জীবনের জার্নাল – ৫

যেদিন আমার ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হবার কথা, ঠিক তার আগের দিন আমার এলো গা ফাটা জ্বর, সাথে প্রচন্ড মাথাব্যথা আর বমি। এর একদিন আগে ভরদুপুরে প্রচন্ড রোদে খেলতে নেমেছিলাম। ঘরে ফিরে গায়ের ঘাম না শুকোতেই তরিঘরি করে গোসল করেছি, এটাই জ্বরের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার এবং আমাকে দোষারোপ করার চেষ্টা চলছিলো। কারণ যাই হোক, আমি চাচ্ছিলাম মাথাব্যথাটা অন্ততঃ দ্রুত কমে যাক, জ্বর থাকলেও থাকুক।

বিস্তারিত»

১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৭ (ফকক)

২৮ বছর অনেক সময়, কিন্তু মনে হচ্ছে এইতো সেদিন। প্রায় ১২ বছর বয়সী একদল কিশোরের যাত্রা শুরু ক্যাডেট কলেজ জীবনের। দিনটা ছিল ১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৭ আজ থেকে ঠিক ২৮ বছর আগের একদিন। আমিও ছিলাম তাদের একজন। আমার মেঝ ভাই আমার প্রায় ৬ বছর বড়। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ আমাদের চট্টগ্রামের বাসা থেকে ৭ মাইলের মত দুরে। ১৯৮১ সালে আব্বা বললেন, ভাইয়াকে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াবেন।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৪

ভেবেছিলাম, এখান থেকেই চলে যাবো আমার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার কাহিনীতে। কিন্তু না, আমাদের ক্লাসের আরেকজন ছাত্রের ব্যাপারে কিছুই না বলে চলে যাওয়াতে মন কিছুতেই সায় দিচ্ছিল না। আর সেটা আরও প্রবল হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ‘জীবনের জার্নাল – ২’ পড়ে করা এক পাঠকের মন্তব্যে। কি করে যে সে বুঝতে পারলো আমার মনের কথাটা কে জানে। সে লিখেছে, “আপনাদের ক্লাসের সবচেয়ে অবহেলিত ছেলেটির কথা জানতে চাই।“

আমিও তার কথাটা একটু বলতে চেয়েছিলাম।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩

এর কিছুদিন পর আমার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা আব্বা সেই পূরণকৃ্ত ফরমটার উপর আঠা দিয়ে সেঁটে দিয়ে ফরমটা আমাকে পড়তে দিলেন। তখনই প্রথম ক্যাডেট কলেজ কথাটার সাথে পরিচিত হ’লাম। আগে ক্যাডেট কলেজ সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা ছিল না. পূরণকৃ্ত ভর্তি ফরমটা পড়ে বুঝলাম, এটা আমার স্কুলের চেয়েও উন্নত মানের কোন প্রতিষ্ঠান হবে। তবে উন্নত নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা ভেবে পুলকিত হবার চেয়ে আমার ভালো লাগার পুরনো স্কুলটিকে ছেড়ে যাবার বেদনাই আমাকে বেশী আচ্ছন্ন করে রাখলো।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২

তখন সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলের প্রদ্গান শিক্ষক ছিলেন জনাব বজলে কাদের। বেশভূষায় তিনি অত্যন্ত পরিপাটি ছিলেন। দূর থেকে দেখা, তাই এর চেয়ে বেশী আর কিছু মনে নেই, তবে এটুকু বুঝতাম যে স্কুলে এবং স্কুলের বাইরেও তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। খুবই রাশভারী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। এয়াকুব আলী চৌধুরী স্যার বাংলা পড়াতেন, হোম ওয়ার্ক এর ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস ছিলেন। পরে শুনেছি তিনি খিলগাঁও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

ঝিঁঝিঁ মারার সম্ভাব্য ফলাফল

ঝিঁঝিঁ বাঙ্গালদের পাঁড় ভক্ত এই অধম। বিশেষজ্ঞও বটেন। বিশেষ অজ্ঞতার উপর ভর করিয়াই গ্রেগরী বাবার বর্ষপঞ্জীর ২০১৫ অব্দে মাদিবার দেশ হইতে বঙ্গদেশে আগত স্প্রিংবকদের সহিত ঝিঁঝিঁ মারামারির ফলাফল অনুমিত। যাহা নিম্নরুপ-

