এক গেলাস জল গড়িয়ে খেতে হয় নাই দেশে অথচ এখানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই নিজেকে করতে হয়। বাজার সরকার থেকে শোফার, রাঁধুনি থেকে কবি অথবা জেনেটর বলতে সবই আমি এই জগত সংসারে!
বড়দিনের ছুটি কাটাতে বড় আপার ফ্যামিলি আসবে আমাদের আটলান্টার বাড়ী তাই মা মেয়ের আনন্দ আর ধরে না। তারা আর আমি বসে বসে খাবারের মেন্যু বানাই। বড় আপা আমার তিন বছরের বড় হলেও আমার প্রতি তার আচার আচরণ আমার মায়ের চাইতে কোন অংশেই কম নয়। আটলান্টায় এসেও ও খবরদারীতে লেগে যায়। নিজেরাই দেশী গ্রোসারীতে গিয়ে আমাদের জন্য সব কেনাকাটা করে আনবে, নিজেরাই রাঁধবে, ডিশ ওয়াশ করবে তো চা বানিয়ে খাওয়াবে! আমি অবশ্য এসব কিছুর বিনিময়ে আপার পেডিকিউর করে দেই, লোশন মেখে দেই পিঠে আর হাতে অথবা দরবারী কানাড়া বাজিয়ে আপাকে ঘুম পাড়িয়ে দেই। তারা ওর চুল স্ট্রেইট করে দেয় তো কাজল পরিয়ে দেয় চোখে। আপাতত আমার দায়িত্ব কেবল এয়ারপোর্টে সাজগোজ করে ওদের লাল গোলাপ হাতে রিসিভ করে এনে কষ্টে সৃষ্টে একটা লাঞ্চ খাওয়ানো! এমন অতিথি তো নারায়ণের অধিক!
অনেক ভাবনা চিন্তার পর অবশেষে মেন্যু ঠিক হলো। এপেটাইজারে টার্কির মম, আর মুর্গির ললিপপ। আর মূল খাবারে লেবু পাতায় মোড়ানো মাহি মাহি স্টেক, পাকা আমের সালসা, আর গরুর মিটবল নিরভানা। আয়োজন সামান্য বটে কিন্তু উদ্দীপনার অন্ত নাই। কেউ চাইলে টল এন্ড স্লেন্ডার সুপার সেক্সি বাসমতী চালের সাদা ভাতও খেতে পারে হারিয়ালি ডাল সহযোগে।
মাহি মাহি মাছের স্টেক লেবুর রস, গোল মরিচ,, রসুন বাটা, আর লেবুর খোসায়/পাতায় মাখিয়ে রেখেছিলাম কয়েক ঘণ্টা। ওভেনে তিনশো পঁচিশে আধা ঘন্টা বেক করতেই পুরো বাড়ী মৌ মৌ করতে লাগলো সুগন্ধে। তারা ওপরতলা থেকে নেমে এসেই খেতে চাইলো মাছ। কাটা চামচে একটু মুখে দিয়েই আমেরিকানদের মত চোখ গোল গোল করে বলল, গড মাস্ট হ্যাভ মেইড ইট! নো হিউম্যান বিয়িং কুড এভার ডু দিস, মা!!
