ফানি ও আলেকজান্ডার (১৯৮২)

সুইডেনের সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ইংমার বারিমানের অন্যতম সেরা সিনেমা “ফানি ও আলেকজান্ডার” নিয়ে রজার ইবার্টের রিভিউয়ের বঙ্গানুবাদ। চলচ্চিত্র উইকিতেও লেখাটা আছে।

*****

ইংমার বারিমান চেয়েছিলেন ‘ফানি ও আলেকজান্ডার’ (Fanny och Alexander, ১৯৮২) হোক তার শেষ সিনেমা, তাই এতে শেষ দীপশিখার মত অনেক উদ্দীপনার সমারোহ। এতে তিনি একইসাথে হতে চেয়েছেন তরুণ, মধ্যবয়স্ক আর বৃদ্ধ, পুরুষ আর নারী, খ্রিস্টান আর ইহুদি, প্রকৃতস্থ আর অপ্রকৃতস্থ, ধনী এবং গরিব, ধার্মিক এবং অধার্মিক। এতে এমন এক জগতের দেখা পাওয়া যায় যেখানে পরম নিশ্চয়তার পাশে নিশ্চিন্তে সহাবস্থান করে ভৌতিকতা আর ইন্দ্রজাল। সে জগতে চরিত্রের সংখ্যাও অনেক, প্রত্যেকেই তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে অবিস্মরণীয়। তাই আশ্চর্যের কিছু নেই যে তার অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিল চার্লস ডিকেন্স।

সে ১৯০৭ সালে সুইডেনের কোন এক নাম না জানা শহরের কথা। হঠাৎ দেখা জলপ্রপাতের মতোই আচানক আমরা একটি বিশাল যৌথ পরিবারের বড়দিন সন্ধ্যা উদযাপনে প্রবেশ করি। চরিত্রগুলো খায়-দায়, ফূর্তি করে, ছক কাটে আর সেইসাথে দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠে। তারা অতিমাত্রায় ইন্দ্রিয়পরায়ণ- একডাল (Ekdahl) পরিবার বিশাল, কর্ত্রী হেলেনা থাকেন এক প্রাসাদোপম বাড়িতে যা পুরাতন আসবাবপত্র, দামী গৃহসজ্জা, ছবি, ভাস্কর্য, ট্যাপেস্ট্রি, কার্পেট, ফুল, গাছ এবং ঘড়িতে আকীর্ণ। বারিমানের সিনেমায় ঘড়ির মাহাত্ম্যই আলাদা, কাঁটার টিকটিক যেন কোন অমঙ্গলের ইঙ্গিতবাহক। সন্ধ্যার এক পর্যায়ে অর্ধ-মাতাল অতিথিরা সব একে অপরের হাত ধরে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে ঘুরে বেড়ায়, সাথে ক্যামেরার দৃশ্যও এক ঘর থেকে আরেক ঘরে গড়িয়ে পড়ে।

পরিবারের যেটুকু গোপন খবর বারিমান জানাতে চান সেটুকুও এর মধ্যে জানা হয়ে যায়। গুস্তাফ আডলফ, হেলেনার তৃতীয় পুত্র, সুপরিচিত নাগর; যার সব রোমাঞ্চ পীন পয়োধর সুন্দরী স্ত্রী আলমার চোখে ক্ষমার যোগ্য, কারণ সে আসলে যেমন ঠিক তেমনভাবেই আলমা তাকে পছন্দ করে। দ্বিতীয় পুত্র, কার্ল ব্যর্থ অধ্যাপক, যে জার্মান নারীর সাথে সে বিবাহিত তাকে সবার পছন্দ করা উচিত হলেও কেউ পছন্দ করে না। সে মা-র প্রতি গভীরভাবে দায়বদ্ধ। প্রথম পুত্র, অস্কার পারিবারিক নাট্যমঞ্চ চালায়, এই পার্টিতে আসার আগে মঞ্চের কর্মীদের উদ্দেশ্য এক ছোটখাটো বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলে। তার স্ত্রী পরম সুন্দরী এমিলি, এবং তাদের দুই সন্তান- ফানি ও আলেকজান্ডার। সিনেমার অনেকটা অংশ এই দুই শিশুর চোখ দিয়ে দেখা, যদিও এমন অনেক দৃশ্য আছে যার পুরোটা অন্য কোন চরিত্রের কল্পজগতে ঘটে।

