বিফোর মিডনাইট (২০১৩)

২০১৩ সালে এসে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি রিচার্ড লিংকলেটারের “বিফোর” ট্রিলজি ইতিহাসে একটা বিশেষ জায়গা করে নেবে। ট্রিলজিটা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে, বিফোর সানরাইজ-এর মাধ্যমে, যেখানে অভিনয় করেছিলো ২৪ বছর বয়সী মার্কিন অভিনেতা ইথান হক (জেসি চরিত্রে) ও ২৫ বছর বয়সী ফরাসি অভিনেত্রী (১৯৯০ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত) জুলি দেলপি (সেলিন চরিত্রে)। এর নয় বছর পর ২০০৪ সালে বিফোর সানসেট-এ ইথান ও জুলি আবার একত্রিত হয়,

বিস্তারিত»

আরগো, ইরান হোস্টেজ ক্রাইসিস ও কিছু অসঙ্গতি

Argo দেখলাম। যদিও একটু দেরি হয়ে গেল। বিভিন্ন কারনে মুভিটা দেখা হচ্ছিল না। অবশেষে সময় করে দেখে ফেললাম। আমি অভিনেতা বেন এফ্লেক এর তেমন একটা ভক্ত না, কিন্তু ডিরেক্টর বেন এফ্লেকের বিশাল ভক্ত। অসাধারণ একজন  ট্যালেন্ট। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে Good Will Huntingএর জন্য ম্যাট ডেমনের সাথে বেস্ট স্ক্রিন প্লে ক্যাটাগরিতে অস্কার পেয়েছিলেন সেই ১৯৯৭ সালে। আর্গো র জন্য এবার বেস্ট ডিরেক্টর এওয়ার্ড পেলেন গোল্ডেন গ্লোব এ।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ কড়চা-২

২০০২ থেকে ২০০৮।আমার ক্যাডেট লাইফ।ভালোয় মন্দে মিশিয়ে কেটেছে জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর এই ছয়টি বছর।যেকোন ক্যাডেটের এই ছয়টি বছর কাটে অনেক ঘটনাবহুল।আমিও ব্যাতিক্রম না,মাঝে মাঝে মনে হয় আমার ক্যাডেট লাইফ একটু বেশিই উরা-ধুরা।কলেজের গল্প করতে কার না ভালো লাগে?ছয় বছরের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে আমার এই সিরিজ ‘ক্যাডেট কলেজ কড়চা’।আগেই বলে নেই ঘটনাগুলো ক্রমানুসারে সাজানো নয়।যেটা আগে মনে আসবে সেটাই লিখবো আগে।

(ডিসক্লেইমারঃধূমপান ক্যানসার সহ নানা প্রকারের দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হতে পারে)

বয়স তখন ১৩ কি ১৪।ক্লাস এইটের কোন এক ছুটি।দুই দুষ্টু (ক্যাডেট)বন্ধুর প্ররোচনায় সিগারেটে হাতেখড়ি।আমার ভাব তখন দেখে কে?২ দিনে মনে হলো অনেক বড় হয়ে গেছি।অসম্ভব(!)স্মার্ট লাগতে লাগলো নিজেকে।তার উপর বিলবোর্ডে নেভির প্যাকেট সামনে রেখে জাহিদ হাসানের ছবি,লেখা “শেষ পর্যন্ত সিগারেটটা ধরেই ফেললাম”।ভ্যাকেশনে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খেতাম বাথরুমে,অনেক রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে।মাঝে মাঝে মিসটাইমিং হয়ে যেত।আম্মা বলতো রাতদুপুরে নাকি বিড়ির গন্ধ পায়।নানী এগিয়ে আসতো আমাকে বাঁচাতে,বলতো পাশের বাসার আঙ্কেল রাতে বিড়ি খায়।

বিস্তারিত»

তারেক ওসমানের নিবন্ধ

অনুবাদকের দুই পয়সা

সবার মতোই আমিও পত্রপত্রিকা পড়ি। সময় পেলে বেশ খুঁটিয়েই পড়ি। অনেক সময়ই দেশের চলমান ঘটনাগুলোতে বিশেষত রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে হতাশ হই। আমি নিশ্চিত যে এটা আমি একা নই, আরো অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। এ মাসের প্রথম দিকে যখন মিশরে সামরিক বাহিনী জনসমর্থন সাঙ্গ করে নির্বাচিত ইসলামিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে ক্ষমতাচ্যুত করে – সংবাদমাধ্যমে তার গতিপ্রকৃতি খেয়াল করছিলাম আর মনে হচ্ছিল এ যেন আমাদের দেশের ‘ওয়ান ইলেভেন’

বিস্তারিত»