কন্যা আমার যাবতীয় প্রেরণার উৎস। ওর কোন উপায় নেই বলেই হয়তো আমার খাদ্য অখাদ্য সবই ও সোনামুখ করে খায়। তাই বলে ‘গড মাস্ট হ্যাভ মেইড ইট? এক জীবনে আর কী চাই?? দেশে মাকে ফোন করে উদ্ভাসিত হয়ে তারার কমপ্লিমেন্টসের কথা বলি। বড় আপারা তখনো টরন্টোতে। তারা কথা বলছে আপার সাথে। আপা কেবল বলল, তোমরা কি মানুষ পেলে না রাঁধতে, মাগো? খোদা কে ডাকলে এই সামান্য কাজে? সবাই মিলে হাসাহাসি করি এই নিয়ে। কেবল ইউরোপে আমার বান্ধবী শবনমকে খানিক চিন্তিত মনে হয়! ও আমার দীর্ঘদিনের রুমমেট ছিল কলেজে, আমাকে নিয়ে ভাববার যথেষ্ট কারণ ওর আছে।
বাড়ী ফিরে খাবার টেবিলে মহা হুল্লোড় এরপর। তারা সুগন্ধি আপেল-সিনামন ক্যান্ডেল জ্বেলে দিয়েছে আগেই। স্ট্রবেরী, কিউই, আর ক্ল্যামেন্টাইনে একটা মজাদার পাঞ্চ বানিয়েছিলাম। সেটা মহা হিট! অমিত দেখি এরই মাঝে কাঁচা লংকার খোঁজ করছে কিচেনে। ভাইয়ার খুব পছন্দ হলো আমের সালসা আর হারিয়ালি ডাল। বড় আপা জানতে চাইলো ফ্রিজে লেবু আছে কিনা। তারা কেবল গোটা দুই স্টেক সাবাড় করে দিল সালসার সাথে।
দু’দিন পর কিচেনে ব্যাপক আয়োজন চলছে রান্নার। আপা কানাডা থেকে আমাদের জন্য লইট্টা, ছুরি, আর এনচোভির শুঁটকি এনেছে সাথে। তারা শুঁটকি মাছ খায় নাই কখনোই, তাই ওর জন্যই আজকের বিশেষ লাঞ্চ। লইট্টা আর ছুরি শুঁটকির ভুনা হবে, অন্যদিকে আলু আর বেগুনে মাখামাখা এনচোভি! সাথে থাকছে চিংড়ি মাছের ভর্তা আর মুর্গির ঝোল। নাকে গন্ধ লাগছে বলে অমিত আর তারা ওপরতলায় দরোজা এঁটে মুভি দেখছে। জিপিএস হাতে ভাইয়া চলে গেল লাইব্রেরীর দিকে।
আমি আর আপা বাংলাদেশে স্কাইপে মাকে নিয়ে রান্না করছি। আমার কাজ বলতে ঠিকে ঝিয়ের মত এটা এগিয়ে দেয়া তো ওটা সরিয়ে রাখা। আপাই করছে সব। আইডাহো আলু কাটতে কাটতে আপা জানতে চায়, মাহি মাহি স্টেক গুলো ফেলে দিয়েছি কিনা।
: ফেলবো কেনো বলো, আপা! ফ্রিজে ফয়েল পেপারে মুড়ে রাখা আছে, তোমরা তো পছন্দ করলে না! আমি মিনমিন করে বলি।
: ওগুলো আজ বের কর, দেখি ‘মানুষ’ করতে পারি কিনা মাহি মাহি! আপা বলে।
তারপর নিজেই কলের গরম পানিতে মাছ ধুয়ে আচ্ছাসে হলুদ মরিচ মাখিয়ে কড়কড়ে করে ভাজে আমার সাধের মাহি মাহি। অতিথি নারায়ণ বলে কথা, আমি চুপ করে দেখি কেবল। সবশেষে মরিচ ভেজে পেঁয়াজ আর ধনে পাতায় গারনিশ করে আপা।
খাবার টেবিলে আজ সবাই খুব উত্তেজিত দেখি। তারা আজ প্রথম শুঁটকি মাছ খাবে। আপা সবার পাতে খাবার তুলে দেয় একে একে। সাদা ভাতের সাথে কড়কড়ে মাহি মাহি ভাজা। তারা একটু মুখে দিয়েই বলে, ফ্রাইড স্যামনটা অনেক মজা হয়েছে, সুইট মা!
Chole jay boshonter din.....
