যে পরিবারের বন্ধনকে কোনদিন সংজ্ঞায়িত করা যাবেনা

আমি খুব ঘরকুনো একটা ছেলে…গত কয়েকবছর থেকে মারাত্মক ঘুমকুনোও।এতটাই যে,কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে রিইউনিয়ন ছাড়া আর কোন গেটটুগেদারেই আমি যাই নাই!প্রয়োজন ছাড়া কোনজায়গায় তো নয়ই।তাই আমার চেনাজানা মানুষের গন্ডিও খুব সীমিত।এতই সীমিত যে সীমিত শব্দটাকেও অপর্যাপ্ত মনে হচ্ছে।ভাগ্য ভাল যে পরিবারপ্রথা নামক একটা জিনিস পৃথিবীতে চালু আছে…নাইলে আমি আছি কি মরে গেসি এইটা নিয়া মাথা ঘামানোর কোন লোক পাওয়া যাইত না।তাই সবাই যখন নিত্যদিনই বোনের ননদ,ভাইর বন্ধুর ফুফার বাড়ি,খালাতো ভাইর তালতো শ্বশুর এর বাড়ি ইত্যাদি নতুন নতুন পরিবারের সদস্য হচ্ছে,সেখানে হাফডজন ভাইবোন হওয়া সত্ত্বেও আমি এখনও খালি আমার আব্বা-আম্মারই আছি… :party:

ব্লগিং শুরু করসি মনে হয় একবছরের মত হল।প্রথম নেট নেয়ার পরেই ইশতিয়াকের সাথে চ্যাট করার সময় যখনি জিজ্ঞেস করতাম কি করিস..ও বলত ব্লগ পড়ি।সারাদিন ও কি বুগিচুগি পড়ে আমার মাথায় কুলায় না,ন্যাকামি মনে হয়।আরে..আমি তো ব্লগাই না..তাতে কি ?আমার ভাত তো ঠিকই হজম হয়..বাথরুমেও তো নিয়মিতই যাই!!প্রব্লেমটা কি ওর!!! ~x(

শেষমেষ একদিন প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা এক বিকেলে বসলাম ব্লগের মধু পান করতে।আরে বাপরে!!এইসব কি!!কূল পাইতেসিলাম না..একপোষ্ট পড়ে হোহো কইরা হাসি…আবার আরেক পোষ্ট পড়ে মনখারাপ করে বসে থাকি…পুরা মাথাখ্রাপ অবস্থা…সেই যে বসলাম..সেই যে বসলাম…আর থামাথামি নাই… :frontroll:

যা বলতেসিলাম,পরিবাবের কথা…ব্লাগাইতে গিয়া বুঝলাম…আমি না বুঝলেও তলে তলে আমি কিন্তু বিশাল এক পরিবারের সদস্য…এমন এক পবিবার যে পরিবারের সদস্যদের বন্ধনকে কোনদিন সংজ্ঞায়িত করা যাবেনা…এমন এক পরিবার যে পরিবারের সদস্যদের হৃদপিন্ড সত্যি সত্যি একটা সুতা দিয়ে বাধা..একটু দুরে যাওয়ার চেষ্টা করলেই যে সুতায় টান পড়ে বুকটা কষ্ট পায়…

একজন কমেন্ট করল..আরে!এটা তো আমারই কথা..আরেকজন কাহিনী বলল…আরে আমাদের ব্যাচের কাহিনী এই ব্যাটা জানল কিভাবে!!আমার হয়ে মনটাই আমাকে উত্তর দিল..ওরে বোকা..মিলবে না কেন!!তোরা সব যে একই প্রোডাক্ট…তোদের সবকিছুই মিলবেও একসাথে..ছিলবেও একসাথে… ;;;

