বৃষ্টিভেজা শনিবারে বন্ধু অরিন্দমের সাথে থাই কুজিনে খেতে গিয়েছিলাম। মাইল পাঁচেক ড্রাইভ করতেই তার পছন্দের রেস্তোরাঁটিতে পৌঁছে গেলাম। আমরা ভোজনবিলাসী মানুষ কিন্তু খাই ক্যালরী মেপে। দু’জনের জন্য খাবার অর্ডার করলে কখনোই শেষ করতে পারিনা। তাই বলি, তোমার পছন্দের সুপ আর এপেটাইজার বলো, আমি অর্ডার করছি মেইন ডিশ। দু’জন মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়া যাবে। ও চাইলো ফ্রাইড ক্যালামারি আর কোকোনাট সুপ। আমি চিংড়ি নাকি চিকেন নেবো এই নিয়ে ‘ইনি মিনি’ করে শেষ অবধি চাইলাম গরুর গোস্তে থাই পেনাং কারি। সাথে স্টিকি রাইস এলো ফ্রি। কোক জিরো নইলে অরিন্দমের চলেনা আর আমি চাইলাম এক গ্লাস বরফ দেয়া জল।
সুগন্ধি নারকোল সুপের সাথে গরম গরম ক্যালামারি ভাজা খেতে খেতে আমরা রাজা উজির সবাইকে দেশান্তরে পাঠিয়ে দেই। খেতে খেতে অরিন্দম ক্যানোলিচি গ্রিগলিয়াটি খাওয়ার গল্প বলে। আমি মিনমিন করে বলি, কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে আমার অনেক ভাললাগে! বড়দিনের ছুটিতে কানাডা থেকে বোন এসে লইট্টা শুটকির সাথে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত খাইয়েছিল সেই স্বাদ এখনো লেগে আছে মুখে। এপ্রিলের ঝুম বৃষ্টিতে বাড়ি ফিরে ভাবলাম ক্যালামারি ভাজার বদলে আমি যদি দেশী কায়দায় ক্যালামারি ভুনা করি কেমন হয়! সুতরাং যেই ভাবা সেই কাজ। পরদিন ইন্টারন্যাশনাল ফারমারস মার্কেটে গিয়ে বেছে বেছে স্কুইড নিয়ে এলাম দুই পাউন্ড।
ফোনে অরিন্দম আর নীলকে ডেকে বলি, চলে এসো ডিনারে। ক্যালামারি ভুনা আর গ্রিন অ্যাপেলের সাথে রেড স্ন্যাপারে ভুরিভোজন হবে আজ। সাথে স্যাফরন রাইস আর ডেসার্টে মায়ের রেসিপিতে বানানো ভাপে পুডিং। আয়োজন যত সামান্যই হোক না কেনো, আমি যত্ন করে টেবিল সাজাতে লেগে যাই। স্ট্রবেরীর মোমবাতি জ্বেলে সিনামনের ফ্রেশনার ছড়িয়ে দিই নিচতলায়। কন্যারত্ন ছোট একটা ফুলদানিতে তাজা টিউলিপ সাজায় অতিথির সম্মানে।
বাড়িতে ক্যালামারি খাইনি কখনোই। কি করে কাটাকুটি করতে হয় তাও জানিনা। ইউটিউব দেখে দেখে নিজেই হাত লাগাই। ছোট লাল পেঁয়াজ কেটে রাখি। মিট টেন্ডেরাইজার দিয়ে থেতো করে রাখি রসুন। আদা কুচি আর পেঁয়াজকলিও তৈরি। গুণীজন বন্ধুরা আমার রান্নার বিশাল ভক্ত। যা’ই রান্না করিনা কেনো সোনামুখ করে খেতে খেতে বলে, এতো মজার খাবার খাইনি কোনদিন।
বিসমিল্লাহ বলে আমি চুলো জ্বালিয়ে যাবতীয় মশলা অল্প আঁচে ভুনা করে মাছ চড়িয়ে দিই। চিংড়ির মত ক্যালামারিও নিমিষেই রান্না হয়ে যায় তাই সময়ের হিসেব রাখা খুব জরুরী। আমি দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে একবার নেড়ে ঢেকে দিই ফ্রাইপ্যান। সবশেষে পেঁয়াজকলি আর ঝুরিঝুরি করে কাটা ধনেপাতা ছড়িয়ে গারনিশ করি।
লালচে কমলার রেড স্ন্যাপারকে আমি বলি কনে বউ। তার যেমন রূপের ঝলক তেমনি খেতেও মজা এটি। সুন্দরীদের যেমন রূপ বাড়াতে বাড়তি গয়নার প্রয়োজন পরেনা তেমনি রেড স্ন্যাপারের প্রেপেও বাড়তি মশলার ব্যবহার কম। লেবুর রস, গোল মরিচ গুঁড়ো আর লবণে মাখিয়ে ওভেনে বেক করে এই মাছ চমৎকার লাগে খেতে। আমি ভাবলাম অমন তো সবাই খায়, আজ একটু সবুজ অ্যাপেলে লাল স্ন্যাপার রাঁধলে কেমন হয়!
