অণু ব্লগঃ দুই

ডুরাভিলে আমাদের বাড়ীতে একটা কাঁচের ছাদওয়ালা ঘর ছিল। আমি বলতাম আমার মেঘের বাড়ী। আবহাওয়ার খবর না শুনেও আমি সেই ঘরে বসে টের পেতাম মেঘের ডমরু অথবা মধ্য রাতের ঝুম বৃষ্টি। আকাশের রাগ, অভিমান, উল্লাস অথবা চীৎকারে বা শীৎকারে আমার আশ্রয় সেই কাঁচের ঘরটি। টিনের চালে বৃষ্টির কান্না শোনা মানুষ আমরা, আমাদের কি আর মন ভরে কাঁচের চালের বৃষ্টিতে? আমার কিন্তু মন ভরতো ঐ টুকুতেই। বৃষ্টি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবালুতা আমার কোন কালেই ছিল না।

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগানঃ ২য় সংস্করণ

(১) কাস্টডিয়াল সার্ভিসের সহকর্মীরা একজন বাদে সবাই মার্কিনি। বয়সের হিসেবে ওরা সবাই বেশ ছোট বলা চলে। ১৯৯৪ সালে গায়ে ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে যখন প্রথমবারের মত ব্রাজিল-ইতালীর ফাইনালে “অনেকগুলো পেনাল্টি” দেখছি তখন ওদের অনেকেই হয়তো মায়ের কোলে হাস্যোজ্জ্বল ১৬-১৮ মাসের শিশু। প্রতিদিন আমার খাবারে গন্ধ শুঁকে বায়না ধরলো কিছু একটা বানিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কষ্ট করে হলেও কাবাব বানালাম। বাসাবাড়িতে মায়েরা সেদ্ধ মাংসের যেই কাবাব বানায় সেটি।

বিস্তারিত»

অ-দাস

দাসত্ব আমাদের সমাজে একটা ঋণাত্বক শব্দ। চিন্তায়, কাজে, এমনকি শরীরেও আকণ্ঠ দাসত্বে ডুবে থাকা একটা মানুষও চিন্তা করার সময় “দাসত্ব” ব্যাপারটাকে খারাপ হিসেবে জানে। যদিও তাদের কাছে “দাসত্ব” আসলে যে কি বস্তু, খায় না মাথায় দেয় সেটা পরিষ্কার না। আবার মজার ব্যাপার হল এই লোকগুলাই আবার “অ-দাসদের” সন্দেহের চোখে দেখে, একটা ঘিনঘিনে অবজ্ঞার ভাব নিয়ে অ-দাসদের দিকে তাকায়, দাসের মগজ দিয়ে ওদেরকে ঠিক বুঝা যায়না কিনা।

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ এক

আমার পড়শী শ্রীমতী ঊর্মিলা আর তার স্বামী শ্রীমান বলরাম সিং কে ছুটির দুপুরে দুটি ডাল ভাতের নিমন্ত্রন করেছিলাম। বিচিত্র কারণে এই দম্পতি আমাদের মা মেয়েকে খানিক স্নেহ করেন। উইকেন্ডে, জন্মদিনে অথবা পড়শীদের পটলাক পার্টিতে আমাদের কদাচিৎ দেখা সাক্ষাৎ ঘটে।

ওদের একমাত্র পুত্র অজয় আসে নাই সাথে, ও জর্জিয়া টেকে পড়ে। ছুটির দুপুরে ক্যাম্পাসে গেছে গ্রুপ স্টাডি করতে।

মোরগ পোলাউ, ভেড়ার রেজালা আর রায়তায় আমাদের সাদামাটা আয়োজন।

বিস্তারিত»

নিশীথ প্রলাপ।

রিয়ার ভিউ মিররে পেছনের গাড়ির তীব্র হেডলাইটের প্রতিফলনে চোখ যেন ঝলসে যায়। এদেশে কি কোন আইন কানুন নাই? এভাবে হাই-বিম মেরে এরা কি রাস্তায় মানুষ খুন করতে নামসে? রাস্তা ভর্তি লাইট। আলোর কোন কমতি নাই। তারপরও এত প্রকট আলো জ্বালিয়ে কি লাভ, শুনি? রাস্তার এপারে গাড়ি অনেক আস্তে চলছে। পাঁচ লেনের প্রশস্ত হাইওয়ে। রাত ১২টা ছুঁই ছুঁই। মঙ্গলবার পেরিয়ে বুধবার হবে। তারপরও এত জ্যাম কেন?

