পাখির কথা

পাখি তোমার আঁখি কেন করছে ছলোছল?
কোথায় গেল তোমার ঠোটের হাসিটা নির্মল?
তোমার ঘরে তারা এনে দূর আকাশের ঐ,
পাখি তোমার মানিক রতন সঙ্গী গেলো কই?

রূপার বরণ পালক তোমার সোনার বরণ ঠোঁট,
কন্ঠে তোমার যাদুর বাঁশী, চক্ষে মেঘের জোট।
পাখি তোমায় আধার দেবার মানুষ গেল কই?
নিজের আধার, ছানার আধার খুঁজতে কী কষ্টই!

বিস্তারিত»

না ভারত; না পাকিস্তান

আমরা বাঙালিরা ক্রিকেটের জন্য পাগল। আর আমাদের সেই পাগলামির মাত্রা আরও বেড়ে যায় যখন আমাদের ছেলেরা অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। আমাদের আবেগ তখন সব ধরনের যৌক্তিকতার সীমানা পেরিয়ে যায়। আমরা চাই প্রতিটি খেলাতেই যেন আমাদের ছেলে-মেয়েরা জিতে যায়। মাঝে-মাঝে মনে হয়, বোধহয় খেলা নয়, আমরা আমাদের দেশ বাংলাদেশের জন্য আবেগ প্রকাশ করি; খেলার সঙ্গে দেশাত্মবোধকে এক করে দিই। আমার দেশ জিতবেই; বাঙালি সবসময়ই জিতবে।

বিস্তারিত»

পিছু ফিরে দেখাঃ “কামিজ কা বাটন টুটেঁ হ্যায়”….

১৯৭৫ সালের শেষের ক’টা দিন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সদ্য কমিশন লাভ করে ঢাকার একটা ইউনিটে যোগদান করেছি। পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসারদের দেশে ফিরিয়ে আনাতে তখন আবাসন সংকট চলছিল। জরুরী ভিত্তিতে আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য তখন সেনানিবাসের এখানে সেখানে “রূপসা” প্রকল্পের অধীনে কিছু ব্যাচেলর অফিসার্স কোয়ার্টার্স (বিওকিউ) তৈরী করা হয়েছিল। সদ্য বিবাহিত কিংবা ছোট পরিবারের জন্য দুই কক্ষ বিশিষ্ট কিছু ম্যারেড অফিসার্স কোয়ার্টার্সও নির্মিত হয়েছিল। ইটের হাল্কা গাঁথুনী,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে- তিন

মাঝরাতে একা হাটতে গিয়ে পুরনো পথে দেখা হলো।
“নীলা তুমি এখানে কেনো, এখন কেনো, একা কেনো?
সারাদিন তোমায় খুঁজি, কোথায় হারিয়ে গেছো?
একা সময় কাটে না, বসেই আছি কখন তোমায় দেখবো।”

নীলার সেই তীক্ষ্ণ চাহনী, যা বুকে তীরের মতো লাগে
হেসে ফেললো, “আমি কি আর সবার মাঝে আছি?
তুমি খোঁজ, একা খোঁজ, তোমার কাছে ধরা দেবার জন্য
এই পথে,

বিস্তারিত»

সাতাশ বছর পরে – দুই

সারারাত ঘুম হয়নি নীলা। জেগেই আছি।

ক্লান্ত শরীর, যতবার বিছানায় গা এলিয়ে দেই
চোখ দুটো বারবার খুলে এক ঝটকায় খুলে যায়;
মনে হয় তুমি মাথার পাশে হবসে আছে
নরম হাত বুলাচ্ছো যেন দুদন্ড শান্তিতে ঘুমাতে পারি।

তোমায় পাশে সজাগ বসিয়ে কিভাবে ঘুম আসে?

এমন বিভ্রান্তের মত চোখ বুজে আসা ঘুম ভেঙে চলে,
নীলা তুমি পাশে নেই,

বিস্তারিত»

যুদ্ধ এবং শৈশব

যুদ্ধ এবং শৈশব

“দেয়ালির আলো মেখে নক্ষত্র গিয়েছে পুড়ে কাল সারারাত
কাল সারারাত তার পাখা ঝ’রে পড়েছে বাতাসে
চরের বালিতে তাকে চিকিচিকি মাছের মতন মনে হয়
মনে হয় হৃদয়ের আলো পেলে সে উজ্জ্বল হ’তো ।“ – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

শান্তির সময়ে শিশুদের বয়স দ্রুত বাড়েনা। অর্থাৎ এই মন্থর সময়ে তাদের মানসিক বৃদ্ধির গতি উল্লেখযোগ্য নয়। তবে যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি আপদকালীন সময়ে তাদের মানসিক বৃদ্ধি খেয়াল করবার মতন।

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গ : পরকীয়া – চতুর্থ পর্ব

প্রসঙ্গ : পরকীয়া – প্রথম পর্ব
প্রসঙ্গ : পরকীয়া – দ্বিতীয় পর্ব
প্রসঙ্গ : পরকীয়া – তৃতীয় পর্ব

নয়
আজ লিখবো পরকীয়ায় থাকা পুরুষদের বাড়তি স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে।
পরকীয়ার কারনে মানসিক অস্থিরতা জনিত রোগ বা যৌনরোগের ঝুঁকি যে বাড়ে, সেটাতো সবারই জানা। কিন্তু হৃদরোগের ঝুকিও যে বাড়ে, সেটা কতজন জানি?
পুরনো রেকর্ড ঘাটতে গিয়ে গবেষকরা দেখতে পেলেন,

বিস্তারিত»

অনুবাদ কবিতাঃ সন্তানদের নিয়ে

তোমার সন্তানেরা তোমার নয়।
তারা জীবনের সন্তান, জীবনের আকুল আত্ম-আকাঙ্ক্ষা প্রসূত।
ওরা তোমার আত্মজ, কিন্তু তুমি ওদের উৎস নও,
যদিও ওরা তোমার সাথেই থাকে, তবুও ওরা তোমার স্বত্বাধীন নয়।

তুমি ওদের ভালবাসা দিতে পারো, কিন্তু ভাবনা নয়,
কারণ ওদের নিজস্ব ভাবনা রয়েছে।
তুমি ওদের দেহকে গৃহে রাখতে পারো, কিন্তু আত্মাকে নয়,
ভাবীতে ওদের আত্মার বসত,
যা তোমার অধিগম্য নয়,

বিস্তারিত»

নান্দাইল দিঘী – জয়পুরহাট

সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে জুড়ে অসংখ্য নাম জানা-না জানা পুকুর-দিঘী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সব দিঘীই আবার সকলের কাছে সমানভাবে পরিচিত বা জনপ্রিয় নয়। সাধারনতঃ বিনোদন, বনভোজন আর বৈকালিক ভ্রমণের সুবিধা-সম্বলিত অল্প কিছু দিঘীই এই তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের ‘নান্দাইল দিঘী’র যেমন রয়েছে ঐতিহ্যময় ইতিহাস তেমনি রয়েছে এর অপরিসীম প্রত্ন-মূল্য। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতা দিঘী কিংবা দিনাজপুরের রামসাগর আজ যেমন সকলের কাছে সুপরিচিত তেমনি ‘নান্দাইল দিঘী’ সকলের মনে এখনো তেমনভাবে স্থান করে নিতে পারেনি।

বিস্তারিত»

মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!

মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!

আয়োজন ছাড়া বা আয়োজন করে
প্রয়োজনে কিংবা বিনা প্রয়োজনে
এইতো আমার আশ্ পাশ্ থেকে
মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!

কিছুটা বুঝে বা পুরোটাই না বুঝে
একটু চিনে কিংবা একেবারে না চিনে
এইতো আমার আশ্ পাশ্ থেকে
মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!

স্বল্প শিখে বা একদম না শিখে
শুন্য হাতে কিংবা দুই হাত ভরে
এইতো আমার আশ্ পাশ্ থেকে
মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া ভাল!!

বিস্তারিত»

আমিও কি একজন ধর্ষক?

ধর্ষণ চলছেই। বিকৃত যৌনতা নিয়ে এ দেশের মেয়েদের অত্যাচার করেই চলেছে ছেলেরা। অনেকে আবার মানসিক বিকলাঙ্গতার প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। এই বিকলাঙ্গতা পুরুষ হিসেবে মনের ভেতর প্রদাহের জন্ম দেয়, আক্রোশের জন্ম দেয়।
পত্রিকায় বেরিয়েছে যে একজন রাজনৈতিক কর্মী একজন ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন। শুধু ধর্ষণই করেননি, ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে মেয়েটিকে ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে দু’জনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন।

বিস্তারিত»

হাই সারাহা! হায় সারাহা!