গুস্তাফের নিজস্ব বৈবাহিক জীবন খামখেয়ালী, কার্লেরটা করুণ আর অস্কারেরটা তার মঞ্চ এবং পরিবার দুটোর কারণেই ভালবাসায় পরিপূর্ণ। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারি গুস্তাফ তাদের খোঁড়া ও নধরকান্তি তরুণ গৃহপরিচারিকার সাথে প্রেম চালিয়ে যাচ্ছে। আলমা এটা জানে, আসলে পরিবারের সবাই জানে এবং এটা নিয়ে উন্মুক্তভাবে আলোচনাও করে। আমরা আরও জানতে পারি বিধবা হেলেনার এক সময়কার প্রেমিক এবং বর্তমানের সবচেয়ে ভাল বন্ধু ইসাক ইয়াকোবি একজন ইহুদি আর্ট ডিলার ও মহাজন। (বারিমান বলেছেন প্রতিটি পুরুষ চরিত্রের মাঝেই তার নিজের কিছু কিছু অংশ প্রোথিত আছে।)

এক-দুই দিন পর নাট্যমঞ্চে হ্যামলেটের বাবার ভূত চরিত্রে অভিনয়ের মহড়া করতে গিয়ে হঠাৎ অস্কারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়, নাটকের কোন লাইন মনে করতে পারে না, এমনকি কোথায় আছে সে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলে। এক দিন পেরোতা না পেরোতেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সে মৃত্যুবরণ করে। এই সব ঘটনা প্রত্যক্ষ করে গুরুগম্ভীর আলেকজান্ডার, মাঝরাতে মায়ের আর্তনাদের শব্দে দুই ভাইবোনই জেগে গিয়েছিল। এরপর আসে গ্রীষ্ম, প্রায় সবকিছুই পরিবর্তিত হয়ে যায়, লুথারীয় বিশপ এডভার্ড ভারগেরুসের (Edvard Vergerus) সাথে তাদের মায়ের বাগদান সম্পন্ন হয়। সবাই একমত যে, এডভার্ড বেশ লম্বা ও সুদর্শন পুরুষ। কিন্তু বিয়ের পর যখন হেলেনা মা ও সন্তানদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে দেখে তখন বলতে দ্বিধা করে না, “আমার ধারণা আমাদের এমিলিকে শীঘ্রই আবার ফিরে পাব”।

শীতকালে ঘটে যাওয়া গল্পের এই প্রথম তৃতীয়াংশ জীবন এবং বর্ণে টইটম্বুর, মৃত্যুতেও এখানে জীবনের গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। এখন ফানি এবং আলেকজান্ডারকে একটি নতুন জগতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, বিশপের বাড়িতে। বিশপ তার মা, বোন ও খালার সাথে একটি চুনকাম করা বিষন্ন বাড়িতে থাকে, যেখানে খুব প্রয়োজনীয় ছাড়া কোন আসবাবপত্র নেই। এখানে প্রতি দরজায় তালা থাকে আর প্রতি জানালায় থাকে শিক।

পরিচারিকা বাচ্চাদের বলে, বিশপের প্রথম স্ত্রী ও দুই কন্যা নদীতে ডুবে মারা গিয়েছিল। আলেকজান্ডার বলে, সে এখানে তাদের প্রেতাত্মা দেখেছে, প্রেতাত্মারা তাকে বলেছে তাদেরকে নাকি কোন খাবার ও পানি না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল এবং পাঁচদিনের দিন পালাতে গিয়ে তারা পানিতে ডুবে মরে। অবিশ্বাসী পরিচারিকা এই গল্প বিশপকে বলে দেয় যে কারণে আলেকজান্ডারকে বিশপের চাবুকের আঘাত সহ্য করতে হয়। কিন্তু বিনা বাক্যবয়ে সে মেনে নেয় না, বিশপকে সে কতোটা ঘৃণা করে তার পুরোটাই প্রকাশ করে।

এরই মধ্যে কয়েকবার অস্কারের ভূত দেখা দেয়, বাচ্চাদের জন্য তাকে সর্বদা বিমর্ষ, চিন্তামগ্ন ও উদ্বিগ্ন দেখায়। একটি খুব ছুঁয়ে যাওয়া দৃশ্য হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন বাড়ির বারান্দায় একটি স্বপ্ন থেকে জেগে ওঠার পর স্বামীর সাথে আলেকজান্ডারের মা-র কিছু প্রেমময় কথোপকথন। (আলেকজান্ডারের বাবার ভূত এবং মায়ের ত্বরিত বিয়ের কারণে এই সিনেমায় হ্যামলেটের ছায়া খুঁজে পাওয়া গেলেও সেটা প্রকটভাবে ধরা পড়ে না বরং মূল ঘটনার আড়ালে বেশ সুন্দরভাবে খাপ খেয়ে যায়।)

এবারে আমরা আরেক দফা জাদুর সম্মুখীন হই। ইসাক ইয়াকোবি বন্ধু হেলেনার কথা মত বিশপের বাড়িতে যায় একটি ট্রাংক কেনার অজুহাতে। তারপর সেই ট্রাংকে করেই বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে পাচার করে নিয়ে আসে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এমিলির এই পরিকল্পনা আগে থেকে জানা না থাকা সত্ত্বেও বিশপ যখন বাচ্চাদের খুঁজতে দোতলায় যায় তখন বাচ্চারা তাদের ঘরেই থাকে। এটা কি করে সম্ভব?

