যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই বাস্তব কাজের অগ্রগতি সরকার দেখাতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, এদের বিচারের বিরুদ্ধে বাইরের কোনো শক্তির চাপ নেই। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংন্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের দিক থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কোনো চাপ নেই। তারা বরং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচার দেখতে চায়। এক্ষেত্রে সহায়তাও দেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তদন্তকারী ও সরকারি কৌসুলীদের প্রশিক্ষণ দেবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে সচেতন থাকলেও এ নিয়ে নিজের জানা-বোঝা যে তেমন কিছুই ছিল না, সেটা আগেই জানিয়েছি। ছোট ভাই রায়হান রশীদের একরকম লেগে থাকা মনোভাবের কারণে সম্প্রতি এ নিয়ে আগ্রহী হই। কিছু সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে আজ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের একটা মতবিনিময় সভা ছিল। সভায় আইনমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার (অবঃ) এবং ফোরামের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে আমিও ছিলাম। ফলে তোমাদের নানা প্রশ্ন, বিভ্রান্তির বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অগ্রগতি নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চেয়েছি। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে যারা কাজ করছে সবাইকে একসঙ্গে করা, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, একেক মন্ত্রীর একেক রকম কথা বলা বন্ধ করা, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একজন মুখপাত্র ঠিক করা এবং বাস্তব কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছি। ১৯৭৩-এর আইন সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। সংশোধনী যা হয়েছে তা যথেষ্ট কিনা জানতে চেয়েছি। ব্লগের সঙ্গে যুক্ত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্খার কথা তুলে ধরেছি। আমরা ১৬ ডিসেম্বরের আগেই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করার জন্য মন্ত্রীদের বলেছি। আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বেশ বিস্তারিতভাবেই অগ্রগতি সম্পর্কে আমাদের অবহিত করেছেন। তার বক্তব্যের প্রায় পুরোটাই এবিসি রেডিও’র জন্য রেকর্ড করা হয়েছিল। বিশ মিনিটের বক্তব্য দুটো ফাইলে এই পোস্টের সঙ্গে দিলাম। তোমরা যারা এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তারা এটা শুনে নিতে পারো।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীর বিচারকাজ পরিচালনায় সরকারের আইনি দাপ্তরিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে ট্রাইব্যুনালের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ। ১৪ নম্বর আব্দুল গনি রোডের ভবনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলবে। বিচারালয় ছাড়াও সেখানে তদন্তকারী, সরকারি কৌসুলীদের অফিস হবে। আদালতে পর্যবেক্ষক ছাড়াও সাংবাদিকদের বসার জায়গা থাকবে। অর্থাৎ প্রকাশ্য আদালতে বিচার হবে। অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের পুরো সুযোগ পাবে।
আরেক ছোট ভাই শওকত হোসেন মাসুম একটি পোস্টে আইন কমিশনের কাজ নিয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছিল, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি। আইনমন্ত্রী বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে আইন কমিশনের মতামত চেয়েছিলেন। এর মধ্যে যেহেতু আইনের সংশোধন সরকার করে ফেলেছে তাই কমিশনের ওই কাজের আর কোনো গুরুত্ব নেই।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী পর্যবেক্ষক বিচার কাজ দেখতে আসবেন বলে আশা করেছেন আইনমন্ত্রী। আগ্রহীরা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের বক্তব্য নিচের দুটো ফাইল নামিয়ে শুনতে পারো। তাহলে এ নিয়ে তোমাদের ধারণাও পরিস্কার হবে।
😀 😀 😀 😀
মনে হচ্ছে আমিই প্রথম...
যেইভাবে সব দাত বের করে হাসি দিছ............ :-B
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
জটিল। :thumbup:
বক্তব্য আগামী কালকে শুনবো। এখন ঘুমাই।
আরেকটা কথা, এতে খুশি হবার কিছু নাই। আমাদের কাজ আমাদের করে যেতে হবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
দারুণ কাজ হয়েছে সানা ভাই। একেবারে ব্যতিব্যস্ত করে তুলতে হবে সরকারের এই সব কর্ণধারদের। এভাবে আপনি আর আপনার সহকর্মীরা আরও কয়েকটা দিন অন্তত চালিয়ে গেলেই এদের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে এটা সেটা বলে সাংবাদিকদের প্রবোধ দেয়ার দিন শেষ 🙂 দেখবেন ভাল করে হোমওয়ার্ক না করে মিডিয়ার সামনে আসা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে ওই সব কর্ণধারদের।
এদিকে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সাথেও এ সপ্তাহে কথা হয়েছে আমাদের এক ফোরাম সদস্যের। খুব দায়সারাগোছের সব উত্তর। ছাই দিয়েই মনে হয় চেপে ধরার সময় এসেছে।
ধন্যবাদ রায়হান। আসলেই সব পর্যায় থেকে চাপ প্রয়োগের নীতি নিতে হবে। অর্থমন্ত্রী নিজেও ওই বৈঠকে একই কথা বলেছেন। বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। আমারও মনে হয়, এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
আমরা সিসিবি থেকে কি কিছু করতে পারি? একটা মানবন্ধন বা মোমের আলোয় প্রতিবাদ? সবাই মত দাও। তাহলে এটাকে একটা রূপ দেওয়া যায়। প্রয়োজনে সমমনা সব ব্লগ গোষ্ঠীকে নিয়ে এ রকম একটা কর্মসূচি হতে পারে। যাতে অনেক বেশি মানুষ, দলকে যুক্ত করা যায়।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সহমত ভাইয়া...
(একটু অসুস্থ থাকায় কয়েকদিন করে সিসিবি তে ঢোকা হচ্ছেনা)
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
লাবলু ভাই,
আমরা তাদের বাধ্য করবো বিচার করতে।
বিচার হবেই।
সিসিবির আর্কাইভটাকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই।
জিহাদ হেল্প কর।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সাবাস লাবলু ভাই চালিয়ে যান,
আমরা আছি, বিচার না করে যাবে কই শালারা!!!!!!
মনে প্রাণে চাই এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, অতি দ্রুত।
যে কোনো কাজ এ সাথে আছি
মনে প্রাণে এদের বিচার চাই......
সাথে আছি, যদি কোন প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে পারি...
পেপারে আজকে খবরটা দেখে গর্বে বুকটা ভরে গেছে... B-)
সেই সাথে দেখতে পেলাম আশার আলো... :dreamy:
ঠিক বলছেন সানা ভাই, এক্কেবারে চেপে ধরে রাখতে হবে... :gulli2:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
১৯৭৩-এর আইন সম্পর্কে জানতে চেয়েছি।
ভাইয়া এটা নিয়ে একটা আর্টিকেল অনুবাদ করছি।আশা করি শিগগিরি দিতে পারব।
ইনশাল্লাহ, এদের বিচার হতেই হবে...এবং হবেই ইনশাল্লাহ...।।
@সানা ভাই,
বড় ভাইয়া হিসাবে আপনি ই কিছু একটা করার ডাক দিন ব্লগের পক্ষ থেকে...আমরা ইনশাল্লাহ সাথে থাকার চেষ্টা করব। কিছুইতো করি নাই জীবনে। এটুকুতো করতেই হবে।আমি না পারি, আরেকজন। মানে আমরা সাথে আছি।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
সানা ভাই,
ঐতিহাসিক এই ব্লগ দেখেও শান্তি!