ব্র্যান্ডেনবার্গের আকাশে তখনো সন্ধ্যা নামেনি।
শুনেছ কি ছুরিকাহত হয়েছে রংচটা বেহালাটা?
ওরা সবাই বলছে শেষবারের মত কেঁদেছে…অনেকক্ষণ।
আর সেইসাথে রক্তে লাল হলো আকাশ।
মৃদু বাতাস ভারী হলো স্বজন হারানো পিয়ানোর আহাজারিতে।
ঘরের কোণে কিছু বেহালার জটলায় মৃদু গুঞ্জন।
মূর্ছা যাচ্ছিল বাঁশি, আর তাকে শান্তনা দিতে চেলো
শূন্য দৃষ্টি মেলে জড়িয়ে ধরে আছে সেই শুরু থেকেই।
শুনলাম রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করবে তাকে?
বিচার
আর কত্তদিন থাকা লাগব এইহানে? পরথম পরথম হিসাব রাখতাম। এহন তো আর মনে থাকে না। কুন রুমে আছি? সারাডাদিন কাম করায়- মোড়া বানাও, খাওন রান্ধ, গাছে পানি দাও…।। কিয়ের লইগা যে আইছি তাও তো ভুইলা গেছি। ওহ! মনে হইছে, বউডারে মাইরা লাইল চেয়ারম্যানের পোলায় – কফিল্লায়। ঘাড়ে দিলাম এক কোপ পরের দিনই। ব্যাস কল্লাডা নাইমা গেল।
এইখানে নাকি অনেক বড় একজন মানুষ আইব?
বিস্তারিত»পয়েন্ট ফাইভ ডেজার্ট ঈগল কিংবা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
১।
কিছু কিছু দিন থাকে আপাতদৃষ্টিতে গুরুত্বহীনভাবে শুরু হয় এবং খুব বেশি গুরুত্ব ছাড়াই শেষ হয়। কিন্তু জীবনের বৃহত্তর ছবিতে স্থায়ী দাগ রেখে যায়। ১৯৯৮ এর সেই বিকেলটা অনেকটা সেরকম একটা দিনের বিকেল। ব্রাজিল ফুটবল দলের কট্টর সমর্থক হিসাবে মনটা সেদিন বিশেষ উদাস। আগের রাতেই স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে বিশ্বকাপ খুইয়েছে দলটা। আমার বাজির ট্রাম্পকার্ড রোনালদো নামক তরুন টেকো ছেলেটা ফাইনালে বাচ্চাদের মত বমি করে ভাসিয়েছে।
বিস্তারিত»ফানি ও আলেকজান্ডার (১৯৮২)
সুইডেনের সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ইংমার বারিমানের অন্যতম সেরা সিনেমা “ফানি ও আলেকজান্ডার” নিয়ে রজার ইবার্টের রিভিউয়ের বঙ্গানুবাদ। চলচ্চিত্র উইকিতেও লেখাটা আছে।
*****
ইংমার বারিমান চেয়েছিলেন ‘ফানি ও আলেকজান্ডার’ (Fanny och Alexander, ১৯৮২) হোক তার শেষ সিনেমা, তাই এতে শেষ দীপশিখার মত অনেক উদ্দীপনার সমারোহ। এতে তিনি একইসাথে হতে চেয়েছেন তরুণ, মধ্যবয়স্ক আর বৃদ্ধ, পুরুষ আর নারী,
বিস্তারিত»গোলাম আযম নামা ১৯৭১
আগামীকাল বহু প্রতীক্ষিত রায় ঘোষিত হবে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির জন্ম প্রক্রিয়ার সময় বিরোধিতার তালিকায় সর্বাগ্রে ছিলেন গোলাম আযম।


এমনকি স্বাধীনতার পরেও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তার অবস্থান এবং মুসলিম বিশ্ব সৌদি আরবের সাথে মিলে বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতা চালান।

যাইহোক এখানে দেখি ৭১ এ মহান (?) এই লোকটি বাংলাদেশে জামাত-শিবিরের আব্বা নামে পরিচিত গোলাম আযম কি বলেছে বা করেছে।
তারার পাশে তাঁরা
শাকুর মজিদ নামের সাথে পরিচয় নবম শ্রেণীতে। আমি তখন বরিশাল ক্যাডেট কলেজ এ পড়ি। হঠাত্ করে খবর পেলাম কেউ একজন ক্যাডেট কলেজের সপ্তম শ্রেণীর জীবনযাত্রা নিয়ে একটি বই লিখেছে। বই এর নাম,ক্লাস সেভেন ১৯৭৮। বইয়ের নাম শুনেই বুঝলাম যে বইটা লিখেছেন তিনি হয়তো ১৯৭৮ সালে ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে ছিলেন। বই এর প্রতি আগ্রহ তৈরি হল। কারণ,আধাসামরিক এ কলেজের নিয়ম কানুন দেশের আর দশটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা।
বিস্তারিত»বনলতার চুলঃএকটি কনফেশন!!!
