প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ

শুনলাম কাল নাকি বৃষ্টি হবে-
ছাতা নিয়ে এসোনা খবরদার!
আবার বলছি- ছাতা কেড়ে নেবো ঠিকই,
বৃষ্টিতে ভিজি না অনেকদিন তোমার সাথে;
বৃষ্টিভেজা তোমায় যে দেখিনা কতকাল।

রিকশাওয়ালাদের সাথে একটা চুক্তি করেছি আমি,
কেউ যাবে না আজকে -যেখানে তুমি যেতে চাও।
রোদে হেঁটে, ঘেমে ঘেমে মুখ লালচে করে ফেলো তুমি।
তোমার জন্য রুমাল কিনেছি একটা।

এরপর যখন দেখা হবে-
ইচ্ছে করে চশমাটা ভেঙ্গে ফেলবো আমার।

বিস্তারিত»

একজন সুপারস্টার এর গল্প

২০০৪ সাল! ক্লাস সেভেন এ আমরা তখন। সবে মাত্র কলেজে ঢুকেছি তখন। পান থেকে চুন খসলেই তখন ভয়ে আমাদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যায়। একদিন কোন এক ইমিডিয়েট সিনিয়র ভাই কি একটা কাজে আমাকে ১১ নাম্বার রুমে পাঠান। আমাদের কলেজে কোন সিনিয়র এর রুমে ঢুকতে হলে দরজার পাশে দাড়িয়ে সোজা সামনের দিকে তাকিয়ে পারমিশন নিতে হয়। ১১ নাম্বার রুমের জন্য স্পেশাল একটা পারমিশন ছিল। মে আই কাম ইন প্লিস এর জায়গায় আমাদের বলতে হতো,”বলে কাছা আমা সুখ”

বিস্তারিত»

কৃতঘ্ন বাঙালি আমরা।

ভোদাই বাঙ্গালির বুদ্ধি-শুদ্ধি জীবনেও হবে না।

একবারও ভেবে দেখেছেন বিষয়টা? মানুষগুলো সারাদিন বসে আছে, যেই তার কাছে আসছে বলছে “আমার পেটে ব্যথা, আমার মাথা ঘুরায়, আমার ডাইরিয়া, আমার চুলকায়,আমার কুঁচকিতে ঘা,আমার বিচি ফুলে গেছে” টাইপ কথাবার্তা। জীবনের প্রতিটা দিন মানুষগুলো অন্যের অসুখের কথা শোনে। আমাকে, আপনাকে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করে। যেন আমরা ভাল থাকি, সুস্থ্য থাকি। এরা যখন ডিউটিতে থাকে তখনতো করেই, ডিউটি ছাড়াও এখন তো মোবাইলের যুগ।

বিস্তারিত»

কিছু ভাবনা, কিছু শঙ্কা

ঘটনাটি খুবই সাম্প্রতিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে। না এটি নিয়ে আমি লুকানোর কিছু দেখছিনা। ২০১৩ সালে পাশ করা ক্যাডেট কলেজের এক ছেলে একই বছর গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করা প্রেমিকাকে মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলেছে। “মেরে তক্তা বানানো” কথাটি এখানে অলংকরণ হিসাবে ব্যবহার করি নাই। জখম হবার পরের একটি ছবি দেখার পরে আমার এই কথা মনে হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ পায় “ক্যাডেট নয়” [উদ্ব্যক্তি সংযুক্ত] এরকম একটি ফেইসবুক গ্রুপে।

বিস্তারিত»

লোকটি

পানি উন্নয়নের পশ্চিম পাড় ঘেঁসে
ছুটে চলেছে বরাহ মহাসড়ক
তার একটা বাচ্চা খালটির
বুক চিরে পুবের কচু ক্ষেতের দিকে।
কনক্রিটের ক্ষুরাঘাতে মৃতপ্রায়
নর্দমার রুপ নিয়েছে পাউবো।
সেখান থেকে সাড়ে তিন হাত দক্ষিণে
কাঠফাটা রোদে ঘুমিয়েছিল লোকটি।

কদমফুল মাথা ভাটের গোড়ায়
ডান তালুর উপর স্থির
পায়ের কাছে পড়ে আছে
সবুজ পানির বোতল।
আধভাঁজ করা হাঁটুর উপরে
অলস কবজি নড়ে উঠে একটুখানি।

বিস্তারিত»

আমাদের গন্তব্য কোথায়???

না এইটা পরকাল বিষয়ক পোষ্ট নয়।
ঐদিন কোরান হাতে নিছি। বউ কইলো,

“আবার কার সাথে যুদ্ধে নামছো?”

মাঝে মাঝে স্পষ্ট টের পাই এই এলো বলে, এই এলো বলে..
কি আসবে?
ওহি আসার কথা বলছি।

যাই হোক আর আঘাত দিতে চাচ্ছি না কাউকে। স্টে কুল।

সবাই কে বাঙলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।

বারো মাসে তেরো পরবের কথা বলা হলেও আমাদের আনন্দ করার সুযোগ খুব কম।

বিস্তারিত»

চারাগাছের পাতা ৭

কেউ একজন আমার সাদাকালো জীবনে আগুনরঙা কৃষ্ণচূড়া ফুলের মতন। আমার মন খারাপের একাকী মধ্যরাতে শুক্লপক্ষ চাঁদের মতন। কেউ একজন আমার ডান হাতের তর্জনী ছুঁয়ে দেয় গভীর মমতায়। ইউটিউব ঘেঁটে মেসি-রোনালদোর তুলনা করতে পারে কেউ। জীবনে একবারের জন্যও ফুটবল খেলতে না নামা কেউ একজন ঠিক আমার মতই ম্যারাদোনা-পেলে-রোনালদিনহো কে সরিয়ে ইতিহাসের সেরা হিসেবে মেনে নেয় এক ফরাসি ভদ্রলোককে। কেউ একজন আমার মতই ল্যাপটপের ওয়ালপেপারে ঝুলিয়ে রাখে টাক মাথার এই ভদ্রলোকের ছবি।