🙂 🙂 🙂 🙂
চলে যায় বসন্তের দিন ঠিকই কিন্তু সুরভী থেকে যায় মনে, জানো! আমরা এখনো গডের স্টেক নিয়ে হাসাহাসি করি! 😛
নিখুঁতভাবে লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। :boss: :boss: :boss:
🙂 🙂 🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ, লুবনা! তোর উৎসাহেই আমার এইসব আবোল তাবোল লেখা! 🙂
দেশে আসলে আপনার খবর আছে আপা। দেখবেন খাবারের লোভে আপনার বাসায় গিয়ে বসে আছি প্রতিদিনই।
বরাবরের মতই লেখা :thumbup:
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
🙂 🙂 🙂 🙂
তোমার নেমন্তন্ন রইল আমাদের বাড়ী, সজীব! দেশে গিয়ে হাতের কাছে বহু কিছু খুঁজে পাই না আমি। আটলান্টায় এসো মাস্টার্স করতে। নাক ডুবিয়ে খাওয়াবো তোমায়। আমি খেতে বা খাওয়াতে দুটোই এঞ্জয় করি।
অনেক ধন্যবাদ, পড়বার জন্য! 🙂
এত খুশি কোথায় রাখি?? 😀 😀
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
গত সাত দিন ধরে হাসপাতালের দেয়া নামমাত্র তেল মশলা দেয়া রোগীর পথ্য খাচ্ছি, তাও প্রায় একই মেন্যু প্রতিদিন। এর মাঝে আপনার এই লেখা, পড়তে গিয়েও যেন নাকে সুগন্ধ পেলাম। দুনিয়া আসলেই নিষ্ঠুর 🙁
পা ফ্রাকচারের আগের উইকেন্ডে রূপচাঁদা রেধেছিলাম, একেবারে মন্দ হয়নি, তবে বউ, শ্বাশুড়ি আর শ্যালকের উচ্ছোসিত প্রশংসার সাথে তারার গড মাস্ট হ্যাভ মেইড ইট এর মিল খুজে পাচ্ছি এখন, তবে খুশির বিষয় হচ্ছে খাবার পরে ফ্রিজে খুব একটা ঢোকেনি আর কেউ মানুষ বানাতেও চায় নি 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂 🙂 🙂
আমার একটা তেতো করলার গল্পও আছে আকাশ, জানো! আজ এট লিস্ট অই তেতো করলার গল্পটা দেবার দরকার ছিল তোমার জন্য! তাহলে অন্তত হাসপাতালের খাবারে স্বাদ খুঁজে পেতে।
অফ টপিকঃ আমি কিন্তু খুব ভালো রাঁধুনি! রান্নায় মা-খালাদের প্রভাবটা একটু কম যদিও কিন্তু খানেওলারা প্রশংসা করেন খুব। প্রশংসা করবার কারণ অবশ্য একটাই আছে আমি জানি। নইলে যে পরের বার আর খাবার জুটবে না পাতে।
নারকোল দুধে রূপচাঁদার চমৎকার একটা থাই প্রেপ আমি করি, আকাশ! থাইরা খাবারে খুব নারকোল ব্যাবহার করে। রূপচাঁদা ছাড়াও তেলাপিয়া, বাসা, হ্যালিবাট এমনকি রুই মাছের স্টেক দিয়েও এটা করা যেতে পারে। শ্বশুরবাড়ীতে আদর বাড়াতে এরকম কিছু একটা করতে পারো নেক্সট টাইম! 🙂 🙂
রেসিপি দিয়েন আপু, রান্না জিনিষটা আমি খুব এঞ্জয় করি, খেতে ভাল হলে সেটা উপরি পাওনা 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😀
খুবই আনফেয়ার আপা। খিদা তো লাগায়ে দিলেন, ঢোক গেলা ছাড়া তো আর উপায় নাই।
খাবারের বর্ণনাটা সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে-বিদেশের আর সমারসেট মমের লেডি গেস্টের ম্যাশ-আপ হইছে।
🙂 🙂 🙂 🙂
সেদ্ধ বিন খেতে খেতে এই স্টেকের কাহিনী লিখছিলাম, তৌফিক! আজ সারাদিন ঘাস আর লতাপাতা খেয়ে কাটালাম। কি আর করা! বেড়িয়ে যাও আমাদের বাড়ী। খাওয়াবো গডের স্টেক! সত্যি মজা, জানো!
সৈয়দ মুজতবা আলী আর সমার সেটের উল্লেখে খানিক লাজুকলতা হয়ে আছি যদিও। অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য।
আপা কি আটলান্টা থাকেন ? 🙂 আমি এই মুহুর্তে আটলান্টা আছি। জর্জিয়া টেকে এক ফ্রেন্ড এর ওখানে। স্প্রিং ব্রেক উপলক্ষ্যে ঘুরতে আসা আরকি !
