আমাদের সদা হাস্যোজ্জল বন্ধু তারিক (তারিকুল ইসলাম তালুকদার) আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। অনেক রাত পর্যন্ত ভাবীর সাথে গল্প-গুজব আর হাসি ঠাট্টা করে সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল তারিক।যতদূর জানলাম, সকালে বাথরুমে যেয়ে আর ফেরেনি তারিক, বড় মেয়ের সন্দেহে ভাবী স্কুল থেকে এসে দরজা ভেঙ্গে তারিককে ফ্লোরে শোয়া দেখতে পান, নাক দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছিল দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে ওর হয়তো ম্যাসিভ স্ট্রোক হয়েছিল।
কলেজে তারিক বরাবরই ছিল শান্তশিষ্ট। কিন্তু সবসময়ে হাসিখুশি এই তারিক খেলার মাঠে ছিল দুরন্ত, চৌকস আর প্রতিপক্ষের কাছে ভয়ংকর। কৈশোরে আমরা যেমনটি করি, তারিকের স্পোর্টসম্যানশিপ আর হ্যান্ডসামনেসের দিকে আমরা ঈর্ষার সাথে তাকিয়ে থেকে ভাবতাম, ইস যদি ওর মত হতে পারতাম।
মিরপুরে তারিকের জানাজা পড়তে গিয়ে ওর ছোট দুটা মেয়েকে দেখে বুকটা চিরে গেল। ছোটটা (৪) কিছু বুঝছে না – ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। বড় মেয়েটি কেঁদেই চলেছে ‘আমি আব্বুকে ছাড়া থাকব না…’ – এ দৃশ্য সহ্য করা কঠিন, খুব কঠিন…
বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শুধুমাত্র স্ট্যাটাস, লাইক বা কমেন্ট দিয়ে ক্ষান্ত না হয়ে সবাই আসুন এর পাশাপাশি কার্যকর পন্থায় ওর জন্য ওর পরিবারের জন্য মনে মনে, প্রার্থনায় বা দু-রাকাত নামাজে, কিছু সেকেন্ডের জন্য স্রস্টার কাছে দোয়া করি…
আল্লাহ তুমি তারিককে চিরস্থায়ী শান্তির ফয়সালা করে দাও…
🙁 ভালো থাকুক যেখানেই থাকুক।
আল্লাহ ওনাকে বেহেস্ত নসিব করুক।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ইন্না লিল্লাহ
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এত অল্প বয়সে!
ভাবতে পারছিনা।
আশেপাশের মানুষগুলি এইভাবে হঠাৎ করেই নাই হয়ে যায়।
খুব খারাপ লাগে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আল্লাহ্ ভালো রাখুক ভাইয়াকে।
তোমাকে দেখিনি তারিক । তবে মনে হয় দেখা হতে দেরী হবে না 🙁
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ইন্নালিল্লহি ওয়া ইন্না ইলাইহি ওয়া রাজিউন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভালো থাকুন তারিক ভাই...
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
আল্লাহ তারিক ভাইকে জান্নাতবাসী করুন।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..