হয়তো এর মূলে আছে ইয়াকোবি পরিবারের জাদুশিল্প চর্চার ইতিহাস। ইসাকের দুই ভাতিজা- আরন তাকে ব্যবসার কাজে সহায়তা করে, আর “অসুস্থ” ইসমায়েলকে সবসময় একটা ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়, রাতে তার গানের আওয়াজ শোনা যায়। সফল পাচারের পর ফানি ও আলেকজান্ডারকে আনা হয় ইসাকেরই বাড়িতে, বাড়িটি যেন মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত জিনিসপত্রে ঠাসা, কোনটা বিক্রি আর কোনটা হয়তো বিনিময়ের জন্য। মধ্যরাতে আলেকজান্ডার ঘুম থেকে উঠে প্রস্রাব করতে যায়, কিন্তু ফেরার পথে শোবার ঘরের পথ হারিয়ে ফেলে, হঠাৎ চমকে উঠে ঈশ্বরের দেখা পেয়ে, ভয়ে কাতর হয়ে যায় ঈশ্বরের সাথে কথা বলতে গিয়ে। কিন্তু পরে আবিষ্কার করে একটা পুতুলকে ঈশ্বর বানিয়ে আড়াল থেকে তাকে ভয় দেখাচ্ছিল আরন। এরপর তাকে ইসমায়েলের সাথে দেখা করতে তার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসমায়েলের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় একটি মেয়েকে যার কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। ইসমায়েল আবার বিশপের বাড়িতে কি হচ্ছে “দেখতে” পারে এবং এমনকি সে বাড়ির ঘটনা নিয়ন্ত্রণও করতে পারে যার ফলশ্রুতি এক সময় বিশপের বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া।

এই সিনেমায় রূপকথার গল্পের অনেক উপাদান আছে, কিন্তু সবার ওপরে এটি হচ্ছে আলেকজান্ডার আশপাশের ঘটনাগুলোকে যেভাবে যতটুকু বোঝে তার গল্প। জাদু যদি আসলেই বাস্তব হয়, ভূত বলে যদি আসলেই কিছু থেকে থাকে তাহলে থাকুক না! বারিমান অনেক সময়ই তার সিনেমায় অতিপ্রাকৃতকে গ্রাহ্য করেছেন। আরেক দিক থেকে চিন্তা করলে, সিনেমাটিকে ফানি এবং আলেকজান্ডারের স্মৃতির প্রিজম দিয়ে দেখা কিছু ঘটনা হিসেবে ভাবা যায়। হয়তো আধেক মনে রাখা আর আধেক ভুলে যাওয়া সব ঘটনার সমন্বয়ে এমন একটি গল্প তৈরি হয়েছে যা তাদের জীবন ব্যাখ্যা করে।

যেটা নিশ্চিত তা হচ্ছে, বারিমান এখানে তার নিছক গল্প বলার চক্র থেকে বেরিয়ে এসে এমন কিছু ধারাবাহিক মোহাবিষ্ট ঘটনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন যার মধ্যে স্বপ্নের স্পষ্টতা ও মোহিনীশক্তি দুটোই আছে। খুব কমই কোন সিনেমা দেখার সময় আমার অনুভূতি এতো তীব্র হয়ে উঠেছে যে মন চলে গেছে বিকল্প কোন বাস্তবতায়। ইয়াকোবিদের বাড়িতে রাতের দৃশ্যগুলো আমার দেখা সবচেয়ে রহস্যময় ও কৌতূহলোদ্দীপক দৃশ্য বললে খুব একটা অত্যুক্তি হবে না। ঘটনা সুনসান নিরবতা ও স্বপ্নময়তা দিয়ে শুরু হয়ে ভয়ানক বিশৃঙ্খলতায় রূপ নেয় যখন ইসমায়েল শান্ত ও মিষ্টিভাবে আলেকজান্ডারকে দেখায় কিভাবে সব সমস্যার সমাধান হবে।

সিনেমাটি দেখতে ভয়ানক সুন্দর, চিত্রগ্রাহক বারিমানের দীর্ঘদিনের সহযোগী স্ভেন নিকভিস্ট (Sven Nykvist)। তিনি সর্বক্ষণ একডাল পরিবারকে বর্ণ ও উষ্ণতায় ঘিরে রেখেছেন আর বিশপের বাড়ি থেকে জীবনের শেষ রক্তবিন্দুটি পর্যন্ত শুষে নিয়েছেন।