রেড স্ন্যাপারের ফিলে গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিই ধারালো ছুরিতে। ফলের ঝুড়ি থেকে দুটো সবুজ অ্যাপেলও কেটে নিই মাছের সমানুপাতিক সাইজে। সামান্য থেতো রসুন, হ্যালোপিনিও বাটা, লেবুর জেস্ট, কুচো গালাঙ্গা আর ক্যানোলা তেলে মাখিয়ে রাখি মাছ আর টুকরো অ্যাপেল। লাল মাছের সাথে সবুজ অ্যাপেল মিলে এক টুকরো বাংলাদেশ আমার চোখের সামনে তখন! সামান্য পানি ছিটিয়ে চিনি কারমেলাজ করি পুডিং এর জন্য। ভাতের হাঁড়ি ওভেনে দেবার আগে ঘন দুধে ডুবানো জাফরান আর বাদাম ছড়িয়ে দিই ওপরে, সাথে আধ চামচ ঘি।
রাঁধতে রাঁধতেই জার্মানির কোলন শহর থেকে ফোন আসে শবনমের। ক্যাডেট কলেজে তাকে যথেষ্ট টাইটে রাখা গেলেও এখন হাতের নাগালের বাইরে বিধায় আমার কালিনারি আর্ট অথবা কালিনারি অনাচার কিছুতেই মানেনা সে। গমের রুটির সাথে আমার স্যালেরি ভাজা খাওয়াতে তার আপত্তি ভারী। শর্ষের তেলে লাল শ্যালট আর হ্যাবানেরো মরিচে আমার আভোকাডো ভর্তা খেতে দেখে তার গোস্বা হয় ভীষণ! স্কাইপে দেখাই চুলোয় মাছ আর অ্যাপেল কেমন জড়াজড়ি করে ভাব করছে! অনেকক্ষণ চুপ থেকে একটু দম নিয়ে শবনম বলল, আফা, আম্রিকান মাছডির জাত এমনে মাইরালছুইন!
"আফা, আম্রিকান মাছডির জাত এমনে মাইরালছুইন!" - পারফেক্ট!!!
😀 😀 😀
দিনলিপি পড়লাম নাকি রন্ধন শিক্ষার ক্লাস করলাম ইন ডিসগাইজ, ভাবছি।
ক্ষুধা পেটে এতসব খাবার দাবারের গল্প শুনে পেটে ছুচোর দৌড় শুরু হয়ে গেছে।
যাই লাঞ্চ সেরে আসি গিয়ে.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
লোকের অথবা মাছের জাত মারতে তো আমার খুবই ভাল লাগে, পারভেজ ভাইয়া 😛
তোমার কথা শুনে এবার আমার কুকিং ব্লগ লিখতে মন চাইছে। অডিও ব্লগ, ভিডিও ব্লগের পর এবার রান্নার ব্লগ লিখলে মন্দ হয়না কিন্তু! সাথে তরতাজা সব ছবি থাকবে!
খাওয়াটা আমার ডিপার্টমেন্ট, রান্নাটা না।
তবুও লিখো, আমার কন্যাদের দেখাবো আর বলবো রান্না করে দিতে...
😀 😀 😀 😀 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
রান্না, খাওয়া, অথবা খাওয়ানো তিনটিই আমার ডিপার্টমেন্ট, ভাইয়া! রেসিপি লিখতে মন চায়না সত্যি, কিন্তু একটা দুটো তো লিখবোই তোমাদের জন্য! অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া!
