবং
তানভীর ভাইকে।
🙂 বেশ ভালই কবিতা লেখেন দেখছি । পরেরটার অপেক্ষায় থাকলাম।