সিসিবির কল্যানে আগে গাওয়া কোন গান না থাকা সত্ত্বেও আমি আমার এই ভাইবোনদের খুজে পেলাম…খুজে পেলাম এমন এক পরিবার যেখানে আমার মাথার উপর ছায়া মেলে আছেন আমার বড়ভাই..বড়বোন….আছে আমার পিচকি-পাচকা ছোট ভাইবোনগুলা..আর পিঠাপিঠা বান্দরগুলার কথা তো বাদই দিলাম…আমরা একসাথে হাসতে থাকলাম..একসাথে কাদতে থাকলাম…গড়াগড়িও করতে থাকলাম একসাথে… :goragori:

আজকে আমার এই পরিবারের সাথে আমার দেখা হয়ে গেল…কিন্তু এমন দেখা আমি দেখতে চাইনি..এ দেখা না হলে আমাদের মত খুশি আর কেউ হতনা…কিন্তু ওই যে একজন আছে!!তাকে বুঝে কার সাধ্যি!!

আব্বার সাথে কাজে গিয়েছিলাম পল্টন। সকাল থেকেই বারদশেক ফোন দিয়ে আব্বাকে বলে রাখসিলাম আমাকে পাচটার পর ছাইড়া দিবা..আমার কাজ আছে।কিসের কি..কাজ শেষ হল সাড়ে ছয়টায়…শেষ না হতেই দৌড়..হাচড়ে-পাচড়ে ১৩ নাম্বার বাসে উঠলাম..নাম্বার যেমন..শালার বাসটাও তেমন…বাসের মধ্যেই ফোন দিলাম গুরু জুনা ভাইরে…জিগাইলাম আর কতক্ষন আছে..উনি বল্লেন চইলা আয় তাড়াতাড়ি..মেইন গেটেই হচ্ছে….কিন্তু ক্যামনে কি!!ড্রাইভার ব্যাটার সাথে যতই টেলিপ্যাথি যোগাযোগ স্হাপন করার চেষ্টা করি..ততই ব্যাটা স্লো হয়.. ~x(

অবশেষে পৌছালাম..পৌছেই পেলাম এমন একজনকে যে ব্যাটা ফেসবুকে নট অ্যাটেনডিং দিয়ে রাখসিলো।কিন্তু ও জানত না…যতই নট আটেনডিং লিখ..আসতে তোমারে হবেই..এ যে আত্মার টান ..কেমনে এড়াবিরে ব্যাটা??

কথা বলতে বলতে দেখা হল লাবলু ভাইর সাথে…এই মানুষটারে যে আমি কি পরিমান শ্রদ্ধা করি তা তখন বলতে পারিনাই…ভাইয়া এখন বইলা দিলাম…তার সাথে বুক মিলানোর পর স্পষ্ট টের পাইলাম…এইখানে আমার জন্য ভালোবাসার সাগর অপেক্ষা করছে…আমার যখনি খারাপ লাগবে..এই তীরে বসলে আমার আর নো টেনশেন…।ভাইয়াকে খুব টায়ার্ড মনে হল..ভাইয়া রেষ্ট নিবেন অবশ্যই অবশ্যই…আপ্নার জন্য একখান ছড়া..
সব’চে সিনিয়র এবিসির সানা ভাই
অলরেডী ব্লগ সিপি ধরা যায়
নতুন কেউ এলে
অন্য সব ফেলে
তার দেয়া ফ্রন্টরোল আগে খায়।

এরপর দেখলাম মাসরুফ ভাইকে..তালগাছের মত একপায়ে না..দুইপায়েই দাড়িয়ে ছিলেন..চিনতে একদম কষ্ট হয়নি…আমাকে দেখেই অবশ্য চিরাচরিত কাশেম টাইপ একটা ডায়লগ দিলো..আমারে নাকি অনেক ভদ্র মনে হয়…যাই হোক…মাসরুফ ভাই,ব্যাপারটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করব..কাউকে না বলার চেষ্টাও করব.. 😀 😀

একে একে দেখা হল জুনায়েদ ভাই,কামরুল ভাই,রবিন ভাই,তানভীর ভাইর সাথে।তাইফুর ভাইরে অবশ্য নাম বলতে হয়নি..দেখেই চিনেছিলেন…আসল ব্যাপারটা বুঝলাম পরে..যখন উনি জুবায়েকেও চিনে ফেললেন..যে কিনা ব্লগপ্রোফাইলে কোনদিনও নিজের ছবি দ্যয়নি!!! :bash:

রবিন ভাই ও তানভীর ভাইরে আমাদের কলেজের বলে চিনতে কোন অসুবিধা হয়নি…যদিও দুজনেই মারাত্মক হ্যান্ডসাম হইয়া গেসেন..ভাবতেসি কোনদিন যদি প্রেম করি তাইলে যেমনেই হোক কয়েকদিন জিপিতে চাকরি করুম..অন্তত হ্যান্ডসাম হওয়ার জন্য… :gulli:

ওয়ান এন্ড ওনলি কামরুল ভাই তো আসেনই..তার কথা আর কি বলব..একটা ছড়াই বলি…
কামরুল ভাই নাম
নাটক বানানো কাম
একদিন জানি হবে বিখ্যাত ব্যাক্তি
যত বড় হোক হবে
সিসিবির সাথে রবে
এই হলো তার সাথে আমাদের চুক্তি

জুনায়েদ ভাইরে বাদ রাখি ক্যামনে…

জুনা ভাইর কমেন্টে
গড়াগড়ি মাষ্ট
কমেন্ট মুভিতে সে
হলিউড কাষ্ট

তারপর কাইয়ুম ভাই…

কাইয়ুম ভাই নাম
এক্স ফৌজিয়ান
সিসিবির সাথে যার
সদাই আত্মা-প্রান

জিহাদের সাথে দেখা হল…ওই তোর এই ছোটখাট শরীরে এত গুন ক্যামনে ধরে রে??
এই ব্লগ বেচে আছে
জিহাদের রক্তে
এই ব্লগ ভরে আছে
জিহাদের ভক্তে
বলার ভাষাই নাই,
এই ছেলে এত বস
তার লেখা জোস ব্লগে
থাকে অতি খাটি রস

হাসের ছানারে দেখলাম..বেচারা সেই সাভার থেকে টি এস সি ঘুইরা আছে…. ;;; মুহাম্মদের সাথেও বুক মিলাইলাম..দোস্ত অধিক ফলন্ত গাছ যে নুয়ে পড়ে তুই দেখি তার চলমান উদাহরন!বিনয়ের ডিব্বা পুরা…আর দেখা হল কার সাথে কন তো?কার সাথে আবার..রায়হানআবীরের সাথে…দোস্ত তোরে অনেক অনেক থ্যাংক্স অনেক কারনেই…
ইউসুফ ভাই ভাইরেও দেখলাম জুনিয়র স্কোয়াডে আইসা সমানে আড্ডা দিতেসেন… :clap: :clap:

সবচেয়ে যার জন্য আমদের আজকের এই মিলন…স্যাম ও আংকেল..

স্যাম,সানা ভাইর কাছে তোর অবস্থা শুনলাম…তুই শক্ত আছিস জেনে খুব খুব আশ্বস্ত হলাম…দোস্ত..কোনদিনও ভুলেও সাহস হারাবি না…আমরা আছি কি
করতে..যখন যেভাবে যা চাস…তোর এই ভাইরা তোর জন্য সবসময় প্রস্তুত….সমসময় আংকেলের রুহের মাগরেফাত কামনা করি..আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করুক…

আমার এই পরিবারের সবাই সবসময় খুব খুব ভালো থাকুক…কারন এদের একজনের অসুখ মানেই আমার অসুখ…আমাদের সবার অসুখ…একজনের
কষ্ট..আমদের সবার কষ্ট…

স্যালুট টু ক্যাডেটস…হ্যাটস অফ টু সিসিবি….