মারদাঙ্গা অর্থাৎ টি টুয়েন্টি সিরিজ

ব্যাঘ্র ১- স্প্রিংবক ১

সারাবেলা অর্থাৎ এক দিবসীয় আর্ন্তজাতিক ম্যাচের সিরিজ

ব্যাঘ্র ১- স্প্রিংবক ২

সবুরে মেওয়া অর্থাৎ টেষ্ট সিরিজ

ব্যাঘ্র ০- স্প্রিংবক ০

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনন্ত সমস্যায় থুড়ি বর্ষা এবং … কারণে উল্লেখিত ফলাফলের হেরফের ঘটিতে পারে।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল

জীবনের জার্নাল

প্রায় একষট্টি বছর আগে কোন এক শীতের বিকেলে অগ্রহায়নের শেষ দিনে, রোববারে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনীতে আমার জন্ম হয়। এমনিতেই ছোট দিন, তখন দিনেরও প্রায় শেষ, একটু আগেই আসরের নামাজীরা মাসজিদ থেকে ঘরে ফিরে গেছে। ক্লান্ত সূর্য্টা দিগন্তে রক্তিমাভা ছড়িয়ে অস্ত যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, পাখিরা ঘরে ফেরার। এমনি এক সময়ে আমি দিনের শেষ আলোটুকু ধরার জন্যই যেন পৃ্থিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ হ’লাম।

বিস্তারিত»

শেষের থেকে শুরুঃ এই আমি

There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx (Preface to the French Edition of Das Capital, 1872).

সিসিবিতে আজ আমার নিজের কথা বলবো, আকাশ ছুঁয়ে ফেলার যে স্বপ্নটা দেখা শুরু করেছিলাম ১৯৯৬-এর দিকে, সেই স্বপ্নের কথা।

সিসিআর থেকে পাস-আউটের পর আর সব ক্যাডেটের মতোই হঠাৎ করে পাওয়া স্বাধীনতার মাঝে খাবি খেতে থাকলেও মনের মধ্যে জন্মানো সমাজ পাঠের আকাঙ্ক্ষাটি কখনো হারিয়ে যায়নি।

বিস্তারিত»

অটোবায়োগ্রাফি অফ এ স্লেভ

“এক তারা পাইতে আর পাঁচ তারা দিতে ব্যাপক আনন্দ”- রাজীব আহমেদ
আমার নিজের লেখা কবিতার মধ্যে দাসের আত্মকথা খুব প্রিয়। একটা ঘোরের মধ্যে থেকে লিখেছিলাম। কিন্তু এটা লিখে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। রেটিং এর কথা বাদই দিলাম। সিসিবিতে অনেক কিছুই হচ্ছে কিন্তু রেটিং ফিরে আসছে না।যাই হোক, সাহস করে সেটি ইংরেজীতে অনুবাদ করে অল পোয়েট্রিতে দিলাম। অনুবাদ মান সম্পন্ন না হলেও রেটিং পয়েন্ট ৩।

বিস্তারিত»

এ ট্রিবিউট আফটার দ্যা ফাদার্স ডে

এ ট্রিবিউট আফটার দ্যা ফাদার্স ডে

সোলায়মান চাচাকে আমি দীর্ঘদিন থেকে চিনতাম। লাবু ক্লাস সেভেন এবং এইটে, ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯-এ, রংপুর ক্যাডেট কলেজের ওমর ফারুক হাউজের ৩১২ নম্বর রুমে আমার রুমমেট ছিল। আশ্চর্যজনক কো-ইন্সিডেন্স হলো আমার বাবা এবং লাবুর বাবা তাদের টিন-এইজে ঠাকুরগাঁ হাইস্কুলে রুমমেট ছিলেন। বাবার মুখে শুনেছি সোলায়মান চাচা খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। লাবুও ভাল ফুটবলার। ১৯৯৩ সালে ‘ইন্টার ক্যাডেট কলেজ ফুটবল মিট’-এ লাবুর ফুটবলের চমৎকারিত্ব কখনো ভোলার নয়।

বিস্তারিত»

প্রথম দিন

১। নোঙ্গর তোলা

উনিশ শো আটাত্তরের জুন, বাংলা তেরোশো পঁচাশি সনের আষাঢ় মাস। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সবে সাত বছরের কিশোর তখন। মৌসুমী হাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের জলভরা মেঘ এসে বাংলার সবুজ প্রান্তরের উপরে ফেলেছে প্রগাঢ় ছায়া। দুরন্ত ছেলের মত থেকে থেকে মাটির বুকে আছড়ে পড়ে ঝমাঝম বৃষ্টি। আবার ক্ষনিকের বিরতিতে সূর্য তার রাজ্যপাট দেখে যায়। এই মেঘবৃষ্টি রৌদ্রছায়ার খেলায় বিভোর যখন চরাচর, আমি এবং আমার মতো আরো জনা পঞ্চাশেক কিশোরের জীবনে এক আশ্চর্য্য ভ্রমনের শুরু ঠিক অখন।

বিস্তারিত»

বৃষ্টিভেজা আবেগ

বৃষ্টিতে ভেজায় আমার কখনোই রোমান্টিকতার কোন আবেগ ছিল না। কিংবা আনমনে বৃষ্টি দেখতে দেখতে উদাস হয়ে যাওয়ার সুযোগও খুব কম পেয়েছি। যা পেয়েছি তা হল স্টাফের বাশির আওয়াজ। বৃষ্টিভেজা কোন একদিনে একটা ফুটবল নিয়ে পনের বিশ জন কাদা মাখামাখি করতে করতে স্টাফের বাশির আওয়াজ নয়ত সদ্য নামা মুষল ধারে বৃষ্টিতে ভিজতে নামা মাত্রই ওই দূর থেকে নোট খাতা হাতে সাইকেল নিয়ে তেড়ে আসা স্টাফের হুংকার।

বিস্তারিত»

ওহ, মুস্তাফিজ? ও তো আমার…

(প্রথমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আকারে দিয়েছি, প্রথম পাতায় আগে থেকেই দু’টি ব্লগ ছিল বলে এখানে দিতে দেরি হল!!)

বাংলাদেশ থেকে কলকাতা, নির্বাচক বা কোচ, সাংবাদিক বা আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধব…গত কয়েকদিনে যে যেভাবে পারছে মুস্তাফিজের সাথে নিজের নাম জুড়ে দেবার চেষ্টা করছে। এমন ভাব যে তার কারণেই মুস্তাফিজ আজ এই অবস্থানে এসেছে!!
আজব আমাদের জ্যুস খাওয়া মেন্টালিটি!

এবার আসল কথা বলি!
২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর ও শ্যামনগরে আমার বাবার পোস্টিং ছিল!

বিস্তারিত»

বাস্তব আমি বনাম ভার্চুয়াল আমি!

বাস্তব জীবনে আমি প্রচণ্ড অসামাজিক। আত্মীয়তা বা সামাজিকতা রক্ষার ধারে-কাছেও যাই না আমি। আমার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের অন্যতম অভিযোগ আমি ফোন করি না কেন!

অসামাজিক হবার পাশাপাশি আমি মোটামুটি রগচটা, একগুঁয়েও আছি। হঠাৎ করে রেগে উঠি এবং খুব দ্রত বন্ধুদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমার বন্ধুর সংখ্যাও অনেক কম, ক্যাডেট কলেজের বন্ধুরা ছাড়া ভার্সিটির গুটিগুতকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। চাকুরি জীবনেও বন্ধু বেড়েছে খুব কম।

বিস্তারিত»

অঙ্ক

রংপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে ০৩৩০-০৪০০’টায় ঢাকার পথে রওনা দিলে পৌঁছুতে পৌঁছুতে রাত ‘সাড়ে এগারো’টা’ বাজে।
সিলেট থেকে ঢাকার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে ০৩৩০-০৪০০’টায় ঢাকার পথে রওনা দিলে পৌঁছুতে পৌঁছুতে রাত ‘এগারো’টা’ বাজে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে ০৩৩০-০৪০০’টায় ঢাকার পথে রওনা দিলে পৌঁছুতে পৌঁছুতে রাত ‘বারো’টা’

বিস্তারিত»