আমাদের কোরবানী হয়তো কবুল হতো

আমাদের কোরবানি বোধ হয় কবুল হতো। শৈশবের কোরবানি। আমাদের বাড়িতে ছিলো বারোটি ঘর। বারো ঘরের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিলো বারো রকম। কেউ চারটা গরু কোরবানি দিতো, আবার কেউ কোরবানি দিতে পারতো না অর্থাভাবে। গ্রামের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত মুসলিম বাড়ি। ঐতিহ্য ধরে রাখার খাতিরে অনেকেই ধার দেনা করে একটা গরু কোরবানী দিতো। কেউ কেউ ভাগে। দুই পরিবার মিলে একটা বা কখনো তিন চার ঘর।

বাড়ির অদূরেই ছিলো গরুর হাট।

বিস্তারিত»

দুঃসংবাদের জন্য দৈনিক পত্রিকা, সুসংবাদের জন্য ফেসবুক


উপরের শিরোনামটি লেখার পর একবার ফেসবুকে ঢুঁ মারলাম। প্রথম খবরটিই ছিল একটি দুঃসংবাদ। জিহাদের বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের জিহাদ। এই ব্লগের একজন মুখ্য কারিগর। কত বয়স জিহাদের? ত্রিশের আশপাশ কিছু হবে। সত্তর বছর বয়সে যার মা মারা যান তিনিও দুঃখ পান। অবশ্য বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীদের সন্তানদের কী অবস্থা তা হয়তো জানি না। সে খবর আপাতত না জানলেও চলবে। জিহাদ এখন কী ভাবছে?

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৩

আমাদের ক্লাসের প্রথম এক্সট্রা ড্রিলঃ
এমসিসিতে আমাদের প্রথম বছরের প্রথম টার্মের কথা। নজরুল হাউসের পেছনে ছিলো প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারী স্যারের বাসা। রাতের বেলায় নজরুল হাউসের রুমে লাইট জ্বালানো থাকলে কে কি করছে তা তিনি নিজ গৃহ থেকে বেশ দেখতে পেতেন। একদিন লাইটস আউটের আগে নজরুল হাউসের আমার তিন সতীর্থের খুব হাউস চাপলো বক্সিং বক্সিং খেলার। যথারীতি খেলা শুরু হলো। রুম ক্যাপ্টেন মনে হয় ঐ সময় বাথরুমে ছিলেন।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১২

এমসিসিতে রোজাঃ
এমসিসিতে প্রথম রোজাটা পেয়েছিলাম মাঘের শীতে। যেদিন আকাশে প্রথম রোজার বাঁকা চাঁদটি ওঠার কথা, আমরা সবাই সেদিন হাউসের ছাদে উঠেছিলাম তাকে স্বাগত জানাতে, আর আশ্বস্ত হতে। কিন্তু আমরা তার দেখা পাইনি। পরে রাতে খবরে শুনেছিলাম রাওয়ালপিন্ডির কোথাও চাঁদ দেখা গেছে, তাই পরদিন থেকে রোজা শুরু, অর্থাৎ ঐ রাতেরই শেষরাত থেকে সেহেরী খেতে হবে। কলেজে যাবার আগেও বাসায় রোযার মাসে রোযা রাখতাম, তবে তখনো সম্ভবতঃ পুরো মাসব্যাপী রোযা রাখা হয়নি।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১১

প্রথম “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”। নামটা সবার জন্য “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন” হলেও, আসলে প্রিন্সিপাল, ভাইস-প্রিন্সিপাল আর এডজুট্যান্ট, এই তিনজন মিলে ভাগাভাগি করে তিন হাউসে ইন্সপেকশনে যেতেন। শুক্রবারে কলেজে এসে রোববারেই এই কঠোর “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”এর সম্মুখীন হলাম এমসিসির কোলে আসা আমরা এই ৫৬ জন সদ্যজাত শিশু। অনেকের অনেক রকম পরামর্শ শুনে মাঝে মাঝে আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। একদিক দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম যে কাপড় চোপড়, জুতো স্যান্ডেল, বই পত্র সবই নতুন।