আফা, আম্রিকান মাছডির। জাত এমনে মাইরালছুইন।: p
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ছোটবেলায় গ্রামের বাড়ি যাবার পথে পুকুরপাড়ে অথবা ডোবানালায় দেখতাম গ্রামের মেয়েরা গুড়ি গুগলি কুড়োচ্ছে। তখন ভাবতাম ওরা নিশ্চয়ই এসব নিয়ে খেলা করে! শুঁড় তোলা গুগলি যে ওরা পেটের তাগিদে খায় সেটি জানতে অনেক দেরী হয়েছে। এখানে এসে দেখি, গুড়ি গুগলির খুব শখ করে খায় লোকে। এসকারগো (escargot) খেয়ে কী সোনামুখ করে গল্প বলে বন্ধুরা। (সম্পাদিত)
অনেক সুন্দর একটা দিনের দিনলিপি। পড়ে মনে হচ্ছে এগুলো খাবো কখন। সুন্দর মন থাকলে সুন্দর রান্না হবে, এমনটাই স্বাভাবিক। তবে দুই একটা ছবি যোগ করে দিলে লিখাটি আরও ফুটে উঠত। ভালবাসা তোমাকে আপু। :clap: :clap:
🙂 🙂
আমার বাড়ি এলেই খেতে পারবে, জিয়া! চলে এসো খুব শীগগির। আজকাল লোকজন রান্নাবান্না করতে চায়না, জানো! ঝামেলা মনে করে অনেকেই ক্যানের বা ফ্রোজেন খাবার চালিয়ে দেয় ডিনারে। আমি পছন্দ করি আমার ভালবাসার মানুষগুলোকে যত্ন করে খাওয়াতে।
আমার ছবি তোলার অভ্যাস খানিক কম, জিয়া। তোমার সাজেশন মাথায় রইল। ছবি এড করবো আরো ভবিষ্যতে। অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য।
খেয়ে এসে বসার আগেই দেখি কমেন্ট বৃষ্টি হয়ে গেছে এক প্রস্থ !!!
খাবারের গল্প শুনিয়ে লোভ ধরাও, মজা দেখাচ্ছি দাঁড়াও।
কি খেলাম এখন শুনবে?
পুদিনা পাতা দেয়া ইলিশ মাছের কোফতা...
কী খেতে ইচ্ছা হচ্ছে বুঝি?
😛 😛 😛 😛 😛 😛
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
পুদিনা পাতায় ইলিশ মাছের কোফতা? সেটি আবার কি, ভাইয়া? নামই তো শুনিনি, খাবো কেমন করে, বলো?? এইবার একটা ট্রাই করতেই হবে এটি। ইলিশের দাম ছাড়া আর সব ভালা পাইগো, বড়ভাই!
আশা করি পেটপুজো করে এবার তোমার মাথা ঠাণ্ডা হয়েছে।
apa mainser pete khidar agun dhoray lekha likhle 100 p jorimana hoibo....apne bebaktire ranna kre khawan magar amgo khawan na,,,,amra apner loge r khelum na....ariiiiiiiiiii ariiiiiiiiiiiiiiii ariiiiiiiiiiiii x-( x-( x-( 😛 😛 😛
Life is a learning process...n itz a continuous process.....??????
একশো পয়সা জরিমানা, তাসমিয়া 😛 ?? মন্দ হবে নারে! চলে এসো আমার কাছে। নাক ডুবিয়ে খাবো সবাই মিলে!
রান্নাবান্না আর লেখালেখি, দুটোই যেন এক নিখুঁত শিল্পকর্ম। দুটোতেই তুমি হাই মার্কস পেলে!
আমার তো হামেশাই মনে হয় আমি লিখি থার্ড গ্রেড লেভেলের বাচ্চাদের মত, ভাইয়া! বেশী সহজ করে, কোন রকম ভান করা ছাড়াই। তারপরও আপনার মতো গুণীজনেরা পড়ছেন তাতেই আমি ধন্য! 🙂 🙂
রান্নার ব্যাপারটাও প্রায় একই রকম, জানেন! এদেশে এসে প্রাণের দায়ে রাঁধতে শিখলেও এখন অনেকটাই প্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথবা অন্যভাবে বললে, এক ডজন কাপকেক বানিয়ে নতুন আসা প্রতিবেশীর সাথে পরিচিত হতে পেরে নিজেরই ভাল লাগে। একটা জার্মান চকলেট ব্রাউনি বানিয়ে বন্ধুকন্যার মন চুরি করতে পারি খুব সহজেই। অথবা এক এম্প্রেস চিকেন বানিয়ে তারাকে ইম্প্রেস করতে পারি অনায়াসেই! কে না জানে পাকস্থলীর পথ বেয়েই মানুষের হৃদয়ে পৌঁছুন যায়!