লেখা ভালো লাগলো। কিছুটা উসকানি মূলক। ক্ষুধা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ 😀
সেই সাথে বেড়ে গেল আপনার হাতের রান্না খাওয়ার প্রবল ইচ্ছে। 😛 😛 হা হা ! লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম ! 😀
🙂 🙂 🙂 🙂
লজ্জা শরমের কিছু নেই, নাফিস! উইকেন্ডে এমোরিতে বেড়াতে এসো। 🙂
🙂 🙂 🙂 🙂
ওয়েলকাম টু আটলান্টা, নাফিস! আশা করি আটলান্টার রোদ ঝলমল দিন এঞ্জয় করছো। আমাদের স্প্রিং ব্রেক আসতে দেরী আছে এখনো। স্টোন মাউন্টেনে হাইক করতে যাবার এইতো সময়। গেছো ওদিকে?
আমার নাম্বারে যোগাযোগ করো। ৪০৪-৯৩৪-০৭০৩
ভাগ্যিস ভরাপেটে পড়েছিলাম লিখাটা নাইলে আজ তোমার সাথে ঘোর শত্রুতা হয়ে যেতো।
এইসব সুস্বাদু খাবারের বর্ননা দেয়ার আগে ভবিষ্যতে ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখবে -
জমজমাট লিখা............
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
বিদেশের মাটিতে আমরা কিন্তু ভাবি, মজাদার সব খাবার আপনারা খেয়ে নিচ্ছেন একাই! 😛
আমাদের এখানে সবই মেলে, জানেন! বাইসনের লেজ থেকে গরুর ভুড়ি অথবা জ্যান্ত ব্যাঙ। অন্যদিকে ইলিশ থেকে ফ্লাউন্ডার অথবা হাঙ্গর!! কিন্তু আমার দেশের মতো মজাদার খাবার জগতের আর কোথাও নাই।
পারভেজ এর মন্তব্যটা খুব উপভোগ করলাম। বিশেষ করে "ডিসক্লেইমার" এর কথাটা।
পারভেজ ভাই,
খাবারের কথা পড়তে পড়তে স্ক্রিনে কামড় দ্যান ঠিকাছে। প্রেমের কবিতা পড়তে পড়তে স্ক্রিনে চুমু দিয়েন না যেন আবার!
:))
ময়মনসিংহের রাঁধুনি বলে কথা....
বেস্ট ইন বাংলাদেশ :thumbup:
ঠিক বলেছেন, মিস্টার মুরাদ! আমরা মুমিসিং এর লুক! অনেক ধন্যবাদ, পড়বার জন্য
🙂 🙂
আমার ক্যানো জানি টার্কি ভালো লাগে না।
আমেরিকায় অনেকটা কালচারের অংশ বটে।
ফল মুটামুটি রিজিক থেকে উঠে গেছে। কদাচিৎ রুবিকনের ম্যাংগো বা ট্রপিকানা র অরেঞ্জ জুস খাই।
শুটকি খারাপ লাগে না। তবে পাগল নই। আর বউ শুটকি খায় না বলে কেনাও হয় না। তবে লবণ ইলিশের কথা মনে হলেই মন ক্যামন ক্যামন করে।
স্যামন ভালো লাগে।
তাজা ইলিশের মনোঃকষ্ট টা স্যামন মিটিয়েছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙂 🙂 🙂 🙂
ঠিক বলেছেন, মিস্টার মুরাদ! আমরা মুমিসিং এর লুক! অনেক ধন্যবাদ, পড়বার জন্য! 🙂
🙂 🙂 🙂 🙂
আমেরিকানদের মতো করে টার্কি খেতে আমারও ভাল লাগেনা। নুন আর গোল মরিচে ওরা কি করে অতো বড় একটা পাখী বেইক করে ফেলে তাই ভাবি! আমি তো মাঝেমাঝে টার্কি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রেজালা অব্দি বানিয়ে ফেলি।। অল্প আঁচে ভুনা করে সব শেষে কাঁচা লংকা দিয়ে দমে রেখে দিলে চমৎকার একটা খুশবু আসে, জানো! সাদা পোলাও এর সাথে খেতে মন্দ লাগে না।
নোনা ইলিশের খুব চল আমাদের ময়মনসিংহে, রাজীব। খেতেও ভীষণই মজা। এখানে খাইনি যদিও কখনোই। স্যামনের মুড়োঘন্ট ট্রাই করেছো কখনো তুমি? না করে থাকলে একটা ট্রাই দিতে পারো। মিট টেন্ডেরাইজারে রসূন থেতো করে দিও অনেকগুলো। সবশেষে খানিক ধনে পাতা আর কাঁচা লংকা! আমি জানি, সবাই চেটেপুটে খাবে!
