কলেজে থাকতে জুনিয়র থাকতে জ্বর আসলে বেশ ভাল লাগত। কলেজ হাসপাতাল ছিল সেইরকম জায়গা। সবচেয়ে খাইষ্টা সিনিয়র ভাই ও জানি ঐখানে কেমন অন্যরকম হয়ে যাইত। সিনিয়র হওয়ার পর অবশ্য হাসপাতাল থেকে হাউসে থাকতেই বেশি ভাল লাগত। জ্বর হলে তাই নিজের কাছে থাকা প্যারাসিটামল দিয়ে চালিয়ে দিতাম। হাসপাতালে গেলে এক্সিকিউজ দিলে গেমস করতে পারব না এই জন্য। কিন্তু বাসায় আসলে আমার খালি মনে হত একবার জ্বর হলে মন্দ হয় না।
বিস্তারিত»যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (৪)
৪
হাফটাইমে নীলদের দলের সবাইকে একটু বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। একটু ঠান্ডা খেয়ে রাশেদ, নীল আর সবুজ মাঝে বসে বাকিদেরকে গোল করে নিয়ে বসলো মাঠের এক পাশে। পা ছড়িয়ে বিশ্রাম করতে করতে সবুজ বললো- আর কোন গোল করতে দিমুনা মাইরি। ওর কন্ঠে অস্বাভাবিক দৃঢ়তা ছিল। রাশেদ সম্মতিসূচক মাথা নেড়ে বললো- নীল। একটা সুযোগ-একটা সুযোগ পাওয়া গেলে ঐটাকেই কাজে লাগাতে হবে রে। ৯০ মিনিটের খেলায় এইরকম একটা দুইটা সুযোগেই নির্ভর করে পুরা খেলার ভাগ্য।
কুমিল্লার তারকারা
(কলেজে অবস্থানকালে আমার দেখা কুমিল্লার স্বনামধন্য শিল্পী, সাহিত্যিক, চিত্রকরদের নিয়ে লিখবো এখানে। আর এটা উৎসর্গ হলো আমাদের সবার প্রিয় তানভীর ভাইকে।)
প্রথমেই সিনিয়রদের কথা বলি। এক নম্বরেই রাজিব ভাই, ৯৪-০০ ব্যাচের, একজন শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক আমার দেখা। কলেজ লাইফে তার সর্বশেষ বিতর্কের দিন; দর্শক সারিতে বসে ছিলাম আমি, আর তার উপস্থাপনা দেখে কেঁপে কেঁপে উঠছিলাম, তার মুখে যেন কথার ফুলঝুড়ি ফুটেছিল সেদিন।
৯৩-৯৯ ব্যাচের মাসুম ভাইয়ের কথা প্রায়ই মনে পড়ে,
যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (৩)
৩
খেলার দিন সকাল থেকেই নীলদের দলের সবাই ভেতরে ভেতরে চাপা উত্তেজনা নিয়ে প্রতীক্ষায় থাকলো বিকালের। গত কাল ওরা কেবল ওয়ার্ম আপ করে ড্রিবলিং, ওয়াল পাসিং, অ্যাটাক- কাউন্টার অ্যাটাক, কর্ণার আর পেনাল্টি প্র্যাক্টিস করলো। শেষে ১০ মিনিট-১০ মিনিট করে ছোট গোল বারে খেলে অনুশীলন সেশন শেষ করে নিজেদের পরিকল্পনা গুলো আরেক দফা শানিয়ে নিল ওরা। তারপর আর একটি রাত ফুরাবার পালা।
রাশেদ ঘড়ি দেখলো।
বিস্তারিত»মূল্য এক হাজার টাকা মাত্র
সকালের ঘুমটা ছুটলো হলের গেটম্যান এর চিল্লা-ফাল্লায়। ব্যাটা পারলে রুমের দরজা ভাইঙ্গা ফালায়! রাজিব ভাই, ও রাজিব ভাই, আপনার গেস্ট”….. শম্পা এসেছে। কোনোমতে চোখটা খুলে মোবাইল তুলে দেখলাম ১৭টা মিস্ড কল পড়ে আছে। সাইলেন্ট করে মরার মতো ঘুমিয়েছি। আজকে খবরই আছে।
শম্পাকে নিয়ে বাইরে বেরুনোর কথা। এদিকে পকেটে আছে মাত্র ১৪ টাকা। রুম মেট সুমনের কাছে ৩৫০ টাকা পাওনা আছে আজ প্রায় দু-সপ্তাহ ধরে।
বিস্তারিত»অগ্নিদগ্ধ…!!!
