আজ সিনেমার বড়দিন-২

ক্ষুধা ,দারিদ্র্য, শ্রেণী বিভেদ বেচে থাকার সংগ্রাম এই ব্যাপারগুলো পৃথিবীর বুকে এত বেশি বিরাজমান যে আমাদের কাছে সাধারণ ঘটনার মত মনে হয়।আজকের এই যন্ত্র দানবের যন্ত্রনাকাতর পৃথিবীতে মানুষের মধ্যকার সুকুমার গুণাবলি যখন বিলুপ্তপ্রায়, সম্পর্কের টানা পোড়নের এক কঠিন সংকটের মধ্যে যখন ব্যক্তিজীবন, রাষ্ট্রজীবন তথা গোটা বিশ্ব অস্থির উন্মাদনায় উন্মত্ত তখন বিবেকের সচেতন বোধশক্তি আর ভালবাসার আবেদন মানুষের কাছে অমূলক। একটা সিংহ কখনও আরেকটা সিংহকে বধ করে না,একটা বাঘ অন্য বাঘের মুখের খাবার কেড়ে নেয়না, আর নিলেও সেটা ধর্ত্যব্যের মধ্যে পড়ে না। মানুষ ভালবাসা শব্দটিকে নিয়ে কত অহঙ্কার করে, অথচ মানব সভ্যতার ইতিহাস হত্যালীলায় ক্লেদাক্ত। সাম্রাজ্যবাদ আর আধিপত্যের মোহকে কেন্দ্র করে জগতজুড়ে যে বর্বরতা চলছে তাতে মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলতে কারও মনে দ্বিধা বা লজ্জা হয় কিনা আমি জানি না ,তবে মানুষ মাত্রই অপরাধবোধে লীন হয়ে যাওয়া উচিত। তবে মাঝে মাঝেই কেন জানি মনে হয় সেদিন বোধ হয় বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষ দেখতে অন্য জন্তুরা চিড়িয়াখানায় যাবে।

যাই হউক, আজকে এমন একজন ফিল্মমেকারের ছবি নিয়ে আপনাদের বলবো, যিনি উপরে বর্ণীত বাস্তবাতাকে ঝেরে ফেলে দিয়ে সেলুলয়েডের ফিতায় সমাজের তুচ্ছ ব্যাপারগুলোর মধ্যে ফুটিয়ে তুলছেন ভালবাসার এক নন্দিত শাশ্বত ছবি। ইরানের পরিচালক মাজিদ মাজিদি। তেহরানে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৫৯ সালে মাজিদির জন্ম। ১২ বছর ব্য়স থেকেই অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৭৮ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পরে ছবি নির্মাণে আগ্রহি হয়ে পড়েন। আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে আলোচিত পুরস্কার এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ড না পেলেও আন্তর্জাতিক অংগনে ৩২টি পুরস্কার জিতেছেন বিভিন্ন সময়ে তার বিভিন্ন সৃস্টির জন্য। তবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মানটি দেন চীন সরকার। গত অলিম্পিক এর আগে তাকে ডেকে নেয়া হয় দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ-২০০৮এর প্রচার প্রসারে সহায়ক একটি ডকুমেণ্টরি বানানোর জন্য। আজকে আমি আমার কাছে ভাল লাগা একটি ছবির কথা বলব।
children of heavenmajid majidi