স্যামন এর মুড়িঘন্ট বা মুড়োঘন্ট খাওয়া হয়েছে। রুই এর চাইতে তফাৎ এইটাই যে পুরো টাই চেটেপুটে খাওয়া যায়। (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙂 🙂 🙂 🙂
ছোটবেলায় খাবারের ডিশে মাছের চোখ দেখতে পেলেই বলতাম, দেখো দেখো, কেমন করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে!
মুড়োঘন্ট খেতে গেলে আমার গলায় কাঁটা কুটো ফুটে একাকার হতো, জানো! মাছের মুড়ো খেতে শিখেছি এখানে এসে। স্যামনের সব আমার পছন্দ। কাটাকুটো কম তাই দেশী কায়দায় ভুনা, চচ্চরি, স্যামন কাবাব অথবা ভর্তাও সমান মজাদার। আমেরিকানদের মতো স্মোকড অথবা গ্রিল্ড স্যামন তো সত্যি ইয়ামী।
Madam Sabina, when your daughter exclaimed with happiness, that the food you cooked must have been made by The Almighty Himself, it makes you a Goddess of sorts to the rest of us mortal souls. I can almost taste the food from your descriptions! World famous chef, Wolfgang Puck said, "Cooking is like painting or writing a song. Just as there are only so many notes or colors, there are only so many flavors - it's how you combine them that sets you apart.”
Being a (real)bengali from West Bengal, I have never tasted “Shutki Maach” myself, but I have heard “stories” of it’s terrible smell and amazing taste. But then again, what do we from West Bengal know about cooking (good) bengali foods? We leave that to our bengali brothers from Bangladesh.
I believe cooking is like love. It should be entered into with abandon or not at all.
Atlanta, Georgia, USA
🙂 🙂 🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ পাপ্পু, সময় নিয়ে পড়বার জন্য!
আমার কাছে খাবার মানেই হলো ভালবাসা! আমি কাউকে ভালবাসবো অথচ রেঁধে খাওয়াবো না, এটা হতেই পারে না!
আমাদের এলাকায় শুঁটকি খুব খায় লোকে। যদিও আমার রান্না শুঁটকি খুব একটা সুবিধের হয় না!
খুব উপভোগ করলাম মন্তব্যটা, বিশেষ করে Wolfgang Puck এর সুন্দর কথাগুলো।
আয়োজন সামান্য বটে?? :brick:
আপা ইদানিং কি হয়েছে জানেন? পছন্দের খাবারগুলো মা ধীরে সুস্থেই খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি ভাবছি স্বার্থপরের মত। আমি ভাবছি খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে আমার স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে দেশ আসার পরে। চাইলেই নিজের ইচ্ছে মত কিছু খেতে কিংবা না খেতে পারছি না। 😕 😕 পোস্টটা পড়ার পরে এই ভাবনা গুলো আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
🙂 🙂 🙂 🙂
আমি ঠিক উল্টোটা ভাবছি, মোকা! মা তো অনেকই খাওয়ালেন তোমায়, এবার যদি অন্তত সপ্তাহান্তে তুমি মাকে রেঁধে খাওয়াও কেমন হয়, বলোতো?
জাস্ট আ থট! আমার কাছে দেশ মানেই মায়ের হাতের খাবার! এঞ্জয় করো টু দা ফুলেস্ট!
প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি রান্না করে খাওয়াতে পারি সেটা তার বিশ্বাস হয় না। রাজি হওয়া তো প্রশ্নই আসে না। অথচ নিজে রান্না করা শিখিয়েছে! 😕 মন্দের ভাল হিসেবে বলেছে বাড়ি গেলে আমি একা থাকলে রান্নার দায়িত্ব আমার ঘাড়ে রেখে যাবে। সেদিনের প্রতিক্ষায়। :dreamy:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
🙂 🙂 🙂 🙂
ফ্যামিলি মেমবার দের মাঝে মানসিক যোগাযোগ টাই সুইট। খুব সুনদর লেখা আপু :clap:
🙂 🙂 🙂 🙂
সবার একটা মা থাকে। আমার তো জানিস চারটে মা। বড় আপা, ছোট আপা, আমার ভেরী ওন মামনি আর আমার কন্যারত্নটিও মা বটে! সবাই আমাকে ঠেসে ঠেসে খাওয়ায়। গেল বছর দেশে গিয়ে খুব রান্নাবান্না করে খাইয়েছি মাকে, জানিস!