৯,৮৮৪ বার দেখা হয়েছে

৯০ টি মন্তব্য : “যে পরিবারের বন্ধনকে কোনদিন সংজ্ঞায়িত করা যাবেনা”

  1. আসলেই যে আমরা একটা পরিবার আজকে সন্ধ্যায় আবারও নতুন কইরা বুঝলাম, তবে বন্যর সাথে আমার দেখা হয়নাই। এত মুখ কারে রাইখা কারে দেখি, কার সাথে কথা কই, চেনা-অচেনা শত শত মুখ...আমার মনটাই ভইরা গেসে।

    জবাব দিন
  2. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    বুঝতেছি না কি মন্তব্য করবো। এ কয়দিনের প্রেক্ষিতে একেবারেই অন্যরকম একটা সুরে লিখা।

    আমার খুব ভালো লেগেছে। মনের আড়ষ্টতা কাটাতে সাহায্য করবে।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  3. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    দোস্ত অনেক ধন্যবাদ ব্লগটা দেয়ার জন্য। আসার পরই কিছু লেখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু মাথায় কিছু আসছে না। কেবলই মোমবাতির সামনে কালো পর্দার লেখাটা চোখের সামনে ভাসছে:

    নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো, যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো

    এটারই প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজন ছিল আমাদের অন্তরের এই ভাবনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার, শহীদদের মাঝেও.... এই পুরো আয়োজনের জন্য লাভলু ভাইকে :salute:

    পরিশেষে:

    দোস্ত অধিক ফলন্ত গাছ যে নুয়ে পড়ে তুই দেখি তার চলমান উদাহরন!

    কইছে তোরে! আমি মুডেও ফলন্ত না। আর যদিও বা কিছুটা হয়ে থাকি (সবাই-ই তো কিছুটা ফলন্ত হইছে), সেটার কারণে নুয়া পড়ি নাই। আমি জন্মের পর থেইকাই এইরকম নুয়ানো আছিলাম। 😀

    জবাব দিন
  4. বন্য (৯৯-০৫)
    নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো, যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো

    এটারই প্রয়োজন ছিল

    সত্যিরে..এখন এটারই সবচে বেশি দরকার.

    এই পুরো আয়োজনের জন্য লাভলু ভাইকে :salute:

    দিতে থাকলে শেষ হবেনা বলেই দেইনাই..

    জবাব দিন
  5. তাইফুর (৯২-৯৮)

    বণ্য ... আবার তোরে সামনে পায়া নেই ... আমারে সর্বসমক্ষে 'দুই নম্বর' প্রমান করার অপচেষ্টার জন্য ... x-(
    (আমি আসলেই তোরে প্রথমেই চিনছি ... মনে কইরা দেখ ... তুই কওয়ার আগেই তোর নামও কইছি ... জুবায়েররে চেনা চেনা লাগতেছিল ... তাই মিস্টেক হয়া গ্যাছে)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  6. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আজ ক্যাডেট কলেজের সিস্টেমকে আবার স্যালুট দিতে চাই...এক্কেবারে চেক মাইরা স্যালুট...উঠবে পা লাগবে বুকে টাইপ...কিন্তু সেই ইমো তো নাই...তাই আপাতত পাসপোর্ট সাইজ স্যালুট দিয়া কাম চালাইলাম... :salute:

    এত শোকের মাঝেও বুকের বুকের কষ্ট বুকে চেপে রেখে আজ আমরা কত্তজন একখানে হলাম...বুকের মধ্যে জ্বলা ধিকিধিক আগুনটা কাউরে টের পাইতে দেই নাই...এই মানসিক জোর আমরা কলেজের কারণেই পেয়েছি...