বিস্তারিত»

ডিজিটাল সুখ দুঃখ

পাঁচ মাস ফেইসবুক আর জিমেইলে ইলেক্ট্রনিক বার্তা চালাচালির পর অবশেষে স্কাইপে দেখা হলো রোদেলার সাথে।

: হ্যালো বিউটিফুল! ফাইনালি পাওয়া গেলো তোমাকে

আমি হাত নেড়ে বলি

: হাই, প্রিন্স অব নোভাই!

দুই হাত আর একমাথা ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে রোদেলা আমাকে উইশ করে

রোদেলাকে ভড়কে দিতে আমার চুলগুলোকে অনেক কায়দা করে একটা মোহক স্টাইল দিয়েছি একটু আগেই,

বিস্তারিত»

সিসিবি জমজমাট!

সিসিবি আবার জমে উঠছে, উঠেছে।

আমার অনেক ভাল্লাগছে!

(এইটা মনে হয় একটা পরমাণু ব্লগ হয়ে গেল)

বিস্তারিত»

জ্ঞান দিতে পয়সা লাগে না

কিছু মানুষ আছেন যাঁরা সুযোগ পেলেই উদার হস্তে জ্ঞানদান করতে মেতে ওঠেন, তা সে ব্যাপারে তাঁর জ্ঞানের দৌড় যত সীমিতই হোক না কেন। জ্ঞান দিতে তো পয়সা লাগে না, জ্ঞান থাকাও লাগে না! আমি এঁদেরকে খুব যত্ন সহকারে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। তারপরেও মাঝে মাঝে এঁদের খপ্পরে পরতে হয়। যেমন সেদিন, সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলার পরে আড্ডার মাঝে কথায় কথায় সাঁতার কাটার প্রসঙ্গ এল। আমি বললাম যে,

বিস্তারিত»

আমার প্রথম অণুব্লগ

যাইহোক কোন কারণে মনটা ডাইভার্ট করতে চাচ্ছিলাম। ভাবলাম আমিও অণুব্লগে সামিল হই। বুঝতে পারছি না লেখার বিষয়বস্তু কি হবে। আচ্ছা, সবাইকে স্বার্থপর হবার উপদেশ দিলে কেমন হয়? আগে নিজের ভাল তো জগৎ ভাল। আসলে স্বার্থপর না, একটি অভিযোগহীন জীবন কাটানোর চেষ্ঠা করলে কেমন হয়? অভিযোগ আছে তো সমস্যা লেগেই আছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় যে যেরকম তার ঈশ্বরও সেরকম। যার অন্তহীন অভিযোগ, তার ঈশ্বরও তাকে শুধু সমস্যার বাণ নিক্ষেপ করতে থাকে।

বিস্তারিত»

কন্যা-জায়া-জননীঃ আই অ্যাম সরি টু ইউ অল – এ প্রাইভেট কনফেশন

কন্যা-জায়া-জননীঃ আই অ্যাম সরি টু ইউ অল – এ প্রাইভেট কনফেশন

[আই অ্যাম নেভার সরি ফর হোয়াট আই ডিড, বাট অফেন অ্যাশেইমড অফ দ্যা ওয়ে আই ডিড]

এটা কোন গল্প নয়। কোন অনুধাবনও নয়; আবার হতেও পারে। আসলে এই লেখাটাকে আমার সামান্য কিছু স্মৃতির দিনলিপি বলা যেতে পারে। লেখাটার টাইটেলের সাথে পুরো লেখাটার মিল নাও থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০১৪,

বিস্তারিত»

দি নিউ মমিন্সিঙ্গা সার্কাসঃ ওয়ার্ল্ড কাপ এপিসোড (কিঞ্চিৎ ভাল্গার)