Children Of Heaven ( ইরানী নাম Bacheha-Ye aseman) ছবিটির কাহিনির সূত্রপাত হয় একজোড়া জুতা হারানোকে কেন্দ্র করে।বাচ্চা ছেলে আলি তার ছোট বোন জারার এক জোড়া জুতা নিয়ে যায় মেরামতের জন্য,কিন্তু ঘটনাক্রমে সে জুতা জোড়া হারিয়ে ফেলে। বাসায় ফিরে সে তার ছোট বোন জারাকে ঘটনাটি জানালে জারা কান্নাভারাক্রান্তভাবে বলে ………ভাইয়া আমি স্কুলে যাব কি পায়ে দিয়ে? এদিকে দরিদ্র বাবা পাঁচ মাস ধরে ঘর ভাড়া দিতে পারছে না, মা অসুস্থ। বাবার ভয়ে তারা কেউ ঘটনাটি বাবাকে জানায় না। দুই ভাই বোন মিলে সিদ্ধন্ত নেয় দুজনের স্কুল যেহেতু আলাদা আলাদা সময়ে তাই আলির জুতা দুজনে শেয়ার করে পড়বে ।কিন্তু আলির জুতা জারার পায়ে বড় হয় তাই প্রায় সময় খুলে পড়ে যায়।স্কুলের টাঈমিং এমন যে জারাকে দৌড়ে আসতে হয় ।গলির ভিতর দিয়ে দুই ভাই বোনের জুতা বদলের জন্য যে দৌড়া দৌড়ি দেখান হয় তাতে ভাই বোনের ভালবাসা আর বাবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার প্রতি সচেতন তা বোধের এক অনুপম চিত্র ফুটে উঠেছে। আলি তার বাবাকে কাজে সব সময় সহযোগিতা করে। আলির বাবা দরিদ্র। কিন্তু তার কাছে যখন মসজিদের চিনি রাখতে দেয়া হয় তা থেকে সে সামান্যটুকুও পরিবারের জন্য লুকিয়ে রেখে দেয় না,বা তা দিয় সুইট বানাতে বলে না। এইদিকে বাসার পাশের দোকানেও অনেক বকেয়া জমে যায়।আলিকে নিয় তার বাবা একদিন সাইকেলে করে শহরে যায় একটা বাসার বাগান পরিস্কার এর কাজে ,সেই বাসার গেইট আর বাইরের কারুকাজ দেখে তাদের দুজনেরি মাঝে অবাক বিস্ময় ফূটে উঠে ,পৃথিবিতে এত সুন্দর বাড়ি থাকতে পারে!তাদের চোখে মুখে যে বিস্ময় তাতে মাজিদি শ্রেণী বিভদের এক সুন্দর চিত্র ফুটিয়ে তুলেন।স্কুল থেকে দৌড়ে আসার পথে জারার পা থেকে ফস্কে একটা জুতা একদিন ড্রেন পড়ে যায়,ড্রেনের উপর লোহার খাচা থাকায় আর পানির স্রোত থাকায় ছোট্ট জারা অনেক চেষ্টায়ও জুতাটাকে উদ্ধার করতে পারে না,অই শিশু মুখে তখন এমন অদ্ভুত এক ভাবাবেগ ফূটে উঠে যা খুব কম চিত্র পরিচালকই করতে পেরেছেন।অবশেষে এক বৃদ্ধের সহায়তায় জারা জুতাটা হাতে পায়। এদিকে আলি উদ্বিগ্নভাবে স্কুলে দেরি হয়ে যাওয়ার শংকা নিয়ে জারার জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে। এর আগেও কয়েকবার আলি স্কুলে লেট হয়,কিন্তু টিচার তাকে সতর্ক করে দেয়,সেদিন আবার দেরি করায় প্রধান শিক্ষক বেত নিয়ে আসে, কিন্তু সেখানে শিক্ষক তাকে বেত দিয়ে মারে না। এই যে শিক্ষকের না মারা,বৃদ্ধের সাহায্যের হাত, জুতা হারিয়ে ফেলা সত্বেও বাবাকে জারার না বলা, দৌড়ে কত তাড়াতাড়ি আসা যায় ,কারন সেই জুতা পড়ে তার ভাই স্কুলে যাবে……সব মিলে ছবিটির সর্বত্র একটা ভালবাসার ছোয়া। স্কুলের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করায় শিক্ষক আলিকে খুব স্নেহ করে। ময়লা ভেজা আর পায়ের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বড় সাইজের জুতা পড়ে যাওয়ায় স্কুলের এসেম্বলিতে অন্য মেয়েরা ওর দিকে তাকিয়ে থাকে……কিন্তু জারার মনে এই নিয়ে কোন কষ্ট দেখা যায় না,কারন সে তার ভাইকে ,বাবাকে ভালবাসে………তার বাবা অনেক কষ্ট করে তাদের পরিবার চালায় ………নিরবভাবে চমৎকার প্রকাশভঙ্গির মাধ্যমে মাজিদি এই বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। এদিকে টিচার এসে একদিন ঘোষনা দেন বাচ্চাদের একটা দৌড় প্রতিযোগিতা হবে ।এতে প্রথম, দ্বিতীয় যারা হবে তাদের জন্য অনেক দারুন পুরষ্কার থাকবে। আর যে তৃতীয় হবে তার জন্য পুরস্কার হিসবে থাকবে একজোড়া সুন্দর কেডস। তৃতীয় পুরস্কার জুতা দেয়া হবে শুনেই আলির মনে সে পুরস্কারটী জেতার একটা আশ্চর্য সঙ্কল্পবোধ তৈরি হয়।জারাকে বলে সে পুরস্কারটা পেলে সে জারাকে দিয়ে দিবে। শেষ পর্যন্ত আলি পুরষ্কার জিততে পারে কিনা সেটা সিনেমাতেই না হয় দেখুন।