কয়দিন আগে ডক্টর’স ক্লাবে লাঞ্চ পূর্ববর্তী বিনোদন হিসেবে ক্যারম খেলতেছি! লাঞ্চের জন্য প্রচুর ডাক্তারদের আনাগোনা। অধিকাংশই সিনিয়র,ডাক্তার।দু একজন স্টুডেন্টস দের মধ্যে আমি একজন।
আমার চেয়ে ১৮ বছরের একজন এবং ১৩ বছরের একজন সিনিয়র এসে ক্যারম বোর্ডের পাশে দাঁড়ালেন। কথাবার্তায় বোঝা গেল পোস্ট গ্য্রাজুয়েশন লাইব্রেরি থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত MBBS পরবর্তী উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের প্রস্তুতি হিসেবে একটানা পড়ালেখা করে লাঞ্চ ব্রেক এ আসছেন উনারা!
ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(২য় পর্ব)
প্রতিযোগিতা থেকে বাসায় গিয়ে ধরলাম ঢাকার বাস। খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে ঢাকায় থাকে। তাই অগত্যা কোন উপায় না দেখে আমার ছুটির শান্তি নষ্ট করে ছুতে গেলাম ঢাকা অভিমুখে। ঢাকায় থাকার অন্যান্য সহস্র সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল – ০১। সকালের অতি আদরের ঘুম বিসর্জন করা ও ০২। মিরপুর-১ থেকে ফার্মগেট গিয়ে পড়া। অবশ্য তাতেও রাজি শুধু যদি পূরণ হয় সে আশা যার জন্য এত জলাঞ্জলি,
বিস্তারিত»এলো রমযান (আয়া রমাদান)
এই লেখাটা লাষ্ট রোযায় লিখছিলাম।
আরে এক বছর হয়ে গেলো হুমায়ুন আহমেদ নাই।
কিছুক্ষণ আগে সেহেরী/ সাহরী খাইয়া আসলাম।
ইয়েস ব্রাদার এন্ড সিস্টার আমি মাহে রমাদানের সাওম পালন করিবো। আহারের সময় অবশ্য ডকিন্স সাহেবের ভিডিও দেখছিলাম। সাওম পালনের আগেই হালকা কইরা ফেললাম কি? ডকিন্স সাহেবের ভিডিও। আমি দিলাম বাংলাদেশের বিজ্ঞান সাধকদের জন্য।

ঐইটা দেখার পর আরেকটা দেখলাম।
বিস্তারিত»ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(১ম পর্ব)
২৬ শে অক্টোবর,২০১১ ইং। ৩ মাসের সুদীর্ঘ প্রস্তুতি পর্ব শেষে ছাড়পত্র পেয়েছি এখানে আসার। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থায় আছি তা সহ্য করা দায়। ডিনারের আগে সর্ব সাকুল্যে ১২টা রবীন্দ্র সংগীত শুনতে হয়েছে। আসলে রবীন্দ্র সংগীত ভালো লাগেনা। তা নয়, বরং সবার গাইবার ঢংটা তো আর রবীন্দ্র সংগীতের সাথে যায়না তাই ভালো লাগে না। ডিনারের পর আবার ফিরে যেতে হলো বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা মিলনায়তনে, আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতায় এবারের ইভেন্ট আধুনিক গান।
বিস্তারিত»যে কবিতার লাইন গুলো আমি কখনো ভুলবো না !