অনেক ধন্যবাদ, পড়বার জন্য! 🙂
এইটা জব্বর বলেছো:
"কে না জানে পাকস্থলীর পথ বেয়েই মানুষের হৃদয়ে পৌঁছুন যায়!"
মনেপরে, একদা একজন আমাকে "স্লাইসড চিকেন উইথ হানি" খাইয়ে মানসিক ভাবে কৃতদাস বানিয়ে রেখেছিল কয়েক সপ্তাহের জন্য
😀 😛 😀 😛 😀 😛 😀 😛
পরে অবশ্য দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে সেই কৃতদাসবৃত্তি থেকে সে নিজেই আমাকে মুক্তি দিয়েছিল.........
🙁 :(( 🙁 :(( 🙁 :(( (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মুরগীর সাথে হানি খাইয়ে একেবারে হানিবানি ই বানিয়ে দিল তোমায়, ভাইয়া? তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে এইবার একটা মৌচাক না বানালেই নয়।
অথচ অবাক করা কান্ডটা কি, জানো?
চিকেন কিন্তু আমার প্রিয় না। আমি মূলত বীফ ইটার। বীফ পেলে চিকেন ছুয়েও দেখি না।
একমাত্র, না পারতেই খাই।
আর হানি তো মোটামুটি অপছন্দেরই একটা জিনিষ।
ঠাণ্ডা লাগলে আদা চায়ে দিয়ে ছাড়া একদমই খাওয়া পড়ে না।
অথচ কি এক যাদু ঘটলো সেইদিন!!
মূলতঃ পরিবেশনাটা অসাধারন, সেজন্যই হবে হয়তো।
লাল হয়ে থাকা চিকেন ব্রেস্টের টুকরাটা সোনালী রঙের মধুর সরবরে শুয়ে ছিল গা এলিয়ে।
ওটা যে স্লাইসড, বাইরে থেকে বোঝাই যাচ্ছিল না।
লম্বাটে প্লেটে একা ছিল না সে।
চারিদিক দিয়ে তাকে ঘিরে রেখেছিল শীতের সবজীর প্ল্যাটার।
দেখেই তো চোখ জুরিয়ে বরফ।
কিভাবে শুরু করবো, ভাবতে ভাবতে এক কোনায় ফর্ক স্থাপন করার পর বুঝলাম ওটা প্রি-স্লাইসড, যখন কেবলই একটা স্লাইস উঠে এলো ফর্কের মাথায়।
খাবার নিয়ে যদি কেউ এতটা কারিকুরি দেখায়, কিছুদিনের জন্য তাঁর কৃতদাসত্ব বা হানিবানিত্ব বরন করা কি খুবই অন্যয়???
😛 😀 😛 😀 😛 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
তুমি যে একজন নির্ভেজাল প্রেমিক সেটি বুঝতে বেগ পেতে হয়নি আমার, পারভেজ ভাইয়া। তোমার এই কমেন্টে আমি যেন একটা পুরো ছবি দেখতে পেলাম, জানো।
চমৎকার একটা ছোট গল্প হতে পারে এই থিমে। তুমি লিখে ফেলো ঝটপট নইলে চুরি হয়ে যেতে পারে তোমার প্রেমকাহানী!
"পাকস্থলীর পথ বেয়েই মানুষের হৃদয়ে পৌঁছুন যায়" আমার মনে হয়, কথাটা প্রায় ১০০% সঠিক হতো যদি এখানে 'মানুষের' জায়গায় 'পুরুষের' বসানো যেতো। ঠিকঠাক ভোজন পেলে পুরুষ অতি সহজেই "ক্রীতদাস" হয়ে যায়। তবে রমণীকূল নয়।
🙂 🙂 🙂 🙂
খাঁটি কথা বলেছেন, ভাইয়া! মুখে ভালবাসি না বলেও মোমের আলোয় এক থালা গরম ভাত আর সর্ষে ইলিশ অথবা স্যামনের মালাইকারীতে কত সহজেই না বলা যায় কত ভালবাসি তাকে! অন্যদিকে বান্ধবীদের মন পাওয়া কিন্তু আরো সহজ, ভাইয়া! দু'চোখে অবাক বিস্ময় ফুটিয়ে বলি, তোকে আজ ক্যাটরিনার মত দেখাচ্ছ, রুমকি! কাজ সারা তাতেই। বন্ধু হয়ে গেলাম চিরকালের মত।
তা জাতমারা মাছ খেয়ে তোমার বন্ধুকূল জুত পেলো কি?