দৌড় প্রতিযোগিতার শেষ দৃশ্যটিতে মাজিদি ক্যামেরার যে সূক্ষ্ম কারুকাজ দেখিয়েছেন তা এক কথায় অভূতপূর্ব,অসাধারণ।

ছবিটির চিত্রনাট্য, সংলাপ, কাহিনী, পরিচালনা সব ই মাজিদির নিজের হাতে করা। সউন্ড,পিকচারাইজেশন, অভিনয় সব মিলিয়ে এক অসাধারণ ছবি।যারা ভিটতোরিয়ো ডি সিকা’র ‘বাইসাইকেল থিফ’ দেখছেন তারা মাজিদিকেও নিজের ভাললাগা পরিচালকের তালিকায় যোগ করে নিবেন, ছবিটি ১৯৯৯সালে বেস্ট ফরেইন ক্যাটাগরিতে অস্কারে নমিনেশন পেয়েছিল ১৯৯৭সালে AFI festival এ মাজিদি ‘গ্রান্ড জুরি এওয়ার্ড ‘জিতেন এই ছবির জন্য।

ব্যস্ততার দরুণ COLOR OF PARADISE……………RANG E KHODA ……… সম্প্ র্কে লিখতে পারলাম না।আরকেটি অনবদ্য সৃস্টি যা কিনা MONTREAL INTERNATIONAL FILM FESTIVAL AWRAD সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশের আন্ত র্জাতিক ফিল্ম festval এ ২৮টির মত পুরস্কার জিতে নেয়।এই ছবিটি২০০০সালে TIME MAGAZINE এর সেরা দশটা ছবির তালিকায় স্থান পায়,সেই সাথে একই বছরে CRITICS PICKS OF THE NEWYORK TIMES এও স্থান করে নেয়।তার BARAN,BAREFOOT TO HEART ছবি দুটোও দেখতে পারেন।

জীবন হউক স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর আর সিনামার চাইতেও রঙ্গিন……………………………………

তথ্য ও ছবি কৃতজ্ঞতাঃ উইকিপিডিয়া , IMDb

২,৩৮২ বার দেখা হয়েছে

১৯ টি মন্তব্য : “আজ সিনেমার বড়দিন-২”

  1. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    অথচ মানব সভ্যতার ইতিহাস হত্যালীলায় ক্লেদাক্ত।

    এরকম নিষ্ঠুর সত্যি কথা আর কিছু আছে কি? মানব সভ্যতার ইতিহাসে ভালোবাসার চাইতে বেশি আছে যুদ্ধের কথা, গড়ার চাইতে বেশি ভাঙ্গার কথা। মাঝে মাঝে নিজেকে বড় অসহায় লাগে।