চরিত্রের সংখ্যা অনেক, সবাই মাতামহ হেলেনাকে ঘিরে আবর্তিত হয় যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন গুন ভালগ্রেন (এক পর্যায়ে চরিত্রটির জন্য ইনগ্রিড বারিমানের কথা ভাবা হয়েছিল)। পুষ্ট অধরবিশিষ্ট উষ্ণ ও সেক্সি ভালগ্রেনের ইসাকের প্রতি রয়েছে এক সঞ্জীবনী মায়া। বারিমান মনে করতেন তিনিই সিনেমার সর্বোত্তম অংশ। গল্পের সবচেয়ে দ্বান্দ্বিক চরিত্র এমিলি (এভা ফ্রোলিং)। সে বিশপকে বিয়ে করে ভালবাসার তাগিদে, কিন্তু ভয়ঙ্কর কষ্টের সাথে তার ভুল ভাঙে, সে বুঝতে পারেনি বিশপ কেমন মানুষ। ভেবেছিল এভাবে সে তার সন্তানদের রক্ষা করতে পারবে, কিন্তু পারে নি। তার হেলেনাকে দেখতে যাওয়ার দৃশ্যটি হৃদয়বিদারক। গুস্তাফ (ইয়ার্ল কুল্লে) ও আলমার (মোনা মাল্ম) বিয়ে এতোটাই উন্মুক্ত যে বারিমান একটি অনন্যসাধারণ দৃশ্য উপস্থাপন করতে পেরেছেন যেখানে গুস্তাফকে তার স্ত্রী ও এমিলির সাথে তার প্রেম নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়, এবং এক পর্যায়ে তারা সবাই একসাথে পরিচারিকাটির জন্য সবচেয়ে ভাল কি হবে তা নির্ধারণ করে। বিশপ (ইয়ান মাল্মসো) খুব ট্র্যাজিক এবং অশুভ মানুষ, নিজের ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতার কারণেই সে কঠোর, নিজেকে কিভাবে থামাতে হয় জানা না থাকার কারণে নিষ্ঠুর, ক্লেশাক্রান্ত কারণ আগে সবাই তার প্রশংসা করে ভাবলেও সে এখন বুঝতে পেরেছে আসলে সে ঘৃণীত, এমিলির কাছে একথা স্বীকার করে।

এটা বেশ বড় সিনেমা, ১৮৮ মিনিট, সাথে একটি মধ্যবিরতি। কিন্তু বারিমান যে সংস্করণটি বেশি পছন্দ করেন সেটি আরও দীর্ঘ, ৩১২ মিনিটের মূল চলচ্চিত্রটি সুইডিশ টেলিভিশনের জন্য নির্মাণ করেছিলেন। দুটোই ক্রাইটেরিয়ন কালেকশনের ডিভিডিতে পাওয়া যায় যাতে সিনেমাটির নির্মাণ নিয়ে বারিমানের একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চিত্রও থাকে। তবে প্রথমবারের মত সিনেমাটি হলে দেখলেই সবচেয়ে ভাল, কারণ এর রঙ এবং ছায়া খুবই সমৃদ্ধ ও প্রগাঢ় আর শব্দও খুব আচ্ছন্ন করে রাখার মত।

সিনেমা শেষে আমি অবদমিত হয়েছি, প্রফুল্ল হয়েছি; আমার এমন কিছু হয়েছিল যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়, সে ছিল আধ্যাত্মিক, তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল বারিমানের অতীন্দ্রিয়তা; তার সৃষ্ট একটি চরিত্র বলেছিল, আমাদের একের জীবন অপরের জীবনের মাঝে প্রবাহিত হয়, একটি ক্ষুদ্র বালুকণাও “ঈশ্বরের” একটি ধারণা, এমন একটি স্তর আছে যেখানে আসলে আমাদের এই সবকিছু সংঘটিত হয়।

মন্তব্য: ব্রিটিশ চলচ্চিত্র সাময়িকী সাইট অ্যান্ড সাউন্ড যখন পৃথিবীর নানা পরিচালক ও সমালোচকদেরকে আগের ২৫ বছরের সেরা চলচ্চিত্রগুলো নির্বাচন করতে বলেছিল তখন তাদের তালিকায় ফানি অ্যান্ড আলেকজান্ডার ছিল তিন নম্বরে, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার অ্যাপোক্যালিপস নাও এবং মার্টিন স্কোরসেজির রেইজিং বুল-এর ঠিক পরেই।

২ টি মন্তব্য : “ফানি ও আলেকজান্ডার (১৯৮২)”

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।