আমার তো জিভে জল চলে এসেছে পড়তে পড়তেই। পাঠং অর্ধোধিক ভোজনং!
আমার বন্ধুরা আমার মতোই জাত কূলহীন, নূপুর! নতুন করে এদের আর কী জাত মারবো বলো? ওরা খেয়েদেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছে দেখে তাতেই মন ভরেছে আমার। (সম্পাদিত)
আফা, আম্রিকান মাছডির জাত এমনে মাইরালছুইন!.................. 😀 😀 😀 😀
সাবিনা, আমি অবাক হয়ে পড়ি তোমার লেখা। এত চমৎকার কি করে পারো ?
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
কবে যে তোমার রান্না খাওয়ার সৌভাগ্য হবে কে জানে...
কিন্তু কুকিং ব্লগ তো নিশ্চয়ই খুব কাছাকাছি সময়েই পেতে পারি...
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
অরূপ দাদা তোমার মন্তব্য পড়ে অহংকারে আমার আর মাটিতে পা পরেনা, জানো! তোমাদের ছোটবোনটিকে সবাই মিলে যেভাবে স্পএল করছো ভালবাসা দিয়ে... আমার কী হবে গো??
তোমার নেমন্তন্ন রইল যে কোন সময়ের জন্য, দাদা! কেবল জানিও কবে আসছো সকলে।
আয়োজন যত সামান্যই হোক না কেনো, আমি যত্ন করে টেবিল সাজাতে লেগে যাই।
তোমার লেখাও এরকমই, সাধারণ বিষয়গুলিও খুব অসাধারণ হয়ে ওঠে, আমার সময় নষ্ট হয়, একাধিক বার পড়া লাগে
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
🙂 🙂 🙂 🙂
আপনার লেখা মন্তব্য পড়ে নিজেকে কেবল ময়ূর নয় একই সাথে ময়না, টিয়ে, দোয়েল, ফড়িং অবধি মনে হচ্ছে, সাইদুল ভাইয়া!
সিসিবির পাঠকদের হৃদয়ে সামান্য একটু স্থান করে নিতে যে পেরেছি তাতেই নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
মেরিল স্ট্রীপ আর এমি অ্যাডামস অভিনীত "জুলি & জুলিয়া" আমার খুব প্রিয় একটা মুভি... মুভিটা দেখার পর থেকে খুব ইচ্ছা ছিল রান্না নিয়ে ব্লগ লেখার... অলসতার কারণে কিছুই হয়না। 🙁 যাই হোক আপা আপনার কুকিং ব্লগ এর অপেক্ষায় রইলাম। আমাদের মতো নবীশদের জন্য ঝটপট কিছু রেসিপি দিয়েন 🙂 🙂 :boss:
🙂 🙂 🙂 🙂
'জুলি এন্ড জুলিয়া' দেখে আমারও জানো রান্নার ব্লগ লিখতে মন চেয়েছিল, মীম!
কাল রাতে সবে হাত দিয়েছি আমার গডের স্টেকের রেসিপি লিখতে। ক্লান্ত হয়ে পরেছি একটুখানি লিখেই বলা বাহুল্য। কুকিং ব্লগ লেখা সহজ নয় মোটে। আমার তো মনে হচ্ছে রান্নার ব্লগ লেখার চাইতে রান্না করাটা আরো অনেক আনন্দদায়ক এবং সহজ, অনেকটা মঞ্চ নাটকের মত। মঞ্চে দর্শক রেসপন্স পাওয়া যায় সরাসরি। রান্নাটাও তাই বোধকরি, খাবার টেবিলেই দেখতে পাই খাদকের তৃপ্তি অথবা ডিশ দূরে সরিয়ে রাখা!
Madam Sabina, let’s start form the very end. Your friend from Germany pondered your recipe and then declared that the fishiness or the character of the fish itself was killed by your very descriptive recipe. With all due respect to your esteemed friend, some people are wise, some otherwise!
I however, beg to differ, as only very special cooks are capable of getting creative with their cooking. As you probably already know, the fish is one of the avatars of Vishnu in Hinduism. It is said that Vishnu transformed himself ten times to save this wonderful planet. The fish is one of those transformations. Thus the fish is a symbol of transformation and creation. You too have transformed the Red Snapper from it’s raw state to a beautiful dish. As beautiful as a maiden on her wedding day.