বিস্তারিত»

কিজন্য আমি “বন্ধুবৃত্ত” নাটকের সাথে সংশ্লিষ্টতা পরিত্যাগ করেছি

আসসালামু আলাইকুম। আমাকে বোধহয় কমবেশি অনেকেই চেনেন। আমি সালেহ তিয়াস নামেই বেশি পরিচিত, এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করছি।

গত বছর আমি এবং আমার দুই বন্ধু মিলে একটা টিভি নাটক বের করি। এই নাটকে আমার ভূমিকা ছিল অতি নগন্য, কাহিনীর কিছু অংশ লিখেছি, স্ক্রিপ্টের কিছু অংশ লিখেছি, এবং নিরুপায় হয়ে এক অংশে অভিনয়ও করতে হয়েছে। এই নাটকে আমাদের পুরো ব্যাচ থেকে অনেকে অভিনয় করেছিল।

বিস্তারিত»

নতুন ঠিকানা


গত বছর সামারে ঘুরতে গেছি ইউসেমিটি ন্যাশনাল পার্কে। পাহাড়, বনানী, ঝর্ণা, নীলাভ লেক আর গ্ল্যাসিয়ারের চাপে পাথুরে মাটি দিয়ে শিল্পীর এক অপূর্ব ভাস্কর্য। তো একদিন যাচ্ছিলাম বগা লেকের (পড়তে হবে তেনাইয়া লেক) পাশ দিয়ে। মে মাসেও সেই লেকের উপরিভাগ বরফ জমে স্থির-শীতল। ভাবলাম যাই কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখি বরফের ঘনত্ব কতখানি। পরিবারসহ, মানে স্বামী আর আণ্ডাবাচ্চা, লেকের পাশে গাড়ি থামিয়ে একটু জলকেলির ভাব নিলাম।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১০

আগে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, আমাদের ভাইভা আর মেডিকেল টেস্ট শেষ হবার পর পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের পোষাক আশাকের মাপযোখ নেবার জন্য কলেজ থেকেই এক টেইলর মাস্টারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি বেশ মনযোগ দিয়ে আমাদের শরীরের মাপযোখ নিচ্ছিলেন আর তা রেজিস্টারে লিখে রাখছিলেন আমাদের পোষাক তৈ্রীর জন্য। তখন আমাদেরই মধ্যকার একজন, হ্যাংলা পাতলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমাধারী ছোটখাট ধরণের কাজী ইকবাল হোসেন (১৮৮), খুব ফুরফুরে মেজাজে ফড়িং এর মত এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আর অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

ধানসিঁড়িটির তীরে


সিসিবি আসলে আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে – এখানে আমি ঢুঁ মারি। চেনাজানা মানুষদের দেখে ভাল লাগে। সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ি। কেউ আমাকে বলেনি, তারপরও নিজের কাছেই এক ধরণের দায়বদ্ধতা বোধ করি। মনে হয় গত এক বছর ধরে কিছু লিখি না। কেন লিখি না তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। আমার জীবন সরলরৈখিক নয়। এখানে অনেক আকঁ-বাঁক আছে। তাই কখনো কোথাও থামতে হয়, কখনো দৌড়াতে –

বিস্তারিত»

ক্যাডেট রোমিও

ক্যাডেট কলেজে পড়ার প্রেক্ষিতে আমাদের অধিকাংশ ক্যাডেটের কোনদিন কোন কিশোরীকে নিয়ে ফ্যান্টাসি করার সুযোগ হয়নি। আমরা নাইট প্রেপ শেষে দৌড়ে টিভি রুমে এম টিউনসে নায়িকাদের নাচ দেখতে যেতাম, লাঞ্চের পর পেপারের বিনোদন পেজের ছবি কেটে নিয়ে স্ক্র্যাপবুকে লাগাতাম, কলেজে কোন ইয়াং ম্যাডাম আসলে তার ক্লাসে প্রথম সারীতে বসার জন্য সিরিয়াল দিতাম। আমাদের ফ্যান্টাসি ছিল এইটুকুই। আর তিন নম্বর গ্রাউন্ডে ফুটবল খেলার সময় পাশের রাস্তা দিয়ে কোন বালিকা একক কিংবা দলগতভাবে হেঁটে গেলে আমাদের পায়ে মেসি রোনালদোর জাদু ভর করত।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৯

10933813_10152545555877623_7983992424556605231_n
My Alma Mater, MCC, etched permanently in my heart. The foundation of my education was laid in this building by capable scholars and leaders. This is the front view of the main Academic Building of the then Momenshahi Cadet College, now known as Mirzapur Cadet College.
(Photo credit: Mahbub Shaheed Bhai, Cadet No. 3)

যতই রিক্সা এগোচ্ছিলো, ততই আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিলো।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৮

সাত জুলাই সাতষট্টি, দিনটি ছিলো শুক্রবার, বাংলা ক্যালেন্ডার মোতাবেক ২৩শে আষাঢ়। তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিলো রোববারে, শুক্রবার ছিলো অর্ধদিবস, জুম্মার নামাযের জন্য বেলা ১২টায় অফিস আদালত ছুটি হয়ে যেতো। আমাকে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে রেখে আসার জন্য আব্বা ঐ দিনটা ছুটি নিয়েছিলেন। সকাল থেকেই আমর মনটা খুব খারাপ ছিলো। কলেজে যাবার দিন যতই ঘনিয়ে আসছিলো, বাসার সবাই আমার সাথে ততই সদয় আচরণ করা শুরু করেছিলো।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৭

কাজের ছেলেভাইভার পর মেডিকেল টেস্টকে নিছক আনুষ্ঠানিকতা বই অন্য কিছু মনে হয়নি আমার, যদিও সেখানেও প্রায় ২০/২৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন কারণে বাদ পড়েছিলো। শেষ বৈতরণীটি পার হবার পর থেকে মনটা বেশ ফুরফুরে থাকতো। আমারও, বাড়ীর আর সবারও। চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়েছি, এটা জানার পর আর স্কুলে যাবার তাগিদ অনুভব করতাম না, বাড়ী থেকেও তেমন কোন চাপ ছিলোনা। এই প্রথম জীবন প্রণালীর শক্ত বুনটে কেমন যেন এক ঢিলে ঢালা ভাব অনুভব করতে শুরু করলাম।

বিস্তারিত»

ফেসবুকামি

ফেসবুকামি

২৮.০৭.২০১৫

আলহামদুলিল্লাহ। দেড় ঘন্টায় ডাউনলোড হল ১৬ মেগাবাইট, আপলোড ৪ মেগাবাইট। বাঁধ ভাঙ্গা টেলিটক থ্রিজি। সংশ্লিষ্ট সকলকে অনাগত চতুর্থ প্রজন্মের মোবারকবাদ জানাই।

হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে অথচ আমার পকেট টাকায় ভরা ।— making a mess.

Teletalk 3G

২৫.০৭.২০১৫

হাশিম আমলা অত্যন্ত ভাল মানুষ। আল্লা মেঘ দে পানি দে বলে তিনি কেঁদে কেটে আকুল হয়েছিলেন তারই ফলে এত বৃষ্টি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মুখরক্ষা হল।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৬

11698536_10205575584401790_8303979122021782112_n
(Mr. M W Pitt, the first Principal of Momenshahi Cadet College – আমার জীবনে দেখা প্রথম ইংরেজ, যার সামনাসামনি বসে জীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। তাঁর হাসিমুখ আমার কিশোর মনে সেদিন স্থায়ীভাবে খচিত হয়ে গিয়েছিলো, সে স্মৃতি আজও সমুজ্জ্বল, আপন আলোকে দীপ্যমান। ফটো ক্রেডিটঃ মাহবুব শহীদ ভাই, ক্যাডেট নং ৩)

দু’দিন বিশ্রাম নেয়ার পর ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করলাম।

বিস্তারিত»