    আর বন্য'র কথা কি কমু?? অনেকদিন ধইরাই এই আইটেমরে দেখনের ইচ্ছা ছিল...আজ হইল...তয় এইভাবে হোক আমরা কেউই চাই নাই... :no:

    আপাতত ওর সাথে দেখা হবার কাহিনীটা বলি- আমরা মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম পিছনের দিকে (ওয়ান্স এ ব্যাক বেঞ্চার অলওয়েজ...), ভাবটা এমন সবাই দিক, এরপর ধীরে সুস্থে... 😀
    হঠাৎ করে হাতের জ্বলন্ত মোমবাতি নিভে গেল, আমি তো অবাক কাহিনী কি??? এরপর টের পাইলাম একটা বাতাস আইছে...আর বাতাসে কটু পংটা গন্ধ...সামনে দাঁড়াইল এক পোলা...আমি তো আবার ভীষণ চালাক B-) !! সাথে সাথে বুইঝ্যা ফেললাম- এইটা নিশ্চয়ই বন্য!!! 😛


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  7. আলম (৯৭--০৩)

    তোমারে অনেকদিন ব্লগে দেখিনাই, ভাল ছিলা তো?

    অনেকদিন পর সিসিবিতে এসে একটু হাসলাম। থ্যাংকু, বন্য।

    দারুন একটা আয়োজন হয়েছিল শুনেছি। আফসোস হচ্ছে, থাকতে না পেরে। তবে দেশের বাইরে থেকেও সেই সময়টায় কিন্তু আমরাও "আগুনের পরশমনি প্রাণে' জ্বালাইসিলাম।

    জবাব দিন
      • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

        সবাইকে ভীষণ ভীষণ রকম ভালোবাসা। দেড়শ থেকে দুশো হাজির হয়েছিল। অনেক সিনিয়ররাও এসেছিলেন। ভাবী-বাচ্চারাও। আর এমজিসিসি'রও ছিল মনে হয়। চিনি না তো কাউরে। আমাদের ২১তম ব্যাচের বেশ কয়েকজন : শাহাদাত, মামুন, জিয়াউল, মাহমুদ, ফয়সাল, আশরাফ এসেছিল। ওদের কাইকে আমি বলিনি। মেইল পেয়ে আর পোস্ট পড়ে এসেছেন অনেকে। বিশেষ করে এফসিসির বেশ কয়েকজন সিনিয়র। পৌণে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ছিলাম আমরা। কমব্যাট পোশাকে তৌফিক এসেছিল। কোন ক্যাডেট কলেজ যে বললো? ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের সেক্রেটারি জেনারেলও এসেছিল।

        কেউ একজন আজকের কর্মসূচি নিয়ে পোস্ট দাও। ছবিসহ। আমি অবশ্য প্রথম আলোর আলোকচিত্রীর মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি পেয়েছি। আজ হয়তো পারবো না। কাল পোস্ট করার চেষ্টা করবো। ভালো থেকো সবাই।

        দুঃখ প্রকাশ : আমার ডিজাইনারের ভুলে ব্যানারে লেখা হয়েছে "ক্যাডেট কলেজ ক্লাব ব্লগ"। ডিজাইনের চূড়ান্তরা দেখে দিইনি বলে আমি এই ভুলের জন্য দুঃখিত।


        "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

        জবাব দিন
  8. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    সানা ভাই আইসা আমার বাপের লগে মামদোবাজি করতে গেলে উল্টা আমার বাপ তাঁরে হ্যান্ডসডাউন করায় পুশাপ কন্টিনিউ করায় দেবে 'টিল দ্য লাইটস অফ বেল'... সো, এইসব রিস্কি জিনিস আয়োজন করতে যাইও না; ঘাপলা আছে!!!!!!!!!