    এই মুভিটা দেখা হয়নি। প্রথম সুযোগটা আর হাতছাড়া করব না।

    সাঈফ,
    তোমাকে ধন্যবাদ।

    @ মুরাদ,
    আচ্ছা, বিটিভি'তে কি এখনও মুভি অফ দ্যা উইক হয়? আমি এর মাধ্যমেই অনেক ভালো মুভি দেখার সুযোগ পেয়েছি। সেগুলো সব আমার অনবদ্য স্মৃতি হয়ে আছে।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  2. ১.
    মাজিদ মাজিদিকে প্রথম দিকে বলা হতো 'ইরানের স্পিলবার্গ'। এখন আর বলা হয় কিনা জানি না। আমার ধারনা বলার দরকার নেই। কারন কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাজিদি স্পিলবার্গকে ছাড়িয়ে গেছেন। একেবারে নন-এক্টর দু'জন ছেলে মেয়েকে দিয়ে children of heavenএ যে অভিনয় করিয়েছেন সেটা আমি অন্য কোন ছবিতে দেখিনি।
    ২.
    আমরা যারা বাংলাদেশে বসে দারুন দারুন সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখি আর মাঝে মাঝে সিনেমার টেকনলজিতে হলিউড/বলিউড থেকে ১০০/৫০ বছর পিছিয়ে আছি বলে নিজেদের গালাগালি করি তাদের জন্য ইরানী এই সিনেমাগুলি খুব ভালো শিক্ষা'র মতো।
    ৩.
    সিনেমার টেকনলজিতে আমরা যেখানে আছি ইরানও তার খুব কাছাকাছিই আছে। আর সামাজিক বিধি-নিষেধ বরং তাদের আমাদের চেয়ে বেশি। হিজাব যেখানে মেয়েদের জন্য আবশ্যিক, সেখানে সিনেমা বানানো অনেক কঠিন হবার কথা বলেই আমার ধারনা।
    অথচ সেই দেশেই আব্বাস কিয়ারুস্তমি, মাজিদ মাজিদি, মহসিন মখমলবাফ আর জাফর পানহাই এর মতো বিশ্বমানের পরিচালকরা ক্ল্যাসিক সব ছবি করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়,এসেছেন সামিরা মখমলবাফের (মহসিন মখমলবাফের মেয়ে, The Apple, At Five in the Afternoon, Two-Legged Horse ) মতো অসাধারন একজন ফিল্ম মেকার। তাবৎ দুনিয়ার সব বাঘা বাঘা ফিল্ম মেকারের সাথে পাল্লা দিয়ে যার ছবি 'কান চলচ্চিত্র উৎসবে' প্রশংসা কুড়িয়ে এনেছে।
    ৪.
    Children Of Heaven হয়তো মাজিদির সেরা ছবি কিন্তু তার বাকি ছবিগুলির কথা ভুলে গেলে চলবে না। Color of Paradise, Baran, father, the song of sparrows, The Willow Tree একের পর এক মাজিদি বিশ্বসিনেমাকে সমৃদ্ব করে গেছেন।
    ৪.
    অনেক বকবক করে ফেললাম। আসলে ফিল্ম মেকার হিসাবে নিজে ইরানী সিনেমা দ্বারা অনেক প্রভাবিত বলে লোভটা সামলাতে পারিনি।

    জবাব দিন
  3. সাইফ (৯৪-০০)

    কেম,তুই আব্বাস কিয়ারুস্তমির রিভিউ লেখ প্লিজ...।..।.........আমার বাংলা টাইপ করতে ক ষ্ট লাগে......... তাছাড়া সময়ও হয়না।হলিউড এর মুভির কথা সবার ই কম বেশি জানা অথবা দেখা....।।.।।......ফরেইন ক্যাটাগরিতে অফ ট্র্যাক মুভিগুলা সম্প র্কে অনেকেই হয়ত জানে না.।..।।..।...প্লিজ তুই লিখতে থাক..।..।............।

    জবাব দিন
  4. সাইফ তোমার রিভিউ পড়তে দারুন লাগে। মনে হয় ছবিটা দেখছি, ছবির আবেগ তোমার লেখায় ফুটে উঠে। দারুন ল্যাখো তুমি।