বিস্তারিত»

প্রথম এগার দিন

আমাদের সবার প্রিয় আব্দুল হামিদ ভাই ( ১/১) রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রথম এগার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি মহাকাব্য লিখেছিলেন। ইআরসিসির গ্রুপ মেইলে পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এই মুগ্ধতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হামিদ ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে ডাউনলোড করা মহাকাব্যটি সিসিবিতে প্রকাশ করলাম।

THE FIRST ELEVEN DAYS—IN NEVER NEVER LAND
–Dedicated to first three batches

Far removed from here
Far removed in time
Far removed in space—
Seventeen thousand
Two hundred
Eighty-four days
To be exact—
To date—
On that lazy afternoon
Of February One
Nineteen sixty-six
A French Citroen car
Carried me
Through the winding roads
From northern city Rajshahi
To an unknown destination
I was soon to discover
And initially
Dislike highly.

বিস্তারিত»

পান্তা ইলিশ বাতিক

[ শুভ নববর্ষ ]

পান্তা

আধপেটা বা সিকি পেটা যেদিন যেমন পাই
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
পেঁয়াজ মরিচ নাই।

ইলিশ

বিপদে আপদে পান্তা খায়
চাপিলা হোক বা জাটকা
ইলিশ খেতে মন চায়।

বাতিক

ঘটা করে নাগরিক
বৈশাখী উদযাপন
বার্ষিক পান্তা ইলিশ ভক্ষন।

বিস্তারিত»

অতিপ্রাকৃত

যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গেলেই সন্ধ্যার পর জমে উঠত জমপেশ ভূতের গল্প। রাতের খাবার দাবার পর্ব শেষ হবার পর হ্যারিকেনের আলোটা একটু কমিয়ে দিয়ে নিস্তব্ধ পরিবেশে মামারা যখন তাদের ভারী কণ্ঠস্বর অনেকখানি খাঁদে নামিয়ে এনে থেমে থেমে গল্প গুলো করতেন তখন সেখানকার সবকিছুই  ভৌতিক মনে হত। এমনকি একা বাথরুমে যাবার ভয়ে অনেক সময় ওটা চেপেই ঘুমিয়ে পরতাম। আজকাল কর্মচঞ্চল ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ভৌতিক কোন ব্যাপার নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামায়না।

বিস্তারিত»

আমার মা আমার জীবন

ক্লাসে বসে থেকে অনেক কস্টে মিলানোর চেস্টা করছি যে আমি আসলে এখানে কি করছি(!) এমন সময় পাশে বসা ছেলেটা আচমকা জিজ্ঞেস করে বসল, “ভাই, আপনার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত কোনটা?”

কিছুটা সময় নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমার জীবন! ক্লাস সেভেনে আনন্দের মুহূর্ত? বারবার জোর করে ষ্টেজে ওঠানো স্যার দের উপর চরম বিরক্ত হয়ে বলতাম “ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া”

বিএমএ আর বিএনএ তে চাপের মুখে বলতেই হত “গ্রিন কার্ড পাওয়া”

বিস্তারিত»

মেঘদূতম্‌

মেঘের নাম দিলেম মাদকতা,
বৃষ্টিকে উচ্ছ্বাস –
হা তোমার বালিকাবেলা
কাদামাটি
হ্যাঁ বালকের দিনগুলো
উদ্ভাস।

মেঘের ভেতর থেকে
পত্র আসে,প্রণয়ের গুপ্তকথা।
উচ্ছ্বাস তোর বাড়িতে
কে কে থাকে,
বজ্রের ক’জন সখা

আয় তবে সহচরী
এক্ষণে আচরি
প্রেম,
খাম খুলে পড়ো
বিরহী যক্ষ
কি লিখে পাঠালেম

কালার কালো
অক্ষর পড়ে
স্তনশীর্ষ জাগে,

বিস্তারিত»

সর্বদাই “লাস্ট”

ক্লাস সেভেন এ যাবার এক সপ্তাহের মধ্যে একটা পরীক্ষা হয়। মান যাচাই পরীক্ষা। তেমন কিছু না। ২০ কি ২৫ মার্কসের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, সাধারন জ্ঞান সবই থাকে। এতদিনের ‘ভাল’ ছাত্র ক্লাসে ফার্স্ট, সেকেন্ড হওয়া ছাত্র আমি। পাত্তাই দিলাম না। প্রশ্ন পাবার পর আমার চেহারা হল এই রকম। কসম। এই রকমই হইছিল। 1384089_580650091997778_1524256330_n

পরীক্ষা শেষ করলাম। ভাবলাম যাক বেচে গেলাম। দেখি,

বিস্তারিত»

রাইট টাইম, রাইট ক্লিক

আসুন কিছু ছবি দেখি।
নাম দিলাম রাইট টাইম, রাইট ক্লিক।
13925689535300ea79d611e

মনে হইতেছে দুই দোস্ত। পাখিটা মাইন্ড করছে আর তিমিটা খেলা দেখাইয়া দোস্তের মান ভাঙ্গাইতেছে।
13925689645300ea841b35e

বেটা আমার দেখা বেষ্ট সার্ফার।
13925689735300ea8d5e3da

বলতো আমি কয়জন?
একের ভিতর তিন।

13925689835300ea974a3cb

সারাটা দিন গ্লাভস পইড়া বইসা ছিলাম।

বিস্তারিত»