    জবাব দিন
  9. সাইফ (৯৪-০০)
    এমন এক পবিবার যে পরিবারের সদস্যদের বন্ধনকে কোনদিন সংজ্ঞায়িত করা যাবেনা…এমন এক পরিবার যে পরিবারের সদস্যদের হৃদপিন্ড সত্যি সত্যি একটা সুতা দিয়ে বাধা..একটু দুরে যাওয়ার চেষ্টা করলেই যে সুতায় টান পড়ে বুকটা কষ্ট পায়

    জবাব দিন
    • সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)
      মনের জমাট ভাবটা কাটতে তোর এই পোস্ট টা অনেক সাহায্য করবে ।

      :thumbup: :thumbup: :thumbup:
      (কতদিন পরে সিসিবিতে ইমো দিলাম!)


      "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
      আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

      জবাব দিন
      • আদনান (১৯৯৪-২০০০)

        আমার না আর ইমো দিতে ইচ্ছা করে না । কত পোস্ট পড়ি কিন্তু কমেন্ট করতে পারিনা । বন্য ডেফিনিটলি আমাকে অনেকদিন পরে হসিয়েছে, এরপর দেখা হইলে তোরে ভালমতো পাংগাইতে হবে । :grr:

        জবাব দিন
        • বন্য (৯৯-০৫)

          আদনান ভাই ও সাকেব ভাই, অনেক ধন্যবাদ...

          আসলে আমার যেটা মনে হয়েছে, সবাই এই মন খারাপ ভাব দুর করে যা হয়েছে তার দ্রুত বিচারে মনোযোগ দিয়ে অন্তত মৃত আত্মাগুলোকে শান্তি দেওয়া...

          আমরা শোকে আহত হতে চাইনা...আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করতে চাই...

          এই বাংলায় এইরকম অনেক ঘটনারই কোন বিচার হয়নি...কয়েকদিন মাতামাতি করে আবার সেই চিরায়ত বাঙ্গালী আলস্যে সব ঢাকা পড়ে গিয়েছে..
          এইবারও যদি সেইরকম হয় তাহলে আমার ভাইয়ের আত্মা আমাকে ক্ষমা করবে না...আমার বিবেক আমাকে দোষী করে রাখবে..
          বাংলাদেশকে বিষমুক্ত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই...আর সেটা শুরু হোক এথান থেকে...ওই পশুগুলোর বিচার দ্বারা...

          জবাব দিন
  10. রকিব (০১-০৭)

    আমিও মোম্বাতি জালিয়েছি, অনেকক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম। সত্যি কথা বলতে, আমি এখনো সহজ হয়ে উঠতে পারিনি। গত'কদিন ক্লাসমেটদের সাথে অযথাই ঝগড়া করেছি।
    ফুয়াদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ। খানিকটা হলেও মন খারাপ লাঘব করে দিয়েছেন আপনি। নেন, আপনার :teacup:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  11. তানভীর (৯৪-০০)

    এই সময়ের একটা ভিন্ন পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ ফুয়াদ। আশা করি মনের গুমোট ভাবটা আরেকটু কাটবে এতে।
    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে চাই।

    রবিন ভাই ও তানভীর ভাইরে আমাদের কলেজের বলে চিনতে কোন অসুবিধা হয়নি…যদিও দুজনেই মারাত্মক হ্যান্ডসাম হইয়া গেসেন

    B-) B-) নাহ! এই পোলাটাকে তো খাওয়ায়ে দিতে হয়! কি বলিস রবিন? 😀 😀

    জবাব দিন
  12. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ইসসসস, কি মিসটাই না করলাম... আমি তখন পিলখানার ভিতরে...সারাদিনের সার্চ শেষে উদ্ধার করা জিনিষগুলো হস্তান্তর করছি, প্রতি মুহুর্তে মনে হচ্ছিল বেরিয়ে আসি কিন্তু সম্ভব হয়নি।খুবই খারাপ লাগছিল পুরো সন্ধাটা...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  13. বন্য (৯৯-০৫)

    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব...
    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব...
    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব...
    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব...

    .......

    জবাব দিন
  14. জুবায়ের (১৯৯৯-২০০৫)

    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব…
    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব…
    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব…
    আমরা আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করব…

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।