কবিদের প্রতি আমার অনুভূতি সবসময়ই খানিকটা ঈর্ষা মেশানো সম্মানের। তাদের প্রতিভায় অবাক হই বারবার। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ,নির্মলেন্দু গুণ,সুনীল কিংবা সিসিবি র নূপুর দা সবার প্রতি একধরনের ঈর্ষা কাজ করে। তাদের কবিতা পড়ি আর মনে মনে বলি কিভাবে পারেন? আমি আমার ক্যাডেট লাইফে একজন কবি র পরিচয় পেয়েছিলাম। তিনি কলেজের ই একজন শিক্ষক ছিলেন।। সঙ্গত কারনেই নাম টা বলছি না। স্যার , বিভিন্ন অকেশনে কবিতা লিখতেন ও আবৃত্তি করতেন।
বিস্তারিত»মেয়েটিকে ভাল লাগে – ২য় ও শেষ পর্ব
এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছি ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে। এটা আমার খুব পছন্দের বাজে অভ্যাস। গান থেমে গিয়েছে মনে হচ্ছে। নতুন কিছু শিল্পীর সঙ্গীত নিয়ে নাড়াচাড়া করছি ইদানীং। দ্য ওয়াটার বয়েজ নামের একটা নতুন ব্যান্ড পেলাম। বেহালা আর গীটার ডুকরে কান্নার মত সুর তোলে। মেলোডি গারডট – চমৎকার জ্যাজ গায় মেয়েটি। জন কোলট্রেন – স্যাক্সোফোনের পাগলামি। থেলোনিয়াস মঙ্ক – পিয়ানোর সাদাকালো শরীর নেচে বেড়ায় ৯/৮ মাত্রায়। মুঠোফোনটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম ক্ষুদেবার্তা গুলোর দিকে।
বিস্তারিত»কোটা এবং মেধার বিরোধ
সরকারি চাকরিতে মেধা এবং কোটার বিরোধ অনেকদিন ধরেই চলছিল। গতকাল বুধবার ১০ জুলাই, ২০১৩ তার একটা বিস্ফোরণ ঘটেছে। ৫৬ শতাংশ নানা ধরণের কোটার বাধায় অনেকে ভালো ফল করেও চাকরি পাচ্ছেন না। এটা দুঃখজনক। কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
কিন্তু বিক্ষুব্ধরা ঢালাওভাবে কোটার বিরোধীতা করছে। যারা সব কোটা তুলে নেয়ার পক্ষে বলছেন, তারা দেশ-মানুষ সম্পর্কে কতোটা জানেন বুঝেন সে নিয়ে সন্দেহ আছে। এরা সরকারি চাকরিতে গিয়ে দেশ ও মানুষের কতোটা কল্যাণ চিন্তা করবেন সে নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
বিস্তারিত»রেট্রো টু রামাদান – ১
ক) “নামায পারলো, সাহরী খালো। ভাইয়ো – নামায পারলো, সাহরী খালো।”
আমার কানে এখনো বেজে ওঠে সেই ভাঙ্গাচোরা বিহারী দারোয়ানটার কন্ঠ। সারা লালখানবাজার এলাকায় হয়ত একাই ডেকে ডেকে সবাইকে ওঠাতো। আমি তাকে কখনও দেখিনি। আমি শুধু তাকে শুনেছি। শুনেছি তার হাতের ঝুনঝুন লাঠির আওয়াজ – দুমদাম করে গেইটে বারি দিত। আর সবাইকে চেঁচিয়ে বলত –
“নামায পারলো, সাহরী খালো।
বিস্তারিত»আত্মকথন,আত্মদহন :১
শুভাকাঙ্ক্ষী সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে।এককালে মনে হইত আমার শরীরে যতগুলা চুল আছে গুনে শেষ করা যাবে কিন্তু আমার শুভাকাঙ্ক্ষী গুনে শেষ করা যাবে না।তাল মেলাতে না পেরে পিছিয়ে পড়ছি,একলা হয়ে পড়ছি।
ক্যাডেট কলেজের আত্মার আত্মীয় বান্ধবকূলের সবাই কর্পোরেট, মিলিটারি ইত্যাদি হয়ে এখন প্রফেশনাল। কেউ কেউ বাড়ী গাড়ি ইত্যাদি নিয়ে প্ল্যান করা শুরু করেছে।আমি পেছনেই আছি,একাকীই আছি,এখনো ছাত্র।ব্যস্ত সবাই।ব্যস্ততাই নিয়ম।তবু ফাক ফোকর পেলেই ব্যস্ত ছেলেরা গেট টুগেদার পার্টি থ্রো করে।যেতে পারি না।খুব ইচ্ছে থাকে,কপাল থাকে না।টাইমিং হয় না এক্সামের সাথে(ভাবখানা এমন যেন আমিই সবচেয়ে ব্যস্ত)।রাজধানী বহির্ভূত হয়ে আরো অসুবিধা,