অনেক ধন্যবাদ, পড়বার জন্য! 🙂
অসময়ে খিদা লাগায় দিলা ... বসছিলাম খেলা দেখতে। এখন মনে হচ্ছে একটু শুটকি রান্না করি।
কি চমৎকার লিখ তুমি সাবিনা ... ভিজুয়্যালি দেখতে পাচ্ছিলাম :thumbup: :thumbup:
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
🙂 🙂 🙂 🙂
শুঁটকির উপ্রে কথা নাইগো, দাদা!
আমার বাড়ীতে নেমন্তন্ন রইল আপনার। সত্যি বলছি, চলে আসুন! সবাই মিলে শুঁটকি পার্টি করি।
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য!
আপনার লেখা হাতও চমৎকার। একটা দুটো লেখা পড়েই কিন্তু আমি আপনার মহা ফ্যান হয়ে গেছি। 😀
:thumbup: :thumbup: চলে আসব যে কোন দিন। ( সুটকেস নাই বলে আম্রিকা যাওয়া হচ্ছে না 😀 😀 )
তোমার বাড়ি কি ময়মনসিং নাকি ???
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
🙂 🙂 🙂 🙂
লোটা কম্বল ছাড়াই চলে আসুন, দাদা! আমি স্যুটকেস কিনে দেবানে!
জী, দাদা! আমরার বাড়ি মুমিসিং!! 😀 😀
😀 😀 😀 কাচারী রোড আমার দাদু বাড়ি ... শৈশবের একটা চমৎকার সময় কেটেছে মুমিসিংকে ঘিরে
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
আমার দাদুর বাড়ী মুক্তাগাছায় আর আমাদের বাড়ী শহরে, দাদা! 🙂 🙂
গ্রামের বাড়ী যাবার পথে বরাবর মন্ডার দোকানে থেমে মন্ডা নিতেন বাবা! তারপর গাদাখানেক মন্ডা প্যাক করে বাড়ীর দিকে যাত্রা করতাম। ময়মনসিংহের অন্যান্য মিষ্টির খ্যাতিও জগতজুড়ে! 🙂 🙂
মালাইকারী, চমচম, রসমালাই আর ছানার পোলাউ... আহ! এই ঝুম বৃষ্টির বিকেলে এসব ডেলিকেসি কোথায় যে পাই! 🙁
জব্বর 😀
জিভে জল এলো
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
🙂 🙂
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য!
যেমন চমৎকার লেখার ফ্লো, তেমন অসাধারণ সব রেসিপিগুলো। আর বেশ কয়েকটা মন্তব্যও। সুখপাঠ্য ও উপভোগ্য, সবকিছু মিলেই।
বছর দেড়েক আগে আটলান্টা বেড়াতে গিয়েছিলাম। এসব গুণাবলীর কথা আগে জানলে হয়তো ঠিকানা খুঁজতে বেড়িয়ে পড়তাম।
🙂 🙂 🙂 🙂
আপনাদের পরের ট্রিপে ঠিকানা খুঁজতে হবে না, ভাইয়া! আমিই এয়ারপোর্ট থেকে আপনাদের নিয়ে আসবো আমাদের বাড়ি! কবে আসবেন খালি জানাবেন শুধু!
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য!
থ্যাঙ্কস! 🙂
সুস্বাদু লেখা, জিভে জল চলে এল। একটা জরুরী কাজ করছিলাম। বুঝতে পারছি না, কাজটা করে কিছু খেতে যাব, নাকি খেয়ে এসে কাজটা নিয়ে বসব!
🙂 🙂 🙂 🙂
খেয়ে এসে কাজ করাটাই উত্তম, আহাম্মদ! কিছু খেতে মন চাইলে তা খাওয়া না পর্যন্ত আমি আবার কোন কাজকম্মও করতে পারি না!
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য!