    কামরুল ওর মত লেখুক, তুমি তোমারটা বন্ধ করো না প্লিজ। আর ফোনোটিকে টাইপ কর, বেশি সময় লাগবে না সহজ হতে।

    জবাব দিন
  5. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    ১.প্রফেশনাল আর্টিস্টদের বাইরের লোক নিয়ে যে চলচ্চিত্রগুলি করা হয় এগুলিকে রিয়ালিজম ধারার ছবি বলে।(যেমন ভিটতোরিয়ো ডি সিকা’র ‘বাইসাইকেল থিফ’)।মাজিদ মাজিদি,আব্বাস কিয়ারোস্তমি,মহসিন মখমলবাফ, জাফর পানাহী, সামিরা মখমলবাফেরা এখনও সেই ধারায় চলচ্চিত্রের চর্চা করেন। সত্যজিতও করতেন।

    ২.ইরানী চলচ্চিত্রগুলিকে সাধারণত বলা হয় উতসব উপযোগী চলচ্চিত্র। যে কোন ফেস্টিভালে ১ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকবেই।

    ৩. মাজিদ মাজিদির ছবি মানেই সমাজের তুচ্ছ বিষয়বস্তু নিয়ে টানটান উত্তজনার আসাধারণ গল্প। তার ছবি শেষ হয় সাধারনত জলচিকিতসার মাধ্যমে।

    ৪. চিলড্রেন অভ হ্যাভেন চলচ্চিত্রটিতে যে কটি বিষয় নজর কাড়ে তার মধ্যে কয়েকিট হল
    ক)এতে একটি দৌড়ের দৃশ্য আছে যেখানে পরিচালক ইচ্ছে করেই স্লোমোশন এনেছেন। স্পিডকে আরো স্পীডি করতে স্লোমোশন কতটা কার্যকরি হতে পারে এই দৃশ্যটি তার ভাল উদাহরণ।
    খ)ফাটাফাটি সিনেমাটোগ্রাফি। ফেনার খেলাটি বিশেষ নান্দনিক(যদিও বারানে এর চেযেও নান্দনিক সিনেমাটোগ্রাফি হয়েছে)
    গ)চলচ্চিত্রর ভাষা সার্বজনীন। সে হিসেবে এর বিষযবস্তু আন্তর্জাতিক,তাই সবাইকে ছুঁয়ে যায়

    আমিও দেখি কামরুলের স্বভাব পাইছি 😀


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  6. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    ছোটবেলায় বিটিভিতে আমিও বাচেহা-ই-আসমান দেখেছিলাম। কিন্তু ভার্সিটিতে আসার পর কেবল সিনেমার নামটাই মনে ছিল। অনুভূতিটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। মাজিদির ডিভিডি কিনে আবার দেখে ফেললাম। বলার মত কছু খুজে পাচ্ছি না। আসলে জীবনে খুব কম সিনেমা দেখেই এতোটা মুগ্ধ হয়েছি।
    সিনেমা এমন বিশুদ্ধ ভালোবাসা আর কেউ দেখাতে পারেনি। সমবয়েসী ভাই-বোনের মধ্যে সাধারণত মারামারি হয়। মাজিদি সেরকম কিচ্ছু দেখাননি। কেবল ভালোবাসাটাই দেখিয়েছেন। সবকিছুতে।
    রজার ইবার্ট বলেছিলেন, "জাহ্‌রা স্কুলে নিজের হারানো জুতো অন্য এক মেয়েকে পায়ে দিয়ে থাকতে দেখে। বাচ্চাদের কাছে সিনেমার এই দৃশ্যের থ্রিলটা গড্‌জিলা সিনেমার চেয়েও অনেক বেশী।"
    সত্যিই অতুলনীয়, কিচ্ছু বলার নাই।

    সাইফ ভাই, "চলচ্চিত্র" নামে একটা ক্যাটাগরি আছে। তাই "সিনেমা" ক্যাটাগরিটা উঠিয়ে দিয়ে এটাকে চলচ্চিত্রের সাথে জুড়ে দেন। সিনেমা বিষয়ক সব লেখা তাহলে একসাথে পাওয়া যাবে।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।