জিসান এর মত চাই না মুহিব ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাক

২১ ডিসেম্বর ২০১১ , দিনটা ছিল আমার জীবনে অন্যতম বেদনাদায়ক একটা দিন । এই দিনে আমার কলেজের বন্ধু জিসান ব্লাড ক্যান্সারে মারা যায় । জিসান ছিল আমার কলেজের ভাসানী হাউস এর । ২-৩ দিন আগে ব্যাচ গ্রুপে হঠাৎ নাফিজের পোস্ট দেখে স্তব্ধ হয়েছিলাম অনেক ক্ষণ, কোন কমেন্ট করতে পারিনি । পোস্টটা ছিল আমাদের গাইড ব্যাচ এর মুহিব  ভাই কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত । আবার এই ক্যান্সার এর আক্রমণ !

বিস্তারিত»

পাঠকের ডায়েরিঃ স্মৃতি উসকে দেওয়া বই- খাকি চত্বরের খোয়ারি

ফেসবুকে বইপড়ুয়া বলে একটা গ্রুপ আছে। শাহাদুজ্জামানের বইয়ের খবরটা সেখান থেকেই পাই। লেখক হিসেবে শাহাদুজ্জামান এমনিতেই পছন্দের তালিকায় আছেন তার উপরে বইটা যখন ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লেখা তখন আর তার উপর নজর না দিয়ে পারি নাই। ক্যাডেট কলেজ নিয়ে যেখানে যা পাই পড়ি, নিজের অভিজ্ঞতার সাথে অন্যদেরটা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি। তাই আজিজে বইটা চোখে পড়তেই কিনে ফেললাম। এরপর শুধু চুপচাপ পাতা উলটে যাওয়া।

শুরু টা একটু জড়সড়।

বিস্তারিত»

মুহিব বাঁচবেই

কৃতজ্ঞতা: রেজা শাওন, পিসিসি, ২০০১-২০০৭

মুহিবদের ব্যাচের একজন হাসান যখন আমাকে বলল, ভাই মুহিবের জন্য ফান্ড রেইজের কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভব হলে একটা লেখা রেডি করেন। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াগুলোতে লেখাটা ছাপানো প্রয়োজন। হাতে সময় একেবারেই নেই। হাসানের মেসেজটা পাওয়ার পর আমি আমার বয়স হিসেব শুরু করলাম। পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ এর হিসেবে আমার বয়স চব্বিশ হতে আরও দুই মাস বাকী। জীবনে এখনও আমার কী কী করা বাকী সেই লিস্টটা যখন আমি বের করি,

বিস্তারিত»

বন্ধু বিয়োগ

বন্ধু ছাড়া কি চলে?
না চলে না।

বন্ধু দিবস ও তো রয়েছে এর প্রমাণ দিতে যে বন্ধুত্ব কতোটা প্রয়োজনীয় জীবনে।
প্রাণিজগতে কি বন্ধু আছে? মানে বন্ধুত্বের চল আছে? দল বেধে অনেকে চলে বটে কিন্তু তাকে কি বন্ধুত্ব বলা চলে! জৈবিক কারণে কোন কোন প্রাণি জোড়া বাধে, সন্তান উৎপাদন করে, কেউ ভালোবাসে, কেউ বাসে না। তবে মায়েরা বোধকরি ভালোইবাসেন। বাবারা কখনো সখনো সন্তানকে মেরে উদরপুর্তিও করেন।

বিস্তারিত»

চেতনা চোরদের জবাব দিতে হবে

শাহবাগে আবেগ চুরি গেল
চেতনা জমা নিয়ে সুদ তুলল
তথাকথিত দেশপ্রেমিকের দল।
ওরা ভুলে যায়
আমার চেতনা শুধু তিন শব্দেই নয়
বুকের ভেতর পুষে রাখছি রাগ
শরীর জুড়ে আমার বাংলাদেশ
হৃদয় আমার পূর্ণ শাহবাগ।
…………
সুদখোরদের জবাব দিতে হবে
চেতনাচোরদের জবাব দিতে হবে।

 

বিস্তারিত»

নতুন সূচনা

– এই ছেলে এই……………………।
কিছুটা অবাক রাত ২টা বাজে এমন সময় এইভাবে কোন মেয়েলী স্বরের ডাক নিশ্চয়ই কেউ আশা করবে না। ঘুরে তাকাতেই দেখলাম হলুদ কামিজ আর সবুজ সালোয়ার পরিহিতা আমাকে তার কাছে এগিয়ে যেতে অনুরোধ করছেন না ঠিক আদেশ দিচ্ছেন। কিছুটা ভয় পাওয়া স্বাভাবিক একে রাত তার উপর কমলাপুর রেলস্টেশন আশে পাশে আর কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। তবে যে ধারণাটা মনে আসছিল তা সত্যি হবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