সরগরমে কাবাব বানায় যে ছেলেটা সে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দিয়ে ব্যস্ত হয়ে কাবাব বানাচ্ছে। সন্ধ্যায় ভালই ট্য্রাফিক থাকে। তার ঠিক সামনেই পার্কিং লটে একটা সাদা রঙের মিনি পিক আপ ভ্যান। আশেপাশে প্রচুর নাগরিক ব্যস্ততা। হঠাৎ কথা নাই বার্তা নাই একটা লোক, বয়স ত্রিশের কাছাকাছি, একটা স্যান্ডো গেঞ্জি আর পুরনো জিন্স পরনে, পিক আপে উঠে গেল। মোচ-দাড়িওয়ালা লোকটাকে চে’র অনুচর বলে ভুল হয়। সে মুষ্টিবদ্ধ দুই হাত উপরে তুলে হুট করে তারস্বর শ্লোগান শুরু করল
“ব্রা আ আ আ আ আ জিল,

বিস্তারিত»

শেষের কাছাকাছি

রোদ নেই,বৃষ্টি নেই।মেঘলা অলস দুপুর। আমি রুমের দরজা জানালা খুলে, বিছানার কিনারে চিৎ হয়ে অর্ধেকটা শরীর ঝুলিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি। ফ্রেঞ্চ রেডিও স্টেশনটাতে একের পর এক অপার্থিব গান বেজে যাচ্ছে। কয়েকদিন হল এটার প্রেমে পড়েছি আমি। আমি অবসেসিভ মানুষ, প্রেমে পড়ে গেলে উঠতে পারি না। মাঝেমাঝে চোখ মেলে উল্টো পৃথিবী দেখছি, সিলিং এর মরচেধরা লোহার বীম গুনছি। হুড়মুড় করে বিষাদ-বাতাস এসে দুলিয়ে যাচ্ছে সিলিং এর ঝুলগুলোকে।

বিস্তারিত»

ব্রাজিল জিতলে আমার কী লাভ ?

প্রত্যেক সফল পুরুষের নেপথ্যে থাকে একজন নারী। এই যেমন আমি। সাধারণ দেখোয়াড় থেকে বিশ্বকাপ দেখোয়াড় হয়েছি। শ্রেষ্ঠতর অর্ধাংশের অনবদ্য অনুপ্রেরণায় পদোন্নতি ঘটতে চলেছে। এবার হব রাজ দেখোয়াড়। বিশ্বকাপ ফাইনাল ছাড়া ফুটবল খেলা দেখবনা।পদোন্নতি ঘটলেই যে পরমানন্দ লাভ করা যায় তা কিন্তু নয়। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিন্তু তাঁর আগের জীবনকে ঈর্ষা করেন।আমিও করছি। এলোমেলো অনেক কথাই মনে হচ্ছে তাই।

ব্রাজিলের সমর্থকরা নিজেদের ফুটবল বোদ্ধা মনে করে আর অন্যদের আঁতেল ।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ ফুটবল, আমেরিকা, লাল সাদা ও নীল

“Can I have a brown ale?”
“Umm…sorry! We ran out of brown ale today!”
“What?! I thought only I drink that beer!”
“Unfortunately, that’s our second hit after November!”
“I’ll take a galaxy then!”
……………………………
“Good choice!”
ঘুরে তাকালাম। শশ্রুমন্ডিত আনুমানিক পঞ্চাশোর্ধ ভ্দ্রলোক। গেলাসে থাকা পানীয়ের রঙে আন্দাজ করলাম উনি গ্যালাক্সি নিয়েছেন। গ্রীষ্মকালীন ধাক্কা দেবার জন্য গ্যালাক্সী আই,পি,এ (ইন্ডিয়ান পেইল এইল) এই পানশালার বাৎসরিক বিখ্যাত সিগনেচার বিয়ার।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – বিশ্বকাপ ‘১৪

তেঁতুলগোলা পানিটার দিকে আমার ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকা দেখে খিলখিল করে হেসে দিলো পৃ। ‘ভাই, আরেক প্লেট দেন।’
‘ভাইজানরে দিমু না?’ আমার বিরক্তিকে আরেক দফা উসকে দিয়ে জানতে চায় ফুচকাঅলা।
আমারো যদিও জিভে ভালো মতোই পানি চলে এসেছে, তবু প্রাণে ধরে সেটা স্বীকার করতে পারিনা আর। একবার না করে ফেলেছি, প্রেস্টিজ কে খসাবে।
পড়ন্ত বিকেলে একটা মস্ত লালমতন সূর্যকে আড়াল করে মুগ্ধ চোখে পৃ-র মুগ্ধতা দেখি,

বিস্তারিত»