“You enter it by the Ancient way
Through Ivory Gate and Golden”
১.
অদ্ভুত একটা কমপ্লেক্সিটি…অনেকগুলো গলিপথ-ঘুপচি…যার শেষ সমুদ্রে…এগুলো নদী না নিশ্চিত…নদী হলে নৌকা থাকতো…মাছ থাকতো…পাড়ঘেষে বাড়ি থাকতো…বাড়িতে মানুষ থাকতো…মানুষের সংসার থাকতো…এখানে কেবল বৈরাগ্য!
২.
যে রাবারের বনের কথা বলা হয়েছে পুরোনো গল্পে,সেখানে এখন এয়ারফিল্ড হয়ে গেছে,যার রানওয়ে ঘিরে আলোর স্ফটিক,সোডিয়াম আলোর পরিবর্তে সাদা ফ্লাডলাইট।যার কন্ট্রোলরুমে বসে ইউনিফর্ম পড়া রমনীরা মৃদুভাষ্যে বলে যাচ্ছে দুঃসময়ের সঙ্কেত।আমি সারারাত বসে বসে এসব উড়োজাহাজের উঠানামা দেখি।সাথে থাকে ঘূর্ণায়মান লাল নীলের উঠানামা।ফরসা এয়ার হোস্টেসদের বিদায়ী হাতনাড়া এখানে অনুপস্থিত।
৩.
দুর্বোধ্য শব্দবন্ধে ঘটনা প্রবাহ কিংবা রোজনামচাকে কোড করা-ডিকোড করাই যদি সাহিত্য হতো তবে অভিধান নিয়ে বসলেই সাহিত্যিক হয়ে যাওয়া যেত।মাঝে মাঝে এগুলো সময় কাটানোর খোরাকও।খারাপ সময়কে ভুলে থাকার জন্য,নিজের জন্য স্মৃতি জমিয়ে রাখার জন্য অথবা অন্যচোখে বিশ্লেষনের জন্য হলেও এর উপযোগিতা আছে।যে দিনগুলোতে স্বাধীনতা ছিলো না,তখন আমার খুব ইচ্ছে ছিলো বন্দরের কাছে গিয়ে ছেড়ে যাওয়া জাহাজের সাইরেন শুনবো,জাহাজের ছেড়ে যাওয়া দেখবো।যাওয়া হয় নি কোনদিন……ইচ্ছে করেই ইচ্ছেগুলোকে জমিয়ে রেখেছি,বেকার সময় এলে এগুলো পূরন করবো।
৪.
ক্লাস সেভেনের একটা উপন্যাস ভুলতে পারি না! দুইজন কিশোর একটা নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।দক্ষিনে যেতে থাকে।নৌকাতেই সবকিছু,রান্না-ঘুম।সারাদিন নৌকা ভাসে…রাত হলে কূলে গিয়ে নৌকা ভিড়ায়…পরদিন ভোরে আবার অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা…যেতেই থাকে…যেতেই থাকে…আর সব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা!
এর সাথে যোগ হয়েছিলো টম সয়্যার-হাকলবেরি ফিনেরা।কৈশোর পার হয়ে গেছি,এখনও ইচ্ছে করে অবসর পেলে বের হয়ে যাবো। ব্রহ্মপুত্র থেকে শুরু হবে…মেঘনা বেয়ে বেয়ে সমুদ্র পর্যন্ত পৌছাবো।
৫.
চন্দিলার একটা গান আছে-
“শৈশবে ভালো লাগে ক্যারাম ডাঙ্গুলী
কৈশোর চেপে ধরে সুনীল গাঙ্গুলী
সুচিত্রা কেঁদে মরে উত্তম হেসে যায়-
আর প্রেম রসে ডুবুডুবু সুতোনুটি ভেসে যায়”
আমাদের যারা ঘড়ির লাইট দিয়ে বিছানার চাদরের নিচে বই পড়ার অভ্যাস ছিলো কৈশোরে তাদের জানার কথা সুনীলের মাদকতা! ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত “স্বপ্ন-লজ্জাহীন/আত্মপ্রকাশ/হঠাৎ দেখা” ইত্যাদি বইয়ের সবগুলো নাটকীয়তা সত্যি করার স্বপ্ন দেখতাম।কিশোর উপন্যাসগুলো তখন তেমন টানেনি,কেননা সেসব সহজলভ্য ছিলো সেসময়। তখন ছিলো আঠারোত্তীর্ণ ভালোবাসাবাসি নাটকীয়তার টান।আর এখন ইচ্ছে করে কৈশোরের ফ্যান্টাসীগুলো।
৬.
এইজন্যই বলি অদ্ভুত কমপ্লেক্সিটি……যতই বয়স বাড়বে ততই কিশোর হতে চাইবো।বারবার চাইবো,অবসরে চাইবো আর এই রকম দুঃখগ্রস্থ হলে চাইবো। অপরাজিত উপন্যাসে শেষে অপু যেমন বলে “অন্য কিছু চাই নে, এ গাঁয়ের বনঝোপ, নদী, মাঠ, বাঁশবনের ছায়ায় অবোধ, উদ্গ্রীব, স্বপ্নময় আমার সেই যে দশ বৎসর বয়সের শৈশবটি – তাকে আর একটি বার ফিরিয়ে দেবে দেবী?”আমার ছোটভাই ক্যাডেট কলেজ ভর্তির জন্য ভাইভা দিয়ে এসেছে।আমারও ইচ্ছে করে ১০ বছর আগে ফিরে যেতে।
[১ মার্চ,রাঙামাটি]
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বহুদিন পর আগমন 🙂
আমারও 🙁 🙁
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
এতদিন কোথায় ছিলেন?
রাঙামাটিতে ভাইয়া...এডমিনেরা গত ছয় মাস ধরে ষড়যন্ত্র করে ঢুকতে দিচ্ছিলো না ব্লগে
🙁
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
স্মৃতিকাতর হয়ে যাচ্ছি :dreamy:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
তোর টম সয়্যার-হাকলবেরি ফিনেরা আমার Into the wild এর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। দুটো তেই ঘর পালানোর একটা হাতছানি। আমাদের ফ্যান্টাসি মিলে গেছে। হয়ে যাবে নাকি একদিন ? 😛
দেশে আয় আগে......
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
ভাল লাগলো :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