লোকটার চাহনির মধ্যেই ভয়ানক কিছু ছিল। আমার দিকে তাকাতেই ঠাণ্ডা একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল শরীরজুড়ে। ঢুলুঢুলু চোখ রক্তলাল হয়ে আছে…মুখে কালো কালো বসন্তের দাগগুলো কুৎসিত চেহারাটাকে আরো কুৎসিত করে তুলেছে…
ছোট্ট একটা ঘরের মধ্যে আছি আমরা দুই জন। পাশের ঘরে লোকজনের কথা-বার্তার শব্দ শোনা গেলেও খুব একটা ভরসা পেলাম না। এই লোকের হাত থেকে আমাকে কে বাঁচাবে???
পকেট থেকে দিয়াশলাই বের করতেই বুঝে গেলাম ওর অভিসন্ধি,
হ্যাটস অফ সিসিবি……………………
প্রথমেই আমার পক্ষ থেকে স্বপ্নময় ও স্বপ্ন কিশোর কিশোরী গুলোর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
ওরা যা করেছে এক কথায় অসাধারণ।
ব্লগিং নামক জিনিসটা আমার কাছে প্রথম এসেছিল অলস জীবনের বিলাস হয়ে।
প্রথম চাকরিতে ঢোকার পর অফুরন্ত অবসরে কী করব বুঝতে পারছিলাম না।তখনই বুয়েটের আমার রুমমেট কাম কলিগ এক বন্ধু আমাকে সামু ব্লগের সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেয়। পড়তে থাকি সেখানে ।মজা ও পেতে থাকি খুব দ্রুত।
যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (২)
২
নীল পরিকল্পনা করে ফেলল জেদের বশেই। ঠিক হলো- এই মাঠেই এই দলকেই হারাতে হবে খেলে। এবং তা করতে হবে যত দ্রুত করা যায় ততোই স্বস্তির হবে।
জগতে কেউ কেউ আছে যে একবার একটা নির্ধারন করে ফেললে তা সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত হাল ছাড়ে না। কিন্তু নীলের বয়সে ততটুকু আশা করা বাড়তি বলেই ঠেকা উচিৎ। তথাপি এই ছেলেটি কিন্তু সেইরকম অসাধ্যকে আয়ত্ত্বে আনতে বদ্ধ পরিকর হয়ে উঠলো।
বিস্তারিত»বিষ্টি ধোয়া স্বপ্ন
খাতা থেকে মুখ উঠায়ে ছোট ভাই বলল; স্যাম জানিস আমরা ক্লাস টেনে উঠে একটা ব্যান্ড বানাবো।
আমি বললাম, অ।
সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে।
অ। তুই কি বাজাবি?
আমি বাজাব না, গান গাব।
অ। (উল্লেখ্য আমাদের ভাইবোনদের সম্বন্ধে কনক ভাইয়ের করা মন্তব্যটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খাটে)
আমি গান লিখবও।
আচ্ছা, আমাকেও বলিস, আমিও দুই একটা লিখে দিব।
না আমিই লিখব।
ক্যাডেট নম্বর ৯৯৯ : বদলে যাওয়া নিক
গত জুন মাসে বা-পায়ে একটা ‘ইনফেকশন’ নিয়ে কিছুদিন বাসায় বিশ্রাম আর কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। সে সময় সামুতে প্রকাশিত আমার একটা পোস্টে জিহাদ এসে মন্তব্য করলো :
“১৬ জুন : ভাইয়া আপনি অদ্ভুত সুন্দর লিখেন। আমাদের ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আপনাকে না পেলে কিন্তু খবর আছে!!!!
লিংকটা দিয়ে দিলাম : http://cadetcollegeblog.com”
এরকম দাবি নিয়ে বলা! সত্যি বলছি ভীষণ ভালো লেগেছিল।
বিস্তারিত»যখন বাজলো গেমস এর বাঁশী (১)
কলেজে প্রতিদিন সবচেয়ে মজার সময় ছিল গেমস টাইম।
আমি ক্লাস এইটের পর থেকে বাস্কেটবল খেলা শুরু করছি। তার আগে ফুটবল এর গোলকীপার খেলতাম। আমার বন্ধু তাজুল সেই ক্লাস সেভেন থেকেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলতো। ওর নেশা ছিল শট নেয়া আর আমার ওকে ঠেকিয়ে দেয়া। ছুটির দিন গুলোতে ও আর আমি খুব ভোরেই মাঠে যেয়ে এই প্র্যাকটিস করতাম। ওর রেইন বো / ব্যানানা শট গুলো ঠেকানো ছিল ঐ সময় আমার বিশাল চ্যালেঞ্জ।
ওয়েলকাম টিউন
১.
-হ্যা রনি বল
-কিরে তুই এইটা কি ওয়েলকাম টিউন লাগাইছিস?
-ক্যান দোস্ত ভালো হয় নাই?
-নাআআ…ভাল হইছে…কিন্তু..”সখীগো নিলানা খবর যতনে..”এইটার মানে কি??ছ্যাক ট্যাক খাস নাইতো আবার।
-আরে ধ্যাত।তোর খবর বল।
-বুঝছি,বুঝছি।শোন সখীরা কখনো খবর নেয় না,বুঝছো।খালি মিসকল দেয়।সো সখী খবর নেয় না বলে মন খারাপ করিস না।সব ঠিক হয়ে যাবে।সবেতো এক উইকেট।
-না বুইঝা টিজ করা তোর একটা স্বভাব।কি বলবি বল।
ফটোব্লগ : মনরোভিয়া – এখানে সেখানে
[ফটো ব্লগ : মনরোভিয়া] [ফটো ব্লগ : মনরোভিয়ার পথে] [ফটো ব্লগ : লাইবেরিয়া] [ফটো ব্লগ : স্থির সময়] [ফটো ব্লগ : বোমি লেক] [ফটো ব্লগ : মনরোভিয়া (সাদাকালো Vs রঙ্গিন)]
১. এর আগে টুশকি ২৪ এ সবাইকে পরিচিত করিয়ে দিয়েছি Wulki Farm এর একলা এক বিষন্ন বান্দরের সাথে। এইবার দেখুন সেখানের উট পাখির দলকে।
বিস্তারিত»মাঙ্গলিক পূণ্য
তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপ জমেছে
প্রখর গ্রীষ্মের স্বেদবিন্দুর মতো –
তুমি কি পার সেই পাপকে ক্ষমা করতে ?
পাপ – সে কেন পাপ হবে
– এসো, হোক না এ আমাদের প্রথম স্মৃতি।
স্মৃতি – মনের খাঁচায় গ্রোথিত এ ক্ষণ
এক অসুন্দর সুখ –
ধরে নিলাম সেটা জীবনের শ্রেষ্ঠ সুখ।
সুখ – আপেক্ষিক এ তত্ত্বে
তোমার আমার মিলন যেন সাগরে সাগরে সঙ্গম –
কেউ কারো মাঝে বিলীন না হয়ে
নিজের অস্তিত্ত্বে একে অপরের মাঝে হারিয়ে যাওয়া।
সানশাইন – মানবতার জয়যাত্রা
স্পয়লার ওয়ার্নিং: ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হল। কাহিনীর বেশ খানিকটা বলে দেয়া হয়েছে।
মানুষের সমকালীন চিন্তাধারার ছাপ পড়ে সংস্কৃতিতে। অতীত হয়ে গেলে সেই সংস্কৃতি হয়ে পড়ে ঐতিহ্যের অংশ। এ ব্যাপারে আশাকরি সবাই একমত হবেন যে, চলচ্চিত্র সৃষ্টির সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে প্রযুক্তি। চলচ্চিত্র শিল্পের প্রাথমিক প্রসার ঘটিয়েছেন যারা তারা যতটা না সাহিত্যিক ছিলেন, তার থেকে বেশী ছিলেন প্রযুক্তিবিদ। টমাস আলভা এডিসন কিংবা লুমিয়েঁ ভ্রাতৃদ্বয়ের নাম করাই এক্ষেত্রে যথেষ্ট হতে পারে।
বিস্তারিত»