আমার কোন সারাহা একাউণ্ট/প্রোফাইল নেই। আমি কারো সারাহা একাউণ্ট/প্রোফাইলে কখনো (এখন পর্যন্ত) ঢুকিনি, মন্তব্য করা বা ম্যাসেজ দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। পুরো বিষয়টাই আমার কাছে কেমন যেন অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে। এটা অনেকটা নিবন্ধন বিহীন সিম কার্ড দিয়ে পরিচয় গোপন রেখে কাউকে ফোন করার মতই মনে হচ্ছে আমার কছে। কাউকে হিডেন ক্রাশের খবর জানানো, কিংবা মনের ঝাল মিটিয়ে গালি দেয়া, কিংবা এখন পর্যন্ত যেটার খবর সারাহাতে ঘটেছে বলে শুনিনি তা হলো প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা চাওয়া।

বিস্তারিত»

অপার্থিব ইচ্ছেগুলো…

আমি এমন একটা শান্তির দেশে যেতে চাই,
যেখানে উচ্চঃস্বরে কেউ কোন কথা বলেনা,
কেউ উল্টো পথ ধরে আসা যাওয়া করে না।
যেখানে পাখিরা নির্ভয়ে উড়ে যেতে পারে
ব্যস্ত বেখেয়াল মানুষের মাথার ওপর দিয়ে,
একান্তে বলে যেতে পারে তাদের মনের কথা।

একদিন কোন এক নির্জন গিরি চূড়ায় উঠে
পাখির চোখে আমি পৃথিবীটাকে দেখতে চাই।
সে পাহাড়ের বুক চিরে এক আনমনা বহমান
উচ্ছ্বল ঝর্ণা নেচে যাবে তার আপন খেয়ালে।

বিস্তারিত»

আহ ক্রিকেট! আহ রোমান্টিকতা!!

(চৌ জাফরউল্লাহ শরাফত টোনে পড়তে হবে O:) )

-সুপ্রিয় দর্শকমণ্ডলী, জেমস এন্ডারসন প্রান্ত থেকে বল করতে আসছেন ইংল্যান্ডের নয়নমণি, ল্যাঙ্কাশায়ারের সোনার ছেলে, সুইং এর রাজা, সিম এর নবাব জেমস মাইকেল ‘জিমি’ এন্ডারসন!!
এ কী তেলেসমাতি! এ কী অভাবনীয় ব্যাপার! এ কী কাকতলীয় ব্যাপার!
বোলার এবং বোলিং প্রান্তের একই নাম!!

(পাশ থেকে, ফিসফিস করে)
-ভাই, তেলেসমাতি’র কিছু নেই। গত সপ্তাহে ল্যাঙ্কাশায়ার কর্তৃপক্ষ ওর নামেই এই নামকরণ করেছে।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশের প্রাচীনতম পাথরের সেতু – জয়পুরহাট

আটাপুর-উচাই-মহীপুর জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৩টি প্রাচীন গ্রাম। আটপাড়া/আটাপুর/আতাপুর ইউনিয়নের আতাপুর/নোয়াপাড়া মৌজার দক্ষিণে উচাই মৌজা। আটাপুর ও উচাই মৌজাদ্বয়কে পূর্ব ও দক্ষিন দিক দিয়ে তুলশীগঙ্গা নদী ইংরেজী Y অক্ষরের মাথার ন্যায় জড়িয়ে ধরে আছে। উচাই মৌজার দক্ষিণে, তুলশীগঙ্গা নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে মহীপুর/মাহীপুর মৌজা। পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে থাকা গ্রামত্রয় বাংলাদেশের সভ্যতার অনন্য পাদপীঠ। আনুমানিক ৮-১০ বর্গকিলোমিটারের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে নিদেন পক্ষে সুলতানি আমলের প্রাচীন নিদর্শনের অস্তিত্ব বাঙলায় এক উন্নত নগর সভ্যতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।

বিস্তারিত»