বিস্তারিত»

ধর্ষিতা

মে মাসের বৃষ্টিভেজা কোন এক রাত ছিল। পাশের বাড়ির তুলির মায়ের কাছ থেকে দু’কোচ চাল ধার করে এনে রান্নায় চড়িয়েছিল রঞ্জনা। বৃদ্ধা মা চৌকিতে শুয়ে বাতের ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন। তিন বছরের পুত্র নিলয় ক্ষুধায় কাতর হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। পাঁচ বছরের অরিন্দম তখনো কাঁদছিল। এমতাবস্থায় ঘটনাটা ঘটল। রঞ্জনা স্পষ্ট শুনতে পেলেন বকরের কন্ঠ। পাশের বাড়ির তুলির ওপর ওপর নজর রাখত এই বকর। একবার পুকুরপাড়ের বাঁশবনে একা পেয়ে নষ্টামির সুযোগও নিয়েছিল,

বিস্তারিত»

একাত্তরে দুইটি “নেয়ার ডেথ” অভিজ্ঞতা ও এর সাথে সংস্লিষ্টগণ

একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলা কালে অন্তত দুইবার আমার আব্বা নিশ্চত মৃত্যুর খুব কাছ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন।

প্রথম ঘটনাটা এইরকমঃ
সানাউল্লাহ নামে নড়াইল তুলারামপুরের বাসিন্দা এক রাজাকার কমান্ডার ছিলেন নড়াইল সদরের দায়িত্বে। তাঁর কিছু প্রতিনিধি তৎকালীন নড়াইল বাসস্ট্যান্ডে থেকে তাঁর আইজ এন্ড এয়ার হিসাবে লক্ষ রাখতেন যারা আসা যাওয়া করছেন তাঁদের মধ্যে পাকিস্তানবিরোধি বলে সন্দেহভাজন কেউ আছেন কিনা।
জুন মাসের প্রথম দিকে আমাদেরকে মায়ের মাতুলালয় লোহাগড়া থানাধীন পাচুরিয়া গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে আব্বা জীবিকার সন্ধানে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন।

বিস্তারিত»

নতুন শহর

কিছু কিছু দিন থাকে যেদিন চন্দ্রবিন্দু বাজতে থাকে ঘরে। ছিমছাম আবহাওয়া। এই দিনগুলোতে ছিমছাম জীবন, ছিমছাম গুছানো চিন্তা আর ভালবাসা জড়ানো মন পেতে ভাল লাগে, আর ভাল লাগে বারবার অবাক হতে, চন্দ্রবিন্দু কেন এত অছাম। একই ঘটনা ঘটে মহীনের ঘোড়াগুলি কিংবা অঞ্জন…কিংবা আরও অনেকের সাথে। এই সময়গুলোতে আক্ষরিক অর্থেই একটা প্রশ্ন বারবার ঘোরাফেরা করে, তবে শাহরুখ খান নয় কেন? কিংবা বাপ্পি লাহিড়ী? আনুশেহ আস্তে করে উত্তর দিয়ে যায়,

বিস্তারিত»

পাঁচ মিনিট বিরহের গল্প/ ৪

– তোমার নতুন রুমমেটের সমস্যা কী?
– হার্টের সমস্যা মনে হয়
– নাফিস, ঠিকমতো কথা বলো
– জি, অবশ্যই অবশ্যই
– তোমার সমস্যা কী?
– বিরাট সমস্যা
– মাইর চিনো?
– জি, চিনি
– খামচি চিনো?
– জি, চিনি। যাদের নখ বড় তারা খামচি দেয়, যেমন বাঘ, সিংহ, বিড়াল ইত্যাদি
– আমি বাঘ নাকি সিংহ?

বিস্তারিত»

খঞ্জনী

আমাদের গল্পটা শীতের শেষের দিকে এক বিকেলের। ম্যাড়মেড়ে, ক্লান্ত কিংবা ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে বসে থাকার কোন বিকেল নয় সেটা। ঝরা পাতার মর্মর শব্দ আর ঠান্ডা বাতাসের শো-শো আওয়াজের সাথে উজ্জ্বল হলদে রোদে ভরা সে বিকেল। এমন সময়ে মনে হয় না কারো ইচ্ছে করে লেপ-কম্বল গায়ে ঘরে বসে থাকতে। বরং ইচ্ছে হয় গরম কাপড় গায়ে চড়িয়ে পকেটে দু’হাত ঢুকিয়ে একলা পথে হাঁটতে। আমি তাই পথে বেড়িয়ে পড়ি।

বিস্তারিত»