The other course of your dinner is one of my favorite dishes. Calamari, as fried squid is called in the Italian lingo. You have converted this ancient and wonderful Italian dish, used your amazing culinary prowess and converted into our very own squid “chochchori.” Or maybe it’s squid “ghonto”? As one would make “Lau Ghonto”? Who knows? And I don’t care either. It’s sounds delicious!
I am sure, both the Red Snapper and the squid would happily come to your house, climb into your cooking pot and be served up as a dish to die for. Now wouldn’t that be a micro-story to write about?
Atlanta, Georgia, USA
🙂 🙂 🙂 🙂
আপনি কি লেখালেখি করেন, পাপ্পু? মাছের এই সাতকাহন লেখার সময় একবারের জন্যও আমার কিন্তু অন্য কিছু মনে পড়েনি। অথচ কী চমৎকার করেই না আপনি বললেন, fish is a symbol of transformation and creation! লেখালেখি যদি শুরু না করেন তবে বলব, সময় যে বয়ে যায়, দাদা!
স্কুইড চর্চরী অথবা স্কুইড ঘণ্টর আইডিয়াটা আমার মনে ধরেছে। মাইক্র গল্পের ভাবনাটা তো দারুণ লাগলো...লিখুন না, প্লিজ!
আমার ব্লগে বেড়িয়ে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, পাপ্পু! সম্মানিত বোধ করছি।
লেখা থেকেই যে সুঘ্রাণ পাচ্ছি, খাওয়ার সৌভাগ্য হলে না জানি কি হতো!
রান্না ব্লগের অপেক্ষায় থাকলাম আপু, অনেক দিন নতুন কিছু রান্না করি না, আপনার রেসিপিই না হয় নেক্সট প্রজেক্ট হলো 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂 🙂 🙂
ব্লগে অনেকদিন আগে তুমি গডের স্টেকের রেসিপি চেয়েছিলে, আকাশ। আমি ভেবেছিলাম ওটি ছিল তোমার বিনয়, অথবা আমি স্টেক নিয়ে অনেক ব্র্যাগ করছি বলেই হয়তো চেয়েছিলে। তোমার জন্য আমি রান্নার ব্লগ লিখছি সত্যিই, জানো।
সিসিবিতে ভোজনরসিক অনেকেই আছেন আমি জানি, এইবার একজন রাঁধুনি খুঁজে পেয়ে আমি যারপরনাই আনন্দিত।
গডের স্টেকের রেসিপির জন্য আগাম ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম আপু।
আমি একেবারেই শখের রাধুনী, মাঝে মধ্যে সময় সুযোগ পেলে একটু রান্না বান্না করি। তবে যখনই করি, দারুন উপভোগ করি। 🙂
আর সিসিবিতে আমি নিশ্চিত অনেক রাধুনীই লুকিয়ে আছে, আমার জানামতেই দু'একজন আছে। আর না থাকলে আপনার রান্নার ক্লাস নতুন রাধুনী বানিয়ে ফেলবে 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂 🙂 🙂
আমার রেসিপিতে তোমার রান্না করা স্টেক খেয়ে নক্ষত্রের মা আবার নতুন করে তোমার প্রেমে পরবে তা আমি বলে দিতে পারি নিশ্চিত, আকাশ!
বেশী ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে।
তাই নতুন করে শুরু করছি।
"চমৎকার একটা ছোট গল্প হতে পারে এই থিমে। তুমি লিখে ফেলো ঝটপট নইলে চুরি হয়ে যেতে পারে তোমার প্রেমকাহানী!"
১) আমি যে নিজের কথা নিয়ে গল্প লিখতে পারি না, কি করি?
২) নিজের লিখা কোন কবিতা পড়তেও পারি না।
বিরাট সমস্যা।
তবে তুমি যখন বললে, ভেবে দেখি, কি করা যায়.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
আর দেরী না করে দুটোই শুরু করে দাও, ভাইয়া! ভয় কি বলো, আমরা তো আছিই!
প্রিয় সিসিবি ব্লগারদের তালিকায় একেবারে পাকাপাকি জায়গা করে নিলেন আপু।
আপনার পোষ্টগুলোর সবচেয়ে চমকপ্রদ অংশ হচ্ছে একেবারের শেষের পাঞ্চ লাইনটুকু! :boss: :boss: :boss:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
লেখা পড়ে নতুন নতুন আইডিয়াও পেয়েছি।তোর সবকিছুইতেই শিল্পীর ছোঁয়া পাই বনধু। :boss: :boss: